আমার ঘুমানোর পায়জামাটার পেছনে একটা পকেট আছে। দুদিন ধরে লেখাটা সেখানেই।সাথে নিয়েই ঘুমাচ্ছিলাম।পাশে ঘুমায় আমার‘বিয়ে করা বৌ, সারাদিনের ক্লান্তিশেষে। কিন্তু কোথায় হারিয়ে গেলো আমার চোখের ঘুম? কেন আমি ঘুমাতে পারিনা গত ক’রাত ধরে? পা টিপে টিপে বাথরুমে যাই, পকেট থেকে লেখাটা বের করে কলম দিয়ে ‘হাইলাইটেড’ করা অংশগুলো আবারো পড়ি। কেউ একজন ভেতর থেকে চিৎকার করে আমাকে বলছে, ‘প্লিজ, এসবকে উপেক্ষা করো, বাদ দাও এসব,
বিস্তারিত»অডিও ব্লগঃ তিন
১ আমার মা তার জমানো সব সিকি আর আঁধুলী দিয়ে আমাদের জন্য একদিন হারমোনিয়াম কিনে নিয়ে এলেন। ওস্তাদজী সুনীল ধর এলেন আমাদের দুই বোনের তালিম দিতে। সপ্তাহে দুইদিন ওস্তাদজী আসেন সন্ধ্যার পর। ঐ দুইদিন আমাদের পড়াশোনা মাফ। বড় আপা আর আমি প্রতিদিন ভোরবেলা রেওয়াজ করতাম। ওস্তাদজী এলে বাবা চায়ের কাপ হাতে নিজেও বসতেন আমাদের পাশে, পান চিবোতে চিবোতে আঁচল টেনে মাও এসে বসতেন বাবার পাশে।
বিস্তারিত»বছর জুড়ে প্রেম আমার
(১)
জল না ঝরে গ্রীষ্ম চলুক
বছর জুড়ে তোর চোখে
দুঃখ গুলো হোক আমারি
থাক তবু তুই খুব সুখে।।
(২)
সুখ হোক তোর বর্ষাকালের
রোজ অবিরাম বৃষ্টি
আমার উপর পড়ুক যত
দুখের কটু দৃষ্টি।।
আজ রাতে
নভেম্বরের শালপাতার মত হুট করে ঝরে গেছে ছায়াটা,
গলিত আত্মার গন্ধে মুখরিত স্বর্গতঃ শ্মশান!
নর্দমার উপরে হেঁটে যাওয়া গোমরামুখো স্যুটেড লোকটার মত ( শাহবাগের আজিজে যেমন।)
বেমানান অথচ বাস্তব একটা ছায়া গিলে খেয়েছে দম দেয়া ঘড়িটা।
এখনও সূর্যের নির্লজ্জ ওঠানামা দেখি বিব্রত জানালায়!
অথচ অতিক্রান্ত সময়ের ক্লান্তি আমাকে ছোঁয় না!
একটা ছায়া আমার ঘড়িটা গিলে খেয়েছে!
আজ রাতে তাই নিস্তরঙ্গ চোখে সুনামি হবে।
স্বর্গের কিনারায়
১. গড়ুড়
গড়ুড়ের পিঠ নয়, পেটের ভেতর থেকে আমরা জনা শ’য়েক মানব সন্তান যখন যোগজাকার্তার ভেজা কংক্রিটে ভূমিষ্ঠ হই, বেলা গড়িয়ে তখন দুপুর। কলিকালের গড়ুড়- এর দেহ ধাতব, খাদ্য তরল জ্বালানি। মহাকায় মহাবল পৌরাণিক আদিপুরুষের মত তেজবীর্য এর নেই, ইনি ঈন্দ্রের বজ্রাঘাতে মৃদু হেসে একটি পালক উপহার দেন না, বরং পূরো দেহটাই বিসর্জন দেবার সম্ভবনাই বেশি। তবু হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে এরা বিশ্বময় উড়ে বেড়াচ্ছে প্রতিদিন।
বিস্তারিত»শেষবার মন ভাঙ্গার পর
শেষবার মন ভাঙ্গার পর
কি একটা হয়েছে যেন আমার,
তোমার ছবির দিকে আজকাল
তাকাতে পারি না আর একেবারেই –
যদিওবা চোখ পড়ে অগোচরে,
সেইচোখ আটকে যায়
ছবির তোমাতে
ঠোটে-গালে-গলায়-মুখে
যেখানে যেখানে তোমাকে ছুয়েছে
আমার দুর্দমনীয় ভালোলাগা-ভালবাসা।
তোমার ছবির দিকে আজকাল
তাকাতে পারি না আর একেবারেই –
নাহ্! এটা কোন ঈর্ষা নয়
কিংবা নয় কোন ক্ষোভ
এ কেবলি জানা যে -,
“পুরাতন ইঞ্জিনে নতুন বগি”
কেউ বলেন, “রাজনৈতিক সমর্থন ছাড়া নাকি মানুষ হয় না, এমনকি পাগলেরও নাকি রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন থাকে”। আরেকটু টেনে বললেও ভুল হবে না, হয়তোবা এদেশে কেবল একমাত্র পাগলেরই রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন থাকে! কোনো একটি বিশেষ দলের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থন থাকাটা অনেকের ক্ষেত্রেই আবশ্যক নাও হতে পারে, তবে রাজনৈতিক দর্শন হয়তো সবার একটা থাকা ভালো। আমারও একটা রাজনৈতিক দর্শন থাকতেই পারে যা আমাকে দেশ নিয়ে স্বপ্নবাজ করে তুলতেই পারে বা আমার ভেতর একটা ভিন্ন রাষ্ট্রকাঠামোর আকাঙ্ক্ষা তৈরী করতেই পারে।
বিস্তারিত»জার্নাল মালয়েশিয়া
১। প্রথম দেখা
আমার শ্যামল বাংলা- তার পূবে ব্রম্মদেশ, তারও পরে শ্যাম রাজ্য। সেখান থেকে লম্বা একটা বকের পা যেন দক্ষিনে সমুদ্রের ভেতরে চলে গেছে অনেক দুর। এটাই মালয় উপদ্বীপ। যার দক্ষিন অংশ আজকের মালয়েশিয়ার প্রধান ভাগ, যাকে পেনিনসুলার মালয়েশিয়া বলা হয়। চীন সাগরের ওপারে বিশাল বর্নিও দ্বীপে আছে আরো দুটি প্রদেশ- সাবা ও সারাওয়াক।পঞ্চাশের দশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে স্থান হবার পর ইদানীং রীতিমত উন্নত বিশ্বের সারিতে স্থান করে নিতে সচেষ্ট।
বিস্তারিত»ঢাবিকে নিয়ে এক কিস্তি…
ভাবছিলাম এটা নিয়ে কিছু বলবো না, কিন্তু আর থাকতে পারলাম না। লিখেই ফেললাম আমার প্রিয় ঢাবিকে নিয়ে।
একবার ক্লাস শেষে ডাকসুর সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। কোন এক বাম দলের ‘বিরাট’ মিটিং হচ্ছে। কংক্রিটের রাস্তায় বসা দুইজন শ্রোতার চেয়ে মঞ্চে উপবিষ্টের সংখ্যা বেশি। মাইক বাজছে তারস্বরে। রাস্তা খোড়া শুরু হলেও বাঙ্গালী দাঁড়িয়ে যায় মনোযোগ দিয়ে দেখার জন্য। আর সেখানে এত জ্বালাময়ী বক্তৃতা! আমি তো বাঙ্গালীই!
বিস্তারিত»এক্স ক্যাডেট আমি
ঘুম ভাঙেনা হারি আপে
মার্চ আপে আর হয়না লেট
হয়না দেখা বাইরে আমি
ডাইনিং হলে বন্ধ গেট।
হয়না করা পিটি আজ আর
করিনা জয়েন প্যারেডে
করিনা আজ আর রিকুয়েস্ট দোস্ত
জুতা পালিশ করে দে।
কার্তিক – অগ্রহায়ণ
কার্তিকের ঘুঘু
পাকুড়ের শিখরে
ঘুঘু ডাকে ঘু ঘু করে
ডাকে তার সাথীরে
মাঠে ঘন দুধ জমে
কাঁচা পাকা ধানে
আয় ঘুঘু ঘু ঘু করে
ঘুঘু ডাকে ঘুঘুরে
নিয়ে আয় খড়কুটো
বাসা গড়ি দুজনে
ঘুঘু ডাকে ঘু ঘু করে
ডাকে তার সাথীরে
চরে চরে চরে চরে
চল ঘরে ঘুঘুরে
ঘুঘু ডাকে ঘু ঘু করে
কার্তিকের দুপুরে।
গেজেটেড গরীব
ছেলে ক্যাডেট কলেজের ছাত্র। জেলা সমাজসেবা অফিসার। ফার্ষ্টক্লাস গেজেটেড অফিসার। একদিন সচিব হবেই। বিয়ের আগে এসবই বলেছিল পাত্রপক্ষ। আমিও রঙ্গীন স্বপ্নের জাল বুনছিলাম। কিন্তু স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হল। আমার অধমার্ধ আসলে গেজেটেড গরীব।
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে নিয়োজিত কিন্তু নিজেই নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। যুগের সাথে তালও মিলাবে না। বড্ড সেকেলে। তারই এক সহকর্মী প্রায়শ বলে- “সাপ কুইচা ব্যাঙ, যা পায়াম খায়াম” ।
বিস্তারিত»অডিও ব্লগঃ দুই
রাগঃ দরবারী কানাড়া
ঠাটঃ আশাবরী
সময়ঃ মধ্যরাত
রাগ দরবারী কানাড়া কে কখনো কখনো শুধুমাত্র দরবারী নামেও ডাকা হয়। ফার্সি শব্দ দরবার (কোর্ট) থেকে হিন্দী দরবারী শব্দটি এসেছে। কর্ণাটক ঘরানায় এই রাগের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়।
ষোড়শ শতকে সম্রাট আকবরের দরবারের সঙ্গীতজ্ঞ মিয়া তানসেন এই রাগের প্রচলন ঘটান উত্তর ভারতীয় সঙ্গীতে। দরবারী কানাড়া কে রাজার রাগ অথবা রাগের রাজা বলে অভিহিত করা হয়!
বিস্তারিত»দুই চাকার দিনলিপি- ১ (ট্যুর ডি কুয়াকাটা)
[বিচ্ছিরি রকমের বড় ব্লগ। ছবি বড় করে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করতে হবে]
১.
সিদ্ধান্তটা নেয়া হলো হুট করেই। শহীদুল্লাহ হলের পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে প্রাত্যহিক রুটিনের অংশ হিসেবে আমরা ফুচকা খাচ্ছিলাম। আমরা বলতে আমিন ভাই, এহসান ভাই, ইমতিয়াজ, জামান এবং আমি। ঈদের ছুটি তখন আসি আসি করছে, আর মাত্র কয়েকদিন। আমিন ভাই খেতে খেতে হঠাৎ বলে উঠলো – “ধূর মিয়া, তোমাদের দিয়া কিছু হইবোনা।”
খবর, ইতিবৃত্ত আর ভ্রষ্টদের উপাখ্যান -০১
আকিজ ঠিক যে মুহূর্তে ঘোষ এর দোকান থেকে সন্দেশ দিয়ে উদর পূর্তি করে বের হল, ঠিক তখনি খবরটা তার কানে এল । এত বড় আশ্চর্যজনক ঘটনা কিভাবে ঘটে যেতে পারল তা নিয়ে বকুল চত্ত্বরের সজ্জাদ, রাজীব, আল আমিন , কচাতলার মোড়ের ফাহিম হায়দার,মিল্টন এবং গৌতমের চায়ের দোকানে বসে সকাল থেকে মাঝরাত অব্দি আড্ডা মেরে চলা রসুল,সিরাজ আর পান্নুর মতই তারও চিন্তার কোন অন্ত রইল না।
বিস্তারিত»