শেষ ট্রাক কিংবা একটা উপন্যাসের বই

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ড্রাফটিং হচ্ছে। এবার সরাসরি ক্যাডেট কলেজ থেকে ক্যাডেটদের নেয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক মনে হওয়ায় খুব দ্রুত ব্যাগ-ট্যাগ গুছিয়ে আবার রেডি-ও হচ্ছি। আমরা কয়েকজন আবার মাত্র জার্মানী থেকে একটা মহড়া দেখে আসলাম তাই আর নতুন করে কাপড় পাল্টাতে হচ্ছে না। হাউজের সামনে নিচে সবাই ফল-ইন আকারে দাড়িয়ে যাচ্ছে — কোন এক কারণে সবাই হাউজের দিকে হাত নাড়াচ্ছে যেন এইমাত্র তারা একটা ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে আসছে!

বিস্তারিত»

ভালবাসার একাল…সেকাল

‘ ভালোবাস মানুষেরে

যদি চাও তুমি তারে’ –

প্রেমিক শিল্পীর এই গান হৃদয়ে জাগরুক রয়েছে… আজীবন থেকেও যাবে। মানুষকে তো মানুষই ভালোবাসবে। আর আমরা এই কাজটি করার কথা ভাবলেই সর্বাগ্রে বিপরীত লিঙ্গের কথাই মনে করি।

যুগে যুগে এই ভালোবাসা তাঁর নিজস্ব রূপ নিয়ে আমাদের সামনে আবির্ভুত হয়েছে।

কেমন ছিল ভালবাসার যুগীয় রুপান্তর?

একটা সময় ছিল যখন কেউ ‘ভালবাসার জন্য দুরন্ত ষাড়ের চোখে লাল রুমাল’

বিস্তারিত»

দি সেভেন্থ সিল : তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া

যা দেখছি ইদানিং :
আমার খুব বাজে একটা অভ্যাস আছে। আমি মনে হয় বছরের দুইটা সময়ে সবচেয়ে বেশি মুভি দেখি। দুই সেমিস্টার ফাইনালের সময়ে। নেক্সট উইক থেকে ফাইনাল উইক… তাই ড্রেস রিহার্সেল হিসেবে উইকেন্ড থেকেই মুভি দেখা শুরু করে দিয়েছি অলরেডি। Ingmar Bergman এর প্রতি আমার রেসপেক্ট অনেক বেশি।উনার খুব বেশি মুভি দেখা হয়ে উঠেনি। তবে শুনেছি যে সুইডিশ এই ডিরেক্টর এর মুভি গুলো নাকি প্রত্যেকটাই মাস্টারপিস..

বিস্তারিত»

সিরিয়াল রিভিউ

ব্যানশী
আইএমডিবি লিঙ্ক

ব্যানশী দেখে শেষ করলাম এই উইকেন্ডে, দুই সিজনে মোট ২০ এপিসোড। দারুন লেগেছে, রেটিং করলে ফারগো, ট্রু ডিটেকটিভের পরেই ব্যানশীকে রাখবো।
ব্যানশী আমেরিকার একটি ছোট শহর, অপরাধী নায়ক জেল থেকে ১৫ বছর পরে ছাড়া পেয়ে তার প্রেমিকাকে খুঁজতে এসে নতুন নিযুক্ত শেরিফ খুনের সাথে জড়িয়ে যায়। ঘটনাক্রমে শেরিফের ব্যাজ এবং পরিচয় চুরি করে নায়ক, এবং ক্রিমিনাল থেকে শরিফ হুড বনে যায়,

বিস্তারিত»

আমার প্রেমিকাগন

তাঁরা প্রত্যেকেই একদিন নিজ থেকে সরে গিয়েছেন,
আমার মনে ভালবাসার জোয়ার নামিয়ে,
দেহে প্রেমের আন্দোলন তুলে।
আমি তাঁদের কারো পথ আটকাইনি,
অথবা জিজ্ঞাসা করিনি-
কেন ছেড়ে যাচ্ছো আমায়?

শুধু নির্লিপ্ত ভাবে
তাঁদের চলে যাওয়া দেখেছি
আর মনে মনে বলেছি: ভাল থেকো।
ভাল থেকো গানের পাখি
ভাল থেকো সান্ধ্য প্রদীপ
ভাল থেকো নীল পরী।

বিস্তারিত»

বোধোদয়

ছাদ ঢালাই গতকাল শেষ হল।

ক’টা দিন যা গেলো! বছর খানেক ছোটাছুটি করেও হয়তো এতোটা ক্লান্ত হতেন না আশরাফ। একতলা এই বাড়িটা তার কাছে একটা অবসেসন! একটা স্বপ্ন! যা আজ বাস্তবে রূপ পেলো। কম তো কষ্ট করেননি। তারপরও ফ্রেশ একটা সন্তুষ্টির অনুভূতির বদলে মনের ভিতরে কিসের যেন একটা কাঁটা বিঁধে থাকার অনুভূতি পাচ্ছেন।

নতুন বানানো সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠে গেলেন। ছাদের চারপাশে শক্ত মাটি দিয়ে বাঁধের মতো বানানো হয়েছে।

বিস্তারিত»

চুমু

।।
পরশ পাথরের ছোঁয়ায়,
চোখ যেন অশ্রু
হৃদপিন্ড রক্তের নদী,
ঠোঁট যেন চুমু
তোমার ছোঁয়া অশ্রুর মুক্তো
রক্ত নদীতে,অব্যক্ত বেদনার নীল
নিঃশেষে চুমু শুষে নেয়।
যেন শিরা উপশিরায় আগ্নেয়গিরি,
উত্তপ্ত রক্তকণিকার চিৎকার
ত্বকে জ্বলে ওঠে স্ফুলিঙ্গ
মুচড়ে ওঠা হৃদয় হাহাকার করে বলে
ভালোবাসা প্রেম নয়
সহস্র ভ্রুকুটির কালনাগ হেরে গেলে
চুমু অমৃত তখন
#
সমস্ত স্বপ্নের অবসান

বিস্তারিত»

সাবিহা জিতুর “ভালো মেয়ে” পড়ার পর……

এই মোটামুটি স্বল্প ট্রাফিকের ব্লগসাইটের (র‍্যাঙ্কিং ৭ লাখের আশেপাশে। হিট সংখা ১৩ শো-এর মত। দৈনিক আয়ের সামর্থ্য ৪ ডলার মাত্র) ডাকসাইটের একজন লেখক সাবিহা রহমান জিতু।
সাবিহাকে চিনি সেই ২০০৩ থেকে যখন সে এম আই এস টি-তে ছাত্রী হিসাবে এলো। তখনো আমি পিভটাল রিসোর্স পারসন হিসাবে ওখানকার এমবিএ প্রোগ্রামটা দু হাতে সামলাচ্ছি।
এর ভিতরে পদ্মা মেঘনায় অনেক জল গড়িয়েছে। সাবিহা অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গিয়ে লিখালিখিটাও শুরু করেছে।

বিস্তারিত»

ইনসোমনিয়া

আমাদের সেইন্টমারটিন পার হয়ে,
দেশের জলসীমায় কিম্বা তারও বাইরে
কোন এক অজানা দ্বীপে হারিয়ে যাবার কথা ছিল।
তোমার স্বপ্ন ছিল বালিয়াড়ি থেকে খানেকদূ্রে,
বাশের একটা ছোট্ট ঘর, আর অর্কিড।
আমার চাহিদা আরো ছোট,
একটা বারান্দা আর ঝোলানো হ্যামক।
আমাদের কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যাবার কথা ছিল।
কথা ছিল সিং শোর ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে
ছবি তুলবো একদম মনের মত করে,

বিস্তারিত»

বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও

বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও

এর মধ্যে বেশ কয়েকদিন এই ব্যপারটা ঘটেছে। মনে বেশ দোলা দিয়েছে। পুরোনো স্মৃতির নতুন দোলা। কাকতালিয়ভাবে পরপর কয়েকদিন দেখি ঘড়িতে ৬টা বেজে ২৮ মিনিট। অর্থাৎ ৬.২৮ বাজে। আমার ক্যাডেট নম্বর ৬২৮। খুব স্বাভাবিক ভাবেই মনের অজান্তে ক্যাডেট কলেজের অনেক স্মৃতি স্ট্রীম অফ কনশাসনেসের মত একে একে ভেসে আসে। আর এটাই তো স্বাভাবিক! আমার মনে হয় ঘড়ির কাঁটার সাথে নিজের ক্যাডেট নম্বরের মত এমন চিরসঙ্গির সঙ্গতি দর্শনে আমার মত যে কোন ক্যাডেটের মন আলোড়িত হবে।

বিস্তারিত»

ইয়াহু চরিতঃ বাল্যখিল্য কড়চা

গোলবাস্টো মোমারেন এভলেস গুরডিলো শেফিন মুলি উলি গিউ

লিলিপুটদের সর্বশক্তিমান সম্রাট যিনি একই সাথে বিশ্বের আনন্দ ও ভীতি, পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত যার সাম্রাজ্য, যিনি রাজার রাজা, মানব সন্তানদের থেকেও উঁচু, যাঁর পদভারে জমিন কাঁপে, যাঁর মাথা সূর্যকে স্পর্শ করে এবং যার আঙ্গুলের হালকা ইশারায় পৃথিবীর সমস্ত রাজার হাঁটু কাঁপে, যিনি বসন্তের মত মনোরম, গ্রীষ্মের মত আরামপ্রদ, শরতের মত ফলপ্রসু কিন্তু শীতের মত ভয়ংকর ।

বিস্তারিত»

সখী ভালবাসা কারে কয়

ভালবাসা কি জানতে চেয়ে যে প্রশ্নবোধক চিহ্ন পাঠালে তার উত্তরে বলি,
ভালবাসা হলো হঠাৎ বৃষ্টির দুপুরে ধোঁওয়া ওঠা খিচুরি আর বেগুন ভাজার পাশে এক চামচ ঘি
গ্লোরিয়া জিনসে কফির কাপে চকিতে চুম্বন
অথবা তার আধ খাওয়া বারিটোয় আলতো কামড়,
রাস্তার ঐ পাড়ে জানালার শিকে একটি ভীরু মুখ
অথবা তার অবিন্যস্ত বাদামী চুলে একটি রূপার কাটা।
ভালবাসা মানে হলো প্রিয়ার ঘুম ঘুম ঠোঁটে জন্মের প্রতিশোধ
অথবা তের নদীর ওপাড়ে কনিয়াকবিহীন একজোড়া মুগ্ধ চোখ,

বিস্তারিত»

ফ্রেঞ্চ কিস্

ঢংঢংঢং …… গীর্জার ঘন্টায় ঘুম ভাঙল। চোখ মেলেই দেখি সিলিং থেকে ঝুলছে ঝাড় বাতি। অবাক হবার পালা! এ আমি কোথায়এলাম! অচেনা ঘর? নাকি হারিয়ে গেছি আমি? মনটা বড় ভুলো। এসেছি তো একটা লম্বা ছুটি কাটাতে, কিন্তু দুষ্টু মনটা যেন রয়ে গেছে কর্মব্যস্ত জীবনে। ঘুম ভাঙল ছুটিতে,মন রয়ে গেল অফিসে। তাতে কি? আড়মোরা ভেঙে, গরম লেপটা সরিয়ে,পা রাখলাম -১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঘেরা স্যুইটজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে, আমার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শয়নকক্ষে।

বিস্তারিত»

ইয়াহু চরিতঃ বাল্যখিল্য মূল্যবোধ

250px-Gullivers_travels

 

 

 

 

 

 

লিমুয়েল গালিভার ছিলেন এক মহাপণ্ডিত। ইয়াহু জাতির বৈশিষ্ট নিয়ে ভয়ানক নাক সিটকাতেন। এজন্য তাকে অনেকে মঙ্গল গ্রহের মানুষ বলতো। মনুষ্য সমাজে তিনি জোনাথন সুইফট নামে পরিচিত ছিলেন। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করে উদ্ভট চিন্তাধারা আর আজব সব প্রথা সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করেন  তিনি।

বিস্তারিত»

করাতটা উপরে পাঠান। মগডালে বইসা আছি। সময় থাকতে কাইটা ফালাই।

প্রফেসর ডঃ জাফর ইকবাল। আমার মতে উনার হেটার্স ক্লাবের স্পেকট্রামের মত বড় স্পেক্ট্রামের হেটার্স ক্লাব আর কারো নাই। বাম, ডান, মধ্যম, আধা-বাম-কিছুটা-ডান, ছুপা সুশীল ইত্যাদি সবাই উনার কথাবার্তায় কম বেশী তেড়েফুঁড়ে উঠেন। কারণ সময়-অসময়ে উনার মতামত, চিন্তা-ভাবনা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। স্পেক্ট্রামের মানুষগুলো যেন আশা করে বসে থাকে, কবে মানুষটি একটি বিতর্কিত কথা বলবেন। কিন্তু যখন এই মানুষটি কিছু কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন, ভবিষ্যতের ভয়াবহ পরণতির কথা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চান তখন উনার পাশে মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না।

বিস্তারিত»