অপেক্ষায়…

ঘন অরণ্যে দিনের আলোতেও আঁধার পুরোপুরি তিরোহিত হয় না।
মনে হচ্ছে গত সাতটি দিন ধরে এমনই এক অরণ্যে হেঁটে চলেছি।
আলো নেই, শ্বাপদ সংকুল পরিবেশ। পাখির কাকলি নেই, আছে শুধু
শবের অপেক্ষায় বসে থাকা অলক্ষুনে এক শকুনির কর্ণভেদী ডাক।

এ অরণ্যের যেন শেষ নেই, পথ চলারও নেই। পথের ক্লান্তি শুধুই দেহের,
চোখে সে ক্লান্তি নিদ্রা নামাতে পারে না। তন্দ্রা কেবলই আসে আর যায়।

বিস্তারিত»

বিসর্জনের অঙ্ক

শেষ আনন্দাশ্রমটা বিলীন বিসর্জনের জলে
আনন্দরা সব হাবুডুবু খেতে খেতে ভেসে যায়
আকাশের মেঘগুলো হয়েছে যেনো নিরব স্বাক্ষী।

বিশ্বাসের সে প্রাসাদ আজ ভূলুণ্ঠিত
বারংবার একই প্রশ্নের শুধু পুনরাবৃত্তি
আকাশ কেনো প্রশ্রয় দেয় পাখিদের?

জীবন-বোধের ব্যাপ্তি নিয়ে বসে থাকা
হিসাব মিলেনি তবু অঙ্ক কষে যাই।

২৪.০৫.২০২৪

বিস্তারিত»

ড্যান্স ফ্লোর

দূর থেকে চোখে পড়ে লাল-নীল বাতি
জ্বলে-নেভে, নেভে-জ্বলে,
চোখ ধাঁধানো ফ্ল্যাশ।
আকাশ ছাড়িয়ে মহাকাশে
সদর্প সাদা আলোর তরবারি।
বুক-কান কাঁপানো
ধুপ-ধুপ-চিক-চিক। চ্যাউউউ!
পশ ধরনের বেইজ ও ট্রেবল
সবকিছুই যেন মহাকাশ ছুঁতে চাইছে।
এ এক অনন্য উচ্চতা।
ওখানে না গেলে, মিস হয়ে যাবে।

বুক ভরা আশা নিয়ে আমি হাজির হই।
কীসের আশা জানি না,

বিস্তারিত»

প্রতিকৃতি ও কান্না বারণ

কান্না বারণ

 

কান্নার শব্দে সাড়া মেলে না
চকিতে চোখ মুছে নেয় সে
গায়ের ধুলো ঝেড়ে ফেলে
দু’হাত পকেটে ঢুকিয়ে
মাথা একটু নিচু করে
শিস্ দিতে দিতে আগায়
একটু থামে চারিদিকে তাকায়
যাবতীয় দুঃখ গ্লানি হতাশা
পেরুবার সীমিত দরোজা
ক্রোধ কিংবা সফলতা
পুরুষ হবার পথে যাত্রা শুরু।

০৫   এপ্রিল  ২০২৪

 

বিস্তারিত»

দু’টি চতুর্দশপদী কবিতা

প্রশ্নমালা

কবি! কেমনে লিখো হে এমন কবিতা?
লিখিতে কবে থেকে? ছাত্র থাকার কালে?
উনপঞ্চাশ বায়ু পঞ্চাশ পার হলে?
নয়! খুলে বলো তবে, রহস্য ছবিতা।
বলো কে সে মায়াবী আড়ালে আবডালে
কোন কাশবনের সেলফি তোলা ষোড়শী
গেঁথেছে তোমায় উছলতার বড়শী!
হয় কি মাতামাতি গোপন মহলে?
হতে পারে নাকি কভু গোধূলিতে ভোর
স্বপনে তোমায় দেখি, হবে নাকি মোর?

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক কবিতা


ভালোবাসা মেঘ হয়ে গ্যাছে বহু আগে,
এখন শীতকাল,
মেঘমুক্ত আকাশের দিকে
তাকিয়ে তবুও বৃষ্টির অপেক্ষা।
বৃষ্টি হবার কোন সম্ভাবনা নেই।
চরাচরে তীব্র রোদ।
ভালোবেসে যারা রোদ্দুর হতে চেয়েছিলাম,
এই শীতে তারা অডিনের সঙ্গে ডিনার করবো ভালহালায়।
সুদিন কবে আসবে, অডিন?
আর্তনাদ চেপে বীরের মতো মরে যাবো।
কোথাও কী আছে আর্তনাদহীন মৃত্যু, মৃত্যুহীন ব্যথা,

বিস্তারিত»

বৃক্ষ যে পরিযায়ী পাখি নই।

বৃক্ষ যে পরিযায়ী পাখি নই।
মোহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ খান ওয়াহেদী।

আমি তো পরিযায়ী পাখি নই
উড়ে যাবো উষ্ণতার খোঁজে শীতে
ঠাই দাড়িয়ে আজো হেথায়
শিকড় গেড়েছি জন্মে যে মাটিতে।

ঝড় উঠে বৃষ্টি ঝরে মুষল ধারায়
বিজলী চমকায় বিদারি গগন ধমকে,
ডাল পালা ভেঙে পড়ে বেদনায়
পায়ের তলের মাটি ধ্বসে যায় পলকে,
কোথায় যাবো বলো বৃক্ষ যে!

বিস্তারিত»

ব্যাবধান

ব্যাবধান
মো ও খা ও।

বহুদিন পর পাশাপাশি
গহিনে গাহন নিরবধি
ছিল দিন উচ্ছল প্রেমে
প্রবাহমান ভরাট নদী।

পাশে বসা শুধু বসা নয়
অনন্ত কালের যাত্রা রথ,
ধাবিত অসীম অন্তরীক্ষে
খোদিত স্মৃতি অমর পথ।

প্রহর খুঁজে ফিরে আপন
স্বকীয় বলয় চেনাজানা
আকুলি মনে ব্যাকুল কথা
বিভাজন দুপাড়ে দুজনা।

যতটুকু কথা সে কথা নয়
পুঞ্জিত মেঘমল্লার মর্মধ্বনি
সহস্র দিনান্তের শব্দ মালা
গ্রন্থিত অক্ষরে কাব্য খানি।

বিস্তারিত»

এক নিশীথেই

আজকে আমার মনটা খারাপ,
মনটা খারাপ, মনটা খারাপ;
অকারণেই মনটা খারাপ!
কেন খারাপ, কেন খারাপ?
বলেছি তো, কারণ ছাড়া
অকারণেই মনটা খারাপ,
খারাপ গেল দিনটা আমার অদ্য!

তবু, মন খারাপে চিন্তা নেই,
নিদ্রা যাবো ভারী বুকেই,
পাহাড় এসে দাঁড়াবে পাশে,
ভোরের পাখি ডাকবে শাখে,
স্বপন এসে চুমিয়ে যাবে,
এক নিশীথেই বদলে যাবে
মন খারাপের পদ্য!

বিস্তারিত»

সেই বালুকাবেলায়

আমি একটা প্রার্থনার কথা বলতে চেয়েছিলাম;
মুখে বলার অভ্যেস নেই বলে লিখে রেখেছিলাম।
তুমি প্রতিদিনই সাগর সৈকতে আসো, জানতাম।
সেকথা জেনেই সেই বালুকাবেলায় লিখেছিলাম
গুপ্ত প্রার্থনাটি; চেনা সংকেতে, সেই সমুদ্রতটে।

তোমার নিঃশব্দ পায়ের আওয়াজ পাওয়ার আগেই,
উন্মত্ত জলরাশির তরঙ্গ এসে সেটা মুছে দিয়েছিল!

ঢাকা
১৯ অগাস্ট ২০২৩

বিস্তারিত»

মিথ্যে বন্ধুরা

তারা আমার মাথায় হাত রাখে
আমার গাল ও ভুরু বুলিয়ে দেয়
তারা বলে সময়ে সকল ব্যাথা সারে
আর সময়ে শপথ ফিকে করে দেয়।
আর তারা ছিল দয়ালু ও কোমল
যারা আমার কানে ফিসফিসাতো
এপ্রিলে যে হৃদয় ভাঙবে শোনো
মে মাসেই তা সেরে উঠবে জেনো।
ওহ্ কত হৃদয় সারার কথা জানে
তারা যে কত বয়স্ক আর জ্ঞানী!

বিস্তারিত»

কেমন করে পারো তুমি?

কেমন করে পারো তুমি?

আজকে দিনের এই অবেলায়
কত কিছু ঘটে গেলো,
ভাষায় প্রকাশ করতে গিয়ে
নেত্র খানি ঝাপসা হলো।

দিন তারিখের বালাই ছেড়ে
মূল্য কতো আসবে বলো,
প্রতিহিংসার দেয়াল ভেঙ্গে
সামনে এবার এগিয়ে চলো।
পাপ পূন্যের শ্যাওলা জমা
সম্পর্কের হিসাব তোলো।

আসল খানি বেঁচে দেয়া
হালজামানা চলে এলো,
সুদটা বুঝে নিতে এখন
বুক-কাঁপে-কি এলোমেলো?

বিস্তারিত»

মনোক্ষুন্ন মন

মনোক্ষুন্ন মন

লজ্জা এখন হয়না লজ্জিত,
সব কিছু আজ অতি রঞ্জিত।
সত্য এখন আঁটকে গেছে ফাঁসে,
মিথ্যা এখন তুমুল প্রকাশ্যে।

সঠিক ভাষন পেটের মধ্যে পচে,
অসহায়ের দুঃখ নাহি ঘোচে।
হাসি এখন তাপদাহে ভাসে,
কান্না এখন চিৎকার করে হাসে।

শিয়ালের ঘরে মুরগি হচ্ছে জমা,
মহাকাল কি করবে মোদের ক্ষমা?
অসভ্যতা মিলছে অনায়াসে,

বিস্তারিত»

ফাগুন মনে

ফাগুন মনে।
মো ও খা ও

পলাশ ডালে বহ্নিলালে সেজেছে দিন
আজ যে ফাগুন বনে
শিমুল শাখা আগুন মাখা রঙ অমলিন
বসন্ত বহিছে যে মনে ৷
কোকিল ভোরে কুহু সুরে উদাস বাউল
পরাণ পাগল প্রায়
শালিক চিলে নভোনীলে মনটা আউল
জোয়ার হৃদয় যমুনায় ।

হলদে শাড়ী পরনে নারী দয়িত বাসনা
উন্মনা স্বপ্ন ভাবনায়
খোপায় ফুল কানের দুল বক্ষে দ্যোতনা
হিয়া কাঁপল যাতনায়।

বিস্তারিত»

বিয়ে আর ভালবাসা

পুরুষ আর স্ত্রীলিঙ্গ প্রভেদ সকল প্রাণীতেই আছে,
দুয়ের মাঝে বিয়ে-বন্ধন হয় শুধু মানব-মানবীতে।
অন্য প্রাণীদের মাঝে নেই বিয়ের প্রচলন,
তাদের মাঝে আছে শুধু ভালবাসার অদৃশ্য বন্ধন।

একটি বিয়ে ব্যর্থ হলে দুটো হৃদয় পোড়ে,
প্রেমহীন শুষ্ক হৃদয় শুধু শূন্যবৃত্তে ঘোরে।
দ্বিপাক্ষিক, নিরন্তর ভালবাসায় বিয়ে পয়মন্ত হয়,
এমন দম্পতি থেকে সৃষ্ট পরিবারে সুখ বহমান রয়।

ঢাকা
২৮ জানুয়ারী ২০২৩

বিস্তারিত»