প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৪: অথঃ ইমিগ্রেশান)

এদেশে এসেছিলাম এক বছরের ভিসা নিয়ে। তবে ভিসা হাতে পাওয়ার তিন মাস পরে এদেশে আসার কারনে হাতে আর সময় ছিল মাত্র নয় মাস। এর মাঝেই চাকরী-বাকরী খোঁজা, গোধূলির জন্ম, এসব করতে করতে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসলো। তখন মেয়াদ বাড়ানোর জন্য অ্যাপ্লাই করলাম, পেয়ে গেলাম আরও চার বছরের জন্য। এই চার বছর যখন শেষ হবে তখন আমাদের এদেশে অবস্থানের সময়কাল হবে চার বছর নয় মাস।

বিস্তারিত»

সংখ্যা : কপিল, পিথাগোরাস

সংখ্যা : কপিল, পিথাগোরাস

আয়োনীয় গ্রিক দার্শনিক ও গণিতবিদ পিথাগোরাস সংখ্যা ও সংখ্যাসংক্রান্ত দর্শন সম্পর্কে কথা বলে ঝড় তুলেছিলেন। সেই হিসাবে উনাকে এই দর্শনের অগ্রণীও ধরা হয়। তবে সেটা কেবল পাশ্চাত্যেই। আসলে পিথাগোরাসের জন্মের একশত বছর আগেই এই সংখ্যা দর্শন প্রবর্তন করেছিলেন আমাদের বাংলারই সন্তান কপিল।

প্রথমে আমি পিথাগোরাস সম্পর্কে দুকথা বলবো তারপর কপিল সম্পর্কে কিছুকথা বলবো।

পিথাগোরাস

সামোসের পিথাগোরাস (প্রাচীন গ্রিক: Πυθαγόρας ὁ Σάμιος Pythagoras the Samian,

বিস্তারিত»

থালেস (খ্রীষ্টপূর্ব ৬২৪ – খ্রীষ্টপূর্ব ৫৪৬): গ্রিসের প্রথম দার্শনিক

থেলিস (খ্রীষ্টপূর্ব ৬২৪ – খ্রীষ্টপূর্ব ৫৪৬): গ্রিসের প্রথম দার্শনিক

থেলিস (মিলেটাসের থালেস, Thales of Miletus (/ˈθeɪliːz/; Greek : Θαλῆς (ὁ Μιλήσιος); খ্রীষ্টপূর্ব ৬২৪ – খ্রীষ্টপূর্ব ৫৪৬)। তাঁকেই গ্রিসের প্রথম দার্শনিক ধরা হয়। সেই হিসাবে তিনিই পাশ্চাত্য দর্শনের জনক।

থালেস ছিলেন এশিয়া মাইনর-এর মাইলেটাসের অধিবাসি। এটি ছিলো একটি উন্নত বাণিজ্যিক শহর। সেখানে এক সময় ধনী ও দরিদ্রদের মধ্যে দাঙ্গা শুরু হয়। সেই শ্রেণী-সংগ্রামে প্রথমে দাসরা জয়লাভ করে ও ধনীদের শিশু ও নারীদের হত্যা করতে শুরু করে।

বিস্তারিত»

হাত ও প্রভাতফেরী

হাত

“এইখানে, স্যার, শালা মুক্তির বাচ্চা এই পোড়া ঘরের মইদ্দে মইরা পইড়া আছে , আমি খবর পাইয়া আপনেরে জানাইলাম-পাকিস্তানরে বাচাইতে এইগুলারে শ্যাষ করন লাগবো”-এক নি:শ্বাসে শুনলাম রাজাকারটার কথা| একা ছিলাম, আশে পাশে কাউকে না পেয়ে নিজেই ঢুকলাম ওর সাথে| মুক্তিবাহিনীর এই কমান্ডার খুব জ্বালিয়েছে, ব্যাটার লাশটা নিয়ে যেতে পারলে ক্যাপ্টেন থেকে আমার মেজর হওয়া ঠেকায় কে! পাক আর্মি বলে কথা!!

উল্টে পড়ে আছে লাশটা,

বিস্তারিত»

ক্যাডেট জীবন নিয়ে বই প্রকাশ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি: আলীম হায়দার।

ক্যাডেট কলেজের জীবনে বেড়ে ওঠা শৈশব কৈশোরের আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, বিদ্রোহ ও প্রেম নিয়ে দুটি উপন্যাস পাওয়া যাচ্ছে এবারের অমর একুশে বই মেলায়, প্রথম উপন্যাস : রক ক্যাডেট, দ্বিতীয় উপন্যাস: বুড়ো বালকের দল, স্টল নাম্বার ২২০-২২১, জয়তী প্রকাশনী, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এছাড়া আমার দুটি কবিতার বই (১) চিত্রপট এবং (২) গাঙ গিরি গন্ধবহে পিঙ্গলে পিঙ্গলে, বইদুটিও পাওয়া যাচ্ছে একই স্টলে।
ধন্যবাদ ।

বিস্তারিত»

এ টি এম শামসুজ্জামান ও কয়েকটি প্রশ্ন

এটিএম শামসুজ্জামান এর জন্ম ১০ই সেপ্টেম্বর ১৯৪০ সালে। অভিনয়জীবন ৫৩ বছর। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার হিসাবে পরিচিত আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বা এ টি এম শামসুজ্জামান বা শুধুই এ টি এম। গ্রাম্য বদ মাতব্বর বা দুষ্ট কুচুটে চরিত্র হিসাবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি অনেকটা মাইলফলক করে ফেলেছেন। উপরোক্ত চরিত্র মাথায় আসলেই প্রথমেই মনে আসে এ টি এমের কথা।

যদিও তিনি চলচ্চিত্রে ১ম কাজ করেন পরিচালক উদয়ন চৌধূরির বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ১৯৬১ সালে। 

বিস্তারিত»

বেলা শেষের অবেলায়

সুর্যটা ডুবতে বসেছে।
সেই সাথে রাসেল ও। ত্রিশ বছরের জীবন এতো দ্রুত শেষ হয়ে যাবে…
ডিমের কুসুমের আকার নিয়ে রক্তিম ভানু অস্তাচলে যাই যাই করছে। সামনে পিছনে আঁধারের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে এক অপুর্ব বিষাদময়তা লেজের মত অদৃশ্য রশ্মিতে বাঁধা! সামনে কেউ নেই। পেছনে অনেকে থেকেও নেই।
একা একজন মানুষ।
স্মৃতির মিনারে আজনম ক্লান্ত এক পথিক পথের শেষে এসে বিষন্ন প্রহর গুনছে!

কি করছে এখন রেবেকা?

বিস্তারিত»

প্রণয়োন্মাদের প্রলাপ-৩

দু’হাতের মুঠোয় হৃদয়খানি ধরে যদি সামনে আসি,
এবারের মত গোলাপ না দিলেও চলবে??

আজ হাত ধরে হাঁটি যদি, মেঘ মিলায় যতদূরে;
কালকে আমার একটু দেরি সইবে তো?

কথা ভুলে গিয়ে যদি বোকার মত হেসে ফেলি,
বুঝে নিও, সে তোমার হাসি দেখে।

সন্ধ্যাবেলায় আমার পাশে থেকো না আর।
নাহয় বিলুপ্ত করে দাও, সকল সোডিয়াম বাতি।
হলদে আলোর মায়া তোমায় ছাড়তে দেয় না।

বিস্তারিত»

ইয়াহু চরিতঃ দৈত্যরাজের অজ্ঞতা

ব্রডডিংনাগ দেশের মানুষ গুলো দৈত্যাকৃতির। মানুষ যত লম্বা হয় তার বিচারশক্তিও সেই অনুপোতে কমতে থাকে। তাদের শিক্ষানীতি ত্রুটিযুক্ত।ওদের শুধু শেখানো হয় নীতিজ্ঞান, ইতিহাস কাব্য ও গণিত। দৈত্যদের রাজা একদিকে যেমন জ্ঞানী আবার তার অজ্ঞানতাও সীমাহীন। রাজার উত্তম কুটনীতিক হওয়া উচিত তা তিনি মানতে রাজী নন। রাষ্ট্রকে অনেক বিষয় গোপন রাখতে হয় তাও তিনি মানতে নারাজ। তাঁর ধারণা- রাষ্ট্রের কোন গোপনতা রক্ষার দরকার নাই, সবকিছু তাৎক্ষনিক সমাধান করে ফেলাই ভাল ।

বিস্তারিত»

অনুভব

আঙুলে আলতো ছুঁলে তোমায়
কেন জাগে শিহরণ?
শরীর কি জানে মনের ইতিহাস?
তোমার এঁটো কাপে
ঠোঁট ছোঁয়ালে কেন
শরীর জুড়ে সাইরেন?

মাথার উপরের নীল ছাদে
চাঁদের ঝাড়বাতি ঝুলে আছে
রাতের পর রাত পেরোলো ঘুমহীন,
ভাবনারা জট পাকালো
মন মাকড়সার জালে।

ধুলোময় পথ মাড়িয়ে তোমার
পা দুটো হোক না মলিন
আলোর আবীরে ছুঁয়ে দেব সিঁথি
ভাবনার বুক চিরে
চলুক না সুখের তরী
আজ,

বিস্তারিত»

শহীদ মেজর মাহবুব

মেজর মাহবুব

বেদনার সব কথা মানুষ বলে না!
– আহসান কবির (১/১৭; বিসিসি)

প্রিয় মাহবুব
তুই পড়বিনা জানি,তবু এই চিঠিখানা পাঠিয়ে দিলাম!
ফেসবুক আর এসএমএসের যুগে আজকাল আর কেউ চিঠি লেখে নারে মাহবুব। তুই না ফেরার দেশে চলে যাবার মাসে(২৮ ফেব্রুয়ারি,২০০৯) আকাশের ঠিকানায় তোকে একটা দীর্ঘ চিঠি লিখেছিলাম। শপথ নিয়ে বলেছিলাম,মাহবুব তুই বিশ্বাস কর,আমি আর কখনো পিলখানা যাব না।

বিস্তারিত»

সরষে ফুলে মৌমাছি

সরষে ফুলে মৌমাছি

ঝাপসা মোটেই নয়কো বাতাস
মাঘের শীতে কনকনে
রোদের আলোয় পষ্ট বটে
নয়তো মোটেই গনগনে।

আমোদেতেই আছেন তারা
আলসে মোটেই নয়কো যারা
নাই অজুহাত
মাঘ বোশেখে
কাঠফাটা রোদ
কিংবা শীতে
চপল হিমে
কিংবা ঘামে
সদাই যেন চনমনে
জানতে পেলুম গুঞ্জনে।

ফুলে পাতায় জমাট শিশির
হীরের মত ঝলমলে
শীতল হাওয়ায়
ঢেউ খেলে যায়
হলদে সবুজ মখমলে।

বিস্তারিত»

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ তে “নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই “

অনেকদিন পর সি সি বি তে এলাম। সাময়িক ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘদিন কোন পোস্ট দিতে পারিনি। সবাইকে আগাম বসন্তের শুভেচ্ছা। ইতিমধ্যে এক ঝাঁক নতুন লেখকদের দেখে বেশ ভালো লাগছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ তে প্রকাশ পেয়েছে আমার প্রথম কবিতাগ্রন্থ ” নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই”।

সিসিবির কাছে আমার অনেক ঋণ। আমার সেই অপরিপক্ক লেখাগুলো প্রকাশ করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সিসিবি ছিলো প্রথম মাধ্যম। অনেকেই না না ভাবে সমালোচনা,

বিস্তারিত»

না-গল্প তিন: তোড়ার জন্য

ইন্টার্নশিপ চলাকালেই পারিবারিক আয়োজনে বিয়েটা সেরে ফেলে ডাঃ হৃদয় ইসলাম। কনে টুম্পা তখন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ পড়ছে। কথা হয়, এখনি আনা নেয়া হবে না। দুজনেই যেহেতু পড়াশুনায় ব্যাস্ত, আগে পড়াশুনার পাট তো চুকুক তারপরেই না হয় সুবিধা মত ঘটা করে ওসব করা যাবে খন।
এরেঞ্জমেন্টটা কনে পক্ষের জন্য খুব একটা সুবিধাজনক না হলেও প্রথম সারির সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে সদ্য পাশ করা তুখোড় ছাত্র এবং হ্যান্ডসাম ও স্মার্ট এই পাত্রের কাছে কন্যাকে পাত্রস্থ করতে পারার সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি হলেন না কনেপক্ষ।

বিস্তারিত»

শাপে বর

ডিসক্লেইমারঃ এটি কোন ধর্মীয় পোষ্ট না, আমাদের মত নিতান্তই সাধারন কিছু মানুষের মনস্তাত্বিক বিশ্লেষনের প্রচেষ্টা এবং আমার অযোগ্য দর্শনচিন্তাপ্রসূত লেখা।

মানুষ স্বভাবতই দূর্বলচিত্তের অধিকারী। আর এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে যুগের পর যুগ আধুনিক পুজীবাদী উদ্যোক্তাশ্রেনীর বুদ্ধিমান মানুষগুলো নিজেদের জীবিকার সন্ধান খুজে নিতে চেয়েছে। ধর্মে যেহেতু ব্যাবসাকে জীবিকার প্রথমসারির হালাল পন্থা বলে রায় দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠিত বানিজ্য-শিক্ষার পাঠ্যপুস্তকগুলোতে বিপননের পদ্ধতি হিসেবে বাইবেলের মত বাধাধরা কৌশলগুলোর মধ্যে বারবার ভোক্তার মনস্তাত্বিক চাহিদা বিশ্লেষন করে কার্যপন্থা গ্রহনের উপর আলোকপাত করা হয়েছে,

বিস্তারিত»