দুপুরে রফিক ভাই এলেন। তিনি আমাদের বাড়িতে এই প্রথম। তাকে দেখার জন্যে আমরা দোতলার রেলিং-এ ঝুঁকে পড়লাম। রাস্তার ধারে আমাদের বাড়ি। এই রাস্তায় যারা নিয়মিত যাওয়া আসা করে তাদের প্রায় সবাইকেই আমরা চিনি। আমার বোন তিনটি এ ব্যাপারে আশ্চর্য রকম দক্ষ। রাস্তার মানুষদের অদ্ভুত সব নাম দেয়ায় তাদের জুড়ি নেই। তাদের গল্পের বেশির ভাগই রাস্তার লোকজন সম্পর্কিত। বলা যায়, পথিক চর্চা,
– এই, আজকে লাল জামাটা এসেছিল?
লাইফ লেসনস ফর নিউ এক্স ক্যাডেটস
ক্যাডেট কলেজ ছেড়েছি বারো বছর হল, কলেজের প্রতি টান তবু কোনওভাবেই কমেনি। বারো থেকে আঠেরো বছর- কৈশোরের সেই নানা রঙের দিনগুলো জানি চাইলেও আর ফিরে পাবোনা, তবুও গত বারো বছরে এমন একটা দিন যায়নি যেদিন অন্ততঃ একবারের জন্যেও প্রিয় কলেজ ক্যাম্পাসকে মিস করিনি। বের হবার পর শুরুর দিকে প্রচন্ড কষ্ট হত, প্রতিটা ঘন্টায় মনে হত, ইশ, কলেজে থাকতে এই মুহূর্তে কি করতাম? এখন তো গেমস টাইম- ইশ,
বিস্তারিত»The River – আনন্দ শঙ্কর
ইদানিং
নদীর মতন আসেনা কেউ!
তার মতন ঢেউ
তুলে কেউ বলেনা –
চলো,
ছলোছলো
চোখ মুছে নিয়ে
এলে যে কি নির্ভার
হতাম! কি দিয়ে
তাকে ডাকি,
বুকে রাখি
ভেবে বার করার
আগেই, আনন্দ,
আপনি বাজালেন
দি রিভার!
মে ২৭, ২০১৫। ফেসবুক
বিস্তারিত»ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (ঙ)
প-তে পযুক্তি (র-ফলা নাই)
আমি যদি বলি গত তিন বছর ধরে আমি একটি প্রযুক্তির উপর বসে আছি তাহলে আপনি কি ভাববেন? “এ আর এমন কি? সবাই কোন না কোন ধরনের প্রযুক্তির উপর বসে আছে।” কিন্তু আমি আপনাকে বলবো আমার কথাটি আক্ষরিক অর্থে নিতে। কারণ প্রযুক্তিটির নাম কর্নিং গরিলা টেকনোলজি। বর্তমান যুগের সিংহভাগ স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটগুলোর স্ক্রীণ যেই প্রযুক্তির কাঁচ দিয়ে বানানো হয় সেই প্রযুক্তি।
সিসিবির আজকের প্রথম পাতা
আজে বাজে কাজে বেশি ব্যস্ত থাকায় আজকাল সিসিবি পড়ি মোবাইলে। এই যন্ত্রে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আমার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।যন্ত্রের ভাষা ঠিক আয়ত্ব করতে পারিনি।অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী কথাটা মুঠোফোনে লিখতে গিয়ে টের পাই। আমার শব্দগুলিকে পাত্তা না দিয়ে, সে নিজের মত করে শব্দ সাজায়।মন্তব্য হয়ে ওঠে অবোধ্য। আজ ঠিক করেছি আগে সিসিবির সব লেখা গুলোর একটা জবাব একবারে দিয়ে তারপরে অন্য কাজ।
৭টি কবিতা, একটি গল্প,
বকুল
ছেলেটার নাম ছিল বকুল। রাতে সবার অগোচরে ফুটে, দিনভর সুগন্ধ ছড়িয়ে গাছতলায় নির্বিবাদে পড়ে থাকবে, এ ধর্ম যে ফুলের- অন্তত তার নামে এ ছেলের নাম রাখা উচিৎ হয় নি, এটা শালিকতলী গ্রামের লোকেরা দিনে দিনে টের পেতে থাকে। বকুল সমবয়সীদের চেয়ে আকারে বেশ খানিকটা ছোট ছিল। উচ্চতাজনিত ত্রুটি’টি পরবর্তীতে সে সাহস দিয়ে পূরণ করে নেয়ার কাজে বেশ আগ্রহী- এটা বোঝা যায় যখন আমাদের বকুলের বয়স ছয়ে গিয়ে পড়ে।
বিস্তারিত»আলো এবং অন্ধকারের উপাখ্যান
আমার আকাশ থেকে আলো করে চুরি
সাজাও নক্ষত্ররাজি তোমার আকাশে,
এটা ঠিক শোভনীয় নয়
এটা নয় মানবিক।
তবু ক্ষমা করে দিলাম,
একটু আলোই তো করেছ চুরি
আমার দশ দিগন্তের অন্ধকারে
কেউ বসাতে পারোনি ভাগ।
ঊষা থেকে গোধূলি পর্যন্ত
অবাধ আলোর মিছিল থেকেই
নিয়ে নেব আলোর ভাঁড়ার,
বিস্তারিত»কী হবে?
সূর্যটা শেষমেষ
সাগরের তরল বুকেই ডুবে যায়!
আগুনের ফুলকিগুলো
শেষমেষ ছাই হয়ে জলে মিশে যায়।
কী হবে কাঠিন্য দিয়ে,
তারল্যের বুকেই যদি লিখা থাকে
শেষ ঠিকানাটা।
সব কিছু দ্রবীভূত হয়,
যদি রসায়নটা ভালো করে জানা থাকে।
দিগন্তে যে সূর্যটা হারিয়ে যায়,
ভূঁই ফুঁড়ে সে আবার বের হয় পরদিন।
আবার আলো জ্বালে, উত্তাপ ছড়ায়,
পজিটিভিটি
নিজেকে একেবারে মেলে ধরতে পারি না
আর কারো কাছে, শুধুমাত্র তুমি ছাড়া।
আমার জীবনের সকল অর্জনগুলোর সার-সংক্ষেপটাকে
সামেশন করে যখন কারো কাছে নিবেদন করতে যাই,
কি করে যেন ফলাফলের আগে
একটা মাইনাস চিহ্ন বসে যায়।
তোমার কাছেই শুধু পজিটিভ মূল্য পায়
আমার সকল অকিঞ্চিৎকর নিবেদন।
ঢাকা
০৬ মে ২০১৫কাছেই
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
‘ওম মনিপদ্মে হুম’ – পর্ব ৩

‘ওম মনিপদ্মে হুম’ – পর্ব ৩
ড. রমিত আজাদ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর থেকে)
তিব্বতে অবস্থানকালীন প্রথম বছরটি অতীশ দিপংকরের জন্য ছিলো অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মহাযান বৌদ্ধ দর্শনের প্রকৃত ডকট্রাইনগুলো প্রচার পূর্বক তার ভিত্তি স্থাপনে আত্মনিয়োগ করলেন। উনার প্রথম তিন বছরের কাজগুলোকে নিম্নরূপে সংকলিত করা যায়।
১। পশ্চিম তিব্বতের শাসক কর্তৃক উনাকে জানানো সাদর অভ্যর্থনা এবং উনার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ।
বিস্তারিত»মা
পড়বে মনে এতটাই
কখনো বুঝিনি,
কত বিস্তৃত হলে দিগন্ত
আগলে রাখে ধরনিকে বাহুমেলে,
কত গভীর হলে জলধি
বেধে রাখে এত জল বক্ষতলে,
কে বোঝে?
ঐ যে উচিয়ে খোলা আকাশ
ছুয়েছে মাটি ঘাস নীলে,
ঐ যে নিভে রবি ডোবে অস্তাচলে
গোধূলির হলুদাভ লালে
কিছুই সত্য নয় ।
যা দেখি সত্যি সবই
তোমাকে দেখেছি বলে
মনে পড়ে এতটাই।
~ প্রেম প্রণয় যদাপি দীপ্য বহমান | জীবন ঋতি নিয়ত ঋদ্ধিমান – পাঁচ ~
ইচ্ছের ঘোড়া দাবড়েইতো আমাদের নিত্য দিনের যাপন।
স্বপ্নের ভেতর ইচ্ছের ঘোড়ার গায়ে যখন তখন পাখা পর্যন্ত গজিয়ে যায়। আর সেই ঘোড়া কেবল দৌড়ে -ঝাঁপিয়ে চলে না। মন চায় তো অনায়াসে সেই পংখীরাজ যে কোনো গন্তব্যে দেয় দিব্যি উড়াল।
আর বাস্তবে ! জীবন ভর হাঁটলেন কেবল পাশাপাশি। সেই ইচ্ছে ঘোড়ায় লাগাম, জিন কিছুই পরাতেও শিখেন নি । চড়তে শিখাটাও খুব বেশী কঠিন ছিলো কি রপ্ত করে নেয়া !
বিস্তারিত»দিনলিপিঃ স্যাডেল ইয়োর ড্রিমস বিফোর ইউ রাইড ‘এম
দেশে যাতায়াতের জন্য এমিরেটস এয়ারলাইন্স আমাদের পছন্দের। ওদের প্লেনে উঠলেই দেশ দেশ একটা ভাব চলে আসে। তারা অনলাইনে এমিরেটসের মুভি লিস্টের পাত্তা লাগায়, সামনের দিকে সিটের বুকিং দেয় সাথে সাথেই। বাড়ির বাইরে পা দেয়া মাত্র আমার খাই খাই একটা ফিলিং শুরু হয়ে যায় সব সময়। যাত্রায় ভোজন নাস্তি’ কথাটি আমি খুব মানি। ভারী খাবার খাইনা বটে কিন্তু সামান্য বাদাম বা প্রেটসেলস অথবা আধা কাপ কমলার জুসে বেশ চলে যায়।
বিস্তারিত»~ জলরং মাখা চাঁদ ~
আকাশেতে জাদুমাখা ছিলো কি ?
অমন রঙ্গীন মেঘের ক্যানভাসে
আঁধার ভাসিয়ে দেয়া চাঁদ
রাতময় মাতোয়ারা হলে পরে,
রূপোলী শিশির ফোঁটার মতোন
বুনো ঝোঁপ লাউডগা মেঠোপথ
ঘাসেদের গায়ে মেখে নীল কল্পলোক
মায়ার মোহন গল্পের রাত জুড়ে
আঁধারের কাঁপা কাঁপা হাত ধরে
কাঁচভাঙ্গা হেসেছিলো জোনাকী ?
০১ জুন ২০১৫
[ ছবিস্বত্ত্ব ~ তরিকুল লাভলু ]
বিচ্ছিন্ন আবেগ
জানতাম ‘ভালোবাসি’
বলতে নেই কখনো
তবুও অস্ফুট আবেগে
কখনো একবার রাতভর প্রলাপ ;
হৃদয় উজাড় করে …
তার ফেলে যাওয়া
পায়ের চিহ্ন মিশে গেছে
এক পথিকের পথে
যে নিঃশব্দে নিয়ে গেছে তারে
শুধু এক বিষণ্ণ দীর্ঘশ্বাসে …
পূর্বে প্রকাশিত
বিস্তারিত»