৪ অক্টোবর ২০১৪। বেলা ৩টা। বাড়ি যাবার জন্য অটো ঠিক করতে বের হচ্ছি । দরজা খুলতেই দেখি, জুতোজোড়া হাওয়া। বাড়ি যাবার আগেই কুরবানি হয়ে গেছে। অগত্যা স্যান্ডেল পায়ে বের হওয়া। বার্মা থেকে আগত এই পাদুকা যুগল অং সান সুকীর মত দীর্ঘ সংগ্রামে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত। রাজপথে সারমেয়দলের কার্তিকপূর্ব বেহায়াপনা আর সদন্ত গর্জন। চৌদ্দ হুলের হলাহলশংকামুক্তার্থে ত্রস্ত পদচারণ।অতঃপর কুড়ি কদমদৈর্ঘ্য অতিক্রমের পূর্বেই পটপট শব্দে পাদুকাযুগলের প্রতিবাদী আত্মহনন।
বিস্তারিত»ঈদ মোবারক
একরাতে – মিশিগানের পথে
ওই দ্যাখো,
হাইওয়ের শেষে
চাঁদের হঠাৎ উল্লম্ফন!
বুনো ঝাড় আর
দুর্বিনীত-লজ্ঝরে ট্রাকের
গা বেয়ে আকাশে
উঠে আসে
একটিমাত্র লাফে’
বিস্তৃত পথ তখন নদী হয়ে গেলে
হরিণেরাও
ত্রস্ত থাকেনা আর।
দী-ঈ-র্ঘ দী-ঈ-র্ঘ পায়
জলাভূমি ঠেলে
এপার ওপার করার
দুর্মর বাসনায়
তাদের চন্দ্রাহত চোখ
খানিক
জুলজুল করে উঠেই –
টুকরো কবিতা ও গান অথবা জীবন থেকে কেঁটে নেয়া ফ্রেম
আমি তোমার দূরে থাকি কাছে আসবো বলে
অনেকবারের চেষ্টাতেও কখনও তার কথা বলা যায় নি। হয়তো আসলে বলবার মত তেমন কিছু ছিলও না। তার মৃদু সঞ্চারণের পাশে বিকেলের বয়ে চলা দেখেছি প্রতিনিয়তই। এর বেশি কখনও বলতে পারতাম? রবীন্দ্রনাথের গল্পের নায়িকাদের মত বিশেষত্ব তার নেই এই কথা অবশ্য বলা যায়। তারপরেও সে আমার নজরে এসেছিল মূলত তার নির্লিপ্ততার জন্য। তার মধ্যে এক ধরণের পাগলামি ছিল।
বিস্তারিত»আহ, হিপোক্রেসি!
ব্যক্তিগত ভাবে মানুষের যে দোষগুলিকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি তার তালিকায় হিপোক্রেসি একদম উপরের দিকেই থাকবে, সে কারনে সব সময় চেষ্টা করে এসেছি নিজেকে এর মুক্ত রাখতে এবং এই দোষে দোষান্তিত মানুষদের থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু এর কোনটিই শতভাগ অর্জন করা সম্ভব হয়নি। নিজে হিপোক্রেসি মুক্ত থাকার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, কিছুটা হয়ত সফল ও হয়েছি কিন্তু হিপোক্রেটদের থেকে দূরে থাকার প্রচেষ্টায় রীতিমত ব্যর্থ। বাস্তব জীবনে বিভিন্ন অনিবার্য কারনে অনেক হিপোক্রেটদের সাথেই হাসি মুখে কথা বলতে হয় আর ভার্চুয়াল জগতে বন্ধু তালিকায় ছাকনি চালাতে চালাতে ঠগ বাছতে গা উজাড় হবার উপক্রম হলেও খোমাখাতা হিপোক্রেসি ভরপুর।
বিস্তারিত»জ্ঞান দিতে পয়সা লাগে না
কিছু মানুষ আছেন যাঁরা সুযোগ পেলেই উদার হস্তে জ্ঞানদান করতে মেতে ওঠেন, তা সে ব্যাপারে তাঁর জ্ঞানের দৌড় যত সীমিতই হোক না কেন। জ্ঞান দিতে তো পয়সা লাগে না, জ্ঞান থাকাও লাগে না! আমি এঁদেরকে খুব যত্ন সহকারে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। তারপরেও মাঝে মাঝে এঁদের খপ্পরে পরতে হয়। যেমন সেদিন, সন্ধ্যায় ব্যাডমিন্টন খেলার পরে আড্ডার মাঝে কথায় কথায় সাঁতার কাটার প্রসঙ্গ এল। আমি বললাম যে,
বিস্তারিত»আলাপনঃ এক
– এই চুপ! কথা নয় একটিও! শুষে নিতে দাও তোমার গোলাপ ঠোঁটের রঙ
– আহা! যেন খাও নি কখনো! আজই যেন তোমার প্রথম পাঠ?
– খেয়েছি, কিন্তু প্রতিবারই তোমার ঠোঁট নতুন মনে হয়। কখনো শ্রীমঙ্গলের কমলালেবুর মত রসে ভরা, আবার কখনোবা ক্লেমেন্টাইনের মত, আলাদা এক একটা কোষ যেন সযত্নে মোড়া সোনালী রাংতায়। মাধুরী, কী আছে বলো তোমার ঐ ট্যাঞ্জারিন ঠোঁটে?
–
বিস্তারিত»প্রবাসে প্রাকৃতজন: যাত্রা পর্ব – The Exodus
আমার দাদা ছিলেন ভ্রমন পিপাসু একজন দরবেশ টাইপের মানুষ। এমনকি তিনি পায়ে হেঁটে সুদূর মক্কা পর্যন্ত গিয়েছিলেন হজ্জ আদায় করতে। আমার বাবা এক্ষেত্রে একেবারেই বিপরীত, তিনি জীবনেও বাংলার বাইরে কোথাও যাননি। আমিও পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছি টানা তেত্রিশ বছর পর্যন্ত। কল্পনায় চষে বেড়িয়েছি সারা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড অথচ বাংলার বাইরে কোথাও এক পাও ফেলা হয়নি । কলকাতা আর দার্জিলিং গিয়েছিলাম বৈকি – কিন্ত তাওতো ঘুরে ফিরে ওই বাংলার মধ্যেই।
বিস্তারিত»একটি স্বপ্ন দৃশ্য
ধান খেতের পাশে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর। রোয়াকে মাদুর পেতে ভাত খেতে দিয়েছ তুমি। সামনে দস্তরখানায় গরম বিরুই চালের ভাত। ধোঁয়া উঠছে। সাথের আয়োজন সামান্যই। টেংরা মাছের ঝোল জলপাই দিয়ে। বৈলর হাটের লাল লাল জাম আলুর ঝাল ঝাল ভর্তা। ছোট একটা পিরিচে আছে কালো জিরা ভর্তাও। আমি বললাম,
তুমি খাবা না? তুমিও বহ আমার লগে।
কিছু না বলে তুমি একটা তালের পাখা নিয়ে হাওয়া করতে বসলে।
বিস্তারিত»সাড়ে তিন হাত মাটি
সাড়ে তিন হাত মাটি
——————————
কথাঃ বাপ্পী খান
সুর-সংগীতঃ আইউব বাচ্চু
ব্যান্ডঃ এল আর বি
এ্যালবামঃ আমাদের বিস্ময়(১৯৯৭-৯৮)
——————————–
টাকা-কড়ি ধন-সম্পত্তি,
অনেক অনেক বাড়ী-গাড়ী।
ঠিকানার ছড়াছড়ি,
আমি তুমি বাড়াবাড়ি।
মরলে সঙ্গে যাবে না,
কোন কিছুই তোমার অংশীদারী।
ঠিকানা শুধু এক সমাধী,
সাড়ে তিন হাত মাটি।।
সংসারে যুদ্ধ চলে,
বিস্তারিত»আমি মানুষ না আওয়ামীলীগ
দিনে দিনে আমি পাঁড় আওয়ামীলীগ হয়ে যাচ্ছি।
উদা ১ ঃ শিক্ষা মন্ত্রী ঢাবি র ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমার মনে হচ্ছে সংগত কথাই বলেছেন তিনি।
প্রশ্ন আউট ইত্যাদি মাথায় রাখলেও এই ফলাফল কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
আরো মজা হচ্ছে বাম দের আমরা গালি দেই।
আবার বাম থেকে ডানে আসলেও গালি দেই।
আহারে নাহিদ সাহেব।
বেচারা সৎ হইয়া বিপদে পড়ছে।
গতকাল রাতে
গতকাল রাতে
গতকাল রাতে বিবেক আমার,
স্বপ্নের কড়া নেড়ে করলো জিগ্গেশ্,
“আমায় ছাড়া আর কতদিন রবে?”
গতকাল রাতে…………………
জানালার পাশে বুদ্ধি আমার,
দুষ্টু হাসির সাহেব
চাইলো ফেরত সবটুকু তার
দেনাপাওনার হিসেব।।
গতকাল রাতে…………………
কার্নিস থেকে হুশিয়ারি দিয়ে,
বললো আমার প্রেম,
“নষ্ট করোনাকো পবিত্রতা,
শেষ বার শুধালেম!”।।
গতকাল রাতে………………..
জীবনসঙ্গিনী না হলে, মর্মসঙ্গিনী হও
জীবনসঙ্গিনী না হলে, মর্মসঙ্গিনী হও
—————————- ড. রমিত আজাদ
ওরা জানতে চেয়েছিলো,
“তুমি কি কাউকে ভাবো কল্পিত তব, তোমার কাব্য লেখনে?”
“উদাস হয় কি তোমার তামসী কবিমন কাহারো হৃদয় মননে?”
আমি দৃঢ়চিত্তে ওদের বলেছিলাম,
ভাসাইনা আমার কবিতার তরী, কাহারো ভাবনার জলে,
কারো অবয়ব ভাসেনা আমার কবিতার মায়াজালে।”
আমি ওদের মিথ্যে বলেছি প্রিয়া,
এই অতৃপ্ত মানসে তৃষা-জাগানিয়া,
একজন পথচারী ও আমিত্ব
এই শুয়ো……. একটা বাজে গালি দিয়ে তার সাথে আরও কিছু…. অকথ্য খিস্তি কেটে গাড়িটাকে এক পাশে সাইড করে রাখলাম। হাইওয়ে রাস্তা এবং যথেষ্ট ফাঁকা থাকার দরুন গাড়িতে মোটামুটি একটু স্পীড দিয়ে ফিরছি আমার গন্তব্য-স্থলে। হটাৎ একজন মাথা নিচু করে পথচারী কোন দিক বিদিক খেয়াল না করে রাস্তা পার হচ্ছে। আমি যথা সম্ভব হর্ন দিয়ে, হেডলাইটের লো-বিম, হাই-বিম দিয়ে সাবধান করতে চাইলাম কিন্তু অল্পের জন্য রক্ষা।
বিস্তারিত»Amélie, তুমি আজ হেডফোনে পিয়ানো
একর্ডিয়নে হাঁক দিয়ে
রোদেলা দিন কি আনো?
শহরে নেমে’
ওড়নার পিছু পিছু
ফুসলে নিয়ে গেছো
বারান্দার সব প্রজাপতি
‘হোক না কিছু ক্ষতি!’ বলে
মাছবাজার, ময়লার স্তুপ
নর্দমা পেরিয়ে নির্বিকার
হারমোনিকার সুরে মজে
সার্কাসের টিকিট কিনে
পথ হারিয়ে নাজমা ম্যাডামের
ট্রাপিজে চড়তে’
সমস্ত শহর
ভোকাট্টা
ফেঁসে গেছে
সেলফোন টাওয়ারে
চূড়ায় চূড়ায়
তুমি তবে প্রজাপতি-চোর,
বিস্তারিত»