এস এম সুলতান বা লাল মিয়া আমাদের সমাজের আর দশজনের চোখে পাগল ছিলেন বলা যায়। মেয়েদের মতো শাড়ি পড়তেন, কখনো বাঁশি বাজাতে বাজাতে ছুটতেন অজানায়, কখনো ঢাকার বুড়িগঙ্গার দিকে। ছোট চুলের কোন ছবি দেখি নি সুলতানের। হয়তো একই সাথে তিনি ছিলেন কৃষ্ণ আবার রাঁধা। স্যুট কোট, ক্যাডিলাক, পশ্চিমের আরাম-আয়েশ ছেড়ে অজ পাড়া গায়ে গিয়ে থাকা সহজ ব্যাপার নয়। সুলতান হয়তো পেরেছিলেন কারণ তিনি এই মাটিরই সন্তান ছিলেন।
বিস্তারিত»ঘূন ধরেছে!
ঘূন ধরেছে!
ঘূন ধরেছে!
যদি অহেতুক্ মনে হয় জীবনের পথচলা,
যদি অপারগতায় ঢাকে কতর্ব্যের চাঁকা,
যদি অপরের মতামত মনে হয় অযথা,
যদি অপমান মনে হয় সমালোচনা,
তবে জেনে রেখো মগজে ঘূন ধরেছে!
নিলয়ের শ্যাওলারা নড়েচড়ে উঠেছে!!
ঘূন ধরেছে!
ঘূন ধরেছে!
বাপ্পী খান
বিস্তারিত»মহুয়া
অমৃত সরবরে ডুবে দেখি, অনেকটা অবাক হয়েই যেন; হঠাৎ তোমার মুখ । ভাবছি, তুমি এখানে কিভাবে এলে !? এটা তো আমার, একান্তই আমার । বাস্তবতাকে লুকিয়ে, ব্যাথার নীলকে এড়িয়ে, স্মৃতির মেলে ধরা পাখাটিকে কোনরকমে ধোঁকা দিয়ে আমি প্রায়শই যেখানে হারিয়ে যাই, এটাই সেই অমৃত সরবর ।
এখানে না আছে সময়ের আধিপত্য, না তোমার ঐন্দ্রজালিক প্রভাব । এখানে আমার মন চাইলেই ছোট্ট একফালি চাঁদ তার খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসে পূর্ণিমার রূপোলিতবক মোড়া সজ্জায় ।
বিস্তারিত»শিশু যৌন নিপীরণ- সচেতন হতে হবে এখনই!
সাত বছরের বাচ্চারা যেমন হয় তেমনই হাসিখুশি, উচ্ছ্বল ও বাবা-মা এর আদরের মেয়ে কমল। ওর বাবার পুরনো বন্ধু মি. বকশি আগের বাসা বদলে ওদের ঠিক সামনের ফ্ল্যাটে ওঠেন। মি এবং মিসেস বকশি দুজনেই চাকুরিজীবী, পরিবারের সদস্য সংখ্যাও দুজনই। খুব দ্রুত মি. বকশি’র সাথে কমলের ভাল বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে- কেননা তিনি হাসিখুশি, কমলকে চকলেট-আইসক্রিম সহ নানা উপহার কিনে দেন, কমলকে মাঝে মাঝে গাড়ি করে স্কুলে নামিয়ে দেন,
বিস্তারিত»তখনও জানতে বাঁকী
তখনও জানতে বাঁকী
তখনও জানতে বাঁকী, তুমি আর আমি,
কার চেয়ে কে বেশী, কাকে ভালবাসি?
এখন আর তখনের জীবনসীমায়,
তোমার ছলনাগুলো এখনো কাঁদায়।।
তখনও জানতে বাঁকী, তুমি আর আমি,
কার চেয়ে কে বেশী, কাকে ভালবাসি?
প্রথম যেদিন তুমি ভালবেসেছিলে,
প্রবল সুখে এ চোঁখ ভরা ছিল জলে।
প্রথম যেদিন তুমি বিদায় জানালে,
ব্যাথায় ভরা দুটি চোঁখ ভরেছিল জলে।
ডিজিটাল সুখ দুঃখ
পাঁচ মাস ফেইসবুক আর জিমেইলে ইলেক্ট্রনিক বার্তা চালাচালির পর অবশেষে স্কাইপে দেখা হলো রোদেলার সাথে।
: হ্যালো বিউটিফুল! ফাইনালি পাওয়া গেলো তোমাকে
আমি হাত নেড়ে বলি
: হাই, প্রিন্স অব নোভাই!
দুই হাত আর একমাথা ঝাঁকড়া চুল দুলিয়ে রোদেলা আমাকে উইশ করে
রোদেলাকে ভড়কে দিতে আমার চুলগুলোকে অনেক কায়দা করে একটা মোহক স্টাইল দিয়েছি একটু আগেই,
বিস্তারিত»দুটি গান
আউলা-ঝাউলা চুল
——————– ড রমিত আজাদ
আউলা-ঝাউলা চুল, তোমার আউলা-ঝাউলা চুল,
সেই চুলেরই খোপায় তুমি রাখছো জবার ফুল।
মিষ্টি-মধুর মুখ, তোমার মিষ্টি-মধুর মুখ,
ঐ মুখে চাইয়া আমি পাই যে মনে সুখ।
বাঁকা দুইটা চউখ, তোমার বাঁকা দুইটা চউখ,
ঐ দুই চউখে আমার পরাণ পইড়া রউখ।
মিঠা মিঠা হাসি, তোমার মিঠা মিঠা হাসি,
ঐ হাসিরই জালে পইড়া তোমায় ভালোবাসি।
আমাদের লাল মিয়া
এস এম সুলতান
(শিল্পীর আঁকা আত্মপ্রতিকৃতি)
বাংলাপিডিয়ায় সুলতানের জীবনীর লেখক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম লিখেছেন:
” তাঁর কাছে অবয়বধর্মিতাই প্রধান। তিনি আধুনিক, বিমূর্ত শিল্পের চর্চা করেননি; তাঁর আধুনিকতা ছিলো জীবনের শাশ্বত বোধ ও শিকড়ের প্রতিষ্ঠা করা। তিনি ফর্মের নিরীক্ষাকে গুরুত্ব দেননি, দিয়েছেন মানুষের ভেতরের শক্তির উত্থানকে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই এবং ঔপনিবেশিক সংগ্রামের নানা প্রকাশকে তিনি সময়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপস্থাপন করেছেন।
বিস্তারিত»কে আসলে দেশের কথা ভাবে??
আমরা হয় “A”লীগ বা “B”দল এর লোক। কিন্ত কজন আমরা বুকে হাত রেখে বলতে পারি, যে, আমরা আসলে কোন কারো দায়বদ্ধ নই। নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা বুঝি এভাবেই বদলে যাবে। আমিও কিন্ত নিরপেক্ষ নই। আমি শুধু আমার কলিজা আর পরানের পরাণ বাংলাদেশের পক্ষে। দেশে জন্য ক্ষতিকর সব কিছুই আমার জন্য বিরক্তিকর। আর দেশের জন্য সুখকর সবটাতেই আমার নিখাদ আনন্দ। আজকাল আনন্দিত হতে পারি না, বিরক্তিতে BP 100-140,
বিস্তারিত»মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প- উপদেশমূলক
অন্যের প্রতি অন্ধত্বের চেয়ে নিজের প্রতি অন্ধত্ব অনেক বেশী খারাপ। আপনি যা ভাবছেন সেটা যে সঠিক এমনটা ভাববেন না।
মোল্লা নাসিরুদ্দিনের একটি গল্প পড়ুন।
শিকারে বেরিয়ে পথে প্রথমেই মোল্লা নাসিরুদ্দিনের সামনে পড়ে রাজামশাই খেপে উঠলেন আর বললেন-
‘লোকটা অপয়া। আজ আমার শিকার পণ্ড হল। ওকে চাবকে হটিয়ে দাও।’
রাজার হুকুম তামিল হল এবং মোল্লাকে যথারীতি চাবকানো হল।ঐ দিকে রাজার শিকার হল জবরদস্ত।
বিস্তারিত»মিরাজ
আমার প্রেম এখনো থমকে আছে কাঁধ ছুঁই ছুঁই চুলে!
দেড়শ বছরের পুরনো এই শহরে এখনো যুবকের কাঁধ অবধি ঝাঁকড়া চুল দেখলে
চমকে উঠি।
গলার স্বর নামিয়ে বলতে ইচ্ছে করে, এই শোন!!
বিস্তারিত»রেল লাইনের মত স্বপ্ন পর্ব (৫-৮)
রেল লাইনের মত স্বপ্ন
পর্ব ৫
একটা বিরাট বিল্ডিংয়ের সামনে বহু মানুষ জমা হয়েছে। এটা কি সেই শপিং মল? মনে হচ্ছে যেন যুদ্ধ চলছে! চারিদিকে গুলির শব্দ, মানুষের চিতকার। আমি কোনমতে গলা বাড়িয়ে সবাইকে বললাম “এখানে কোন হাসপাতাল আছে? প্লিজ আমাকে নিয়ে চলুন!” কিন্তু কেউ শুনে না আমার ক্লান্ত গলার ভাংগা আওয়াজ। উলটো ভয় পায় আর বলে “আপনার পায়ে কি হয়েছে? রক্ত ঝরছে কেন?”
তখনি রফিক সাহেবকে দেখলাম একপাশে চুপ করে দাঁড়ানো।
নিরাপদ অণুব্লগ
১
আমি মানুষটা সবসময়ই একটা এ্যডভেন্চারাস টাইপের। একটু ঝুঁকিপ্রবণ। আমার কাছের মানুষ, বন্ধুবান্ধবকে জিজ্ঞেস করলে সবাই এক বাক্য তা স্বীকার করবে। ধ্যাৎ লেখাটার শুরুতেই কেমন জানি আমি আমি টাইপ হয়ে যাচ্ছে। আসলে যে কথাটা বলতে চাচ্ছিলাম তা হলো এই চ্ল্লিশোর্ধ বয়সে এসেও আমার স্বভাবটা বদলে যায়নি। জীবনের ব্যাপারে আমি একইভাবে প্যাশনেট, উচ্ছ্ব্সিত এবং স্বাপ্নিক। সেদিন বসে বসে ভাবছিলাম গত দশকে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন কী আর আগামী দশকে অগ্রাধীকারের ভিত্তিতে সবচেয়ে প্রধান লক্ষ্যমাত্রা কী।
সেই তো আমার বধু
সেই তো আমার বধু
——————– ড রমিত আজাদ
প্রাচীন প্রেমের ব্যাথা ভুলে যাকে বেঁধেছি জীবন ডোরে,
বিরহ অতীত সবকিছু ফেলে, তুলেছি বাসর ঘরে,
পুরাতন স্মৃতি আঁখিজলে ধুয়ে, নতুন স্বপনে পুলকিত হয়ে,
মনময়-প্রাণময় রয়ে, যে দিয়েছে আজ এ হৃদয় ছুঁয়ে,
সেই তো আমার বধু ।
যে বলেছে ঘুচে দেবে, পুরাতন যত ক্ষত,
ফেলে আসা দিন, বিনিদ্র নিশি,
ফুটবল বিষয়ক ক্যাডেটীয় (অণু) ছোট ব্লগ
ক্যাডেট কলেজে বিভিন্ন পার্টি থাকে। এইসব পার্টি একেকটা ফ্র্যাটার্নিটির মত। স্মোকার পার্টি, কলেজ পালানো পার্টি, ডেয়ারিং পার্টি, প্রেমিক (মোবাইল ফোন)পার্টি আরো কত কি । আমাদের সময় অন্যতম বড় একটা পার্টি ছিল ফুটবল পার্টি! এই পার্টির গর্বিত মেম্বার ছিলাম কলেজে। কলেজে আমাদের কিছু কর্মকান্ডের বর্ণনা দিচ্ছি :
১) দিন রাত ফুটবল নিয়া গঠনমূলক আলোচনা করা। বিভিন্ন টিমের ফর্মেশন নিয়ে বিশ্লেষণ ধর্মী আলোচনা করে প্রেপ টাইমকে কাজে লাগানো।
বিস্তারিত»
