বৃক্ষ যে পরিযায়ী পাখি নই।

বৃক্ষ যে পরিযায়ী পাখি নই।
মোহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ খান ওয়াহেদী।

আমি তো পরিযায়ী পাখি নই
উড়ে যাবো উষ্ণতার খোঁজে শীতে
ঠাই দাড়িয়ে আজো হেথায়
শিকড় গেড়েছি জন্মে যে মাটিতে।

ঝড় উঠে বৃষ্টি ঝরে মুষল ধারায়
বিজলী চমকায় বিদারি গগন ধমকে,
ডাল পালা ভেঙে পড়ে বেদনায়
পায়ের তলের মাটি ধ্বসে যায় পলকে,
কোথায় যাবো বলো বৃক্ষ যে!

বিস্তারিত»

ব্যাবধান

ব্যাবধান
মো ও খা ও।

বহুদিন পর পাশাপাশি
গহিনে গাহন নিরবধি
ছিল দিন উচ্ছল প্রেমে
প্রবাহমান ভরাট নদী।

পাশে বসা শুধু বসা নয়
অনন্ত কালের যাত্রা রথ,
ধাবিত অসীম অন্তরীক্ষে
খোদিত স্মৃতি অমর পথ।

প্রহর খুঁজে ফিরে আপন
স্বকীয় বলয় চেনাজানা
আকুলি মনে ব্যাকুল কথা
বিভাজন দুপাড়ে দুজনা।

যতটুকু কথা সে কথা নয়
পুঞ্জিত মেঘমল্লার মর্মধ্বনি
সহস্র দিনান্তের শব্দ মালা
গ্রন্থিত অক্ষরে কাব্য খানি।

বিস্তারিত»

ফিক্সড! ক্যাশ এন্ড করাপশন ইন ক্রিকেট (২য় পর্ব)

বাজির সকল কর্মকাণ্ড অত্যন্ত গোপনীয় এবং জটিল নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত। উদাহরণ হিসেবে তাদের কর্মস্থলের কথা বলা যায়। পুলিশের চোখে ধুলো দেয়ার জন্য ভারতীয় বুকিরা সব সময় চরম বিলাসবহুল এবং ব্যতিক্রমধর্মী স্থান নির্ধারণ করে। কেউ প্রত্যন্ত গ্রামীণ পরিবেশে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে, আবার কেউ পুলিশকে ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করে একেবারে স্টেডিয়ামের পাশেই অফিস খুলে বসে। আবার অনেকে আছে যারা বিলাসবহুল ফাইভ স্টার হোটেলের টপ ফ্লোরে বসে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে,

বিস্তারিত»

ফিক্সড! ক্যাশ এন্ড করাপশন ইন ক্রিকেট

ক্রিকেট ছিল আমার প্রথম প্রেম। ক্রিকেটের কারণে যত সময়, মেধা ও শ্রম নষ্ট করেছি সেসব অর্থনীতি বিষয়ে ব্যয় করলে এত দিনে আমি হয়ত দু’টো নোবেল প্রাইজ জিততে পারতাম। কিন্তু ইদানিং সেই প্রেমে ভাটা পড়েছে। আসলে কিছুই নেই। এর প্রথম ও প্রধান কারণ আমাদের অযোগ্য ও দুর্নীতিপরায়ন ক্রিকেট বোর্ড। এ রকম সুইসাইডাল বোর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া পৃথিবীর কোথাও দেখতে পাওয়া যাবে না। তথাকথিত এই অভিভাবকের কারণে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আমি ভীত ও শঙ্কিত।

বিস্তারিত»

যে প্রজেক্টটি বদলে দিয়েছিল আধুনিক তুরস্কের শিক্ষা ব্যাবস্থার মোড়

Köy Enstitüsü (Village Institute), যে প্রজেক্টকে আজকের উন্নত তুর্কী শিক্ষা ব্যাবস্থার মেরুদন্ড বলে অভিহিত করেন অনেক শিক্ষাবিদ্গণেরা। 

সালটা ১৯২৬, তুর্কী প্রজাতন্ত্র গঠনের কেবল মাত্র তিন বছর হয়েছে, তখনই এক যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করে আধুনিক তুরস্কের জনক মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক এর গঠিত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়। প্রথমে এটি ছিলো কেবলই গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকদের ট্রেনিং দেওয়ার একটি প্রজেক্ট; পরে এটি বৃহদাকার ধারণ করে। এই প্রজেক্টটি মূলত মার্কিন দার্শনিক তথা শিক্ষাবিদ জন ডিউই এর “উপযোগবাদী শিক্ষা দর্শন” এর উপর ভিত্তি করে সাজানো।

বিস্তারিত»

ফাগুন মনে

ফাগুন মনে।
মো ও খা ও

পলাশ ডালে বহ্নিলালে সেজেছে দিন
আজ যে ফাগুন বনে
শিমুল শাখা আগুন মাখা রঙ অমলিন
বসন্ত বহিছে যে মনে ৷
কোকিল ভোরে কুহু সুরে উদাস বাউল
পরাণ পাগল প্রায়
শালিক চিলে নভোনীলে মনটা আউল
জোয়ার হৃদয় যমুনায় ।

হলদে শাড়ী পরনে নারী দয়িত বাসনা
উন্মনা স্বপ্ন ভাবনায়
খোপায় ফুল কানের দুল বক্ষে দ্যোতনা
হিয়া কাঁপল যাতনায়।

বিস্তারিত»

প্যারেন্টিং নিয়ে আমার ভাবনাঃ অতীত ও বর্তমান

১।

প্যারেন্টিং অত্যন্ত কঠিন। সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিনতম কাজের একটি। একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে একটি বাচ্চাকে একটু একটু করে লালন-পালন করার মাধ্যমে কঠিন ও বিপদসংকুল পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত করা মোটেই চাট্টিখানি কথা নয়। ছোট বেলায় কথায় কথায় বড়রা বলত- ‘যেদিন বাবা-চাচা-মামা হবি, সেদিন ঠিকই বুঝবি!’ বাবা না হলেও বহুদিন হলো চাচা হয়েছি। সমবয়সীরা (অনেকে একাধিক বাচ্চার) বাবা-মা হয়ে গেছে। কিন্তু, আমি তো বুঝিই না,

বিস্তারিত»

সারায়েভো সাফারি (Sarajevo Safari)!

”মানুষের মত এত অমানুষ জানোয়ার এই পৃথিবীতে নেই!”
সতর্কীকরণঃ নিচের লেখাটি নিজ দায়িত্বে পড়বেন। দুর্বল মনের অধিকারী হলে না পড়াই ভালো।

—————————

আজ একটি ডকুমেন্টারির ব্যাপারে জানতে পারলাম। নাম ‘সারায়েভো সাফারি’ (Sarajevo Safari)। এ বছরের আল-জাজিরা বলকান ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মুক্তি পাবে। ডকুটির টেকনিক্যাল তথ্যঃ

Genre: feature documentary film
Duration: 75 min
Year: 2022
Screenplay: Miran Zupanič
Director: Miran Zupanič
Featuring: Stana Ćišić,

বিস্তারিত»

মাতৃগৃহ

মাতৃগৃহ
মোহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ খান ওয়াহেদী।

হরষি পুলক মাতিয়া হঠাৎ কাদিয়া উঠিল মন
পাগলপারা কস্তুরি খুঁজি মৃগয়া মরিয়া যেমন,
আপন হৃদয় গন্ধে মাতাল মরমি বিভোর সুখে
বাজিয়া উঠিল বীণা অন্তরে সুরের পরশ বুকে।
মধুর মধুর কত স্মৃতি মর্মে মাতিয়া গল্প কহে,
আনন্দ বেদনা মাখা সুখের তরনি নদীতে বহে।।

মায়ায় ভরা কুটির জনক জননীর আদর মাখা
দাদা দাদি কাকা কাকি স্নেহ মায়ার চাদর ঢাকা,

বিস্তারিত»

ইশ্বরের দখলদার

জেনিন ঘিরে ফেলেছি
কোন শালাই আর বেরুতে পারবে না
একটা ইঁদুরও নয়
বন্ধ করে দিয়েছি
গুহা, পর্বত – সব
হারামখোর সন্ত্রাসীগুলোকে না খাইয়ে মারবো
এবার বুলডোজার পাঠাবো
ঐযে, ঐযে – ন্যাংটো শয়তানটা
পরনে কাপড় নেই
ধ্বসে পড়া ইট-সুরকির মধ্যে হেঁটে যাচ্ছে
সেও তো এক সন্ত্রাসী
বাঁচিয়ে রাখলে বড় সন্ত্রাসী হবে
তোকেও মারতে হবে
আমাদের সাথে লড়তে আসিস!

বিস্তারিত»

বিদায়, কাজীদা!

১৯ জানুয়ারি ২০২২।
সন্ধে ছ’টা।
ঢাকা।

‘ধুশ…শালা!’ শাহবাগ সিগন্যালে অপেক্ষা করতে করতে তৃতীয়বারের মত গাল দিয়ে উঠল সোহেল। প্রায় ১৫ মিনিট হয়ে গেছে গাড়ি বন্ধ করে থেমে আছে। সিগন্যাল ছাড়ার নামই নেই! অথচ, ট্রাফিক সিগন্যাল একাধিকবার লাল, হলুদ পার হয়ে সবুজ হয়েছে। হলে হবে কী? রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনেকগুলো ট্রাফিক পুলিশ হাত তুলে, বাঁশী দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে। তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে অটোমেটেড সিগন্যাল বসিয়ে লাভ কী হলো?!

বিস্তারিত»

প্রকাশিত হয়েছে উপন্যাস ‘বলের বদলে গ্রেনেড’

খবরটি সিসিবিবাসীর সাথে শেয়ার না করলে বেঈমানি হয়ে যাবে। বই প্রকাশ করা তো দূরের কথা- সিসিবি’র ভালোবাসা, প্রশ্রয় ছাড়া আমার হয়ত লেখালিখি করার সাহসই হতো না! খবরটি হলো অবশেষে প্রকাশিত হয়েছে আমার উপন্যাস ‘বলের বদলে গ্রেনেড’। অবশ্য, ক’জন এই ব্লগটি পড়বেন বা আদৌ পড়বেন কী না সে ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে! কুছ পরোয়া নেহি। পরাজয়ে ডরে না কবীর!

বই সংক্রান্ত তথ্যাদিঃ

বইয়ের নাম: বলের বদলে গ্রেনেড
লেখক: জুনায়েদ কবীর (জেসিসি,

বিস্তারিত»

মেনকা কেমন আছে?

    মেনকা কেমন আছে?
    মো ও খা ও

    রাতে জোছনাারা ঢুকে পরে আমার ঘরে
    জানালার ফাঁক চুয়ে নিসংকোচে,
    লুটোপুটি খায় মসৃন শুভ্রতায়
    আছডে পড়ে মেঝে বালিশ বিছানায়
    নির্মল শব্দহীন কোমল মায়ায়,
    আদর আলোয় সোহাগ মেখে
    প্রশ্ন শুধায় তোমার মেনকা কেমন আছে?

    কি মাতাল মদিরা মেখে
    উচ্ছন্ন করেছিলো বাগান ঘাস ফুল,
    ভগবান চমকে উঠেছিল
    যুবতীর উদ্ধত ভালোবাসায়,

বিস্তারিত»

অমীমাংসিত

২১শে ফেব্রুয়ারী, ২০০৬, রাত প্রায় ১.৩০। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের আশেপাশে দূরে কোথাও মাইকে ভাঙা কণ্ঠে শহীদ দিবসের গান অনবরত বেজেই চলেছে। মাঝেমধ্যে ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে হর্ণ বাজিয়ে দ্রুতবেগে ছুটে যাচ্ছে বাস অথবা ট্রাক। দূর থেকে আগত এসব শব্দ যেন এক ধরণের ছন্দ তুলে এই নিস্তব্ধ, ছায়াঘেরা, নিরাপদ প্রাঙ্গণে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে। এবারের শীতটা যেন একটু বেশীই জেঁকে ধরেছে। কলেজের কয়েকজন গার্ড শেডের তলায় খোশমেজাজে আগুন পোহাচ্ছে,

বিস্তারিত»

সিসিবি’র এই ঋণ কোনদিন শোধ হবে না…

ব্লগিং তো দূরের কথা, সিসিবিতে যোগ দেয়ার আগে আমি বাংলা টাইপই করতে পারতাম না। সেই আমি আজ বই প্রকাশ করার সাহস দেখাতে পারছি! ভাবা যায়! এর কৃতিত্ব পুরোটাই সিসিবি এবং সিসিবির সকল সদস্যের। আপনাদের অনুপ্রেরণা, প্রশ্রয় এবং ভালবাসা ছাড়া এটি কখনোই সম্ভব হত না। সিসিবি’র এই ঋণ কোনদিন শোধ হবার নয়।

—-

হে সিসিবিবাসী,

আমার উপন্যাস- ‘বলের বদলে গ্রেনেড’

বিস্তারিত»