আজ আমি ভিষন বিভ্রান্ত
বিবর্তনবাদ কি মিথ্যা ?
একেবারে ফেলনা ?
কি বলে একাত্তর
কিংবা পঁচাত্তর ?
অন্তঃসত্ত্বা নারী
অবোধ শিশু
পিতার খুনে উল্লাসে
মেতে ওঠে দুপেয়ে
পশুর দল।
ওরা কি হায়েনা
বা হাঙ্গর নয়?
নরবেশী কিংবা বিবর্তিত!
যাদের রক্তবীজে
গজিয়ে উঠেছে
হাজারো বিষবৃক্ষ
স্থলে জলে অন্তরীক্ষে
সদম্ভ বিচরণ।
মুক্তিযুদ্ধে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
দুঃসহ এ বেদনার কণ্টক পথ বেয়ে
শোষণের নাগপাশ ছিঁড়লে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
যুগের নিষ্ঠুর বন্ধন হতে
মুক্তির এ বারতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
কৃষাণ-কৃষাণীর গানে গানে
পদ্মা-মেঘনার কলতানে
বাউলের একতারাতে
আনন্দ ঝংকারে
তোমাদের নাম ঝংকৃত হবে।
বেগম মুজিব
সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমান।
(বা থেকে শেখ কামাল, শেখ রেহানা, শেখ রাসেলকে কোলে বঙ্গবন্ধু, বেগম মুজিব, শেখ জামাল ও শেখ হাসিনা)
একটি মহীরুহকে ওরা চেয়েছিলো সমূলে উৎপাটন করতে।
চেয়েছিলো ওরা একটি চেতনাকে বিনাশ করতে।
আজ বেগম মুজিবকে নিয়ে বলি।
১৯৩০ সালের ৮ই আগষ্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ফজিলাতুন্নেছা জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র তিন বছর বয়সে পিতা শেখ জহুরুল হক ও পাঁচ বছর বয়সে মাতা হোসনে আরা বেগমকে হারান তিনি।
বিস্তারিত»ধোঁকামী, …অতঃপর, সি.এম.এইচ ভ্রমণ
ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে আমি ছিলাম দুর্দান্ত ভাল ছাত্র। আমার স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল জাহাঙ্গীর স্যার(বহিষ্কার হওয়া এক্স-ক্যাডেট), আমাকে ‘অ্যাটম বোমা’ উপাধি দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, আমি এম্নিতে শান্ত, কিন্তু পরীক্ষার সময় সবাইরে ফাটায়ে ফেলি আর কি! ধারে কাছে কেউ থাকে না। তো এই আমি ক্যাডেট কলেজে আসার পর সম্পূর্ণ বদলে গেলাম। অ্যাটম বোমা থেকে খুব দ্রুত সাধারণ পটকা হয়ে গেলাম। ক্লাস সেভেন লাইফটা ৪ থেকে ১০ এর মধ্যেই পার করেছি।
বিস্তারিত»আমার রেজাল্ট
২০০৩ সালের কথা। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেবার দিন। বগুড়াতে বাসায় ছিলাম। তখনও ইন্টারনেটে ফল দেয়ার চল শুরু হয়নি। মোবাইল নেটওয়ার্কের প্রসারও তেমন হয়নি। সবাই নিজেদের রেজাল্ট জানতে তখন মাঞ্জা মেরে স্কুলের নোটিশ বোর্ডের সামনে ভিড় জমাত। আমার কলেজ রংপুরে হওয়ায় আমার সে সুযোগটা ছিল না। সবেধন নীলমণি টিএন্ডটি ফোনই ছিল যা ভরসা। কিন্তু সে সময় বাসায় ফোনটা নষ্ট। রেজাল্ট জানার একমাত্র উপায় বাবার অফিস থেকে ফোন করা।
বিস্তারিত»ফেসবুকের মানুষগুলো (পর্ব-২)
এক
এই মাত্র রীহানকে খাইয়ে ঘুম পাড়ালো শর্মিলী। ছেলেটা ঘুমাচ্ছে কত সুন্দর করে। রীহানের বাবার সাথে কি আশ্চর্য ঘুমানোর স্টাইলের মিল! “ব্যাপারটা নিশ্চয় জিনগত”- ভাবে শর্মিলী। হঠাৎ করেই ছেলের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে শর্মিলীর চোখে পানি চলে আসলো।
আহারে ছেলেটা দেখতে দেখতে বড় হয়ে যাচ্ছে, আর কিছুদিন পর পাঁচে পা দিবে। স্কুলে ভর্তি করে দিতে হবে। ছেলে পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে,
বিস্তারিত»তৃষ্ণা
তৃষ্ণা
পড়শীর ডালপালায়
ক্ষনিকের আশ্রয়
পাতা চোয়ানো শিশির
কালাহারি তৃষ্ণা
অলিন্দের পাশে
নিলয়ের গভীরে
খুজে ফিরি শেকড়!
[ লেখেছিলাম এক কথা ভেবে কিন্তু পাঠক বিশ্লেষণ করেছেন অন্যভাবে । সেটি বেশ মজার । পাঠক – মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খান পলাশ আমার সহকর্মী বন্ধু। তাঁর মতামত দেখুন]
ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় একজন সমাজসেবা অফিসারের ধনপতি হওয়ার তীব্র আকাংখা এ কবিতায় ফুটে উঠেছে।
বিস্তারিত»ছেলে-ধরা
হয়তো আগেও সমস্যাটা ছিল সুপ্ত অবস্থায়, কিন্তু জিনাত বেগম এখন তা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছেন। বিশেষ করে আগের দিন শাকিলার বাসা থেকে ফিরে আসার পর থেকে। ফলাফল গতরাতের পুরোটাই কাটলো নির্ঘুম অবস্থায়। পরদিন সকালে উঠলো মাইগ্রেনের ব্যথা। অনিদ্রা আর মাইগ্রেন – একেবারে কান আর মাথা। একটা টানলে আরেকটা সুরসুর করে এগিয়ে আসে। সেই সাথে শুরু হবে আরও কিছু যন্ত্রণাদায়ক উপসর্গ। যেমন, খাবারের অরুচি, বমি বমি ভাব।
বিস্তারিত»আহারে সোনালী দিন !
বেজোড় ক্যাডেট নাম্বার হলেও হিউম্যানিটিজে পড়ার সুবাদে সাড়াটা ক্যাডেট লাইফ বি ফর্মেই কাটাতে হয়েছে। মাঝে মাঝে তিন জনের জন্য ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহৃত ছোট্ট খুপড়িটিও বিশাল মাঠ মনে হত স্কেল আর কাগজ দিয়ে ক্রিকেট খেলার জন্য। ঘুমের জন্য ওই রুম টার চেয়ে শান্তির জায়গা মনে হয় নিজের হাউজের রুমটাও ছিল না। রাতে তো ঘুম আসে না, ঘুম আসে টিচার দেখলে। আর সেই সময়ে ওই ছোট্ট রুমটার বিকল্প আর কোথাও ছিল বলে মনে হয় না।
বিস্তারিত»আইসিস ও অন্যান্য (১৮+)
সতর্কতাঃ
যারা ভয়ঙ্কর কিছু সহ্য করতে পারেন না, দূর্বল হৃদয়ের তারা লেখাটি না পড়লে ভালো হয়।
এমনকি যাদের নার্ভ শক্ত তারাও ধীর মাথায় পড়বেন।
আসুন হাত কাটাকাটি করি। (১৮+) শিরোনামে লেখাটি লিখেছিলাম ৫ মাস আগে। গেলো মাসে আমি কি মুসলিম বিদ্বেষী???শিরোনামে লেখা।
আমি হয়তো ধর্মকর্ম করি না।
বিস্তারিত»দ্য গ্রেট মিরাজ ভাই (৩/৪)
৩. মিরাজ ভাই
অবশ্য নীতু চিনিয়ে না দিলে যে আমি মিরাজ ভাইকে চিনতে পারতাম না, ব্যাপারটা এমন নয়। কারণ সেদিন বিকেলেই কলোনির খেলার মাঠে ঝড় ওঠে। ঝড় তোলেন মিরাজ ভাই। মহল্লা জীবনের অবধারিত নিয়মের একটা হল মাঠে খেলতে গেলে বড়ভাইদের সব কথা মুখে চেইন টেনে মেনে নেয়া। আমরা সিক্স-সেভেন-এইট-নাইনে পড়া ছেলেরা রীতিমত কলাপসিবল গেট মুখে এটে পাভেল ভাইয়ের সকল অবিচার মেনে নিই। পাভেল ভাই পড়েন ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে।
বিস্তারিত»দ্য গ্রেট মিরাজ ভাই ১/২
১. নীতু
মিরাজ ভাইকে আমি চিনতাম নীতুর কারণে। নীতুকে চিনতাম ন্যাংটাকাল থেকে। উনিশ শ একানব্বই এর যে রাতে বঙ্গোপসাগরের ঢেউ পোয়াতি নারীর তলপেটের মত ফুলে উঠেছিল, দশ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে চট্টগ্রাম শহর ডুবে গিয়েছিল, সেই রাতে রাবেয়া ক্লিনিকের গাইনি ওয়ার্ডে নীতুর মায়ের সাথে আমার মায়ের পরিচয়। রাত দেড়টার সময় দুইজন নার্স নিচতলা থেকে পাঁজাকোলা করে তুলে এনে নীতুর মাকে আমার মায়ের বিছানায় শুইয়ে দিয়ে যান।
বিস্তারিত»তুমি আমি রেললাইন
তুমি আমি রেললাইন রেললাইন
পাশাপাশি কাছাকাছি
আদিগন্ত সমান্তরাল
কোনদিন মেশে না।
হাত বাড়ালেই যায় যে ছোঁয়া
কাছাকাছি দুটি প্রাণ
পাশাপাশি সারাক্ষণ
মনে হয় পাশে না।
চোখ খুললেই যায় যে দেখা
এত কাছে তবু কতদূরে
দুপুর সাঁঝে রাত্রি ভোরে
মনে হয় দেখি না।
তুমি আমি রেললাইন রেললাইন
একসাথে ছুটে চলা
ইশারায় কথা বলা
কোনদিন মেশে না।
আষাঢ়ে নয়
শ্রাবণের খরা
আষাঢ়ে নয় আষাঢ়ে নয়
শাওন মাসের কথা,
রোদে পুড়ে ঘেমে নেয়ে
গর্মী ঘোরায় মাথা!
বর্ষাকালে ভিজলো কোথায় ?
গরম হল ছাতা !
খরার চোটে হলদে হল
সবুজ ধানের পাতা !
হালকা চাপের দখিন হাওয়া
সাগর থেকে এলে,
ভরবে তবেই উত্তরের
পুকুর ণই জলে !
শ্রাবণী
চকোর হতে চাইছে এ মন
চল উড়ে যাই আকাশে !
বাঙ্গাল ইউটোপিয়াঃ জলে যন্ত্রণা
বানৌজা ফিরোজ কবীর। দেশীয় প্রকৌশলীদের তৈরী প্রথম ডুবোজাহাজ। সজীবের নেতৃত্বে একঝাঁক নিবেদিতপ্রাণ প্রকৌশলী তাদের মেধা মনন কাজে লাগিয়ে একবছরে তৈরী করেছে ডুবোজাহাজটি। বানৌজা ফিরোজ কবীর ছুটে চলেছে বঙ্গোপসাগরের শেষ সীমানার দিকে। নারিকেল জিঞ্জিরা পাশ কাটিয়ে যাবার সময় বাকা প্রধান এডমিরাল নেপোলিয়ন উজরাত একটু স্মৃতিকাতর হলেন। এখানে এসে অদম্য রাহিম ভাই দম হারিয়ে ফেলেছিলেন ডুবোস্রোতে। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্রোতটির নাম রাখা হয়েছে রাহিম ঘূর্ণী।
বিস্তারিত»

