দিনলিপিঃ মোহনভোগ, জাজা এবং মাতা-পুত্রী সমাচার

গ্রিটসের মোহনভোগ রান্না করেছিলাম ব্যাপক আয়োজন করে। গ্রিটস হলো হলুদ ভুট্টার গুড়ো, যা বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। আমাদের দেশের সুজির চাইতে একটু বড় দানার এই গ্রিটস ইউরোপ, আফ্রিকা অথবা এশিয়ার দেশ গুলোতে কোথাও পোলেন্টা, কোথাও মাহলামা আবার কোথাওবা কুকু নামে পরিচিত। নরম আর সহজপাচ্য বলে আমেরিকার বুড়োবুড়িদের কাছে সকালের নাস্তায় গ্রিটস পছন্দের খাবার। সামান্য মাখন ছড়িয়ে, নুন আর গোল মরিচে গ্রিটস খেতে আমার মন্দ লাগেনা।

বিস্তারিত»

রস, রঙ্গ, সংসার এবং মানিক।

পর্ব ১ঃ দর্শনানেন্দ্রিয় এবং নগদ নারায়ণ

একদা কোন এক কাক-ডাকা ভোরে মানিকের দজ্জাল স্ত্রী ঘুমন্ত মানিকের পশ্চাদ্বেশে সর্বশক্তি দিয়া ঝাঁটা মারিয়া বসিল এবং হুমকি দিল- “মিনসে যদি অদ্য বাজারে না যান, আমি এক্ষুণি নরেন্দ্রকে লইয়া ভবানিপুর চলিয়া যাইব…!”
নিরুপায় মানিক পশ্চাদ্বেশ মালিশ করিতে করিতে বাজারের পানে রওনা করিল।

গিন্নীকে সন্তুষ্ট করিবার অভিপ্রায়ে মানিক তাহার ধূমপানের নিমিত্তে সযত্নে রক্ষিত তহবিল ভাঙ্গিয়া দুই হাজার আটশ’

বিস্তারিত»

‘ওম মনিপদ্মে হুম’ – পর্ব ৪

‘ওম মনিপদ্মে হুম’ – পর্ব ৪
ড. রমিত আজাদ

সমুদ্রজয়ী বাঙালীরা: ভারত উপমহাদেশে বাঙালীরাই প্রথম সমুদ্রভ্রমণকারী শক্তিশালী জাতি। পান্ডু রাজার ঢিবিতে স্টিটাইট (Steatite)পাথরের কতকগুলি চিহ্ন খোদিত একটি গোলাকার সীল পাওয়া গিয়েছে।মনে করা হয় যে সীলটির খোদিত চিহ্নসমূহ চিত্রাক্ষর(Pictpgraph)এবং সীলটি ভূমধ্যসাগরীয় ক্রিট দ্বীপের, প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্বে নির্মিত। এই সীল ও প্রাপ্ত অন্যান্য নিদর্শন থেকে মনে করা হয় প্রাচীন সভ্যতার ক্রীট দ্বীপের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিলো।

বিস্তারিত»

আবার কলকাতা ৭

ঢাকা থেকে বন্ধুরা বলে দিয়েছিল, জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি বললে যেকোনো ট্যাক্সিওয়ালা চোখ বুজে নিয়ে যাবে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি। কলকাতায় এসে বুঝলাম এখানকার ট্যাক্সিওয়ালাদের এখন চোখ ফুটেছে। চোখ বুজে ঠাকুর বাড়ি যাবার দিন শেষ। প্রথম যে ট্যাক্সি ধরলাম তার চালক বলল, ‘দাদা, ঠাকুর বাড়িতো বুঝলাম, ঠিকানাটা বলুন’। দুই-তিন জন ক্যাবচালকের কাছে একই রকম জবাব পেয়ে, সোহাগ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস-এর (জি হ্যাঁ, আমাদের সোহাগ পরিবহনের সাথে সম্পর্কিত) সোনাভাই’র শরণাপন্ন হলাম।

বিস্তারিত»

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

১। ক্যাডেট কলেজ ব্লগের সাথে পরিচয়ের ৭ বছর পূর্ণ হতে চললো। এই ৭ বছরে কখনো অনলাইন হয়েছি কিন্তু সিসিবিতে ঢুঁ দেইনি এরকম ঘটনা চেষ্টা করেও মনে করতে পারছি না। সময় এবং সুযোগ থাকলে তাই সবসময়ই সিসিবির সাথে আপডেট থাকা হয়।

২। এই পুরো সময়ে প্রায় দেড়শোর মত ব্লগ লিখেছি, যার অধিকাংশই রীতিমত আবোল তাবোল বকর বকর। মানের চেয়ে পরিমানের দিকেই সব সময় নজর ছিল আমার,

বিস্তারিত»

যৌবন

কুহক কায়িক
আবছায়া বিধৃত
চারণ,
মন্থিত ফেনিলে
সপর্ ছোবল
হনন।
গলিত দলিত
রিপু ঋতু
রমন,
উত্থিত প্রত্যয়ে
বূহ্য ভেদী
গমন।
যমুনা সন্তরন
ভ্রুন সদল
বপন,
কষর্িত ভুমে
কদর্মাক্ত প্রান
নি:সরন।
প্রণব প্রণয়
শ্রাবন সিক্ত
সিনান,
জনম জীবন
নিয়ত প্রসব
ক্ষরণ।
চয়ন চপল
অক্ষি মদির
স্বপন,

বিস্তারিত»

দ্বিধার হাতছানি

কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো নিজের ভেতরই জমিয়ে রাখতে হয়। তার বহিঃপ্রকাশ কোন সমাধান নয়। বরং আরো কিছু সমস্যার আগমনী বার্তা। শহরে যে ছেলেটি পড়তে এসেছে চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে। স্বপ্ন কি শুধু তার একার। গ্রামের অল্প কিছু জমি। তা থেকে যা ধান পায় তা দিয়েই বছর চলে। সে জমির অর্ধেক টা বন্ধক রেখে ভর্তি ফী জোগাড় করেছে যে বাবা। কিংবা বিয়ের সাধের গয়না গুলোও বিক্রি করে দিতে দ্বিধা করেনি যে মা শুধুমাত্র ছেলেটার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎের কথা ভেবে।

বিস্তারিত»

বায়োস্কোপ

ফুলি বেগম যেদিন বিয়ের পিঁড়িতে বসলো, সেদিন সে মনে মনে অনিশ্চয়তার দোলাচল আর কিছুটা চাপা উত্তেজনায় চঞ্চল ছিলো। বিয়ের আগে সে বাবুল মিঞাকে পরিবারের অন্যান্য সবার সামনে বসে চাক্ষুষ দেখার আর তার সাথে মাত্র দুই একটা কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলো। দুই একটা কথা আর দুই একবার দৃষ্টি ও হাসি বিনিময় ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য আর কিছুই ঘটেনি। কন্যা সম্প্রদানের সময় প্রথানুযায়ী বুকফাটা কান্নাকাটির পর সেই যে সে সোজা বাবুল মিঞার ঘরে চলে এলো,

বিস্তারিত»

কনকপ্রভা

কনকপ্রভা,
তুমি মাঘের কোমল রোদ্দুর হয়ে এসেছিলে,
তেমনই থেকো, এই আছো এই নেই।
এই অরণ্যচারীর নিভৃত নিবাসে
এক চিলতে সোনালী রোদ্দুর হয়ে থেকো।
আলোছায়া হয়ে মিশে রবো একসাথে।

কনকপ্রভা,
তুমি আষাঢ়ের মেঘ হতে চেওনা।
এমনিতেই তুমি আমার ভেতরে
শান্ত স্রোতস্বিনীর ন্যায় সততঃ প্রবাহমান।
তুমি নরম রোদ্দুর হয়েই থেকো,
গায়ে মুখে মেখে হবো, আঁধারেও চক্ষুস্মান!

বিস্তারিত»

অকবির আবোলতাবোল প্রলাপ

এক

ফোডর্ ফ্যাশনিস্টায় চাবি ঘুরাতেই ম্যাসেনজারে বার্তা এলো, আছো?
এন্ড্রোমেডার ওপার থেকে আসা সামান্য এই ‘আছো’ তে দিন শেষে
মেঘের আকাশে লীলাময় রংধনু!
মৃদঙ্গ সুর অথবা কুহকিনী কার্ডিনালের ঘোরলাগা ডাক
এ যেন পেনসেলিনার উদ্দাম সুর;
আতখা টানে ঘর থেকে বাইরে যাবার ডাক!

দুই

ছ’টা বেজে কুড়ি,
সাতটা পেরিয়ে সতের মিনিট হাওয়া,
আটের কাটা করছে ছুঁই ছুঁই
এখনো তুমি গুয়াডালুপে একা?

বিস্তারিত»

~ দেখি দাপুটের বায়োস্কোপ ~

মেঘের মিছিল জমা হয়ে আছে সব
জনপদ সীমান্ত জুড়ে।
ইমিগ্রেশনের ছাড়পত্র পেলেই
যেনো এসে যাবে হুড়মুড়িয়ে।

রোদের সন্ত্রাস শুষে নিচ্ছে তখন এই
শহরের শেষ কণা স্বেদ, সাথে
শ্রমিকের কর্মস্পৃহা তেজ।
তুমি শীতাতপ যন্ত্রের সাথে
পারদের তীব্র মাখামাখি
গায়ে দিয়ে বলো, হয়ে যাচ্ছো নিস্তেজ !

চৌচির মাটির বুক চিরে
যোদ্ধা কৃষকের চকচকে লাংগলের
ফালফুলো ফুসছে যখন ঘামের জ্বালানীতে,

বিস্তারিত»

গুডবাই ইউরোপ

এবছরের মতো বিদায়, ইউরোপ!

মস্কো এয়ারপোর্টে ট্রানজিট লাউঞ্জ থেকে।

[এইটাকে পরবর্তী ব্লগের বিজ্ঞাপণ ধরে নেওয়া যেতে পারে]

বিস্তারিত»

ইবনে খলদুনের ‘আল মুকাদ্দিমা’ ও বিবর্তনবাদ

 

ইবনে খলদুনের ‘আল মুকাদ্দিমা’ ও বিবর্তনবাদ

———————————— ড. রমিত আজাদ

 

(চার্লস ডারউইনের পাঁচশত বছর আগেই বিবর্তনবাদ সম্পর্কে বলেছিলেন ইবনে খলদুন)

অতঃপর সৃষ্টি জগতের দিকে লক্ষ্য করুন, কিভাবে খনিজ পদার্থ হইতে আরম্ভ করিয়া এক অপূর্ব ধারাবাহিকতায় উদ্ভিদ ও প্রাণী পর্যন্ত সুবিন্যাস্ত রহিয়াছে। খনিজ পদার্থের শেষ দিক উদ্ভিদের প্রথম দিকের সহিত সংযুক্ত, যেমন ঔষধি ও বীজহীন গুল্ম;

বিস্তারিত»

সর্বনাশের সম্ভাব্য কারন

চিবুকের সাথে দু:খের দূরত্ব মাপতে আসিনি।
তোমার নীলের পরিধি কিংবা
অভিমান ফর্দ লিখতেও না।
ভেবেছো অমন হাসলেই মূর্ছা
যাবে বুঝি বেবাক পুরুষ !
মোহিনী মায়ায় ডুবে মরতেই শুধু
সমর্পিত গোটা নরকূল !

অথচ জানোনি অযুত সুবাস
আর রঙের নিযুত নৈবেদ্য
নিয়ে যতো অপেক্ষা, শুধু
আমার হাত ধরে তোমার খোঁপায়
যাবে বলেই। জানে তা তাবত ফুল।

বিস্তারিত»

সোশালাইজেশন ম্যানার্সঃ ফেসবুক বিড়ম্বনা

সোশালাইজেশন ম্যানার্সঃ ফেসবুক বিড়ম্বনা

আমি খুবই বিব্রত বোধ করি যখন কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে, “আমি কি আপনাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাতে পারি?” একদিন জনসম্মুখে এমন প্রশ্ন করায় একজনকে জবাব দিয়েছিলাম, “পাঠাতে পার, কিন্তু এক্সেপ্ট করব কি করব না, সে সিদ্ধান্ত নেবার স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবেই আমার।”

আমার কাছে মনে হয়, এটা একটা একান্ত প্রাইভেট ব্যাপার। আমার পরিচিতজনদের মধ্যে কাকে আমি ড্রইং রূম থেকেই বিদায় দেব,

বিস্তারিত»