সকালে হোটেলের রিসেপসনে ডাক পড়লো। ওলফ ওয়ান্ডারস নামে সিমেন্স থেকে একজন ভদ্রলোক এসেছেন। ওলফের সাথে রাতে কথা হয়েছিল। নিজেকে পরিচয় দিয়েছিলেন লিয়াজো অফিসার হিসাবে। রিসেপসনে এসে জানা গেল তিনি শুধু লিয়াজো অফিসারই নন, সিমেন্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের এক জন শিক্ষকও বটে। তিনি আমাদের শেখাবেন হাইকম টেলিফোন এক্সচেঞ্জের নেট ওয়ার্কিং। ওলফের চেহারায় একটা সারল্য আছে, আর আলাপ চারিতায় আছে বন্ধুতা। পরিচয় পর্বের পর প্রত্যেককে একটি করে রেল পাশ আর পাতাল রেলের রূট ম্যাপ ধরিয়েদিলেন।
বিস্তারিত»জার্নাল মালয়েশিয়াঃ আরো কিছু
মালয়েশিয়া নিয়ে লেখা লেখি প্রায় শেষ। আর বড়জোর ২ – ১ কিস্তি। এর পর অন্য কোথাও পাঠকদের নিয়ে যাবার আশা রাখি।
পাসির সালাক গ্রামের একটা ইতিহাস আছে অগে বলেছিলাম।
ইংরেজের রাজ্য বিস্তারের কাল তখন। মালয় উপদ্বীপেও তার সদম্ভ উপস্থিতি। ছোট খাট স্থানীয় রাজ্য গুলো আপাতঃ স্বাধীন কিন্তু আসলে করদ রাজ্য বিশেষ। কোন কোন রাজ্যে আবার সরাসরি ইংরেজের শাসন। অনৈক্য আর পিছিয়ে পড়া জনগন নিয়ে তেমন কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে উঠে না।
বিস্তারিত»শীতের ছবিঃ ছবির শীত
যাহ, উইন্টার শেষ হয়ে গেল! প্রতিবছর শীতের শুরুতে ভাবি জম্পেশ কিছু ছবি তুলব। গ্রামীণ এলাকায় থাকি… উঁচু-নিচু খোলা মাঠ, ফার্ম হাউজ, গাছপালা নিয়ে দারুণ সব স্নো-স্কেপ মাথায় আসে। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে সেসব ছবি মাথাতেই থেকে যায়। আলসেমির কারণে আর ঠান্ডার ভয়ে ফটোওয়াক তেমন একটা হয়ে ওঠে না। এবারো একই ঘটনা!
আসলে বরফের মধ্যে ছবি তোলার ঝামেলাও অনেক।
বিস্তারিত»অনন্তের স্বপ্ন
কী চাইনা মাপতে মাপতে যখন ভুলে গিয়েছিলাম –
কী চাই আমার?
অথবা,
কী চেয়েছিলাম অন্য কোন এক জীবনে?
ঠিক তখনি, তোমার আবির্ভাব।
প্রচণ্ড খরা শেষে আমি তখন ঝড়ের প্রতীক্ষায় –
সবকিছু ভেঙে চুড়ে ফেলবার মত –
যে ঝড়ে পথ হারায় সবাই।
তুমি এলে, আর,
আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামলো।
জন্মজন্মান্তরের ব্যাকুলতা তোমার কণ্ঠে –
আমার কানের পাশে মুখ নামিয়ে বললে,
স্বপ্নমাখা নকশীকাঁথা
গায়ে জড়ানো নকশী কাঁথাটার বুননে
কতগুলো স্বপ্ন জড়িয়ে আছে কে জানে!
কতগুলো আঙুলের দু’পিঠ আর তালুর
স্পর্শ আছে সেলাই এর প্রতিটি লাইনে।
কাঁথা মুড়ে শুয়ে যে কবি একান্ত নিভৃতে
মনে মনে রূপরেখা এঁকে চলে কবিতার,
আর দরদী আঙুলের নরম ছোঁয়া যার
কাব্যময় করে তোলে নকশী কাঁথাটাকে,
তারা উভয়ে কিছু কিছু স্বপ্ন দেখে থাকে।
সেসব লুকিয়ে থাকে কাঁথার ভাঁজে ভাঁজে।
অলপোয়েট্রি.কম
অলপোয়েট্রি.কম
কবি হবার তেষ্টায়
মরে গেলুম চেষ্টায়
কাব্য সমুদ্রে লোনা জল।
জ্বি, আপনি ঠিকই ধরেছেন। এটি হতে পারতো আমার এই পোষ্টের সম্ভাব্য শিরোনাম। ক্যাডেট কলেজে থাকা অবস্থায় পানিসমেন্টের হুমকিও আমাকে এক লাইন কবিতা গোছের কিছু লেখাতে পারেনি।মাঝে মাঝে একটু ভাব জেগে উঠত বটে। কিন্তু ঐ যে কে যেন বলেছিল- “ সব শালাই কবি হতে চায়,
বিস্তারিত»পাঠ প্রচেষ্টা – বনলতা সেন
জীবনানন্দ পড়ার মতন দুঃসাহসে প্রবৃত্ত করার জন্যে মাহবুব ভাইকে দায়ী করতে চাই আমি সবার আগে। আর আপনাদের যদি কিছুমাত্রও ভালো লাগে এ পাঠ তাহলে ধন্যবাদটিও তাঁরই প্রাপ্য।
বনলতা সেন
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
এক পশলা বৃষ্টির মত
ইদানিং ভীষণ বাজে ভাবে কেটে যাচ্ছে দিনগুলো- পিএইচডি’র থিসিস শেষ করা, নিয়মিত ক্লাসের পড়ানো+গ্রেডিং, ইত্যাদি নিয়ে দৌড়ের উপর আছি। তার উপরে দেশে বিনা-বিচারে খুন, প্রকাশ্য রাজপথে যৌন সন্ত্রাস, রাজনৈতিক নেতাকর্মীর হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি+শিক্ষক নির্যাতন, ইত্যাদি চরম হতাশাজনক খবর অনুভূতিগুলোকে কুড়ে কুড়ে খেয়ে যাচ্ছিল। সিসিবি’তে বড় ভাইদের লেখার বন্যাও খুব একটা নাড়া দিতে পারছিল না। এমন সময়ই বেঙ্গল টাইগাররা পরপর দুই ম্যাচে পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেট দলকে গো-হারা হারিয়ে দিল।
বিস্তারিত»মেডেল মেডেল খেলা – একটি দুষ্টু কবিতা
– “কেমন ছিলাম?”
– “আসল পুরুষ!”
– “মেডেল কোথায়?”
– “ঐ দেখোনা, বাম বাহুতে”
– “ও মা! সেকি?
বাহুতে মেডেল
যায় নেয়া কি?
আচ্ছা যখন দিয়েছই,
থাক না ওটা
লাল টুকটুক আরেকখানা
চুমুতে গড়া মেডেল আঁকা
চাই যে আমার বুকের প’রে”
– “সেকি কথা? এক ইভেন্টে
দুইটি মেডেল যায় কি দেয়া?”
–
দর্প হরণ পার্ট টু
“ আমার গায়ে বল মারছে কে? পিটিয়ে সবগুলার হাড্ডি গুড়ো করে ফেলবো” চিৎকার শুনে পেছনে ফিরে তাকালাম। দেখলাম আমাদের ক্লাসের দস্যুরানী ফুলনদেবী নীতু ক্লাসের এক কোনায় রংবাজি করছে,এক হাতে তার বিশেষ অস্ত্র স্টিলের স্কেল, আরেক হাতে পানির বোতল। আর তার সামনে জড়োসড়ো ভঙ্গিতে নিরীহ কয়েকটি ছেলে। এটি আমাদের ক্লাসের মোটামুটি কমন একটি দৃশ্য।
নীতু মেয়েটার কথা একটু বলি, আমাদের ক্লাস সিক্সের ক্যাডেট কোচিং এর সবচেয়ে বাঁদর মেয়ে এই নীতু।
বিপন্নতার সাক্ষী
সমস্ত অহংকারগুলো ভেঙ্গে পড়ছে ।
একে একে সব । টুকরো কাঁচের মতো ।
অবহেলায় অনায়াসে ব্যবচ্ছেদ বিম্বিত
যেনো একরাশ হৃদয়ের ক্ষত !
বিহবলতায় ভাবি দুস্তর আমি ও তাহারা,
অনাগত দিনের লাগি রাখতে পারি কতোটা পাহারা !
বুঝি নির্বিচারে পড়ছে খসে পলেস্তরা,
আড়-আড়ম্বর, ঐতিহ্য, সন্তানেরা !
বিপন্ন বোধের প্রান্তরে প্রোথিত ও বুঁদ হয়ে,
জীবনেরে খুঁজি আজ ধবংসস্তুপ নাকি দেবালয়ে !
বিষাদ বিলাসী
প্রতিটি প্রদর্শিত হাসির গভীরে
আমি পাই চাপাকান্নার আওয়াজ।
শোকগাঁথা শোনাই কি আমার কাজ?
প্রতিটি উচ্চকিত অট্টহাসির পেছনে
আমি সচকিত ফিসফিসানি শুনি,
আমি কি কেবলই এক বিষন্ন মুনি?
রৌদ্র করোজ্জ্বল দিনেও আমি দেখি
আকাশের ঈশান কোণে মেঘের চক্রান্ত
আমি কি সত্যিই এতটা সংশয়াক্রান্ত?
মধুর সঙ্গীতগুলোই বারবার,
আমার হৃদয় করে যায় ছারখার
শেলীর কথাই কি তবে,
‘আমিই পুরুষ’
খোলা ময়দানে একা
প্রহরাহীন, প্রতিরোধহীন
অক্লেশে, আকাশে তাকিয়ে
বলতেই পারি
‘আমিই পুরুষ’।
গভীর রাতে একাকী পথে
কুকুরের ডাক অগ্রাহ্য করে,
নিশুত পাখির ভয় জাগিয়ে
চিৎকার করে বলতেই পারি,
‘আমিই পুরুষ’।
মিছিলে শ্লোগানে বুক চিতিয়ে
কালো রাজপথ বুকের রক্তে রাঙিয়ে,
বিস্তারিত»ইস্যু যখন ইস্যু
প্রিন্ট-মিডিয়া কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইস্যু কিভাবে হারায় ?? ইস্যু ২ ভাবে হারায় ।
১. কন্ট্রোভারসিয়াল বা ডিমোরালাইজিং কোন ইস্যুর পরপর যখন কোন এন্টারটেইনিং কিংবা গ্লোরিফাইং ইস্যু চলে আসে। পহেলা বৈশাখ ইস্যুর পরপর এখন যেমন বাংলাদেশের ক্রিকেট সিরিজ চলে আসা। ১৬ বছর পর বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে ওয়ানডে জিতেছে এই ইস্যুতে এখন ফেসবুক গরম, পহেলা বৈশাখ মনে রাখার আর কি দরকার ??
২.
বিস্তারিত»তিনটি আটপৌরে কবিতা
এক: বিচ্ছেদ-১
========
বন্ধু বলেছিল –
ছ’টা মাস যাক, শোক ও সক দুই-ই নাকি কেটে যাবে ধীরে ধীরে।
চারটা মাস তো কাটলো প্রায়
কৈ কিছুই তো কাটছে না আমার?
কাজের ফাঁকে আজ হঠাৎ এসে ভর করলে তুমি মাথার ভিতরে
কি এক শুন্যতায় ভরে গেল চারিটা ধার
খালি খালি হয়ে উঠলো বুকের গহ্ববর
জিভ শুখিয়ে কাঠ।
