অগম্য নৈকট্য

এই খরতপ্ত দিনে জল
তবু মেঘের শকটে চড়ে
একবার ছুঁয়ে যায় তোমাকে ।

আমার স্পর্শইচ্ছে
পারে কি আদৌ অতোটা
অর্ঘ্যনৈকট্যে যেতে !

বিস্তারিত»

জার্মানির জার্নাল ১

অনেকদিন আগে জার্মানি গিয়েছিলাম। ছিলামও মাস দেড়েক। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখছি জার্মানির জার্ণাল।

frankfurt-airport2
পৃথিবীর ব্যস্ত এয়ারপোর্ট গুলির অন্যতম ফ্রাঙ্কফুর্ট । আমরা যখন ওখানে পৌছালাম বাংলাদেশে তখন পড়ন্ত বিকেল আর ফ্রাঙ্কফুর্টে বুড়ো বাঘের মত শয়ে আছে শীতের দুপুর। তেজহীন সূর্যকে আগলে রেখেছে মেঘ, হঠাত দমকা বাতেসে কুয়াশা অথবা মেঘ সরে গেলে সূর্যের দেখা মেলে। আমাদের গন্তব্য মিঊনিখ এখান থেকে বিমানে ৪০ মিনিটের পথ।

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ কার্সড ফর ইটার্নিটি

অন্ধকার হাতড়ে ফোন তুলে যখন তোমাকে কল করলাম তুমি জানতেও পারোনি আমি তখন কবরের আঁধারে ডুবে ছিলাম। আমার শোবার ঘরের কাঁচের জানালার বাইরে তখন নিশুতি রাত। সামনের হলি গ্রোভ রোডে শুনশান নিরবতা। দূরে কোথায় যেন একটা এ্যাম্বুলেন্স চলে গেলো সাইরেন বাজিয়ে বাজিয়ে।

চল্লিশ মাইল দূরের শহরটিতে তুমি তখন শুয়ে পরেছো লুসিকে নিয়ে। তোমার পায়ের কাছে ধূসর রঙা বেডে গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে লুসি।

বিস্তারিত»

বাঘের দুধ

ক্লাস ইলেভেন, এ ফর্ম । একাডেমিক ব্লকের নিচের তলা । চতুর্থ পিরিয়ডের ঘন্টা পড়লো । ক্লাসে হাজারী স্যার কেমিস্ট্রি ফার্স্ট পার্ট খাতা নিয়ে আসলেন । খাতা দেয়া শুরু হলো ।

আশরাফ খাতা পেয়েই মুখ কালো করে বসে রইলো । সে ঘামছে আর বারবার কাউন্ট করছে । দুই তিন বার কাউন্ট করেই তার মুখ হাসি হাসি । এবার সে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে এদিক সেদিক তাকাচ্ছে ।

বিস্তারিত»

আশা

কোন বিষাদগ্রস্ত হৃদয়ে
আশা যেন এক অন্তহীন কুজ্ঝটিকা,
বিভ্রান্তির আবহে এক অলীক কুহেলিকা।

কোমল যে হৃদয় একবার আশাহত হয়,
ভঙ্গুর কাঁচের ন্যায় খানখান হয়ে যায়,
তারে জোর করে জোড়ালেও দাগ রয়ে যায়।

পরাভূত মন, দহে অনুক্ষণ,
ব্যথিত হৃদয় পায় কিছু উপশম,
আশার উষ্ণ চাদর তারে ঢাকে যতক্ষণ।

ঢাকা
২৭ নভেম্বর ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

মণ্ডল থেকে সরকারঃ পঞ্চম পর্ব

মণ্ডল থেকে সরকারঃ ১ম পর্ব


মণ্ডল থেকে সরকারঃ ২য় পর্ব


মণ্ডল থেকে সরকারঃ ৩য় পর্ব


মণ্ডল থেকে সরকারঃ ৪র্থ পর্ব


মণ্ডল থেকে সরকারঃ ৫ম পর্ব

মোঃ মতিউর রহমান সরকার আমার পিতা। তিনি ২য় মহাযুদ্ধের সময় সৃষ্ট বঙ্গীয় গৃহ রক্ষী দল ( The Bengal Home Guard) –

বিস্তারিত»

কল্পপুরের গাড়ি আর একটা ইনটেক বার্থডে…

ক্লান্ত শরীর নিয়ে বসে, দুপুর একটা বাজে। হঠাৎ-ই কল্পপুরের এক গাড়ি এসে হাজির। আরে, আজ না ১৫ই এপ্রিল, টাইম তো ২টা ছিল, তাইনা?

তড়িঘড়ি করে কল্পপুরের গাড়িতে চেপে বসলাম। গন্তব্য সেই ৬বছরের সম্পর্কে আঁটকে পড়া সবগুলো মুখের সাথে দেখা করা। আসলেই, আমার সেই ৬বছরের বন্ধুগুলো যেন ঐঠিক সেরকমই রয়ে গেছে আমার কাছে। এখন যতই ডিএসএলআর-এ ছবি তুলে ফাটিয়ে দিক, আমার কাছে আশিক সেই তব্দা খেয়ে তাকিয়ে থাকা গোবেচারা আশিক-ই আছে।

বিস্তারিত»

অতঃপর মখলেছের খায়েশ পূরণ

(গল্পের প্রতিটা চরিত্র কাল্পনিক। দয়া করে কোন বাস্তব ঘটনার সাথে মিল খুঁজতে গিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না!)

অতঃপর মখলেছের খায়েশ পূরণ হইল! তবে মখলেছের খায়েশ পূরণ হওয়াটা অতটা সহজ ছিল না বটে। যদি শুরু থেকে দেখিতে হয়, তবে ভবপুর জেলার কুসুমপুর গ্রামে নজর ফেলিতে হইবে। আর প্রত্যুশের প্রথম দৃষ্টিটিই পড়িবে গ্রামের পেছনের নিরীহ পাটক্ষেতটিতে!

পাটক্ষেতের আইল ধরিয়া কিছুদূর ভিতরে গিয়া বসিলে বাহির থেকে দেখা যায় না,

বিস্তারিত»

অপার্থিব

ধুপ ধাপ হুলুস্থুল শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় জাভেদের । ঘড়ির কাটা সাতটা ছুঁই ছুঁই । এই সাতসকালে রুমি পুরো রুমটা মাথায় নিয়ে নাচছে।
“ এই রুমি? কি শুরু করলি?” বিরক্তি ঝরে পরে জাভেদের কণ্ঠে ।
“ আজকে পহেলা বৈশাখ , ভুলে গেলি? আর তাছাড়া আজ অনেকদিন পর সায়মার সাথে দেখা হবে । এই জন্য আমি অনেক এক্সাইটেড। কতদিন ওকে দেখি না!”
“ কিইইইই !!!

বিস্তারিত»

নার্ভের রোগ, হেমিফেসিয়াল স্পাজম

কয়েকদিন ধরে ডান চোখটা লাফাচ্ছিল। যে সে লাফ নয়। একএক বার নিজে নিজে বন্ধও হয়ে যায়। লাফালাফির ব্যাপারটা ধরতে পেরেছিলাম,বন্ধের ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম বিশ্রীভাবে। অনেকদিন পর নিজের শহর যশোরে গিয়েছিলাম। এখানে এলে আমার প্রথম কাজ সকাল সকাল বাজারে যাওয়া। সকাল সাতটার মধ্যে চাতালে মাছ চলে আসে। বিলের তাজা মাছ। মাছের প্রতি আমার নিজের কোন আগ্রহ নেই। মেয়েদের জন্যে বাজারে যাই। একেবারে লাফানো ট্যাংরা, একটু আধটু হাটতে পারা চিংড়ি এসব কিনে নিয়ে আসি একগাদা।

বিস্তারিত»

প্রথম দিনের গল্প

২০০৪ সালের ১৪ ই এপ্রিল ছিলাম ময়মনসিংহে। আমার খালার বাসায় চলে এসেছিলাম। পহেলা বৈশাখ ছিল সেদিন। ক্লাস সেভেন পড়ুয়া ছেলে হিসেবে এই দিনে একটু বাইরে গিয়ে ঘুরে বেড়ানোটাই স্বাভাবিক ছিল আমার জন্য। কিন্তু প্রচন্ড নার্ভাসনেস এর কারনে সেইদিন কোন কিছুই আর স্বাভাবিক লাগছিল না আমার। পরদিন জয়নিং ডেট.. মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে। চিন্তায় সেই রাতে ঘুম হয় নি ঠিকমতন। আচ্ছা, ধান ভানতে গিয়ে আমি শিবের গীত কেন গাচ্ছি?

বিস্তারিত»

কুকিং ইজ লাভ মেইড ভিসিবল

পূর্বকথনঃ দেশে থাকাকালীন সময়ে কাঁচা মাছ-গোস্ত ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার। পড়াশোনা, কবিতা, ডিবেট, অথবা প্রেম বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে হেঁশেলে যাওয়ার ফুরসত মেলেনি কখনো। খাবারদাবারে মন ছিলনা বলেই হয়তো দেখতে প্যাকাটি ছিলাম। মা চিরকাল বলে এসেছেন আমার চড়ুই পাখির আহার!

পশ্চিমে এসে চারদিকে সব গুণী মানুষের ভীড়ে দেখলাম আমি একটা লেবু অবধি কাটতে পারিনা ভাল করে। বন্ধু সুদীপা সসারে আমার কাটা লেবু দেখে বলেছিল,

বিস্তারিত»

বিভাজন

একটি পিৎজা কয়েকজনে মিলে
ভাগাভাগি করে খেয়ে নেয়া যায়।
জলের একটি বোতল খুলে
কয়েকজন মিলে জল পান করা যায়।

কোথাও দাঁড়াবার একটু ঠাঁই খুঁজে পেলে
আরও কয়েকজনকে পাশে ডেকে নেয়া যায়।
একটু হাসি ঠোঁটের কোণে খেলেই যদি যায়,
আর ক’জনাকেও ডেকে তার ভাগ দেয়া যায়।

কিন্তু একটি মন, তা সে যতই বড় হোক না কেন,

বিস্তারিত»

ইচ্ছেদ্রবণ : ডুবি সারাক্ষণ

ইচ্ছেগুলো কেমন যেনো লাগছে ভীষণ ভারী !
মনের আকাশ জুড়ে মেঘেরা খুব করছে বাড়াবাড়ি !

বুকের নোঙ্গর ছুঁয়ে জলের বলো এ কেমনতরো ধারা !
প্রিয় স্পর্শ পেলেই কেবল মুক্তো দানা হয়ে অবাক গড়িয়ে পড়া !

আবেগ সূতোয় চাই ওরে যতো গাঁথবো অনুক্ষণ ।
স্ফটিক শাদার বিম্বে সে ততো ভাঙ্গে যখন তখন ।

বলো ! জলের সঙ্গে যদি তোমার অমনতরো জেলাসী !

বিস্তারিত»

নববর্ষের প্রীতিসম্ভাষণ

বাঙ্গাল কবিয়াল ভনে শোনে পূণ্যবান

আইলোরে আইলোরে নয়া বাঙ্গালা সন

যেসবের ফুল পোঁতা বাঙ্গালার মাটিত

বাঙ্গালার লাগি পুষে বহুত পিরীত

বাঙ্গাল বলিয়া সদা গরবীত হয়

তাহাদের সকলি শুভ হইবে নিশ্চয়

তাহাদেরই তরে মম প্রীতিসম্ভাষণ

নববর্ষে লভ সুখ, ধন ও মান।

 

বিস্তারিত»