গায়ে জড়ানো নকশী কাঁথাটার বুননে
কতগুলো স্বপ্ন জড়িয়ে আছে কে জানে!
কতগুলো আঙুলের দু’পিঠ আর তালুর
স্পর্শ আছে সেলাই এর প্রতিটি লাইনে।
কাঁথা মুড়ে শুয়ে যে কবি একান্ত নিভৃতে
মনে মনে রূপরেখা এঁকে চলে কবিতার,
আর দরদী আঙুলের নরম ছোঁয়া যার
কাব্যময় করে তোলে নকশী কাঁথাটাকে,
তারা উভয়ে কিছু কিছু স্বপ্ন দেখে থাকে।
সেসব লুকিয়ে থাকে কাঁথার ভাঁজে ভাঁজে।
সমান্তরাল সেলাই এর ছকে বাঁধা স্বপ্নেরা
আপন আপন পথ ধরে বড় হতে থাকে।
কাঁথাটা যে বুনে, তার স্বপ্ন বাণিজ্যিক।
আর যে গায়ে দেয়, তার স্বপ্ন কাল্পনিক।
অবশেষে পাখীর পালকের মতই তাদের
সব স্বপ্ন ঝরে পড়ে মাটিতে একে একে।
ঢাকা
২০ এপ্রিল ২০১৫
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
নকশী কাঁথার মাঠ- শেষটা মনে পড়ে ভাই
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, মোস্তাফিজ।
এক গুচ্ছ স্বপ্নইতো বোনা থাকে
নকশী কাঁথার গায়ে গায়ে ।
অবশ্য ওটুকু খবর কজনা রাখে !
কজনার ওপথে ভ্রমন ইচ্ছা বাঁধা থাকে পায়ে !
🙂
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। ধন্যবাদ।
এমন মিঠে আর উষ্ণ বুনন!
অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হ'লাম, নূপুর।
কাঁথা মুড়ে শুয়ে যে কবি একান্ত নিভৃতে
মনে মনে রূপরেখা এঁকে চলে কবিতার,
আর দরদী আঙুলের নরম ছোঁয়া যার
কাব্যময় করে তোলে নকশী কাঁথাটাকে,
তারা উভয়ে কিছু কিছু স্বপ্ন দেখে থাকে।
সেসব লুকিয়ে থাকে কাঁথার ভাঁজে ভাঁজে।
সবচেয়ে ভালো লাগলো এই স্তবকটি। খুবই সুন্দর
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
ভালো লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। প্রশংসায় প্রীত হ'লাম।
নকশী কাথার মতোই নকশী কবিতা- অলঙ্কারে ও অর্থে ঐশ্চর্যশালী
তোমার এ উচ্চ প্রশংসা পেয়ে অনেক প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম, মাহবুব। অনেক ধন্যবাদ।