১) উইকেন্ড এর এরকম কাজ কর্ম বিহীন রাতগুলোতে যখন কোথাও যাওয়া হয়না, তখন রুমেই বসে থাকি।কম্পিউটারের একঘেয়ে স্ক্রিনসেভারটার দিকে একদৃষ্টি তে তাকিয়ে আকাশ পাতাল ভাবি। কখনোই না দেখা পাওয়া মানুষ ও চরিত্র গুলোর কথা মনে করি.. ভরত-ভূমিসুতার কথা ভাবি। অনিমেষ-মাধবীলতার কথা ভাবি। অতীন-অলির কথা ভাবি। নাকশাল আন্দোলনের ঝামেলায় পরে অতীন যখন দেশ ছেড়ে এই মার্কিন মুলুকে চলে আসে তখন ও প্রায়ই একটা গান মনে মনে গুনগুন করে গাইতো..
বিস্তারিত»অণু ব্লগঃ চলতি পথে
বিকেলে হাঁটতে বেরুলে প্রতিবেশী মিজ বারবারার সাথে আমার দেখা হয় মাঝেমাঝে। সত্যি কথা বলতে কি মধ্য পঞ্চাশের বারবারা বাগান করতে ভালবাসেন এইটুকু ইনফরমেশন ছাড়া তার সম্পর্কে আমি আর কিছুই জানি না। টল এন্ড স্লেন্ডার বারবারার এক মাথা সাদা কালো চুল। ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি তার লেগেই আছে। দেখা হলে হাত নাড়ি দু’জনেই, আরো একটু সময় হলে হয়তো জানতে চাই কুশল। সামার এলে হয়ত বারবারা জানতে চান আমার কাছে বাড়তি দুটো চারটে শশার চারা আছে কিনা অথবা তার দুটো টমেটোর চারা পরে রয়েছে আমি চাইলে তিনি দিতে পারেন।
বিস্তারিত»ঝড়ের রাতে
ঈশান কোনের পাগলা হাওয়া
কালবোশেখীর অকালবোধন
আসমানি ধমকে চমকে
বিজলির পলায়ন।
বাস্তুচ্যুত মশকদল উল্লাসে
মাতে শোণিত আগ্রাসনে।
ঘুমের রাজ্য দিশেহারা
কালচৈতির খাণ্ডব তাণ্ডবে।
বিস্তারিত»আদি প্রাণ
বিজ্ঞানীদের মতে, মোটামুটি চারশ কোটি বছর আগে এই পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের উৎপত্তি। আর সেই আদি প্রাণ থেকেই এসেছে আমাদের চারপাশের সমস্ত উদ্ভিদ এবং প্রাণীকুল। সেই আদি প্রাণের উৎপত্তি কীভাবে ঘটল, সেটা নিয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁরা কোন একটি নির্দিষ্ট ব্যাখ্যায় একমত হতে পারেননি। ব্যাপারটা এমনই গোলমেলে যে, উল্কাপাতের মাধ্যমে বহির্জগৎ থেকে আমাদের পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের আগমন ঘটেছিল, এটাও বিজ্ঞানের সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
আমার আজকের লেখাটা অবশ্য আদি প্রাণের উৎপত্তি নিয়ে নয়,
বিস্তারিত»টাকের তুক তাক
আমার চুল কখনও চুল তার কবে কার টাইপ ছিলো না। তাই বলে সফদার ডাক্তার মাথা ভরা টাকতার ধরণের হয়ে যাব এ ধারণা আমার কস্মিনকালেও হয়নি। আশঙ্কা শুরু হলো ১৯৮৮ সালে। আমি তখন পাহাড়ে। দিন রাত পেট্রোলিং করি হেলমেটে মাথা ঢেকে। রুমে যখন ফিরি তখন হ্যারিকেনের আলোয় আয়না দেখা হয়না। একদিন সকালে কোন কাজ ছিলো না। রুপ চর্চা করতে গিয়ে আঁতকে উঠলাম। কপাল বড় হয়ে গেছে।
বিস্তারিত»আমার মৃত্যু ভাবনা

মৃত দেহের প্রতি আমাদের আবেগ উথলে ওঠে,
সকল কাজ ফেলে ফুলের তোড়া নিয়ে ছোটে,
লোক দেখানো শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের হিড়িক বটে।
কখনো কখনো পাড়া, মহল্লা, দেশ, জাতি এমন কি সরকার
উতলা হয়ে রাষ্ট্রীয় সালাম দেয়,
পতাকা দিয়ে কফিনের বাক্স ঢাকায়,
দেশ জুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে সম্মান দেখায়।
বিস্তারিত»
অজানা পথে অচেনা সাথী, স্মৃতির আকরে আজো আছে গাঁথি……
চাকুরী জীবনে বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেছি, কখনো কর্তব্য পালন উপলক্ষে, কখনো বা কর্তব্য পালন শেষে বহির্বাংলাদেশ ছুটি নিয়ে আশে পাশের দুই একটি দেশ ঘুরে দেখেছি। পাশের দেশ ভারত থেকে শুরু করে পশ্চিমে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, আর পূর্বে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ আগেই দেখা ছিলো। অবসর গ্রহণের পর সস্ত্রীক ও সবান্ধব এক সপ্তাহ ধরে নেপাল ঘুরে এসেছি। তার পরের বছর ভাবলাম, বহুদিন ধরে আমেরিকা প্রবাসী আত্মীয় স্বজন ও কিছু অন্তরঙ্গ বন্ধুবান্ধব তাদের আতিথেয়তা গ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছে।
বিস্তারিত»শীতার্ত
এইসব মেঘ, ধুলো, ঝড়ো বাতাস,সোঁদা মাটির গতানুগতিক ঘ্রাণ, বৃষ্টি ; বৃষ্টিভেজার সস্তা আকূলতা, জোর করে ধরে আনা একাকীত্ব ও তৎসম্পর্কিত বিষাদ বিলাস, বিষাক্ত আবেগের কাব্যিক যাতনা, এবং আর সব অসংজ্ঞায়িত আদিখ্যেতার আনাগোনা; এই সবকিছু থেকে মন উঠে যাওয়ার সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন হয়ে আছে, সমস্যা হচ্ছে মন উঠে যাচ্ছে না, শুধু যাই যাই করছে। তবে আমি আশাবাদী, একদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে সে উঠে যাবে নিঃশব্দে।
বিস্তারিত»সিসিবি-তে কবিতা পাঠ
সাবিনা চৌধুরী অনেকদিন ধরেই পিছনে লেগে আছেন একটা ভিডিও ব্লগ যেন নামাই, সেইজন্য।
নানা অজুহাত দিয়ে অনেক সময় পার করলাম। কিন্তু শেষমেষ বুঝলাম, ফিতা না কাটা পর্যন্ত এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ নাই।
যদিও প্রধান অজুহাতই ছিল, “আমি তো ফটোজনিক না” – কিন্তু সাবিনা ওটা মানতে রাজী না।
অনুরোধের ঢেকি গিললাম কিন্তু তা যে ভবিষ্যতেও হবে সেই গ্যারান্টি কিন্তু নাই।
আমি তো পারি কেবলই “পাঠ-প্রচেষ্টা”
বিস্তারিত»বাগ প্রবলেম
পোকাগুলি অকারনেই নড়েচড়ে বসে, মাথার ভেতর, লেখার শব্দগুলির ভেতর। আর তাতেই ক্রমশ পাল্টে যেতে থাকে যা বলতে চেয়েছিলাম, যা ভাবছিলাম।
লিখলাম সম্ভাবনা, তুমি দেখলে সম্ভব না … এই পোকাগুলি খুবই নির্দোষ নির্দয় টাইপের। এরা অকারনেই ফিকশন লেখায় রেফারেন্স খোজে। লেখককে বিব্রত করে। আছে মাঝারি গোছের কিছু পোকা, এরা ক্রমাগত যন্ত্রনা করতেই থাকে। দিনরাত কুটকুট করে কাটে। যন্ত্রনায় চিৎকার করে বলতে চাওয়া কথা গুলি হয়ে যায়,
বিস্তারিত»থাকুক বাকী
ঠকবাজের মাঝে খাঁটি জনকে
চিনতে পারলাম না;
কাছের মানুষটিকে আজো, হায়!
বুঝতে পারলাম না।
ধরো যদি সত্যি বলি-
মুখ দেখেই, মন পড়তে পারি;
তখন তুমি আমায়
যদি আর চাঁদমুখ না দেখাও!
আমি তাই মিথ্যেবাদী;
ছিটে-কথার ঝাঁজ থাকুক বাকী,
আশি শতাংশ-ই ঢের বাপু
সবটা হলে বলবে – অমানুষ একটা!
আমরি বাংলাদেশ

যতদূর যাও, যেখানেই যাও
দেখিবে আনিন্দ্য সুন্দর আমরি বাংলাদেশ
আছে চির সবুজের স্নিগ্ধতা ,
যদি ফিরি পৃথিবীতে পূর্ণবার
খুঁজে নেবো ঠিকানা তমার-আমরি বাংলাদেশ
বৈশাখ জৈষ্ঠ মিলে আছে তোমার গ্রীষ্মের প্রখরতা ।
আকাশ উদাস, চোখ ছল ছল-
আঝড়ে ঝড়ে জল আর জল ,
বর্ষার বৃষ্টি আনে প্রসন্নতা ,
এতো স্রোষ্টার সৃষ্টি,
বিস্তারিত»দোষ কার!!
পত্রিকা না পড়ার না কারণে দেশে-বিদেশে কি হচ্ছে কিছুই জানিনা, এতদিন তাও ফেসবুক থেকে অনেক আপডেট আসতো, এখন তাও বন্ধ একাউন্ট ডি-একটিভেট করে দেয়ার জন্য। ভাগ্য ভালো টুইটারে হালকা হালকা খোজ নেই, সেখান থেকেই জানতে পেরেছিলাম আরেকজন ব্লগারকে কুপিয়ে মারা হয়েছে। এবং নিউজ পড়তে পড়তে আচমকা বাবুর কোপ খাওয়া ছবিটা চোখে পড়লো। আমি সাইকো মুভির পাগল ছিলাম, ডেক্সটারের পাগল ছিলাম। টিভিতে অনেক ধরণের কাটা-ছেড়া মানুষ দেখেছি কিন্তু সেই দিনের ওই ছবিটা মাথা থেকে সরাতে পারিনা।
বিস্তারিত»নূর মোহাম্মাদ

নূর মোহাম্মাদ
সকাল থেকেই তোঁতাবিবির কথা মনে হচ্ছিল নুর মোহাম্মাদের। সে মহেষখোলা ছেড়েছে এপ্রিলে আর এখন সেপ্টেম্বর। বঊএর সাথে অনেক দিন দেখা নাই। অসুখ বিসুখ মানুষের মন নরম করে দেয়। সাতদিন আগে টাইফয়েড শুইয়ে দিয়েছে তাঁকে। জ্বর জারির সাথে খুব একটা পরিচয় ছিলো না তার। এই জ্বর তাকে অকম্মা বানিয়ে ছেড়েছে। স্ট্যান্ড টু’র (সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের আগে নিয়ম করে সতর্ক অবস্থান নেওয়া) মত নিয়ম করে সকাল বিকাল কাঁপিয়ে জ্বর আসে।
বিস্তারিত»দৃশ্যত অদৃশ্য প্রেম
কালো কোন ছবির ফ্রেমে
রঙিন স্বপ্ন বুনবো বলে –
তোমায় তাতে বাঁধবো যেন
তোমার পাশে ছায়ার মত
সারাটাক্ষণ দেখবে আমায়,
ভাববে না আর কারো কথা,
সব্বাইকে বলবো, ‘ দ্যাখো,
আমার পাশেই স্বপ্ন আমার,
দুজনকে কেমন মানায়, বলো? ’
ফ্রেমে বন্দী যুগল ছবি
একদিন সেই সীমানা ছেড়ে –
প্রজাপতির পাখায় নেমে –