বেগুনি না খেলে কি রোজা সহীহ হবে না, নাকি? আমার যতদূর মনে পড়ে গত রমজানে আমাদের বাসায় বেগুন কেনা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কাচাবাজারে গিয়ে যখন দেখতাম কেউ কোন দোকানদারের সাথে তুমুল দরদাম করছে/করছেন। আমি খুব বিনয়ের সাথে বোঝাতাম, বেগুনের দাম বেশি, আপাতত কেনা বন্ধ রাখেন, দাম এমনিতেই পড়ে যাবে। আমার কথায় অনেকে আমাকে পাগল মনে করে তাকাত। আবার অনেকে মনে হয় কনভিন্সডও হতো। এটা ছিল একান্তই আমার এবং আমার পরিবারের নিরব সমাজিক আন্দোলন।
বিস্তারিত»গার্ডেন্স বাই দ্য বে সিঙ্গাপুর
২০১০ সালে মেরিনা বে স্যান্ডসের ৫৭ তলার ছাদে নারকেল গাছ দেখে আমাকে চমকে যেতে দেখে আমার মেজবান প্যাসিফিক মেরিনের ক্যাপ্টেন শাখাওয়েত বলেছিলেন, আরও কিছু দিন অপেক্ষা কর, সমুদ্রের দিকে নতুন পার্ক হচ্ছে, সারা বিশ্বের গাছ পালা সেখানে দেখতে পাবে।
২০১৩ সালে গিয়ে শুনলাম, সেই পার্ক ২০১২ সালের জুন মাসে দর্শনার্থিদের জন্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। গার্ডেন্স বাই দ্য বে এখন সিঙ্গাপুরবাসীদের নতুন গর্ব।ভাবলাম আর কিছু দেখি না দেখি এই বিস্ময় উদ্যান না দেখে ফিরে যাওয়া যাবেনা।
~ গাং শালিখ ~
লোকালয়ে রেখে গেছো কতোটা অভিমান !
শহর-নগর ভরা সব মানুষ সমান !
দরাজ দালান আর লাইটপোস্টের
বাগান তোমার কাড়ে নাই একটুও
মন, কাড়ে নাই কারখানা, শ্রমিকের দল,
পার্কের জোড়ামুখ, সাজানো লেকের
পাড়, গ্রীলের গেটে বোনা বোগেনভেলিয়া, নীল
অপরাজিতা, ছাদে ও বারান্দায়
গহনার মতো রাখা দুষ্প্রাপ্য ফুল,
ক্যাকটাস কিংবা সেই সব নাগরিক
সভাসদ, গেলো বছর যারা আইল্যান্ড
মুখর করে লাগিয়েছিলো কৃত্রিম
মার্বেলে আঁকা রংগীন লতা পাতা কুল ।
অন্য আয়োজন
তুমি আমি মিলে কত না হৈ হুল্লোরে আর
কতনা আয়োজন করে সাজালাম এ জীবন!
তুমি আমি মিলে…
তুমি আমি মিলে যেদিন ‘আমরা’ হয়ে গেলাম,
কতনা সহজে ভুলে গেলাম,
একদিন আমরা তো শুধু আমিই ছিলাম।
তুমি আমি মিলে একসাথে কত দৌড়ঝাঁপ করে
একসাথে হাঁপিয়েও উঠলাম,
হৃদস্পন্দন একটু থিতু হতেই আবার দৌড়ালাম!
তুমি আমি মিলে ঘাটে বাটে থেমে তুলে নিলাম
জীবনের কত না সোনালী সঞ্চয়,
ধোঁয়া ও স্বপ্ন
চায়ের কাপের ধোঁয়াগুলো
শূন্যে মিলিয়ে যায়, তবে-
তারা আকাশ ছুঁতে পারেনা।
বাকরুদ্ধ মনের কষ্টগুলো
যদিও ঊর্ধ্বপানে ধায়, তবুও-
তারা আকাশ খুঁজে পায় না।
শুধু অবুঝ মনের স্বপ্নগুলো
ধোঁয়া হয়ে যায় অভ্র ফুঁড়ে,
কোন নিশীথ রাতের বৃষ্টিপাতে
আবার স্বপ্ন ফেরায় নয়ন জুড়ে।
ঢাকা
১৪ জুন ২০১৫
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
আমার এ কবিতাটার ভাবানুসরণে “Dreams And Smoke”
বিস্তারিত»আবার কলকাতা ৮
পার্ক সার্কাসের পশ্চিম কোনায় যেখানে পার্কস্ট্রিট আর সার্কাস এভিনিউ মিলে একটি ত্রিভুজ রচনা করেছে সেখান থেকে বেরিয়ে পার্কস্ট্রিট আর আচার্য জগদিশ চন্দ্র বসু (এজেসি) রোডের প্রায় সমান্ত্রাল একটি সড়ক পশ্চিমে জওহার লাল রোড পর্যন্ত গিয়েছে। আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির নাম শেক্সপিয়ার সরণী। এই সড়কেরই পুরনো নাম থিয়েটার রোড। এখন অবশ্য কলামন্দিরের কাছে একটি যাত্রীছাউনি ছাড়া থিয়েটার রোড নামটি আর কোথাও চোখে পড়েনা।
বিস্তারিত»কুয়ো
কুয়োটা বেশ গভীর ছিলো, কালো জলে টলমল।নির্বিকার সুনসান গোপনে ঠায় বসে ছিলো,অস্তিত্ব জানান দেয়ার তাড়া ছিলোনা।ইটের গাঁথুনিতে বার্ধক্যের ছাপ লাগা প্রৌঢ় জলাধার।
শুন্য ভিটের এক কোণায় দিব্যি নিরুপদ্রব পড়ে ছিলো। দেয়াল বেয়ে খাপছাড়া বেড়ে ওঠা লতাপাতার অলংকার।গত কিছুদিনের প্রবল বর্ষায় পানি একদম মুখে এসে ঠেকেছে। জীবনের অস্তিত্ব বলতে শুধু একঘেয়ে ডেকে যাওয়া ব্যাঙ, একটা-দুটা ঝি ঝি, খুব কাছের কোন গাছে একলা বসে থাকা শ্যামা পাখি।
বিস্তারিত»ইতিহাস প্রসঙ্গ: সত্য ও মিথ্যার মাপকাঠি -পর্ব ২

ইতিহাস প্রসঙ্গ: সত্য ও মিথ্যার মাপকাঠি -পর্ব ২
————- ড. রমিত আজাদ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর থেকে)
জগৎবিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন স্কুলজীবনে লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন না। তদুপরি পরিণত বয়সে তিনি হয়ে ওঠেন এক অনন্যসাধারণ প্রতিভা। তাই একবার এক সাংবাদিক উনাকে প্রশ্ন করেছিলো, “আপনি তো স্কুলজীবনে লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন না, অথচ আজ আপনি জগৎবিখ্যাত বিজ্ঞানী। এখন আপনি কি মনে করেন যে বিদ্যালয় শিক্ষার কোন প্রয়িজন নাই?”
বিস্তারিত»স্মৃতিচারণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি
বাংলার শিক্ষক জনাব সাইফুল ইসলামের হাত ধরে আধুনিক বাংলা কবিতার সাথে আমার প্রথম সখ্যতা। দুর্বোধ্যতার কন্টকমুকুট শোভিত হয়ে, রক্ত-ঝরানো পথ হেঁটে আধুনিক বাংলা কবিতা শতদল মেলেছে তখন। আমার কিশোর বুদ্ধি ও মনন তখনও সেই মদিরা পানের জন্য ঠিক পরিপক্ব হয়ে উঠেনি। অথচ সীমাহীন আগ্রহ ও এক ধরণের মোহন ঘোরের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাই। কলেজ লাইব্রেরীর নীরব কিউবিকলে গোপন প্রেমপত্রের মতো করে চুপিসারে উল্টে যাই সুধীন কিম্বা বিষ্ণু দে।
বিস্তারিত»এক বিস্ময় বালকের গল্প
তুমি তো তা জানলে না
জানলেনা আকাশের মত বিশাল-
এক বেদনাময় ভঙ্গুর হৃদয়ের
তিলে তিলে শেষ হয়ে যাওয়ার গল্প।
তোমার এখনও জানা হয়নি-
রোমান্টিকতায় রোমিও কে হার মানানো
এক চঞ্চল বালকের
ধীরে ধীরে মলিন হয়ে যাওয়ার গল্প।
সেই বালকের অনেক কথা-
তোমার অজানাই রয়ে গেছে।
চোখের জলকে সঙ্গী করে যে কাটায় –
রাতের পর রাত।
সিসিবিয়ানদের আড্ডার ভিডিও ব্লগ
আড্ডার আইডিয়াটা এসেছিল অরূপের সাথে আলাপচারিতার ফাঁকে।
ডিবেট ফোরামের কয়েকজনা একবার একসাথে বসলাম আড্ডায়।
ব্যাক্তি জীবনে সবাই অপরিচিত বা প্রায় অপরিচিত।
অথচ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যে খুব কাছাকাছি চলে এলাম, সে আমাদের একই প্ল্যাটফর্মে চলা ফেরার কারনেই।
অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা!!!
চোখের দিকে তাকালে যাকে অপরিচিত লাগে, পিছন ফিরে বসলেই তাঁকে মনে হয় কত দিনের চেনা!!!
ঐ আড্ডাটা শুরু করতে দেরী করে ফেলেছিলাম।
বিস্তারিত»অনুগল্প: দংশন
(মুজাহিদ নামক শূকরছানাটির ফাঁসি উপলক্ষে গল্পটি এখানে দিলাম)
“সুমিত্রা রহমান”- কি অদ্ভুত নাম এই বাংগালি মেয়েছেলেটার!
শুরুতে কেমন একটা হিন্দুয়ানী ভাব, শেষে মুসলমান টাইটেল|মাথায় আবার টিপও পরে!
সীতাপুর সাব ডিভিশনের দায়িত্বে আছেন মেজর শেহজাদ রাজা, জেনারেল নিয়াজী স্বয়ং হাতে তুলে এখানে পাঠিয়েছেন তাকে| ইস্ট পাকিস্তান এ্যাসাইনমেন্টের আগে তিনি ছিলেন চেরাটে, কমান্ডো স্কুলের ইন্সট্রাকটর হিসেবে| বাংগালিদের সম্পর্কে খুব একটা ধারণা নেই,
ইতিহাস প্রসঙ্গ: সত্য ও মিথ্যার মাপকাঠি – পর্ব ১

ইতিহাস প্রসঙ্গ: সত্য ও মিথ্যার মাপকাঠি – পর্ব ১
——————————- ড. রমিত আজাদ
ইতিহাস আমার প্রিয় বিষয়গুলোর একটি। বিষয়টির উপর আমার প্রথম আগ্রহ জন্মে আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মরহুম মাজহারুল হক স্যারের প্রাঞ্জল লেকচার শুনে। আমরা তখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র, স্যার আমাদের পড়ানো শুরু করলেন সিন্ধু সভ্যতা থেকে। উনার কাছ থেকেই প্রথম জেনেছিলাম যে, আমাদের এই উপমহাদেশেই এতো পুরাতন একটি সভ্যতা ছিলো। স্যারের কাছ থেকেই প্রথম জেনেছিলাম যে আমাদের এই উপমহাদেশ আঠারো শতকের মাঝামাঝির (অর্থাৎ পলাশীর ট্রাজেডির আগে) আগ পর্যন্ত একটি ধণাঢ্য অঞ্চল ছিলো,
বিস্তারিত»ত্রিরঙ্গ-চতুরঙ্গে মানসপটে ফৌজদারহাটের পঞ্চভুত
পাহাড়-সমুদ্র-সমতট। পাহাড় তো নয়, ঢেউ খেলানো ভূমির বাঁক যেনো ছন্দবদ্ধ তালে-লয়ে অবিরাম আছড়ে পড়ছে খোল-করতাল-মাদলে-বীণায় মনের গহীণ সন্তর্পে। সমতটের বিস্তৃতি অন্তর্গত ভাবনা-চিন্তা-চৈতন্যে ক্রমশ: বাড়িয়ে যেতে থাকে তার বিস্তার। আর সমুদ্র ! বিশালত্বে উদ্বেল সুপ্রসারিত দু’হাত মেলা মনের ক্যানভাসে, আঁকে ছবি অন্তহীন, ভেঙে দিয়ে গোপন সব প্রকোষ্ঠ। এই তিনের সাথে জুড়ি দেয়া অবারিত উদার আকাশ ত্রিবৈচিত্রের নিয়ত উন্মীলন সংগী। আর কি চাই !
একটি মানুষ।
বিস্তারিত»দু’খানা না-গদ্য, না-কবিতা…
এক : দূরত্ব
অনিতা শারমিন নিতা।
আমার ব্যাচমেট আবার আমার এক বন্ধুর ছোটবোন
এবং ডাকসাইটের সেলিব্রিটিও বটে।
টুকটাক যোগাযোগ আছে মুখবই-এ
সেই সুবাদে মাঝে-সাঝে তাঁকে নিউজ-ফিডে পাই।
তার আজকের একটা স্ট্যাটাসে দেখলাম সে লিখেছে:
[স্ট্যাটাস শুরু]
\\ক্রীং ক্রীং ক্রীং
বন্ধু: কি খবর?
আমি: দোস্ত এই weatherএ মন টিকে না রে
বন্ধু: কি চাও?