নিরাময় ঘর

বুলেট খরচ না করেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ জিতে চীন। কথিত আছে, তাদের ল্যাবরেটরীতে তৈরী করা করোনা ভাইরাস কোভিড অতিমারির কারণ। বিশ্বব্যাপী সেই মহামারি থেকে বাঁচতে লকডাউনের বকলমে মানুষ নিজেদের ঘরবন্দী করে। নিতান্ত প্রয়োজনে বাইরে বের হত মুখোশ পরে। প্রকৃতির সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে মানুষ। তাদের ঘরবন্দী থাকাকালে ক্ষতি গ্রস্ত প্রকৃতির নিরাময় শুরু হয়। সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি আবার দেখা যায় ডলফিন। লুপ্তপ্রায় প্রাণি বা উদ্ভিদের খোঁজ পাওয়া যেতে তাকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।

বিস্তারিত»

রিটার্ন হোম

অন্ধকার টানেল থেকে হঠাৎ নিজেকে আবিস্কার করি এক রেল স্টেশনে। সিঙ্গেল লাইন। পুব পশ্চিমে লম্বা। দক্ষিণে প্লাটফর্ম কিন্তু টিকিট ঘর বা যাত্রী ছাউনি নেই। নামফলকও নেই। সম্ভবত জরুরি প্রয়োজনে এখানে ট্রেন থামে। রেললাইনে স্লিপার দেখা যায় না। রেল বাদে বাকি স্থান ব্রকোলি রঙা পাথর বসিয়ে ঢাকা। স্টেশন থেকে উত্তরে নামার ঢালু পথ। তার শুরুতেই পূর্ব দিকে উত্তর-দক্ষিণে লম্বালম্বি একটি পুরোনো রেলের বগি। একটি বড় টবের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিস্তারিত»

রাতকুমারী

একদিন সকালে মানুষেরা বর্জ্য-দুষিত আখ্যা দিয়ে তাদের রাতকুমারী নদীটাকে নিংড়ে তুলে রকেট লঞ্চারে বসিয়ে আকাশের দিকে ছুড়ে দিয়ে চাঁদে পাঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তাকে ওরা আর চায় না। মেঘেরা রাতকুমারীকে চাঁদে যেতে না দিয়ে তাদের কোলে আটকে রাখে। সেখান থেকেই রাতকুমারী প্রায়ই বৃষ্টি হয়ে মানুষদের ভেজায়।

বিস্তারিত»

তিনটি আধুনিক উপকথা

সিংহভাগ

সিংহ, গরু, ছাগল আর ভেড়া মিলে অনেকগুলো পশু শিকার করেছে। গরু৷ ছাগল ও ভেড়াকে সিংহ বুঝালো শিকার করে জড়ো করে রাখা সমস্ত পশুই সিংহের প্রাপ্য। এটাকেই সিংহভাগ বলে। এমন সময় দৃশ্যপটে হাজির হলো তিনটে শেয়াল।

তাদের একজন বললো, ” আমি এই শিকারের তিন ভাগের এক ভাগ জরিমানা করলাম। কারণ সিংহ মশাইয়ের শিকারের লাইসেন্স নাই।”

আরেক শেয়াল বললো, ”

বিস্তারিত»

যত দোষ খরগোশের

একটা ছোট বাচ্চাও মনে করতে পারবে এরকম সময় আগে এক খরগোশ পরিবার এক পাল নেকড়ের কাছাকাছি বসবাস করতো। নেকড়েরা খরগোশদের জীবন যাপনের ধরন পছন্দ করতো না এবং সবকিছুর জন্য তাদের দায়ী করতো। তারা তাদের নিজেদের জীবন যাপন পদ্ধতি নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিল কারণ সেটা ছিল একমাত্র জীবন যাপন পদ্ধতি।
এক রাতে ভূমিকম্পের ফলে বেশ কয়েকটি নেকড়ে মারা গেল। এর জন্য নেকড়েরা খরগোশদের দোষ দিলো। কারণ,

বিস্তারিত»

স্বপ্নিল

বালকটি একা একাই খেলতো। একদিন একটা সাইকেলের চাকার রিমের পেছনে এক টুকরো লাঠি দিয়ে ঠেলে ঠেলে মনের আনন্দে ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের কাঁচা রাস্তা ধরে সে দৌড়ে বেড়াচ্ছিল। দৌড়াতে দৌড়াতে মফস্বলের রেল স্টেশনে পৌঁছে দেখে, একটা লম্বা ট্রেন প্রথম লাইনটাতে দাঁড়িয়ে আছে। তার অগ্রভাগে একটা কালো ইঞ্জিন মাঝে মাঝে ভোঁস ভোঁস করে তার চাকার কাছ দিয়ে সাদা ধোঁয়া (বাষ্প) আর মাথার উপর দিয়ে গাঢ় ধূসর রঙের ধোঁয়া ছড়াচ্ছে।

বিস্তারিত»

ছোটগল্প: আলো অন্ধকারে যাই

[এই গল্পটি মাস তিনেক লিখেছিলাম ব্লগ সূত্রে পরিচয় হওয়া (সিসিবি না) এক বন্ধুর প্রয়ান দিবসে। সেটাকে একপাশে সরিয়ে আলাদা গল্প হিসাবেও এটাকে পড়া যায়। সত্যিকার অর্থে গল্পটা লিখার জন্য আরও সময় আর মনযোগ দাবি করে। অনেককাল ধরে কিছু লিখি না বলে সবটুকু দেয়া গেল কিনা বলা মুশকিল। ভাবলাম গল্পটি আমার সিসিবির পাতায়ও থাক। সময় পেলে আবার এডিট কোরা যাবে। গল্পটিতে সময়ক্রম ইচ্ছা করেই ডিসরিগার্ড করা হয়েছে।]

বরফের কৃষ্ণচূড়া

আরেকটু উঠলেই চূড়ায় পৌঁছে যাব আমরা।

বিস্তারিত»

ফাহিয়ানের গল্প

এ ব্লগটা একটা পাবলিক প্ল্যাটফর্ম। এখানে ব্যক্তিগত কথা না বলাই ভাল, এ আমি ভাল করেই জানি। তবুও এখানে আমার অনেক লেখাই আছে, শুধু ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ নিয়ে। আমার লেখা ভ্রমণ কাহিনীগুলোতেও প্রায় সময় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাই বিবৃত হয় বেশী। এটা ব্লগের হয়তো অনেকে পছন্দ করেন না, তবে এর পেছনে আমার একটা লক্ষ্য থেকে থাকে। এসব পাঁচালিতে আমি মানবতার কথা বলতে চাই, আমার চোখে দেখা প্রকৃতির সৌন্দর্যের কথা বলতে চাই,

বিস্তারিত»

অমীমাংসিত

২১শে ফেব্রুয়ারী, ২০০৬, রাত প্রায় ১.৩০। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের আশেপাশে দূরে কোথাও মাইকে ভাঙা কণ্ঠে শহীদ দিবসের গান অনবরত বেজেই চলেছে। মাঝেমধ্যে ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে হর্ণ বাজিয়ে দ্রুতবেগে ছুটে যাচ্ছে বাস অথবা ট্রাক। দূর থেকে আগত এসব শব্দ যেন এক ধরণের ছন্দ তুলে এই নিস্তব্ধ, ছায়াঘেরা, নিরাপদ প্রাঙ্গণে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে। এবারের শীতটা যেন একটু বেশীই জেঁকে ধরেছে। কলেজের কয়েকজন গার্ড শেডের তলায় খোশমেজাজে আগুন পোহাচ্ছে,

বিস্তারিত»

নির্মেদ আকাশ

১.
হাসান চিৎ হয়ে শুয়ে আকাশ দেখছে। আজিমপুরের ঝকঝকে নীল এক টুকরো আকাশ। এক কোণায় অল্প কয়েকটা সবুজ পাতা, কী গাছ ঠিক চেনা যাচ্ছে না। তার প্রয়োজনও অবশ্য নেই। ঢাকা শহরে একমাত্র এই জায়গার গাছগুলোর পাতাই সবুজ। আর সব জায়গায় গাছের পাতায় ধুলোর স্তর আছে। পাতা নিয়ে অবশ্য কিছু যায় আসে না। আপাতত আকাশ পরিষ্কার, এতটুকুই স্বস্তি। পিঠের নিচে মাটি কিছুটা স্যাঁতসেতে লাগছে। বুড়ো আসগরকে এজন্য টাকা কম দেয়া লাগবে আজ।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট রম্যের দ্বিতীয় সংস্করণ ও ই-বুক প্রকাশ

‘ক্যাডেট রম্য’ নামে আমার একটা বই আছে। ২০১৬ সালের বইমেলায় বইপত্র প্রকাশন থেকে বইটি প্রকাশ পেয়েছিলো। মাত্র আটদিন বইটি মার্কেটে ছিলো। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মেলার পর বিভিন্ন কারণে বইটার হার্ড কপি আর প্রকাশ করা হয় নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ বইটির খোঁজ করেছেন। ‘ক্যাডেট রম্য’ নামে প্রথম আলোর অধুনালুপ্ত ফান সাপ্লিমেন্ট রস+আলো এবং দৈনিক ইত্তেফাকের ফান সাপ্লিমেন্ট ঠাট্টায় ২০১১-২০১৪ সময়কালে লিখেছি। ফলে, ‘ক্যাডেট রম্য’-এর এক ধরণের পাঠক শ্রেণী গড়ে উঠেছিলো।

বিস্তারিত»

বর্ষবরণ

৩১.১২.২০১৩                        সকাল ৮টা

টুকুনঃ এই আজকে কি অফিসে অনেক জরুরী কাজ আছে ?
টিটোঃ কেনগো ?
টুকুনঃ তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবে। আজকে থার্টির্ফার্ষ্ট।
টিটোঃ বসের সাথে দেখা করতে হবে।চোখের সমস্যাটা বেড়েছে। মনে হয় চশমা পাল্টাতে হবে।
টুকুনঃ অন্যদিন যাও।
টিটোঃ আজ ছাড়া আর ফাঁকা দিন কই।হরতাল অবরোধ কবে কাটবে কে জানে ? আচ্ছা দেখি তাড়াতাড়ি ফেরা যায় কি না ।

বিস্তারিত»

নন্দিনী

নন্দিনী, হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন। মেয়েটাকে কখনোই আমি ডাইসেক্ট করতে পারিনি। একটা মানুষ এতটা মিস্টেরিয়াস কি করে হতে পারে??? আজব নাহ! বলতে পারেন আমি সেই ভারসিটি লাইফ থেকেই তার পিছে ঘুরছি। আসলেই আমি বুঝতাম না যে সে আমাকে পাত্তা দিত নাকি এভয়েড করতো। কখনো সে নিজেই আগ বাড়িয়ে কথা বলতো অথচ ফেইসবুকে মেসেজ দিলে অনেক সময় ২ দিন পরেও সীন করতো না।কেমন যেনো একের ভিতর ২-এরকম ক্যারেক্টার ছিলো।

বিস্তারিত»