পিতার স্কন্ধে সন্তানের কফিন

কথায় বলে, পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বস্তু পিতার স্কন্ধে সন্তানের কফিন। গতকাল এমনই একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার দুঃসংবাদ পেয়ে হতবিহ্বল হয়ে গিয়েছিলাম। আমার প্রাক্তন সহকর্মী এবং প্রতিবেশী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবর রহমান (অবঃ) এর কন্যা সামিনা মাহফুজ এক মর্মান্তিক দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে গতকাল ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করে। মৃত্যুর মাত্র পনের দিন আগে সে একটি কন্যা সন্তানের জন্মদান করেছিল। সেই নবজাতক ছাড়াও তার সাড়ে চার বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

বিস্তারিত»

এক নিশীথেই

আজকে আমার মনটা খারাপ,
মনটা খারাপ, মনটা খারাপ;
অকারণেই মনটা খারাপ!
কেন খারাপ, কেন খারাপ?
বলেছি তো, কারণ ছাড়া
অকারণেই মনটা খারাপ,
খারাপ গেল দিনটা আমার অদ্য!

তবু, মন খারাপে চিন্তা নেই,
নিদ্রা যাবো ভারী বুকেই,
পাহাড় এসে দাঁড়াবে পাশে,
ভোরের পাখি ডাকবে শাখে,
স্বপন এসে চুমিয়ে যাবে,
এক নিশীথেই বদলে যাবে
মন খারাপের পদ্য!

বিস্তারিত»

সেই বালুকাবেলায়

আমি একটা প্রার্থনার কথা বলতে চেয়েছিলাম;
মুখে বলার অভ্যেস নেই বলে লিখে রেখেছিলাম।
তুমি প্রতিদিনই সাগর সৈকতে আসো, জানতাম।
সেকথা জেনেই সেই বালুকাবেলায় লিখেছিলাম
গুপ্ত প্রার্থনাটি; চেনা সংকেতে, সেই সমুদ্রতটে।

তোমার নিঃশব্দ পায়ের আওয়াজ পাওয়ার আগেই,
উন্মত্ত জলরাশির তরঙ্গ এসে সেটা মুছে দিয়েছিল!

ঢাকা
১৯ অগাস্ট ২০২৩

বিস্তারিত»

ছোটগল্প: আলো অন্ধকারে যাই

[এই গল্পটি মাস তিনেক লিখেছিলাম ব্লগ সূত্রে পরিচয় হওয়া (সিসিবি না) এক বন্ধুর প্রয়ান দিবসে। সেটাকে একপাশে সরিয়ে আলাদা গল্প হিসাবেও এটাকে পড়া যায়। সত্যিকার অর্থে গল্পটা লিখার জন্য আরও সময় আর মনযোগ দাবি করে। অনেককাল ধরে কিছু লিখি না বলে সবটুকু দেয়া গেল কিনা বলা মুশকিল। ভাবলাম গল্পটি আমার সিসিবির পাতায়ও থাক। সময় পেলে আবার এডিট কোরা যাবে। গল্পটিতে সময়ক্রম ইচ্ছা করেই ডিসরিগার্ড করা হয়েছে।]

বরফের কৃষ্ণচূড়া

আরেকটু উঠলেই চূড়ায় পৌঁছে যাব আমরা।

বিস্তারিত»

বিয়ে আর ভালবাসা

পুরুষ আর স্ত্রীলিঙ্গ প্রভেদ সকল প্রাণীতেই আছে,
দুয়ের মাঝে বিয়ে-বন্ধন হয় শুধু মানব-মানবীতে।
অন্য প্রাণীদের মাঝে নেই বিয়ের প্রচলন,
তাদের মাঝে আছে শুধু ভালবাসার অদৃশ্য বন্ধন।

একটি বিয়ে ব্যর্থ হলে দুটো হৃদয় পোড়ে,
প্রেমহীন শুষ্ক হৃদয় শুধু শূন্যবৃত্তে ঘোরে।
দ্বিপাক্ষিক, নিরন্তর ভালবাসায় বিয়ে পয়মন্ত হয়,
এমন দম্পতি থেকে সৃষ্ট পরিবারে সুখ বহমান রয়।

ঢাকা
২৮ জানুয়ারী ২০২৩

বিস্তারিত»

ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে – ৫

আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ https://cadetcollegeblog.com/khairulahsan/63352

অভূতপূর্ব উদারতাঃ

মাস দুয়েক আগে আমি আর আমার স্ত্রী হাসপাতালে গিয়েছিলাম, এক্সরে করানোর জন্য। আমি এক্সরে বিভাগে প্রবেশ করে রিসেপশনে যখন জিজ্ঞেস করছিলাম কোথায় যেতে হবে, তখন লক্ষ্য করলাম আমাদের ঠিক পিছে পিছে আসা একজন প্রৌঢ় ভদ্রলোক সিঁড়ি দিয়ে উঠেই হাতের বাম দিকে চলে গেলেন। রিসেপশন থেকেও আমাদেরকে ঠিক সেই দিকেই যেতে বলা হলো।

বিস্তারিত»

স্মৃতিকথা- কাজলা দিদি

ঘূর্ণিঝড় ‘সি-ত্রাং’ এর প্রভাবে আজ সারাদিন ধরে ঝিরঝিরে ঝরা বৃষ্টির প্রকোপটা বিকেল থেকে যেন বেড়ে গেল। থেকে থেকে দমকা হাওয়াও বইতে শুরু করলো। বিকেল পাঁচটার দিকে ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালাম। বাসার কিছুটা সামনে কয়েকটা বড় বৃক্ষ রয়েছে। সেগুলোর দিকে আমি প্রায়ই তাকিয়ে থেকে পাখিদের আনাগোনা দেখি। ঐসব গাছে প্রচুর টিয়া পাখি বসে। ঘন সবুজ পাতার সাথে মিশে যাওয়া টিয়া পাখিদেরকে শনাক্ত করার চেষ্টা করে চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করি।

বিস্তারিত»

মিনতি

মা’বুদ,
তুমি জানো, আমি আজীবন
আমার এ কল্যাণময় জীবনের জন্য
তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ থেকেছি মনের মর্মমূলে।
এ জীবন ভেসে যেতে পারতো খড়কুটোর ন্যায়,
হারিয়ে যেতে পারতো দিগদিগন্তে অনায়াসে,
তোমার করুণায় প্রচণ্ড ঘূর্ণনের মাঝেও আমি
স্থৈত্য পেয়েছি, স্বস্তি ও শান্তি পেয়েছি,
ক্লান্তিতে ও শ্রান্তিতে বিশ্রাম ও ভরসা পেয়েছি,
অপ্রত্যাশিত সাফল্যে উজ্জ্বল ও বিহ্বল হয়েছি,
ক্ষণিকের তরে একটি ঠাঁই-ঠিকানাও পেয়েছি।

বিস্তারিত»

নির্বাক হৃদয়ে, বিহ্বল চোখে শুভ্র সফেদ মেঘপুঞ্জের সখ্যে অতিবাহিত মনোমুগ্ধকর কিছু মুহূর্ত (ছবিব্লগ)

প্রায় চার মাসের মত সময় ধরে আমাদের প্রবাসী মেজো ছেলের বাসায় একটি চমৎকার অবকাশ কাটিয়ে আমরা সেদিন দেশে ফিরে আসলাম। কোথাও যাবার সময় যেমন মনে একটা আনন্দ থাকে, তার বিপরীতে ফিরে আসার সময় মনে অনুভূত হতে থাকে সাময়িক বিদায়ের একটা সূক্ষ্ম বেদনাবোধ। বিশেষ করে একেবারে শেষের সময়গুলোর স্মৃতি মনে ভাসতে থাকে। এবারে নবজাতক শিশুর কারণে বৌমা বিমানবন্দর পর্যন্ত আসতে পারেনি।

বিস্তারিত»

ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে ….

তখন ১৯৯৪ সাল। দাপ্তরিক কাজে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় জেলায় যেতে হয়েছিল। পাবনায় যখন গেলাম, তখন করণীয় কাজটুকু সেরে ফেলার পর হাতে কিছুটা সময় রয়ে গেল। পাবনার ডাঃ ইসহাক একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক ছিলেন, তার নামে একটি সড়কেরও নামকরণ করা হয়েছে। তার ছেলের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল, তিনিও এলাকায় বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। তাকে বললাম, পাবনা মানসিক হাসপাতালটি একবার দেখে যেতে চাই। মানসিক রোগীদের ব্যাপারে আমি আজীবন কৌতুহলী।

বিস্তারিত»

মেলবোর্নের দিনলিপিঃ সৌজন্য, সহযোগিতা, সুআচরণ এবং সম্মান

উপরে যে কয়েকটি গুণাবলীর কথা উল্লেখ করলাম, তার মধ্যে প্রথম তিনটি যাদের মধ্যে আছে, শেষেরটিও তাদের মধ্যে অবশ্যই পাওয়া যাবে। অর্থাৎ যিনি অপরের প্রতি সৌজন্য, সহযোগিতা এবং সুআচরণ প্রদর্শন করে থাকেন, তিনি অপরকে অবশ্যই সম্মানও করে থাকেন, এবং এ কারণে নিজেকেও অপরের নিকট সম্মানীয় করে তোলেন। অস্ট্রেলিয়ায় এটা আমার তৃতীয় সফর। প্রতিবারে আমি এখানকার পথে ঘাটে, ট্রামে বাসে ট্রেনে, শপিং মলে, রেস্তোরাঁয় এখানকার মানুষের মাঝে এই গুণগুলোর পরিচয় পেয়েছি।

বিস্তারিত»

ভারী জীবনের ভারবাহী কিছু মানুষের কথা…..

দিনটি ছিল শনিবার, ১১ জুন ২০২২। ড্যান্ডিনং স্টেশনে নেমে আমরা অন্য লাইনের একটি ট্রেন ধরার জন্য প্ল্যাটফর্ম বদল করতে যাচ্ছিলাম। স্টেশনটি সে সময়ে মোটামুটি জনশূন্য ছিল বলা যায়। কিছুদূর এগোতেই দেখি, প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে কে যেন শুয়ে আছে। তার পাশে একজন হাটু গেঁড়ে বসে তার মাথায়, গালে পরম মমতায় হাত বুলাচ্ছে। দু’জন ইউনিফর্মধারী স্টেশন সিকিউরিটি স্টাফ উদ্বিগ্ন চেহারায় শায়িত ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে আছে এবং মৃদু পায়চারি করছে।

বিস্তারিত»

ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে – ৪

আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ ক্ষণিকের দেখা, মায়াময় এ ভুবনে – ৩

এ পর্বে আমি যে দুটো ‘ক্ষণিকের দেখা’ স্মৃতি রোমন্থন করবো, তার প্রথমটি একটি দৃশ্যের, আর পরেরটি একটি (মানুষের) মুখের। অবশ্য প্রথমটি শুধুমাত্র একটি দৃশ্যের হলেও, তার পেছনে ছিল একটি অদেখা, কল্পিত মুখও।

সে বহুদিন আগের কথা। আমার বয়স তখন পঁচিশ-ত্রিশের মাঝামাঝি, আমি সেনাবাহিনীর একজন তরুণ অফিসার। ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে সেনাবাহিনীর বাৎসরিক শীতকালীন যৌথ প্রশিক্ষণ অনুশীলন হয়ে থাকে।

বিস্তারিত»

ক্ষণিকের দেখা, মায়াময় এ ভুবনে – ৩

এর আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে -২

২০১৮ সালের ১১ জানুয়ারী, আমরা দুই বন্ধু মিলে সস্ত্রীক ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার (সম্ভবতঃ) পদ্মা তীরবর্তী মৈনট ঘাটে বেড়াতে গিয়েছিলাম। যদিও এটাকে অনেকে ঢাকার ‘মিনি কক্সবাজার’ বলে থাকেন, আমার কাছে তেমন আহামরি কিছু মনে হয়নি। তবে যাওয়ার পথে থেমে থেমে এটা ওটা করে বেশ আনন্দ করেছিলাম, যেমন সরিষা ক্ষেতে নেমে সোঁদা গন্ধের মাটিতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা,

বিস্তারিত»

সকাল ছয়টা বারো

আমার জীবনে ছয় কিংবা বারো,
সংখ্যাদুটোর কোনটাই–
তেমন কোন প্রভাব কখনো রাখেনি।
অথচ গত দুটো মাস ধরে ক্রমাগত
সংখ্যাদুটো একসাথে পাশাপাশি বসে
আমাকে নিত্য ডাক দিয়ে যাচ্ছে।

আমি কখনো কখনো অপেক্ষা করে থাকি
এ সময়টার জন্য। কখনো বা এমনিতেই
চোখ পড়ে যায় ঠিক এই সময়টাতেই,
ডিজিটাল ঘড়িতে। প্রত্যুষের প্রার্থনা শেষে
আমি বাইরে তাকাই।

বিস্তারিত»