শ্রীকান্তের নিরুদিদিকে মনে পড়ে? যিনি “বালবিধবা হইয়াও….সূতিকা রোগে আক্রান্ত হইয়া ছয় মাস ভুগিয়া ভুগিয়া মরেন” – সেই নিরুদিদি।
অনেকেরই ধারনা, আমরা সেই সময়ের সমাজিক অবস্থা থেকে খুব একটা এগুতে পারি নাই। এখনো নিরুদিদির মত একাকি নারীদের প্রেগন্যান্সির বিরাট ট্যাবু। অনেক ক্ষেত্রেই যার অবশ্যম্ভাবি পরিনতি মৃত্যু।
কিন্তু সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস ও তার রেসপন্স দেখে এ বিষয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করলাম। চমকিতও হলাম।
যিনি স্ট্যাটাসটা দিয়েছেন তিনি অত্যন্ত গুনী একজন মধ্য বয়সী একাকি নারী। তাঁর স্ট্যাটাসটিতে এই বার্তা ছিল যে তিনি প্রেগন্যান্ট।
আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, পরবর্তি দুঘন্টায় সেটা দু’শোর মত লাইক এবং এক শোর কাছাকাছি কমেন্ট পেয়ে গেল। আর কি অবাক কান্ড, ঐসব কমেন্টের বেশির ভাগই অভিন্দন জানিয়ে, শুভকামনা করে।
দু একটা কমেন্টে যে বাবার পরিচয় জানতে চাওয়া হয় নাই তা না, কিন্তু সেটার টোন মোটেও আপত্তিকর নয়। বরং সেগুলা সেই লাকি ম্যানকে চেনার জানার আকুতি ও অভিনন্দন জানানোর ইচ্ছা সম্পন্ন।
আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম একজন মানুষের এত এত সহানুভুতিশীল বন্ধু থাকতে পারে দেখে!!
এমন বন্ধুদের সাথে থাকা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার যারা প্রশ্নাতিত ভাবে ভরসা করতে পারেন বন্ধুর উপরে। তার সিদ্ধান্তের উপরে। সেটা অন্যের চোখে গ্রহনযোগ্য হোক বা না হোক।
“রাইট অর রং, শী/হী ইজ মাই ফ্রেন্ড। এন্ড আই এম উইথ হীম/হার।” – এইটা বলতে পারা অনেক অনেক বন্ধু থাকুক সবার লিস্টে, জীবনেও।
পুনশ্চ-১ ঐ প্রেগন্যান্সি নিউজটা ছিল একটা প্র্যাক্টিকাল প্র্যাঙ্ক। সেটা স্ট্যাটাসের চেহারা দেখে আন্দাজ করা যেতো কিন্তু বেশির ভাগ বন্ধুই যে সেই আন্দাজে না গিয়ে বরং স্ট্যাটাস দাতাকে আভিনন্দনে সিক্ত করেছেন, তা ছিল আমার জন্য নতুন একটা জানালা খোলার অনুভূতি। তাঁদের সবার জন্য শুভকামনা।
পুনশ্চ-২ এই লিখাটার উদ্দেশ্য, বন্ধু কেমন হওয়া উচিৎ তা নিয়ে আলাপ করার জন্য। প্রেগন্যান্সি নিউজ সম্বলিত স্ট্যাটাসটা এখানে একটা এক্সট্রিম টেস্ট কেইস। বন্ধুত্বের ধরন নিয়ে মতামত আলোচনা “মোস্ট ওয়েলকাম”। কিন্তু প্রেগন্যান্সি যেহেতু একজনের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, সেটা নিয়ে আমার মতামত জানতে চাইলে অপ্রাসঙ্গিকতার বিচারে তা এড়িয়ে যেতেও পারে। আমি কারো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলার পক্ষে না।
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব্বাই, তালি দিতে দিতে তো এক্কেরে হারের তালুতে ফোশকা পরায় ফেলতেছেন! 😛
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
হ, ফোস্কা ফালাইয়াই ছারবো পোলাডা
ক্যাডেট কলেজে পড়ার কারনে আর যাই হোক সত্যিকারের বন্ধুর অভাব কোনদিন বোধ করি নি- করবও না... 😀
আপনি যেহেতু 'মোস্ট ওয়েলকাম' জানিয়েছেন তাই একটু মতামত দেই-
“রাইট অর রং, শী/হী ইজ মাই ফ্রেন্ড। এন্ড আই এম উইথ হীম/হার।” এরকম বন্ধু জীবনে অবশ্যই থাকার দরকার আছে, তবে শর্ত হচ্ছে তারা 'রং' গুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে, অন্ধ সমর্থন যেন না দেয়... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:thumbup:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ভাল সাজেশন। ধন্যবাদ।
"আই এম উইথ হীম/হার" - দিয়ে রং টাকে সাপোর্ট করতে বলি নাই। রং করার পরেও মানুষটাকে সাপোর্ট দেয়ার কথা বলেছি। তাঁকে কোপ করতে সাহায্য করা আর কি।
উদাহরন:
শাস্তিযোগ্য কোন অন্যয় করে ফেললো। তাকে উকিল পেতে সাহায্য করার কথা বুঝিয়েছি। ঘুষ দিয়ে ছাড়িয়ে আনতে বলি নাই।
ভবিষ্যতে আরও কেয়ারফুল হতে হবে এই জাতিয় এক্সপ্রেশনে।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই, আমি আপনারই কথা একটু ডিটেইল করে বলেছি আর কি... 😀
একটু আগে মোবাশ্শির ভাই এর একজন মিজানের গল্প পড়লাম। এটা মনে হয় ঐ রকম বন্ধুত্বের চমৎকার উদাহরণ হতে পারে।
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ঠিক। 🙂
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আমার ফেবু বড়ই রঙীন। তবে গোপন কথা হচ্ছে আমার এই রং বাহার থেকে আমার ফ্রেন্ডলিস্টের ১৭৬ জনই বঞ্চিত হন। কারণ সবার তো আর ব্রজগোপী হবার ইচ্ছা বা মানসিকতা নাই, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক তাদেরকে থেকে নিজের রং খেলা লুকিয়ে রাখি। এই ব্যাপারটাকে আমার দৈন্যতা মনে করতে পারেন। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে কি দরকার শুধু শুধুই তাদের ব্যাক্তিগত বিশ্বাস বা আবেগ-অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে? নিছিক সামাজিক যোগাযোগের জন্যই তাদেরকে ফেবু থেকে ঝেড়েও ফেলতে পারি না। আবার গ্রুপগুলার গাদাগাদা নোটিফিকেশনের যন্ত্রনাও অসহ্য লাগে।
তবে, উপসংহার এই যে, "বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও।।"
স্যারকে আবারও ধন্যবাদ চোখ মেলতে সাহায্য করার জন্য।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
অনেক কিছুই বুঝলাম না। এইভাবে আকার ইংগিতে বললে সেটা স্বাভাবিক।
তবে বুঝলাম, কিছু একটা রিলিফ হয়তো হয়েছে এই আলোচনায়।
যার যা হোক, যতক্ষন ভাল কিছু হচ্ছে, আমি খুশি।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
জিতু মনে হয় বলতে চাইলো -- ওর বন্ধুত্বের রঙ, তাৎপর্য সবাই ঠিক ধরতে পারেনা। অনেকে বোধ হয় wrong অনুবাদও করে। এমন না যে মন নাই, আসলে ফ্রিকোয়েন্সি মেলেনা। ধাক্কাধুক্কা খেতে হয় বিস্তর।
একমত
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
::salute:: ::salute:: ::salute:: মহাগুরু :hatsoff:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
🙂 🙂 🙂
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
'তৈরী আছি, যে কোন সময়। সবসময়।' -- এটুকুই আমার কাছে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা।
ঠিক
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
হঠাৎ মনে পড়লো, বন্ধু তালিকায় কোন নারী আপনার প্রতি দুর্বলতা আছে কিনা এটা জানতে নাকি সবচাইতে ভাল উপায় ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রেমে পড়ার বিষয়টি জানান দেয়া। তাহলে নাকি অভিনন্দনের সাথে অসাবধানতাবশত চাপা দীর্ঘশ্বাসও বের হয়ে আসে অনেক সময়! :grr: :grr:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
কি দরকার ভাই মানুষকে কষ্ট দেয়ার
এই দুষ্টামিটা একদা করেছিলাম পরীক্ষামূলক। কিন্তু কোন চাপা দীর্ঘশ্বাস বের করতে পারি নাই! 😛
নূপুরদা মানুষকে যাতে কষ্ট দিতে না হয় এই জন্যই তো প্রেম করে দুই বছর গা-ঢাকা দিয়ে থাকলাম। 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
😀 😀 😀
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.