০১ বাঙলাদেশ ব্যাংকে অতীতেও টাকা চুরি বা লোপাট এর ঘটনা ঘটেছে।
০২ টাকা চুরি যিনি করেছেন তিনি একজন হিন্দু নামধারী (দীপক চন্দ্র দাশ)।
০৩ চোর খুব সম্ভবত একজন ভারতীয়।
০৪ টাকা উদ্ধারের পরে চোর ব্যাংক কর্মকর্তার নিয়োগদাতা ব্যাংক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিবে বলায় বাঙলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক যিনি তাকে পুলিশে না দিয়ে ছেড়ে দেন তিনি একজন হিন্দু নামধারী (শুভঙ্কর সাহা)।
০৫ চোর এর নিয়োগকারী ব্যাংকটি, অর্থাৎ স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ভারতের সরকারী ও মাল্টি ন্যাশনাল ব্যাংক।
এমরান/ইমরান ইমু নামে একটা অতি বদ উদ্দেশ্যমূলক ভাবে একটা তথ্য ছড়িয়েছে দিন কয়েক আগে। যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বানোয়াট।
তার পোষ্ট টির মূল বক্তব্য হলো যেহেতু বাঙলাদেশ ব্যাংকের ডাইরেক্টর রা হিন্দু তাই টাকা লোপাট ভারত বা হিন্দুদের চক্রান্ত।
এরি মধ্যে ১৫০০ বারের অধিক তার পোষ্ট টি শেয়ার হয়েছে।
তার পোষ্টটির স্ক্রিন শট দিয়ে দিলাম।
বলা বাহুল্য বাশের কেল্লা নামক পেইজটি ও এই জিনিস ছড়িয়েছে। এরা আবার বলছে হিন্দু কর্মকর্তাদের লিষ্ট তারা পেয়ে চিন্তিত দার্শনিক এর কাছ থেকে।
আশা করছি সংশ্লিষ্ট মহলের চোখে এই বিষয়টি আসলে তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবেন।
দেখা যাক এখন বাঙলাদেশ ব্যাংকের আসল চিত্র।
(খুব সম্ভবত নিরাপত্তার খাতিরে বা অন্য কোন কারণে বাঙলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ঢোকা যাছিলো না। কিংবা লন্ডন থেকে আমি ঢুকতে পারছিলাম না। আজ পেরেছি।)
গভর্ণর আতিউর রহমান আজ পদত্যাগ করেছেন।
ডেপুটি গভর্ণর ৪ জন। এর মাঝে হিন্দু একজন – সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী। বাকি তিনজন মুসলিম নামধারী।
এক্সিকিউটিভ ডিরেকটরস ১৯ জন। এর মাঝে হিন্দু ৪ জন – ০১ নির্মল চন্দ্র ভক্ত ০২ শুভংকর সাহা ০৩ বিষ্ণু পদ সাহা ০৪ অশোক কুমার দে।
চেয়ারম্যান ছিলেন আতিউর রহমান। ৮ জন ডাইরেক্টর দের মধ্যে হিন্দু নামধারী একজন – প্রফেসর সনৎ কুমার সাহা।
আজকেই গভর্ণর আতিউর রহমান পদত্যাগ করলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দেওয়ার আগে-পরে দুই দফায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এসময় নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি গত সাত বছর দায়িত্ব পালনের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্জনও তুলে ধরেছেন।০১ আমি এই দেশের ভূমিপুত্র। মাটি থেকে উঠে এই পর্যায়ে এসেছি। গত সাত বছর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বে আছি। চেষ্টা করেছি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য, বাংলাদেশের ফরেন কারেন্সি রিজার্ভকে সর্বোচ্চ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য, ব্যাংকিং সেক্টরকে সুশৃঙ্খল করার জন্য। সাধারণ মানুষ যারা কোনোদিন ব্যাংকে আসতে পারত না, এমনকি পথশিশুদের পর্যন্ত ব্যাংকিংয়ের আওতায় এনেছি। আজকে সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের অর্থনীতি অত্যন্ত স্থিতিশীল এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশের অর্থনীতির মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
০২ আমাকে যখন বলা হল, আমি এতোটাই পাজলড ছিলাম…. কয়েকদিন আগে এটিএম আক্রমণ হয়েছে, এখন আবার রিজার্ভের উপর আক্রমণ। আমাদের সমস্ত অর্থনীতিকে যেন ভেঙে না ফেলে সেই ভয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছি, তাদেরকে বিদেশ থেকে এনেছি। তাদের এনে আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুরো সিকিউরিটি নিশ্চিত করেছি, যাতে ভবিষ্যতে আর ক্ষতি না হয়। পাশাপাশি কোথা থেকে কেমন করে এই ঘটনার উৎপত্তি ঘটল খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি।
০৩ এক্ষেত্রে আমি দেশের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটগুলোকে সঙ্গে নিয়েছি। প্রথম দিনই আমি এফআইইউয়ে (ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) এফআইআর করেছি এবং তাদের পরামর্শমতো কাজ শুরু করেছি। বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়েছি। ফিলিপিন্সের গভর্নরের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছি। যেহেতু ইন্টেলিজেন্সের বিষয়- এগুলো গোপনীয়তার সাথে করতে হয়।
০৪ যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন রিজার্ভ ছিল ৬-৭ বিলিয়ন ডলারের মতো, সাড়ে চার গুণ আমি বাড়িয়েছি। সুতরাং এখান থেকে একটি ডলারও নষ্ট হোক আমি চাইনি। ডলার কীভাবে ফেরত আনা যায় এই কাজটিই করেছি। আমরা একটা অংশ ফেরত পেয়েছি এবং আজকে ফিলিপিন্স থেকে খবর এসেছে যে আমরা পুরোটাই পাব।
০৫ যখন পরিস্থিতি খানিকটা আমার নিয়ন্ত্রণে এসেছে তখন আমি এনএসআইকে যুক্ত করেছি, র্যাবকে যুক্ত করেছি, ফায়ারআইকে তো আগেই যুক্ত করেছি। গোটা ব্যাপারটা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এনে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি, পরে চিঠি লিখে মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে জানিয়েছি।
০৬ একটু সময় লেগেছে আমি অস্বীকার করি না। কিন্তু এই সময়টা আমি নিয়েছি দেশের স্বার্থে। এই অর্থগুলো যেন নিশ্চিতভাবে দেশে ফেরত আনা যায় তার স্বার্থে এবং বড় রকম আর কোনো সংকট আছে কি না তা দূর করার স্বার্থে। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ নাই।
০৭ আমি বলতে পারি ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় ও আইএমএফ এর যৌথ নেতৃত্বে একটি সভা ছিল, ওই সভায় মাননীয় অর্থমন্ত্রীরও যাওয়ার কথা ছিল এবং শেষ মুহূর্তে তিনি স্বাস্থ্যগত কারণে যেতে পারেননি। আমি যথাযথ অনুমতি নিয়ে, মাননীয় অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে সেখানে গিয়েছি। ওই সভায় আইএমএফ এর প্রধানসহ বিভিন্ন দেশের গভর্নররা এসেছিলেন। সেখানে দুটি প্যানেলে আয়োজকরা আমাকে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। সেখানে কীভাবে অর্থ উদ্ধার করা যায়, সিকিউর করা যায় এই বিষয়গুলো তাদের সঙ্গে আমি আলাপ করেছি।
০৯ আমি বঙ্গবন্ধুর নীতিতে বিশ্বাস করি। তাকে শ্রদ্ধা করি। তার নির্দেশিত পথে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সাতটি বছর সর্বক্ষণ গাইড করেছেন, প্রটেক্ট করেছেন, প্রতিটি সংকটে তিনি আমার পাশে ছিলেন।
১০ আপনাদের মাধ্যমে আমি দেশবাসীর উদ্দেশে বলতে চাই, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অর্থনীতির রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ হাজির হয়েছে- এটা যেন অক্ষয় থাকে, এটা যেন সব সময় আমরা ধরে রাখতে পারি এবং এর জন্য যেখানেই থাকি না কেন আমি দেশের পক্ষেই কাজ করব। আমি সব সময় মানুষের পাশেই থাকব, গরীবের পাশে থাকব, কৃষকের পাশে থাকব। আমি আমার সন্তানদের রক্ষা করব, আমার…যে ২৮ বিলিয়ন ডলার, সেটা রক্ষা করতেই আমি কিছুটা সময় নিয়েছি। এতে যদি আমি অন্যায় করে থাকি, আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি।
১১ আমি একদিনও ছুটি নিইনি গত সাত বছরে। সুতরাং আপনারা ধৈর্য্য ধরুন এবং লক্ষ করুন যে, আমরা কী করছি। আমি যে কাজগুলো করেছি সেগুলো বাংলাদেশের ভবিষ্যতের বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তাতে অনেকটা স্বার্থ রক্ষা করবে এবং আরও কিছু কাজ করার বাকি আছে সেগুলো করার চেষ্টা করছি। কাজগুলো আমরা করব এবং আমি থাকি বা না থাকি আমার অনুরোধ থাকবে এই সাইবার সিকিউরিটির ব্যবস্থা যেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো একটা উদ্যোগ নিয়ে কাজ করা হয়।
১২ এটি একটি ইন্টেলিজেন্স বিষয়, খোলামেলা এতো আলোচনার সুযোগ এখানে নেই, মানুষকে আতংকিত করারও সুযোগ নেই। বরং আসুন যেভাবে আমরা বন্যা মোকাবেলা করেছি, রানা প্লাজা ধস পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আজকে রপ্তানি খাতকে ‘অ্যাক্টিভ’ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি, এই সাইবার অ্যাটাকটাকেও আমরা সেইভাবে মোকাবেলা করি এবং আমাদের দেশটাকে সাইবার আক্রমণ থেকে একেবারে নিরাপদ করি।
১৩ গতবছর এক বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন দেশের ৩০টি ব্যাংক থেকে হ্যাকড হয়ে গেছে। গতমাসেও ইউএসএতে (যুক্তরাষ্ট্র) ৩০ মিলিয়ন ডলার হ্যাকড হয়েছে। কখন কোন আক্রমণ আসবে আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত। সময় হয়েছে নিজেদের যেমন করেই পারি নিরাপদ করার। এজন্য আমি চেষ্টা করছি এবং আশা করি যে আমার সহকর্মীরা আমার এই কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাবেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
১৪ সরকার তদন্ত কমিটি করতে চাইছেন করুন, যারাই দায়ী হবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার সরকারের রয়েছে এবং আমি মনে করি তারা এটা করবেন। আমি শুধু এটুকুই বলব, দেশবাসীর কাছে আমার একটাই অনুরোধ যে আমাকে ভুল বুঝবেন না।
১৫ এই সাত বছরে আমার একটি বাড়ি বিক্রি করে সন্তানদের পড়ার খরচ জোগাড় করতে হয়েছে।দেশের জন্য যা করতে পেরেছি- এতো মানুষের কাছে আমরা ঋণ পৌঁছে দিতে পেরেছি, অর্থনীতিকে ৯৫ বিলিয়ন থেকে ২১০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে পেরেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে, আমি তার জন্য খুবই তৃপ্ত।
১৬ হয়তো আমার এক্সিটটা আরও ভালো হতে পারত। যদি একটা সংবর্ধনা দিয়ে…..(হাসি) বিদায় করলে গত সাত বছরের কষ্ট খানিকটা লাঘব হত।(মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার) সময়ও তো বেশি বাকি ছিল না। মাত্র তিন চার মাসের মতো ছিল। এর মধ্যে রিজার্ভের নিরাপত্তার কাজগুলো এগিয়ে নেওয়া যেত। নতুন একজনের তো এই বিষয়গুলো বুঝে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে। যাই হোক, এখন আর আমি সেগুলো ভাবছি না। মান-সম্মান নিয়ে বিদায়ই নিতে চাচ্ছি। এই ব্যাখ্যাগুলো দিয়েছি যেন দেশবাসী আমাকে ভুল না বোঝে।
এক নজরে আতিউর রহমান
১৯৫২ – ২৮ শে নভেম্বর জামালপুর জেলার, সদর থানার দিঘপাইত ইউনিয়নের পূরবপাড় দিঘুলী গ্রামে জন্ম হয়।
১৯৬৮ – মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা বোর্ডে ৫ম হন। (কলেজে প্রথম)
১৯৭০ – মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা বোর্ডে ৯ম হন। (কলেজে প্রথম)
১৯৭৪ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স
১৯৭৫ – মাষ্টার্স পড়াকালীন সময়ে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে প্ল্যানিং অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু।
১৯৭৬ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স । অতঃপর কমনওয়েলথ বৃত্তিতে উচ্চতর পড়াশুনা।
১৯৭৯ – পুনরায় মাষ্টার্স করে এমফিল এ ভর্তি।
১৯৮৩ – পি এইচ ডি সম্পন্ন করে যোগ দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে ( বিআইডিএস)৷ ২৭ বছর চাকুরি করেন এখানে।
২০০০ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেন।
২০০১ – বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন।
২০০৯ – বাঙলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর হিসাবে দায়িত্ব নেন।
২০১৬ – সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর ১৫ মার্চ তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।
এছাড়াও তিনি জনতা ব্যাংক অফ ডিরেকটরসের চেয়ারম্যান, সোনালী ব্যাংকেরপরিচালনা পর্ষদের সদস্য, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ এর মধ্যে রয়েছে ১৯৯৭ সালে দারিদ্র দূরীকরনে বিভিন্ন নির্দেশনার পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য মালদ্বীপে প্রেরিত জাতিসংঘের মিশনে নেতৃত্বদান, ১৯৯৪ সালে ইউ.এন.ডি.পি কান্ট্রি প্রোগ্রাম-ভি এর মিড-টার্ম রিভিউ এর সদস্য, ১৯৮৯; সালে এগ্রিকালচার সেক্টর রিভিউ এর অংশ হিসেবে ইউ.এন.ডি.পি ঢাকার জন্য ‘ক্রেডিট ফর দির পুওর’ নামে একটি স্টাডি করা ইত্যাদি কাজগুলো উল্লেখযোগ্য৷ এছাড়াও দেশে এবং দেশের বাইরের কয়েকটি ইউনিভার্সিটিতে তিনি ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷
০১ সার্ক: রাজনৈতিক অর্থনীতি, ১ঌ৮৬
০২ কৃষি প্রশ্ন: ঐতিহাসিক রুশ বিতর্ক এবং তৃতীয় বিশ্বর প্রসঙ্গিকতা, ১ঌ৮ঌ
০৩ গরীবের বাজেট ভাবনা ও দারিদ্র বিমোচন, ১ঌঌ৬
০৪ মুক্তিযুদ্ধেও মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন, ১ঌঌ৭
০৫ বাঁশের লড়াই বাঁচার লড়াই, ১ঌঌ৭
০৬ অসহযোগের দিনগুলি: মুক্তিযুদ্ধেও প্রস্তুতি পর্ব, ১ঌঌ৮
০৭ আরেক বাংলাদেশ, ১ঌঌ৮
০৯ জনগণের বাজেট, ২০০০
১০ ভাষা আন্দোলন: পরিপ্রেক্ষিত ও বিচার, ১ঌঌ০, ২য় সংস্করণ ২০০০
১১ ভাষা আন্দোলন: অংশগ্রহণকারীদের শ্রেনী অবস্থা, ১ঌঌ০, ২য় সংস্করণ ২০০০
১২ ভাষা আন্দোলন: অর্থনৈতিক পটভূমি, ১ঌঌ০, ২য় সংস্করণ ২০০০
১৩ আগামী দিনের বাংলাদেশ, ২০০১
“পদত্যাগের আগে আতিউর রহমান সাংবাদিকদের যে ভাষ্য দিয়েছেন, তাতে তো তার কোন ধরণের দায়িত্বে অবহেলা পেলাম না। বরং যেটা লক্ষ্য করলাম তা অনেক বেশী ইন্টারেস্টিং। যে প্রশাসনে প্রতিটা সংকটে সবাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে হা করে ব্রিফকেস নিয়ে ছুটে যান সমাধানের জন্য, চেয়ে থাকেন তার দিকে, সেখানে আতিউর রহমান সংশ্লিষ্ট অপরাধ দমন সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞদের শুরু থেকেই জড়িত করেছেন। তাদের নিয়ে সংকট মোকাবিলা করেছেন ধাপে ধাপে, নিজে দায়িত্ব নিয়ে। এখন দেখা যাচ্ছে পুরো টাকা উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করে তা পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করে তবেই তিনি মিডিয়ার মুখোমুখি এসেছেন। এর কোনোটিই তো অসৎ দায়িত্বহীন অযোগ্য লোকের লক্ষণ বলে মনে হচ্ছে না!”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর এই মূহূর্তে আপনার সামনে অনেক প্রশ্ন। এসবের সাথে কিছু প্রশ্ন করতেই চাই। ‘প্রশ্ন গুলো সহজ, উত্তরও তো জানা —‘
১. অর্থনীতির মত নিরস বিদ্যার চর্চ্চা করেও আপনি রবীন্দ্র নাথ পড়েন কেন ? কথায় কথায় আপনার মাথায় রবীন্দ্র নাথ কেন ?
২. বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে বই লিখেছেন কেন ?
৩. মুক্তিযাদ্ধা আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপনার এত ভাবনা কেন ?
৪. মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বিশাল নতুন ভবন নির্মানে সবগুলো ব্যাংক যাতে বড় অংকের সহায়তার হাত বাড়ায় সে জন্য আপনি এত উদ্যোগ নিয়েছেন কেন ?
৫. বিধবা পল্লীর বিধবারা যাতে ভালো থাকে সে জন্য আপনি সোহাগপুর ছুটে গিয়েছিলেন কেন ?
৬. মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য জামানত ছাড়াই ব্যাংক সহায়তা দেয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন কেন ?
৭. দেশে এত যোগ্য লোক থাকতে আপনি এত পুরস্কার আর বিদেশে এত দাওয়াত পান কেন ?
৮. অর্থনীতির মত কঠিন বিষয় নিয়ে আপনি সহজ ভাবে বলতে বা লিখতে পারেন কেন?
৯. ব্যাংক একাউন্ট, চেক বই, এসব টাকা ওয়ালাদের বিষয়, এ সব জায়গায় আপনি ছেড়া কাপড় পড়া গরীব মানুষদের টেনে আনলেন কেন ?
১০. গরীব মানুষের টাকার গড়ে ওঠেছে আপনার জীবনের ভিত্, সেই আপনার সই এখন দেশের কারেন্সীতে – এটা মেনে নেবো কেন ?
১১. জামালপুরের এক হত দরিদ্র পরিবারের ছেলে আপনি, খালি গা -খালি পা, পরতেন লুঙ্গি – এখন এত ধোপদুরস্ত পোষাক পরেন, মানবো কেন?
১২. ওই খালি পা-খালি গা , ওরাও মানুষ ! ১০টাকাও টাকা ! ওই ১০টাকা ওয়ালাদের আপনি দিলেন ব্যাংক একাউন্ট! ব্যাংকের এই ইজ্জত হানির (!!) দায় আপনাকে নিতে হবে ।
১৩. আপনি এক উজ্জ্বল ভবিষ্যত বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্যাখেন বা দ্যাখান কেন ?
প্রশ্নগুলো রইলো ।
মন্তব্য করি: খালি পা – খালি গা, লুঙ্গি পড়া মানুষের ‘পোলারা’ই যুদ্ধ করে, বুক চিতিয়ে নৈতিক দায় নেয়, লড়াই করে বেঁচে থাকে । আর কড় কড়ে টাকার গন্ধে যাদের জীবন ম ম করে , তারা দায় চাপায় , পালিয়ে বেড়ায় দেশ, সমাজ ও জীবন থেকে ।
সূত্রঃ
০২ সমকাল
০৩ ফেসবুক
০৪ বিডি নিউজ ২৪ ডট কম – সালাহউদ্দিন ওয়াহিদ প্রীতম
০৫ বুলবুল আহসান
০৮ রাখাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর – সানাউল্লাহ লাভলু
ধন্যবাদ লেখাটি লিখবার ও তড়িৎ পোস্ট করবার জন্য। যথার্থ তথ্যসমৃদ্ধ ও ইংগিতবহ লেখা। সারমর্ম হলো এই যে স্বার্থান্বেষী মহল এখন যে যার ফায়দা মাফিক কায়দা করে করহা বলছেন এবং প্রকৃত ব্যবস্থাপনাকে ব্যহত করতে চাইছেন। সেই প্রেক্ষিতে পদত্যাগ একটি রাজনৈতিক মনস্তাত্বিক ও নিষ্ঠা-সততা সম্পৃক্ত পদক্ষেপ প্রসূত প্রসংগ।
এই ভালো লেখাটায় দুটো ভুল শুধরে নেয়া দরকার। এক, ডেপুটি ডিরেকটরস ৪ জন নয়, এই ৪ জন হলেন ডেপুটি গভর্নর (ডেপুটি ডিরেক্টর পদটি কর্মকর্তা পদের নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় ধাপ মাত্র)। দুই, ৭৩ জন ম্যানেজার নয়, জেনারেল ম্যানেজার (ম্যানেজার পদ নেই কোনো বিবিতে)।
টাকা উদ্ধারের বিষয়টি যথাযথ বাস্তবায়ন ঘটালেই সাধারণ মানুষের কাছে গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর ও রাষ্ট্রের ভাবমুর্তি বিষয়টির পুনরুদ্ধার ঘটবে।
শংকার বিষয় হলো প্রযুক্তিগত কারণে বিদেশী পরামর্শক নির্ভরতা (ফরেন কনসালটেন্ট) এক ধরনের বাড়তি ঝুঁকি আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য বরাবরই বিদ্যমান। সেই সাথে সফটওয়ারের নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনার ভেতর দিয়েও এক রকম ঝুঁকি তৈরী হয় যা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
কথা হলো হ্যাকাররা আসলে ঠিক কি পদ্ধতিতে কোড ডিসাইফার করেছে তা সঠিকভাবে না জানা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না যে ভেতর থেকে যে নিদেনপক্ষে একজনের সহযোগিতা হ্যাকাররা পেয়েছে বলে ধারনা পোষণ করছে অনেকেই। তা কতোটা সত্য বা কতোটা ভুল।
এখন কথা হলো এমনতরো যে কোনো ট্রাঞ্জেকশনে সম্ভাব্য হাব, গেটওয়ে, হপিং পয়েন্ট, রুট, ডেস্টিনেশন এসব ঠিকমতো না জানা থাকলে আমাদের চিন্তা ভাবনা খুব একটা কুল-কিনারা পাবে না।
অপেক্ষা করছি দ্রুত সমস্যা সমাধানের ও অর্থ উদ্ধারের। সেই দিনটির জন্য প্রতীক্ষামগ্ন শুভকামনা।
ধন্যবাদ ভাই।
ভুলগুলো শুধরে দিলাম।
আজ দেখলাম আরো দুজন ডেপুটি গভর্ণর কে সরানো হয়েছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ব্লুমবার্গের শিরোনাম Hacker Heist Brings Down Bangladesh's ‘Poor Man's Economist’ (সম্পাদিত)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এই ছবি ই বলে দেয় কি হারালো বাঙলাদেশ।
http://www.bloomberg.com/news/articles/2016-03-15/hacker-heist-brings-down-bangladesh-s-poor-man-s-economist (সম্পাদিত)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
🙁 বিশ্বাসে মিলায় হিন্দু, তর্কে বহুদুর...
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...
কালকেই কিছু আর্টিকেল পড়ছিলাম।
আমরা গোল ধূতি পরা বাঙালি আর এক গুজরাটি খোজা শিয়ার জন্য ই পাকিস্থান প্রতিষ্ঠা সম্ভব হইছিলো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমাদের একটা টেন্ডেন্সি হলো স্কেপগোট খুজে বের করা।
ইন্ডিয়ার সাথে হারাটা আসলে ছিল ওদের একটা গ্যাম্ব্যাল নিতে না পারার অসামর্থ।
অথচ আমরা তা না বুঝে স্কেপগোট বানালাম দুই ভায়রাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে যেটা হয়েছে। সেটাও সম্ভবতঃ হ্যাকারদের একটা সুপিরিয়র মুভের কারনে।
অথচ আমরা গভর্নরকে স্কেপগোট বানিয়ে ভাবছি না জানি কি বিশাল এক অর্জন করে ফেলেছে!!!
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
সেটাই ভাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ