নিলীন তুষারকন্যা

নিলীন তুষারকন্যা
—————- ড রমিত আজাদ

গিয়েছিলাম পরের ক্ষেতে,
হিমের সাথে ভাব জমাতে।
হলুদ ফুল আর ঘাসের মাঠে,
তুষার জমে চাদর পাতে।
চারিদিকে সাদার খেলা ঝলোমলো,
আকাশ ঢাকা ঘন মেঘে কালো কালো,
এই বুঝি এই ঝুপঝুপিয়ে সন্ধ্যা এলো,
সন্ধ্যা তো নয় রূপ জ্বালানো কন্যা এলো।
তুষার দেশের কন্যা সে যে!
তাই বুঝি তার চরণ পাতায়,

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ বাংলা গানের বুলবুলি

ক্যাডেট কলেজে বাংলা সংবাদ শোনাটা আমাদের বাধ্যতামূলক ছিল। “সব ক’টা জানালা খুলে দাও না” শুরু হলেই টিভির ভলিউম বাড়ানো হতো আর আমরা পড়িমরি করে ছুট লাগাতাম টিভি রুমের দিকে। দেশের খবর শোনাতে আমাদের আগ্রহ ছিল না মোটে, আমরা বরং এই গানের টানে যেতাম সেখানে। “ওরা আসবে চুপিচুপি যারা এই দেশটাকে ভালবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ” শুনলেই দিন শেষের ঝিমিয়ে পরা রক্ত উত্তাপ ছড়াতো সেই কৈশোরে!

যে মানুষটির গান শুনে দেশ আর মাটির প্রতি আমাদের প্রজন্মের ভালবাসা জন্মেছে তাঁর নাম আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৫)

পূর্বের পর্ব: প্রবাসে প্রাকৃতজন: পরিবেশ পরিচিতি (১ম ভাগ)

একদিন স্কুল থেকে ফিরে গোধূলি জানালো যে তাদের ক্লাসে একটা নতুন মেয়ে এসেছে, নাম লীয়াহ। কয়েকদিন পরেই পরিচয় হল লীয়াহর বাবা অ্যান্ডির সাথে। ভদ্রলোক পেশায় অর্থপেডিক সার্জন, (তাঁকে আমি ফাজলামো করে মাঝে মধ্যে বাংলায় হাড়-কবিরাজ বলে ডেকে থাকি) । আমাদের মিডল্যান্ডস এলাকায় বেশ নাম ডাক ওয়ালা কনসালটেন্ট। আদিতে নাইজেরিয়ান, দীর্ঘদিন স্লোভানিয়াতে ছিলেন। গায়ে গতরে নেহায়েত মন্দ না,

বিস্তারিত»

দ্য লাস্ট পেইন্টিং

আজিজ মিসির আর রেবেকার ডিভোর্স হয়েছিল পনের বছর আগে । সেটার একটা যুক্তিযুক্ত কারণ ও ছিল।দেশের একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হিসেবে মিসির নিজের ছবি, আর্ট কম্পিটিশন নিয়ে এতোটা ব্যস্ত থাকত। বড় লোকের মেয়ে রেবেকা যদিও ওকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল, কিন্তু ওর ওকে সময় না দেয়াতে সে ধীরে ধীরে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে মিসিরের উপরে।
রেবেকার বাবা-মা যদিও মেয়ের বিয়েটা মেনে নিয়েছিলেম, কিন্তু তাঁরা চাইতেন ভার্সিটি থেকে চারুকলায় গ্রাজুয়েট মিসির ছবি আঁকা ছেড়ে দিয়ে একটা সরকারি জবে ঢুকে যাক।

বিস্তারিত»

অস্তিত্বের সংকট…

মোদের দেশে মানুষ তো নেই-ই,

মোদীর দেশেও নেই,

মোদীর কলে জ্যান্ত মানুষ

হিন্দু হয়েই রই!

 

দাঙ্গাবাজি আর অস্ত্রবাজি

হচ্ছে শিশুর খেলা,

গুম, খুন আর অপহরণ

বাড়ছে লাশের মেলা।

 

নিরাপত্তা দেবেন যারা

বিক্রি টাকার কাছে,

অশ্লীলতা-ধান্দাবাজিও

ঘুরছে তাদের পিছে।

বিস্তারিত»

বিমূর্ত জোছনায় মোহনা

বিমূর্ত জোছনায় মোহনা
—————– ড রমিত আজাদ

ঐ নদী তোলে ঝড়, সুরের লহরী, ঢেউয়ের মাতম তুলি,
ঐ সাগরের বুকে হারিয়েছে নদী, বাসনা হৃদয় খুলি,
সাগরের ঢেউ আর নদীর প্রবাহে মোহনায় মাতামাতি,
বিমূর্ত জোছনা উথাল হয়েছে, আহলাদে রাতারাতি।

ধরাধরি করি জড়ায়েছে দেহ, পাণির উপরে পাণি,
নবীন কেশের ঘ্রাণ জড়িয়েছে, হৃদয়ে আঁচর টানি,
তবুও সাধনা, এখানে মোহনা,

বিস্তারিত»

কাব্যধর্মি ধারাবাহিক নাটিকা – ১ম ও ২য় কিস্তি

এটা একক অভিনয়ের জন্য লিখার প্রক্রিয়াধীন একটি কাব্যধর্মি নাটিকা। একক অভিনয়, একক মূকাভিনয় (নেপথ্য বর্ননার সাথে), অথবা একক নৃত্যাভিনয় যে কোন মাধ্যমেই এটা ফুটিয়ে তোলা সম্ভব বলে এটার লেখক মনে করেন। তবে ডাইরেক্টর যেটা সবচেয়ে ভাল মনে করবেন, সেটা করার স্বাধীনতা তার থাকবে। লিখা শেষ হলে এটা প্রযোজনায় লেখকের কোন অনুমতি লাগবে না। তবে লেখককে জানানো হলে ও ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করে লেখককে ট্যাগ করা হলে তিনি খুবই খুশী হবেন।

বিস্তারিত»

টুবিতা মালা

১। (ভূমিকা)
আপন মনে,  গেলাম  বুনে, টু-লাইনের কবিতা
– আদর করে নাম দিয়েছি ‘টুবিতা’।।

 

২। (গৌরচন্দ্রিকা)

আমি বলি, আমারেও ধরিলো কি ও রোগে?
ছড়া কেটে ঘুরি কেন কবিদের সড়কে!

 

৩। (হুমায়ুন আহমেদ স্মরণে)
গল্প থেকে মানুষগুলো নামিয়ে দিতেন বাস্তবে,
হঠাত বলে গেলেন চলে, ‘আজ এখানেই থাক তবে’

 

বিস্তারিত»

বাড়ি ফেরা

বাসায় ফেরার দিনে সময়টা খুব দ্রুত কেটে যায়। সকল কাজকর্ম অন্যদিনের তুলনায় একটু আগেই শেষ করে ফেলতে ইচ্ছে হয়। করেও।একটু তাড়া থাকেই। সহকর্মীদের মৃদু হাসি…আসন্ন কোনো ষড়যন্ত্রের আভাস কি? যার উৎপত্তি ওদের যার যার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে।

বাইরে বের হতে হতে সোয়া সাতটা বেজে যায়। অন্যরা আরো পনের মিনিট আগেই বের হয়েছে। অফিস গেটের সামনের চায়ের দোকানগুলোতে অলস আড্ডা দিচ্ছে কেউ কেউ।

বিস্তারিত»

ফিরে দেখা

২০১১ সালের সেপ্টেম্বর এর মাঝামাঝি । আমরা সাত দিনের শিক্ষাসফরে । জলপাই রঙের লক্কর ঝক্কর মার্কা কলেজ বাসে করে বেরিয়েছি । দিনের অধিকাংশ সময় কাটছে বাসের ভেতর যেন । নিজেদের বোঁটকা গন্ধে নিজেদেরই নাড়ি উল্টে আসে । আমরা যারা ষড়যন্ত্র করে পেছনের সিটগুলো দখল করেছিলাম, তাদের বাইরের মানুষদের বিরক্ত করেই সময় কেটে যেত । পাশ দিয়ে একটা মোটরসাইকেল যাচ্ছে,ওমনি আমরা  “ও ভাই!

বিস্তারিত»

মিষ্টিমুখর বউ…

ঘ্যানঘ্যানানী প্যানপ্যানানী
খ্যাচর ম্যাচর নয়,
বিনামেঘে বজ্রপাত?
আর প্রাণে না সয়।

মলিন-মুখো হও কেনো গো?
কারণ-অকারণে,
রও সদাহাস্য শান্তিমুখর,
ঢালো মিষ্টি মধু কানে।

“নানান ফুলের মালা হয়ে
স্বামীর ঘরের শোভা?”
চাই না সেতো তোমার কাছে
যার সবই ক্ষণপ্রভা!

আবার বিকেল হলেই
চপ সিঙ্গারা ভেজে বসে থাকা?
চাইনা সেটাও তোমার কাছে
করছি যেসব আধা।

বিস্তারিত»

আমি জেলে আসার পর

মূল কবিতাটি টার্কিশ কবি নাজিম হিকমেত রানের।কবিতার নাম:Ben içeri düştüğümden beri,অনুবাদ করা সবসময়ই কঠিন কাজ,আর তা যদি হয় নাজিম হিকমেতের কবিতা তা আরও কঠিনতর হয়ে ওঠে।এটাই আমার প্রথম অনুবাদ,সময় সুযোগ আর সাহস পেলে আরও টার্কিশ কবিতা অনুবাদের দুঃসাহস দেখাবো

আমি জেলে আসার পর সূর্যের চার পাশে দশ দশবার ঘুরে এসেছে পৃথিবী,
পৃথিবীকে জিজ্ঞেস করলে বলবে দশ বছর? এতো কিছুই নয়,অণু পরমাণুর মতই ক্ষুদ্র এক সময়।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি-১০

আমার প্রাণের পরে চলে গেলো কে

বসন্তের বাতাসের মতো একটা পোস্টকার্ড এসেছে আজ অফিসের ঠিকানায় – সেখানে সবকটা গাছে আগুন লেগে আছে আর হ্রদের উদ্দামরকমের নীল পাড়ে থোকা থোকা সে-আগুন উল্টো ঝুলে আছে। আমি ব্যস্ত ঢাকার ভেতরে এক ডুবে সাঁতরে সে হ্রদের পাড়ে গিয়ে মাথা তুলতে’ পৃ-র দেখা পেয়ে যাই। তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছিয়ে দিতে দিতে বলে – কতক্ষণ ধরে ডাকছি!

‘এই ভালো।

বিস্তারিত»

একটি গান লিখার প্রচেষ্টা…

লিখতে বসেছিলাম একখানা পদ্য। লিখার পর মনে হলো, এটা কি পদ্য হলো নাকি গান?
সঙ্গিতে দখল-সম্পন্ন ভাই ও বোনেরা, দেখুন তো এটা গানের শর্ত পুরন করে কিনা?

ইচ্ছে ছিল,
একদিন তোমার সাথে সাগর দেখতে যাবার।
ইচ্ছে ছিল,
একদিন সৈকতে বসে সাগরের ঢেউ গুনবার।
ইচ্ছে ছিল,
একদিন ভেজা নোনাবালুতে পা ঢুবিয়ে হাটবার।
ইচ্ছে ছিল,
একদিন ঢেউ-এর চুড়ায় জ্যোৎস্নার ভাঙ্গন দেখবার।

বিস্তারিত»

নক্ষত্রেরা ফিরে গেছে

সারাদিন কর্মব্যস্ত। সেই সাড়ে পাঁচটার পর নিজের বলে কিছু সময় পাওয়ার শুরু। আসলেই কি নিজের সময় বলে কিছু রয়েছে ওর জীবনে। অফিস আওয়ারের পরে বাসায় সময় দেয়া। বাসা বলতে বাসাই। এখনো যখন বাড়ি হয়ে উঠেনি, বাসাই বলতে হচ্ছে। ছোট্ট একটি শান্তির নীড়… কিন্তু ওর বাসাটা ছোট ঠিকই, তবে শান্তি রয়েছে কিনা… সেটি পরীক্ষার বিষয়। পাখির বাসা দেখে দেখে সেরকম একটা বাসার কল্পনা করেছে। কিন্তু পাখি কখন বাসা বাঁধে?

বিস্তারিত»