শ্রীকান্তের নিরুদিদিকে মনে পড়ে? যিনি “বালবিধবা হইয়াও….সূতিকা রোগে আক্রান্ত হইয়া ছয় মাস ভুগিয়া ভুগিয়া মরেন” – সেই নিরুদিদি।
অনেকেরই ধারনা, আমরা সেই সময়ের সমাজিক অবস্থা থেকে খুব একটা এগুতে পারি নাই। এখনো নিরুদিদির মত একাকি নারীদের প্রেগন্যান্সির বিরাট ট্যাবু। অনেক ক্ষেত্রেই যার অবশ্যম্ভাবি পরিনতি মৃত্যু।
কিন্তু সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস ও তার রেসপন্স দেখে এ বিষয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করলাম। চমকিতও হলাম।
ফেসবুকীয় ছড়া
১
রাত বাজে দুইটা
খুলে “মুখবইটা”
দেখি “বাসার পৃষ্ঠা”
বিজি থাকার চেষ্টা।
গণহারে চাপি
“পছন্দ” বোতাম, নেই মাপামাপি।
সামাজিক সবাই,
চলুন এখন ঘুমাই 🙂
২
রাত বাজে তিনটা
অস্থির এই মনটা
আসছেনা ঘুমটা…
ফেবুতে ঘন্টার পর ঘন্টা…
৩
গভীর রাতে
ইমতিয়াজদের বাসায়
কচি খুঁজি
পিছন থেকে শাসায়।
স্টেটাস এফ বি
এত্তবড় কাঁচি এসে স্টার্ণাম চিরে দিলে
এবারে দেখো – তার স্টেটাস
কেমন লেপ্টে আছে ফেস, বুকে
তদন্তের ময়না কি ক’বে বলো,
ছলোছলো চোখে সে লিখেছিলো –
‘ফিলিং হ্যাপি।
মরিতে চাহে কোন্ উজবুকে’
অণুব্লগ আন্দোলনে আমিও সামিল
আমাদের এইটুকু দিন সূর্যোদয়ের রঙিন ছটা আর দুর্বোধ্য সব ছন্দাবলির অমলিন কারুকাজে আবদ্ধ থেকে যেতো যদি!
হতাশার ঘেঁষাঘেঁষি স্বপ্নগুলো অথচ কাঁচের জারে বন্দী মাছের মতো পাখনা মেলে আশপাশের ভ্রান্তিময় জগতটাকে না-ভালোবেসে-না-পারার অনুভূতি নিয়ে একটু একটু করে মজে না উঠতে’ কলতলায় কলসি-বালতির ধুন্ধুমার লেগে গেছে — মিহিসকালকে থাপ্পড় মেরেছে খাটা পায়খানার হাওয়া; খবর-কাগজে মৃত্যুর চকচকে উদযাপন, বিজ্ঞাপনী অট্টালিকায় ঢেকেযাওয়াজনপদ আড়মোড়া ভেঙে চায়ের টেবিলে চলে এলে আরেকটি মামুলি দিন তার পরিক্রমা শুরুর আগেই মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে
গণবিদ্রোহঃ এখন থেকে অণুব্লগ হবে (তারপরেও বেশখানিকটা লিখে ফেললাম)
প্রারম্ভিকাঃ এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল, “আমরা ক্ষমতায় গেলে সিসিবিতে অণুব্লগের জন্য নতুন শাখা খোলা হবে। অণুব্লগকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে, সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হবে।” কিন্তু তার কোনটাই এরা পূরণ করে নাই। দিনের পর দিন মন্ত্রনালয়ের দারে দারে ঘুরেছি। আভাসে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছে টেকাটুকা ছাড়া গতি নাই। আমি আবহমান গ্রাম-বাঙলার দুস্থ ছাত্র। অর্ধাহারে থাকি। মিশুক ট্যাক্সি চালিয়ে চিকিৎসার টাকা জোগার করতে হয় নাই তবে ভোজনালয় ও প্রাক্ষলন রক্ষনাবেক্ষণ করে দুই-চারটি ডলার কামাই করি।
বিস্তারিত»অপেক্ষার প্রহর
অপেক্ষার প্রহর
সময় থেমে থাকে না,
তাই কমছে চোখের জ্যোতি
কমছে শোনার ক্ষমতা,
স্মরণশক্তি।
কিন্তু তিনি ভোলেন না
মুঠোফোনে চার্জ দিতে
কিংবা কল ধরতে।
তবুও কাটেনা অপেক্ষার প্রহর।
এই তো সে দিন,
আশ্বিণ মাসের মঙ্গলবার।
কয়েক গণ্ডা কাক
আর নেড়ি কুত্তার চিৎকার
ধাপা ধরে এল কানে।
এরই মাঝে চমকে ওঠেন তিনি
মোবাইলের রিংটোনে।
পরিসংখ্যান বা গণিতের ছাত্রদের জন্য একটা দারুণ সুযোগ!
প্রিয় সিসিবিয়ান,
কারো যদি পরিসংখ্যান বা গণিতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েশন করা থাকে এবং সে যদি আমেরিকাতে মাস্টারস করতে চায়, তাহলে তার জন্য একটা দারুণ সুযোগ আছে- জিআরই ছাড়া এবং টোফেলে মাত্র ৮০ থাকলেই ভর্তি হওয়ার সুযোগ, তাও আবার ফান্ডসহ!!! ৭/৮ বছরের স্টাডি-ব্রেক থাকলেও মনে হয় অসুবিধা নাই।
এইরকম কেউ থাকলে আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলে গেলাম। কমেন্টে নিজের ই-মেইল আড্রেসসহ জানান দিয়ে গেলেই চলবে।
বিস্তারিত»একজন মিজানের গল্প
একটা প্রশ্ন দিয়েই শুরু করি আজ। আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি যে, ক্যাডেট কলেজে সবসময় শুধুমাত্র সফল প্রাক্তন ক্যাডেটদেরই আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়? যারা তাদের ক্যারিয়ার ও জীবনে উজ্জ্বল-তাঁরাই আমাদের রোল মডেল হয়ে থাকেন। হ্যাঁ, স্বাভাবিক; তাঁদের সাফল্য আমরা অনুপ্রাণিত হবো অবশ্যই। কিন্তু এটা কি আমাদের কখনো মনে হয়েছে যে, এমনও ক্যাডেট থাকতে পারে যারা ঠিক ততটা সফল নয়?
বিস্তারিত»একটি সারপ্রাইজ বার্থডে পার্টি এবং…
কাল তারিফের জন্মদিন, একটা স্পেশাল দিন। আর কারো জন্য না হলেও তারিফের জন্য অবশ্যই। তাই এই উপলক্ষ্যে প্রীতি তারিফকে একটা সারপ্রাইজ দেবে বলে ঠিক করেছে। গার্লফ্রেণ্ড হিসেবে এটা তার দায়িত্ব বলেই ধরে নিয়েছে সে।
তারিফ তার কলেজের বন্ধুদের খুব মিস করে। প্রীতির পরিকল্পনা হলো, তারিফের সেই বন্ধুগুলোকে একসাথে ডেকে নিয়ে একটা সারপ্রাইজ বার্থডে পার্টি দেবে। পরিকল্পনামত তারিফের কলেজের বন্ধু নুর-এর সাথে যোগাযোগ করলো প্রীতি।
বিস্তারিত»বাস্কেটবল বিশ্বকাপ?! এইটা আবার কি?! খায় না গায়ে মাখে!? আচ্ছা না ভাই ফাইজলামি না এইবার সিরিয়াস।


সাতটি গুলির ঘা এখনো শুকোয়নি। এখনো সেদিনের কথা মনে করলে বুক ফেটে কান্না আসে। গলায় এসে আটকে যায় কান্না। রাতে ঘুমের মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যায়। ওরা ছিনিয়েই নিল। কত উল্লাস, কত সেলফি। আচ্ছা রসিকতা করা বাদ দেই। বিশ্বকাপের কথা বলি ভাই। বলছিলাম ব্রাজিলের সাত গোলের কথা। ডয়েচল্যান্ডের কষা ফুটবল সৈনিকেরা এরপর ঠান্ডা পানি ঢাললো আর্জেন্টিনার গরম স্বপ্নে। কথাগুলো বলছি ভিন্ন একটি কারণে।
একটি নিয়ন সাইন ও কিছু কথা
একটি নিয়ন সাইন ও কিছু কথা
দোস্ত “ উত্তরা এয়ারপোর্ট গোল চক্করের সাথে পুলিশ বক্সের পাশে গাড়ীটা পার্ক করিস। আমি ঐখানে চলে আসবো।“
গাড়ীটা পার্ক করতেই জেনারেটর এর বিকট শব্দের উৎস খোঁজার জন্য এদিক ওদিক তাকালাম। ফুটপাথের মধ্যে দেখতে পেলাম জেনারেটরটি। একটু হলেও আমাকে নাড়া দিল। জেনারেটরটি বিশাল এক নিয়ন সাইনের পাশে এবং খোলা আকাশের নীচে রাখা।
দেবীর পুষ্প
ছোট্ট বাগিচা আমার
জোটে কালেভদ্রে ফুল,
মালার জন্য সামান্য সে ।
ফুল সে কভু হয়না মালা
পায় না শোভা দেবীর গ্রীবায়।
তবু ফুল হয়ে রয় দেবীর পায়ে।
বিস্তারিত»পুরুষকে নারী
কাঁচের ঘরে শুই
আয়নাতে মুখ ধুই
তোমার পাঞ্জাবীতে
দ্বিধার হাতে ছুঁই
আমার হাতে দ্বিধা
তোমার হাতে মায়া
তোমার চোখের দিঘীয়
মেঘের অমল ছায়া
তোমার হাতঘড়িতে
এলার্ম বাজায় নূপুর
তোমার ডাকে ঘুঘু
একলা আকাশ দুপুর
মুখ নামিয়ে আনে
আমার কাধের পাশে
উদাস হাওয়ার টানে
দুঃখী দীর্ঘশ্বাসে
তোমার হাতের বশ
আমার কানের সোনা
তোমার লোমশ বুকে
মুখ ভেজাবো না
মুখ ভেজাবো জলে
মুখ ভেজাবো চাঁদে
রাখবো থুতনী আর
তোমার চওড়া কাঁধে
কাঁচের ঘরে শুই
আয়নাতে মুখ ধুই
তোমার পাঞ্জাবীতে
দ্বিধার হাতে ছুঁই
বৃষ্টিবিলাস
কবিতারাও ছুটি চায়।
কতদিন ভালো লাগে তার
তোমার আমার মনের ভাবনা আর
আঙ্গুল বন্দী হয়ে থাকতে বল?
এই বৃষ্টিতে দাও না ওদের স্বাধীন করে…
ভিজুক ভালোবাসায় ওরাও।।
বন কাঁঠাল
[একটি ফাঁকিবাজি ছবি ব্লগ]
বন কাঁঠালের কথা ছোট বেলা থেকেই শুনেছি । কিন্তু দেখা পেলাম এত দিনে। পুঠিয়া ত্রিমোহিনী মোড়ে প্রতিদিন বিকালে ফল বিক্রি হয়। এক ফল বিক্রেতার ডালিতে নতুন এক ধরণের ফল দেখে আগ্রহ জন্মালো। তার কাছেই জানতে পারি কেউ কেউ ফলটাকে ডেউয়া বলে আবার কেউ বলে বন কাঁঠাল। তার নিজের বাড়ির ফল। পারভেজ ভাইয়ের মত জীবন্ত ফসিল হবার ইচ্ছা হল। তাই একটু খোজ খবর নিলাম।
বিস্তারিত»


