গত রাতে ঘুমানোর আগে টেলিভিশনে শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার পালটা পালটি বক্তব্য শুনেছিলাম। সে কারনেই হোক নাকি ইতোপূর্বে সরকারী কর্ম জীবনে উভয়ের কাছাকাছি যাওয়ার সৌভাগ্য হওয়ার কারনেই হউক, শেষ রাতে উভয়কে স্বপ্নে দেখলাম। উভয়ের চেহারার মধ্যেই কেমন একটা উপায় উদ্ভাবনীর মিষ্টি আভাষ উপলব্ধি করলাম। স্বপ্ন ছিল বলেই হয়তোবা আমাদের আশেপাশে আর কেউ ছিলনা।
দেশের কথা উঠতেই উভয়েই আমাকে প্রায় একসাথে বলে উঠলেন যে তাদের উভয়েই আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে ইচ্ছক। কিন্তু তাদের আশেপাশে যারা পরামর্শকারী রয়েছেন তাদের নানা কানভারী কথাবার্তার কারণেই তারা দলগত বলয় থেকে বেরিয়ে এককভাবে কিছু করতে পারছেন না। তাছাড়া সব সময় টেলিভিশনে এমন সব টক শো হয়ে থাকে যা শুনে শুনে তারা নিজেরাও কেমন জানি সিদ্ধান্তহীন হয়ে পড়েছেন।
আমি আর কালক্ষেপণ না করে প্রস্তাব করলাম, “চলুন না ভারত, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ, কিংবা অন্য কোন দেশের ফাইভ স্টার হোটেলের ঠাণ্ডা ঘড়ে বসে আলোচনা করে একটা সমঝোতার উপায় খুজে বের করি”। ইতোপূর্বে অনেক জটিল একটি সমস্যার সমাধান হতে দেখেছিলাম ফাইভ স্টার হোটেলের “ফিফটি সিক্স কোর্সের লাঞ্চ” টেবিলে. … মনে করেছিলাম এইবার না হয় তারচেও বেশী কোর্সের লাঞ্চ মেনুর আয়োজন করা যেতে পারে।
কিন্তু উভয়েই প্রত্তুত্তরে বললেন, “না না তা কি করে হয়! ষোল কোটি মানুষের দেশের রাজনৈতিক লিডার হয়ে বিদেশের গোল টেবিলে বসে আলোচনা করলে দেশের মানুষ কি বলবে?”
কথাটার গূঢ়ার্থ অনুধাবন করে সাথে সাথে দ্বিতীয় প্রস্তাব করলাম, “তাহলে, হেলিকপ্টারে উড়ে আসুন না আমার বাড়ীর সাত তলার ছাদে যেখানে কোন সাংবাদিক কিংবা আপনাদের আশেপাশের পরামর্শকারীগণ পৌছার আগেই আপনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন?”
আরও বললাম, “কোন ভয় নেই, কারন আপনারা ভুল সঠিক যাই সিদ্ধান্ত নেন না কেন সকলেই তা মেনে নিবেন, এটাই আপনাদের দলের প্রচলিত নিয়ম। তাছাড়া সকল চ্যানেল এবং পত্রিকার সাংবাদিকগণও তাকে কোন বিশ্লেষণ ছাড়াই লীড হেডলাইন অথবা ব্রেকিং নিউজ হিসেবে ঢালাওভাবে প্রচার করবে”।
পরামর্শটা মন্দ নয় উল্লেখ করেও উভয়েরই একই বক্তব্য, “দেশের আমজনতার বেশীর ভাগই থাকেন মাটির কাছাকাছি আর তাদের সাথে আলোচনা না করে সাত তলার ছাদে বসে সিদ্ধান্ত নিলে তা কী সঠিক হবে”? …
দান দান তিন দান্ …, তৃতীয় বারের মত প্রস্তাব করলাম, “মাননীয়ও দেশনেত্রী, মাননীয় জননেত্রী, তাহলে চলুন না মাটির কোন কাছাকাছি জায়গায়, ঢাকার নেতানেত্রীদের দূরে রেখে, আমার বাগানবাড়ী মুনপার্কের সবুজ ঘাসের উপর একসাথে বসে, মাটির মানুষদের কাছাকাছি থেকে, কোন একটা বাংলাদেশবান্ধব উপায় খুঁজে বের করি”! এইবার উভয়েই প্রস্তাবে রাজী হলেন … কিন্তু ঘুমটা আমার ভেংগে গেল … বুঝতে পারলাম তা ছিল শেষ রাতের সুস্বপ্ন।
তবুও ঐ সুস্বপ্নের আশা নিয়েই দিনটি আমার শুরু হল। আজ চব্বিশ অক্টোবর ২০১৩ … আমার ক্ষুদ্র সুস্বপ্ন …
আর একদিন বাকি থাকলেও, মাটির মানুষের কথা ভেবে কোন একটি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে … সময় শেষ হবার আগেই … মাটির মানুষের রক্ত ঝরার আগেই …
লেঃ কর্নেল (অবঃ) মোঃ শাহাদাত হসেন, পিএসসি।
(লেখাটি শাহাদাত ভাইএর অনুমতিক্রমে দিলাম।)
ছবিঃ ইন্টারনেট ও শাহদাত ভাইএর ফেবু।
আগামীকাল ২৫শে অক্টোবর ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ
০২ অন্ধকারে আশার আলো
মালিক এবং প্রহরী (আম জনতা) উভয় পক্ষ থেকে রাজনীতিবিদদের প্রতি আকুল আবেদন।
দেশের নেতৃবৃন্দগণ যেহেতু এখন পর্যন্ত তেমন কোন ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেন নি তাই আশা করেছিলাম বৈদেশিক কূটনীতিবিদগণ হয়তবা আমাদের রাজনীতিবিদদের কিছু একটা বুঝাতে পারবেন। কিন্তু ফলাফল এখনও শূন্য। এমতবস্থায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আজ সকাল দশ ঘটিকা থেকে এগারো ঘটিকা পর্যন্ত আমি আমার বাড়ীর “Security Guard” এর সাথে এক জরুরী “Meeting” করেছি। তিনি দেশ সম্পর্কে খুবই চিন্তিত তবে আশাবাদী। তার ঐ “আশা” নিয়েই আমরা সকলেও আশাবাদী। আশাকরি সকল রাজনীতিবিদগণ আমাদের সরল আশার কথা মনে রেখে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন।আমাদের উভয়ের আলোচনার ঐক্যমতের ভিত্তিতে পরম করুনাময় আল্লাহতালার নিকট কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি তিনি যেন বাংলাদেশের সকল রাজনীতিবিদদের দেশের এই চরম ক্রান্তিকালে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেন।আমিন…
লেঃ কর্নেল (অবঃ) মোঃ শাহাদাত হসেন, পিএসসি।
(লেখাটি শাহাদাত ভাইএর অনুমতিক্রমে দিলাম।)
ছবিঃ ইন্টারনেট ও শাহদাত ভাইএর ফেবু।
কেউ জানে কাল কি হবে?
কয়টা প্রাণ কাল অসময়ে বিদায় নেবে?
দায়টা কার?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:clap: :clap: :clap: :clap: সুন্দর লেখা তবে দুইটা কথা,
দুই নেত্রীর স্পিচ হলো ক্যাডেট কলেজের বক্তৃতার স্ক্রিপ্ট এর মতো।কয়েকমাস পর কি বলবেন তা আগে থেকেই ঠিক করা।তবে প্রতিপক্ষ অনাকাঙ্খিত কিছু বলে ফেললে যুক্তি-খণ্ডন পর্বে কিছুটা সমস্যা হয়ে যায়।এই যেমন খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন খালেদা ম্যাডাম।শেখ হাসিনা যখন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে মোটামুটি সবার (ব্যারিস্টার রফিকুল ইনক্লুডেড) বাহবা কুড়িয়েছেন তখন খালেদা জিয়া কি করি আজ ভেবে না পাই স্টাইলে ৯৬ আর ০১ এর ১০ জন উপদেষ্টার প্ল্যানটা দিলেন।কয়জন বেঁচে আছেন কয়জন মারা গেছেন তারও খোঁজ নেন নি।যাইহোক হাসিনা আপা সমঝদার লোক,উল্টাপাল্টা কিছু করবেন না আশা করি।
তুমি গেছো
স্পর্ধা গেছে
বিনয় এসেছে।
আমি তোফায়েল আহমেদের সংসদে বক্তৃতা শুনছি।
খালেদার সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতার পেইজ পর্যন্ত উল্টাপাল্টা ছিলো।
খালেদার বক্তব্য অদূরদর্শী, অনেকটা কলা ছিলাইয়া দাও, কলা বুঝাইয়া দাও টাইপ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এই যে খালেদা জিয়ার সেই সংবাদ সম্মেলন
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তোফায়েল আহমেদের ভাষণ
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কালকে নাকি দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। আমারে এর আগে বিয়া করার সুযোগ দেয়া হোক! বান্ধবী দেশে! :(( :(( :((
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
😀 দেশ ধ্বংশ হয় নাই।
ওক্কে।
বিয়া হবে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হ সবাই বাঁইচা আছে! 😀 😀 😀 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
হ্যা, আমি স্বীকার করি খালেদা জিয়ার এই প্রস্তাব টা একদম বাচ্চা মানুষের মতন হয়েছে। তবে উল্টা পাল্টা কথা বলায় শেখ হাসিনা অনেক বেশি পারদর্শী। এমন কি তারই আমলে তারই আজ্ঞাবহ বিচার বিভাগ থেকে সতর্ক করা হয়েছে তাকে কথা বলায় সংযম আনার জন্য। আশাকরি খালেদা জিয়া হোমওয়ার্ক করেই এর পর থেকে প্রস্তাব দিবেন বা কথা বলবেন।মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। খালেদা জিয়া নেয় নাই।এখন শেখ হাসিনাও নিচ্ছেনা।তবে এটা বলবো যে এবার খালেদা জিয়া অনেক বেশি সহনশীল। এখনো সময় দিয়ে যাচ্ছে। এতদিন বলে আসছিল যে ২৫ তারিখ থেকে এই সরকার অবৈধ।এখন বলছেন ২৭তারিখ থেকে এই সরকার ক্ষমতায় থাকবেনা।গতবারের মতন প্রথম দিন থেকে লগি বৈঠা নিয়ে ঝাঁপায় পড়েনি।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
হাসাইলা ভাই। একটু হাইসা নেই। =))
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ঠিক করছেন হেসে। দুই নেত্রির কথা আর কার্যকলাপ দেখে হাসা ছাড়া গতি নাই।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
আমি ভাল কিছুর আশা দেখছি না- দুই প্রধান দলই ঘাউড়ামি করছে এবং দেখা যাচ্ছে গ্যাঞ্জাম পাকানোয় যথেষ্ট আন্তরিক! 🙁
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
😕
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
বাংলা ব্লগ ত সবাই লিখে____আমি বাংলা টাইপিং এ খুবই দুরবল।
আমি আগে সবাইকে চাইনীজ শিখাইতে চাই___তারপর চাইনীজ ভাশায় ব্লগ এ লিখব ইনসাআল্লাহ!
::salute::
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ