তিন নদীর মোহনার কাছাকাছি
বেলাভূমিতে ছোটখাটো মেলা।
আছড়ে পড়া ঢেউ এর নকশায়
মাকড়সাসম কাঁকড়ার বিচরণ।
ফাতরার বন থেকে ভেসে আসা
অংকুরিত সুন্দরী গাছের ফল
ঝাউবনের সামনে আরেকটি
ছোট্ট সুন্দরবনের সম্ভাবনা।
নিযুত কোটি ঝিনুকের খোলা
ছড়ানো সাদা এক মহাসড়ক
জলের শেষ সীমানায় সূর্য
ডুবে যাওয়ার আগে পরে
ছবি তোলার রঙঢঙের সাক্ষী।
আমার ক্যামেরার ফোকাস
সীমাবদ্ধ কেবলই প্রাকৃতিক দৃশ্যে।
লেম্বুর বনে সেই রাখাইন মেয়ে
তার বাগানবাড়ি কিংবা লেবু গাছ
কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না এখন।
চারপাশে খোলা ফিশফ্রাই মার্কেট
অক্টোপাস বা কাঁকড়াভাজার গন্ধ
উপেক্ষা করে চলে যাই সৈকতে।
শাক্য রাজার পাহারায় গৌতম বুদ্ধ
কিংবা পুরোনো নৌকার কংকাল,
সাগর কন্যার কাছে ভেসে আসা
ইরাবতী ডলফিনের অজানা কথা।
দূরের ট্রলারের মিটমিটে আলো
অবিরাম আছাড় খাওয়া ঢেউ
জোর বাতাসে একাকী আধশোয়া
চৌকিতে পড়া পূর্ণিমার জোয়ার জানায়
তোমার না থাকা সব আঁধার।
সাগর সঙ্গমে
© টিটো মোস্তাফিজ
২২ নভেম্বর ২০২৫
একা একা ঘোরাঘুরি করলে আঁধার তো হবেই। যাই হোক কবিতা চমৎকার হয়েছে। অনেকেই স্মৃতিকাতর হবেন।
ধন্যবাদ প্রিয়।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল