যাহ, উইন্টার শেষ হয়ে গেল! প্রতিবছর শীতের শুরুতে ভাবি জম্পেশ কিছু ছবি তুলব। গ্রামীণ এলাকায় থাকি… উঁচু-নিচু খোলা মাঠ, ফার্ম হাউজ, গাছপালা নিয়ে দারুণ সব স্নো-স্কেপ মাথায় আসে। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে সেসব ছবি মাথাতেই থেকে যায়। আলসেমির কারণে আর ঠান্ডার ভয়ে ফটোওয়াক তেমন একটা হয়ে ওঠে না। এবারো একই ঘটনা!
আসলে বরফের মধ্যে ছবি তোলার ঝামেলাও অনেক। গ্লাভস পরে ছোট ছোট বাটন আর নব নাড়াচাড়া করা যায়না। আবার খোলা হাতে বেশীক্ষণ থাকলে হাত অবশ হয়ে যন্ত্রপাতি পড়ে যাওয়ার জোগাড়। এছাড়া বেখেয়ালে পিছলে পড়ে হাত পা, অথবা ভাগ্য বেশী খারাপ হলে, ক্যামেরা ভাঙ্গাও অসম্ভব না। তাই এই সময় বাসার অথবা গাড়ির জানালা থেকে ছবি তোলাই আমার বেশী পছন্দ! কবি তো বলেই রেখেছেন— “দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া…”, আমি না হয় আরো বেশী ঘর-প্রেমী! সত্যি কথা বলতে কি, বেশ কয়েকটা পছন্দের ছবি এভাবেই তোলা। যেমন, এই নিঃসঙ্গ পাতাটাকে দেখেছিলাম বাসার জানালা দিয়ে।
আর বৃষ্টি দেখেছি বাচ্চার স্কুল বাসের অপেক্ষায় গাড়িতে বসে।
তাছাড়া বারান্দা থেকে প্রায়ই যে সব দৃশ্য চোখে পড়ে তাতে মনে হয় ঘরেই বেশ আছি! কি দরকার শখ করে বিপাকে পড়ার?
Stuck (২০১০)
আমার মাথায় আসে না এর মধ্যেই কেউ কেউ এক্সারসাইজ রুটিন কিভাবে ধরে রাখে! মানুষ পারেও!
ভাল কথা, সাইকেল আরোহীর এই সুন্দর ছবিটা কিন্তু আমার না, এটা নোভার তোলা।
বরফের সাথে আমার ওঠাবসা তাই শিল্পিক না হয়ে মোটামুটি দা-কুমড়া ধরণের হয়ে দাড়িয়েছে। ড্রাইভওয়ে আর সাইডওয়াক থেকে স্নো হটিয়ে বিশাল আনন্দ পাচ্ছি। পরিপাটি ভাবে কাজটা করতে পারাও অবশ্য একটা “আর্ট”! এরকমই এক দিন যুদ্ধসাজে আমার ছবিটা তুলেছিল নোভা।
সেদিন বিজয়ের পর মুক্ত সাইডওয়াকে নোভাকে দেখা যাচ্ছে…
অবশ্য কালে ভদ্রে যে ছবি তোলার জন্য বের হই না তা নয়। এই তো গতবছর হাটতে গিয়ে দেখা পেলাম আরাম করে রোদ পোহানো এই ত্রি-যুগলের।
আর পেয়ে গেলাম বরফের উপর পড়ন্ত বেলার সোনা রং। ইস, যদি নিয়মিত বেরুতে পারতাম!
শীতের কয়টা মাস মনে হয় সবাই সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে কোথায় যেন চলে গিয়েছে। পড়ে আছে রূপকথার নির্জন এক ঘুমপূরী। এই সময়টার কিন্তু অন্যরকম একটা বিষণ্ণ সৌন্দর্য আছে। তাই না?
জীবন এর মাঝেই সবার অগোচরে পায়ে পায়ে এগিয়ে যায় উষ্মতার দিকে।
… বসন্তের বরফ গলানো পাখিটার অপেক্ষায়।
The first birdie in the yard,
with the last melting snow.
Hint, hint, Mr. Winter! Isn’t it time to go?
কি আর করা, শীত যখন কেটেই গেল এবার বসন্তের ছবিতে মন দেই। একটা জরুরী কথা বলে যাই …বরফের মধ্যে ছবি তোলার সময় কিছু টেকনিকাল খুটিনাটি মনে রাখতে হয়। সবকিছু উজ্বল সাদা হয়ে থাকার কারণে এক্সপোজার আর হোয়াইট ব্যাল্যান্স ভজঘট হবার সমূহ সম্ভাবনা। বিস্তারিত জানতে আগ্রহীরা এখানে আর এখানে ঘুরে আসতে পারেন।
পূনঃ তুষার মানব ছাড়া কি শীতের গল্প জমে? তাই—
ব্লগে স্বাগতম সাদিক ভাই। অসাধারন, অসাধারন সব ছবি, সাথে টুকরো কথা।
নিয়মিত লেখা/ছবি চাই, হ্যাপি ব্লগিং 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
অনেক ধন্যবাদ আকাশ!
পা ভাল হয়েছে আশা করি।
প্লাস্টার খুলেছি ভাই, আপাতত লাঠিতে ভর দিয়ে হাটাহাটি করছি।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂 🙂 🙂 🙂
ব্লগে সুস্বাগতম, ভাইয়া!
চমৎকার একটা ছবি ব্লগ দিয়ে যাত্রা শুরু হলো তোমার। আমাদের এখানে প্রতি তিন বছরে একবার স্নো পরে। তাই ছবি ব্লগই ভরসা বলতে পারো। তোমার ফাটাফাটি ছবি দেখে চোখ জুড়াল। আমাদের সাথেই থেকো।
ধন্যবাদ আপা। আপনাদের unputdownable লিখাগুলি পড়ার জন্য অনেক দিন ধরেই আশেপাশে আছি 🙂
২০০২-এর শুরুতে আটলান্টায় স্নো পেয়েছিলাম... ২-৪" তুষারেই সারা শহর কাবু! পরের তিন চার বছর আর দেখেছি বলে মনে পড়ছে না।
:boss: :boss: :boss: :boss:
দুর্দান্ত কাজী সাদিক
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
:shy: :shy: :shy:
লজ্জা পাইসি বস্!
আজকে এমনিতেই সুপার ব্লগিং ডে চলছিল।
এইটা পেয়ে তা সুপার-ডুপারে উন্নিত হলো।
সিসিবিতে স্বাগতম।
দেখতে পাচ্ছি দ্যাট হ্যাপেন্ড উইথ আ ব্লাস্ট............
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
থ্যাঙ্ক ইউ পারভেজ ভাই! আপনার ভাল লেগেছে জেনে অনেক খুশী!
নয়নাভিরাম শব্দটা মনে হয় প্রায় ভুলতে বসেছিলাম ।
অথচ এক লাফে ওটাই সামনে চলে এলো ছবিগুলো দেখতে দেখতে ।
আর সাথের কথাগুলো সার্থকভাবে নিয়ে গেছে যেনো প্রায় ছবির জায়গাটাতে ।
সাদিক তোমার ক্যামেরাটা খুব প্রয়োজন । বড় বেশী ভালো ছবি ওঠে ওটাতে । আর দরকারটা এই সিসিবির ।
ভালো থেকো । আর মাঝে মধ্যেই আমাদের মন ভালো করে দিয়ে যেও । (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
সর্বনাশ লুৎফুল ভাই! আকাশে উঠে গেলাম 😀
ক্যামেরাটা ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করব।
:clap: :clap: :clap:
যাক, এলি তাহলে।
ফাটাফাটি ছবিগুলার বেশির ভাগই তো দেখি নাই আগে। ফটোগ্রাফারের বউও ফটোগ্রাফার হয়ে গেছে দেখি -- সাইকেল আরোহীর ছবিটা দুর্দান্ত হয়েছে।
পুরানকালের ছবিগুলা গল্পসহ দে এবারে। একটু নস্টালজিয়ার নষ্ট লজিকে আক্রান্ত হই।
শেষে ঃ একটা কবিতা দিয়েই কূল পাইনা, তুই এত্তগুলা কবিতা একসঙ্গে দিয়ে দিলি!
এই আর কি, একটু ঘুরতে এলাম।
পুরানকালের ছবি নিয়ে চিন্তা করছি। সময় করে দিব দেখি।
কি বলিস এসব? কবিতার সাথে আমার সম্বন্ধ কোন কালে ছিল? 🙂
এই ছবিগুলা কী তাইলে?
রাতে যখন প্রায় ঘুমে চোখ বুজে আসছে তখন আহসান ভাই জানালেন কাজী সাদিক ভাই যাত্রা শুরু করলেন। চিন্তা করলাম ব্যাপার না এখন না দেখে সকালে উঠে দেখে নিবো। কয়টা ছবিই তো। অনেকগুলোই আগে দেখেছি। কিন্তু এখন পড়ার পরে বুঝতে পারছি কি ভুল ধারণা নিয়া ঘুমিয়েছিলাম। একটি ছবি ব্লগ ছবিতেই সুন্দর এবং সেটা অতুলনীয় হয়ে উঠে তার বর্ণনায়। হোক সেটা এক-দুই লাইন বা ছোট একটি অনুচ্ছেদ। Take a bow from me sir. :boss:
ক্যাডেট কলেজ ব্লগে স্বাগতম। ছবি তোলা ও লিখা থামছে না এটা ধরেই নিলাম। 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
কোন ভুল কর নাই... ঘুমের সাথে নো কম্প্রমাইজ!
উত্সাহের জন্য অনেক ধন্যবাদ। চেষ্টা করব।
অ সা ধা র ণ। শীত একেবারে অনুভব করা যাচ্ছে
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
ধন্যবাদ সাইদুল ভাই!
ব্লগে স্বাগতম :boss:
প্রিয়তে রাখছি। :awesome: ছবি গুলো প্রায়ই দেখব - 😀
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ভাই, আপনার প্রিয়-তে জায়গা পেয়ে গর্বিত 😀
অসাধারণ কালেকশন। দারুন লাগল পোষ্টটি।
ধন্যবাদ!
:clap:
🙂
অসাধারণ ভাইয়া ... অসম্ভব সুন্দর...!!! বড়ই হিংসিত হইলাম :((
দৃশ্যগুলো আসলেই খুব সুন্দর মীম!ছবিতে কিছুই আসে না। তোমার ভাল লেগেছে শুনে ভাল লাগল।
শীত নিয়ে যেহেতু কথাই হচ্ছে, একটা স্নো স্টর্মের ভিডিও শেয়ার করি। উইন্টার স্টর্ম Yogi Bear কি আপনাদের উপর দিয়ে গিয়েছিল? এপ্রিলের ১৯-২০, ২০১৩ সালের কথা। সকাল ১১টার কাহিনী। আমাদের স্কুল তখনো বন্ধ করেনি। শেষে সিটি কাউন্সিলের ধমক খেয়ে বন্ধ করলো দুপুর দুইটায়। ততক্ষণে যা দেখছেন তার চাইতে দ্বিগুণ বাজে অবস্থা! 🙂 Miss those days!
https://www.facebook.com/Sarkar/videos/vb.862380443/10152767919785444/?type=3&theater
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
না, যোগী ভালুকের থাবা এদিকে পড়েনি। ডেঞ্জারাস অবস্থা দেখি! বাসায় গেলা কি ভাবে!
ঐদিন বাসায় যাই নাই ভাই। দেরী করে ফেলেছিলাম। পরে ডিপার্টমেন্টের কাউচ ও ভেন্ডিং মেশিনের চকোলেট খেয়ে রাত কাটিয়েছিলাম। 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ইয়ে মানে সিসিবির সিনিয়রেরা কি একটু ভুলো মনা হয়ে গেলেন আজকাল? কাজী সাদিক ভাই প্রথমবারের মত লেখা দিলেন, অথচ তাকে বরণ করে নেয়ার কোন আয়োজন দেখছি না 😕
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
হেহেহেহেহ আমি তো আরো ছোট তাই কোন শব্দই করি নাই! খায়রুল ভাই, সাইদুল ভাইদের মত সুপার সিনিয়ারদের এগিয়ে আসতে হবে! 😛 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
এই পোলাপান, রেস্ট টাইমে বড় ভাইরা ঘুমাচ্ছেন... একদম ডাকাডাকি করবানা 😡
আমি এটাই ভাবতেসিলাম। কখন ডাক আসে। পোলাপাইন দেখি সিনিয়রদের ঘুম ভাঙ্গাইয়াই ছাড়বে!
এখন আর সেই দিন নাই -- এখন আমাদেরো :frontroll: মাফ নাই। 😀 😀
সাদিক ভাই, যথারীতি চমৎকার ছবি! ক্যামেরার জাদুকরকে ব্লগে পেয়ে ভালো লাগতেছে।
একটা জিনিস কেবল টের পেলাম, আমি ফেসবুকে কোন এক অজ্ঞাত কারণে সবসময় আপনার নাম পড়েছি আতিকুর 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আরে পাগলা দাশু নাকি! ঘটনা কি তোমার? ক্যামেরার সাথে আড়ি? ছবি লাগাও ঝটপট!
একেকটা ছবি কয়েক বার করে দেখেছি! অপূর্ব কালেকশন! এককথায় অতুলনীয়।
ধন্যবাদ!
সিসিবিতে সুস্বাগতম, কাজী সাদিক!
এই ফটো ব্লগটি আত্মপ্রকাশের পাচঁদিন পর পড়তে এসে বুঝতে পারলাম এ ক'দিনে কি মিস করেছি। নূপুরের সাথে আমি একমত, প্রতিটি ছবিই যেন একেকটি বাঙময় কবিতা!
তুমি US এর কোথায় থাকো? সবগুলো ছবিই কি একই এলাকার?
অনেক ধন্যবাদ খায়রুল ভাই। এটা প্রকাশ করার সময় ভাবতেও পারিনি যে আপনারা সবাই এত উদার ভাবে উত্সাহ দিবেন!
আমি থাকি পেনসিলভানিয়াতে, ফিলাডেলফিয়া থেকে ৩০ মাইল দূরে একটা ছোট শহরে। ২০১০-এর তিনটি ছবি ছাড়া বাকিগুলো আমার বাসার কাছেই তোলা।
একেকটা ছবি কয়েক বার করে দেখেছি! অপূর্ব কালেকশন! এককথায় অতুলনীয়।যথারীতি চমৎকার ছবি! ক্যামেরার জাদুকরকে ব্লগে পেয়ে ভালো লাগতেছে।