এত্তবড় কাঁচি এসে স্টার্ণাম চিরে দিলে
এবারে দেখো – তার স্টেটাস
কেমন লেপ্টে আছে ফেস, বুকে
তদন্তের ময়না কি ক’বে বলো,
ছলোছলো চোখে সে লিখেছিলো –
‘ফিলিং হ্যাপি।
মরিতে চাহে কোন্ উজবুকে’
এত্তবড় কাঁচি এসে স্টার্ণাম চিরে দিলে
এবারে দেখো – তার স্টেটাস
কেমন লেপ্টে আছে ফেস, বুকে
তদন্তের ময়না কি ক’বে বলো,
ছলোছলো চোখে সে লিখেছিলো –
‘ফিলিং হ্যাপি।
মরিতে চাহে কোন্ উজবুকে’
দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা? নাকি ধরতেই পারলাম না! 😕
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
তোমার যা মনে হবে তাই। বাঁধাধরা কিছু নেই।
তবে আমি একটি ভেবে লিখেছিলাম। 😛
আপনার ধারে কাছে যাই নাই তাহলে। আপনি কি ভেবেছিলেন?! 😕
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
না না, আমি বলতে চাইছিলাম ওই দুটোর একটাই।
তুমি ঠিকই ধরেছ।
তবে আমার ক্লু ছলছল চোখে এফবি স্টেটাস দেয়ার মধ্যেই।
আচ্ছা এখন আরো ভাল লাগছে পড়তে! আরো একটি ছুঁয়ে যাওয়া কবিতা! :boss:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
🙂 🙂
স্টার্ণাম - কি?
কোন অর্গানের নাম? কোন অর্গান?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই, স্টার্নাম হল পাজরের হাড়।
আগ বাড়িয়ে বললাম, আশা করি কিছু মনে করবেন না... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আচ্ছা। এখন বুঝলাম।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই,
দুপাশের পাঁজরের অস্থিগুলো সামনে মাঝবরাবর, আমাদের বুকের মাঝখানটায়, যে অস্থিতে এসে মেলে তারই নাম স্টার্ণাম।বাংলা জানিনা।
আমাদের সুরতহালের সময় ডোমেরাই মূলত কাটাছেঁড়া করেন।শব খোলার প্রথম স্টেপ হচ্ছে - ইয়া বড় এক কাঁচি দিয়ে স্টার্ণাম কেটে পাঁজর দুভাগ করে দেয়া।তারপর ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড পর্যবেক্ষণ।অন্ততপক্ষে মেডিকেল কলেজ মর্গের ডোমেরা সমস্ত ভিসেরার নাম ইংরেজীতেই বলেন, ফরেনসিক মেডিসিন তারাও ভালোই জানেন হাতে কলমে কাজ করে করে।
তো এই স্টার্ণাম চিরে বুক হা হয়ে যাবার দৃশ্যটা বেশ নাটকীয়। কতকিছু যে ভাবায়!
শুনেছি প্রথম কয়দিনের চিরে, ছিঁড়ে যাবার শব্দে শিউরে উঠে অনেকে। এরপরের দিন বা তারপরের দিন তাকেও ভাবায়।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
মোকা,
বাগানের ফুলগাছগুলোর ডাল ছাঁটার বড় বড় কাঁচি দেখেছো তো? সেরকম।
আমার খালি মনে পড়ে যেন-ঘুমন্ত মুখগুলোর কথা, বেআব্রু পড়ে থাকা শরীরগুলোর কথা। হায়, মরণের পরেই সব কত ঠুনকো - এ প্রিয়মুখ, এ অহম্, এতসব পাওয়া না-পাওয়ার হিসেব, লাজলজ্জা গোপনতা
ডাল কাটার কাঁচি গুলো চিন্তা করেই প্রথমে গায়ে কাটা দিল। তারপরে যেটা বললেন সেটা চিন্তা করলাম। দম ফুরালে কি আসে যায়? সবই তো রক্ত মাংস হাড়। 😕
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
তুমিই ঠিক। এসব কাজ আমাদের দেশে যথেষ্ঠ সংবেদনশীলতা আর শ্রদ্ধার সাথে করা হয়না। হোক মৃত, তবু কয়েকঘন্টা কি কিছুদিন আগে পৃথিবীর কিমাকার ডায়নামোর পরে চরে তো বেড়াচ্ছিল!
মৃতদের কথা বাদ দাও, জীবিতদেরই যা হাল!
আপনারা পেশার মানুষ ব্যাপারটা হয়তো ভালো জানবেন। দেশে যথেষ্ট সংবেদনশীলতা ও শ্রদ্ধার সাথে করা হয় না ঠিক কিন্তু একই সাথে ব্যাপারটা হয়তো সবসময় সম্ভবও হয় না। খুব সরল রৈখিক এবং উদ্ভট যুক্তি হিসেবে বলতে চাই, এত জোগানের মাঝে চাহিদা ও দামতো কমবেই। এত মানুষের মাঝে সংবেদনশীলতা ধরে রাখা কষ্টকর।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
বেশি মানুষের দেশে সংবেদনশীলতার প্রত্যাশা আসলেও দুরাশা। তবে সবসময় নয় -- অভাবের এ দেশে এখনো সমবেদনা জোটে। বিদেশ, মানে এ উত্তর আমেরিকায় দেখো - একদিন একটু উলটা পালটা কাজের চাপ কি টাকাপ্যসার টানাটানি হলেই খ্যাকখ্যাক করতে কি গলাধাক্কা দিতে দুই মিনিট চিন্তা করবেনা।
আরও পরিষ্কার হলো চিত্রটা
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ঐদিন জীবন বাবুর কবিতায় স্টার্নাম পেলাম।
সম্ভবত সাতটি তারার তিমির পর্বে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কবিতাটা দিবা রাজীব?
:thumbup:
এক থ্রেডে দশটার বেশি কমেন্ট করা যায় না। উপরের কোটা পূর্ণ হয়ে গেল। 😕
উত্তরঃ সেটাও ঠিক আমাদের সংবেদনশীলতা কম কিন্তু অভাবের দেশে সমবেদনা এখনো জোটে। এই দেশে চাকুরী ক্ষেত্রে কিছু হইলে গলাধাক্কা তো আছেই এছাড়া এক ইন্সুরেন্স না থেকে বড় অসুখে পড়া আর নিজেরে কাইটা নদীতে ভাসায় দেয়া এক কথা! এমনেও শেষ ওমনেও শেষ!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
সেটাই। হঠাৎ করে এখানে তেল গ্যাস নাই হয়ে গেলে কেমন কামড়াকামড়ি শুরু হবে আমরা বোধ হয় কল্পনাও করতে পারবনা।
সত্তরের দশকে তো দুই ঘন্টা তেলের লাইনে গাড়ি নিয়া খাড়ানোর অভিজ্ঞতা আছে। ব্যাপার না ওরা পারবে। 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
'ফিলিং হ্যাপি'র আগে রিলেশনশিপ 'ইটস কমপ্লিকেটেড' দেয়া উচিত ছিল... 😉
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
;))
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
😛
দাদা, আপ্নার ভাবনাগুলোকে কালজয়ী আখ্যা দেয়া দরকার।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
বোঝা গেলেই হল জিতু।
কালজয়ী হবেনা, সে মালমসলা নাই।
দাদাগো, মসলা পুরাই মগলাই খাবেরের। এপিক। :boss: :boss: :boss:
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
:shy: :shy:
অসাধারণ নূপুরদা :hatsoff:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂 🙂 🙂
ফিলিং :brick: :brick: :bash:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
হোয়াই ম্যান, হোয়াই!
আমার লেখায় গ্রীক মিথ আসছে । অনেকেই জানে বোঝে।
কিন্তু-
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
বেশি দুর্বোধ্য ছিল? গ্রীক মিথলজির প্রসংগ বুঝিনাই
জানান দিলো সুরতহাল
শেষ কথাটাও মেকি
লিখেছিলে অনুভূতি
ফিলিং ভেরী হ্যাপী B-)
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল