~ প্রেম প্রণয় যদাপি দীপ্য বহমান | জীবন ঋতি নিয়ত ঋদ্ধিমান – পাঁচ ~

ইচ্ছের ঘোড়া দাবড়েইতো আমাদের নিত্য দিনের যাপন।

স্বপ্নের ভেতর ইচ্ছের ঘোড়ার গায়ে যখন তখন পাখা পর্যন্ত গজিয়ে যায়। আর সেই ঘোড়া কেবল দৌড়ে -ঝাঁপিয়ে চলে না। মন চায় তো অনায়াসে সেই পংখীরাজ যে কোনো গন্তব্যে দেয় দিব্যি উড়াল।

আর বাস্তবে ! জীবন ভর হাঁটলেন কেবল পাশাপাশি। সেই ইচ্ছে ঘোড়ায় লাগাম, জিন কিছুই পরাতেও শিখেন নি । চড়তে শিখাটাও খুব বেশী কঠিন ছিলো কি রপ্ত করে নেয়া !

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ স্যাডেল ইয়োর ড্রিমস বিফোর ইউ রাইড ‘এম

দেশে যাতায়াতের জন্য এমিরেটস এয়ারলাইন্স আমাদের পছন্দের। ওদের প্লেনে উঠলেই দেশ দেশ একটা ভাব চলে আসে। তারা অনলাইনে এমিরেটসের মুভি লিস্টের পাত্তা লাগায়, সামনের দিকে সিটের বুকিং দেয় সাথে সাথেই। বাড়ির বাইরে পা দেয়া মাত্র আমার খাই খাই একটা ফিলিং শুরু হয়ে যায় সব সময়। যাত্রায় ভোজন নাস্তি’ কথাটি আমি খুব মানি। ভারী খাবার খাইনা বটে কিন্তু সামান্য বাদাম বা প্রেটসেলস অথবা আধা কাপ কমলার জুসে বেশ চলে যায়।

বিস্তারিত»

~ জলরং মাখা চাঁদ ~

আকাশেতে জাদুমাখা ছিলো কি ?
অমন রঙ্গীন মেঘের ক্যানভাসে
আঁধার ভাসিয়ে দেয়া চাঁদ
রাতময় মাতোয়ারা হলে পরে,
রূপোলী শিশির ফোঁটার মতোন
বুনো ঝোঁপ লাউডগা মেঠোপথ
ঘাসেদের গায়ে মেখে নীল কল্পলোক
মায়ার মোহন গল্পের রাত জুড়ে
আঁধারের কাঁপা কাঁপা হাত ধরে
কাঁচভাঙ্গা হেসেছিলো জোনাকী ?

০১ জুন ২০১৫
[ ছবিস্বত্ত্ব ~ তরিকুল লাভলু ]

Ranga Megh Rupali Chand

বিস্তারিত»

বিচ্ছিন্ন আবেগ

জানতাম ‘ভালোবাসি’
বলতে নেই কখনো
তবুও অস্ফুট আবেগে
কখনো একবার রাতভর প্রলাপ ;
হৃদয় উজাড় করে …

তার ফেলে যাওয়া
পায়ের চিহ্ন মিশে গেছে
এক পথিকের পথে
যে নিঃশব্দে নিয়ে গেছে তারে
শুধু এক বিষণ্ণ দীর্ঘশ্বাসে …

পূর্বে প্রকাশিত

বিস্তারিত»

সিসিবির ইন্টার কন্টিনেন্টাল আড্ডার প্রি এনাউন্সমেন্ট + ফ্রী কবিতা

এইটা মূল এনাউন্সমেন্ট না।
তাই এটাকে প্রি-এনাউন্সমেন্ট নাম দিলাম।
এরকম একটা অনুষ্ঠানের হোস্ট হতে CCCL-এর সক্ষমতা ও ইচ্ছার ব্যাপারে খোঁজ নিলাম।
বুঝলাম, ওরা এতে আপত্তির কিছু দেখছে না।
আজ রাতে বাকি ফর্মালিটিটা শেষ করা সম্ভব হলো না।
তাছাড়া সিসিবির দীর্ঘ্যদিনের অভিভাবক লাভলু ভাই-এর সম্মতিও এখনও নেয়া হয় নি।
ওগুলোর পর, চুড়ান্ত ঘোষণা দেবো।
আর তা খুবই শীঘ্রই।

আপাততঃ আমি যেভাবে ভাবছি,

বিস্তারিত»

আবার কলকাতা ৬

পিয়ারলেস হাসপাতালে যাবার কথা কেউ আমাকে বলে দেয়নি। এই হাসপাতালে পৌছানোর লম্বা চওড়া কাহিনীর সার সংক্ষেপ হলঃ

২০১৩’র অক্টোবর থেকে দীপার ভয়াবহ এলার্জি সমস্যা। বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ করে চুলকাতে চুলকাতে হাত পা, লাল হয়ে যাচ্ছে। সিএমএইচের ডাক্তাররা সাধ্যমতন চেষ্টা করলেন, কাজ হলোনা। স্কয়ার হসপিটালের এক সিঙ্গাপুর ফেরত ডাক্তার কিছুদিন নাড়া চাড়া করলেন। তাঁর ওষুধে এলার্জি কমে গ্যসট্রিক বেড়ে গেল l সব মিলিয়ে একই অবস্থা।

বিস্তারিত»

বার বার হেরে যাবার গল্প

দুহাজার তিন সালে সায়েন্স গ্রুপ থেকে আমি এইচ এস সি পাস করি, 3.60 আউট অফ 5 এর ভয়াবহ সিজিপিএ নিয়ে| ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলাম, আন্ত: ক্যাডেট কলেজ প্রতিযোগিতাগুলোর কারণে প্রায় সবাই চিনত| ক্যাডেট কলেজের শেষ এক বছর এক্সট্রা কারিকুলামই শুধু করেছি, কারিকুলামটা আর করা হয়ে ওঠেনি| সায়েন্স বিভীষিকার মত লাগত, বিশেষ করে কেমিস্ট্রি| আমার বড় চাচা কেমিস্ট্রি গোল্ড মেডালিস্ট শিক্ষক, কেমিস্ট্রিকে বাবা বলতেন “পারিবারিক সাবজেক্ট”| সেই কেমিস্ট্রিতে পেলাম বি ,

বিস্তারিত»

পাঠ প্রচেষ্টা : এক আশ্চর্য সঙ্গমের স্মৃতি

এক আশ্চর্য সঙ্গমের স্মৃতি – ১
———————–
সৈয়দ শামসুল হক

বারান্দায় বসে আছি আমরা। রাত ১১-৩০।
ছাইদান রাখো না ঘরে, তাই পিরীচ
দিয়েছিলে। ছাই উড়ছে মৃত জোনাকির মতো ।
লোকে যা জানে না, মেলে ধরছি প্রণয়ের ক্ষত;
যেন তুমি চিকিৎসক জোছ্‌নার ক্লিনিকে আজ, তোমার সমুখে।
থামের অন্ধকারে, হাতের চাঁদনামা চিবুকে
কি সাবধানে ধারণ করে আছো মমতা
যা তোমার।

বিস্তারিত»

সূর্য সারথি

সূর্য সারথি রথ

চলছিল পথ

সে ছিল বহুদূরে

এক অচিনপুর

নিদারুন একা

নিবার্সিত অভিমান

কালের ক্রন্দন

ক্রোধ ভরে তিরস্কার

গহীন আধাঁর ।

 

দেখেনি সূর্য আকাশ

আবৃত ছিল মেঘে

রংধণু  জলরঙ

আসহবেনীকলা

অবেলায় পথহারা

নীল বেদনা ছিল

ভরা বুক সমুদ্র

অতল উত্তাল দ্রোহে

সংসপ্তক।

বিস্তারিত»

কলেজে রোজা

ক্লাশ সেভেনের বাচ্চা তখন।কলেজই ঠিক মত বুঝতে পারলাম না। দুপুরে ক্লাশ লিডার জিজ্ঞাসা করল শবে বরাতে রোজা রাখব কি না!!! ক্যাডেট কলেজে রোজা!!! ক্যামনে কি??
বুকে দম নিয়ে মুন্না ভাই কে জিজ্ঞাসা করতে যাব যে ওইদিনের শিডিউল কি তার আগেই মুন্না ভাই নিজে থেকে বলল,
– মজা আছে বুজছ!! রোজা রাখলে সারাদিন ঘুমাবা।
আমার চোখ দুটা বড় বড় হয়ে গেল। কন্ঠে অনেক বিস্ময়।।

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ রেলগাড়ির গান

প্রতিবার দেশে গেলে আমার বাবা তারার জন্য একজন মাষ্টারমশাই নিযুক্ত করেছেন গান শেখাতে। পঁচিশ তিরিশের দীর্ঘকায় শ্যামবর্ণ একটি ছেলে সপ্তাহে তিনদিন আসতেন তালিম দিতে। একদিন বাবা বললেন তারা একা গাইবে কেনো, মাগো? তুমিও বসে যাও হারমোনিয়াম নিয়ে। অনুশীলনের অভাবে কন্ঠে লালিত্যের ঘাটতি থাকলেও পিতা জানেন তার কন্যার বুকে সুরের নিত্য আনাগোনা! ডো-রে-মি-ফা ভুলে যাবার বহু বছর পর আবারও সারগামে ডুব দিলাম বাবার মন রাখতে।

গৌতম নামের মাষ্টারমশাই এর সাথে আমাদের মা মেয়ের খুব ভাব হয়ে গেল।

বিস্তারিত»

গর্ব করার মত একটা লেখা শেয়ার করছি……

সিসিবির সকলের সাথে একটা দারুন লিঙ্ক শেয়ার করার লোভটা সামলাতে পারলাম না।

ঘটনা জানতে সংযোজিত লিঙ্কে গুতা দিন।

আমাদের মাসরুফ হোসেন!

বিস্তারিত»

আবার কলকাতা ৫

হোটেলের কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্টে ঘুরে ফিরে তিন মেনু, ব্রেড-বাটারের সাথে জেলি আর ডিম, অথবা আলুপরাটা আর আচার কিম্বা পুরি-সব্জি। আগের দু’বার রুমের সাথে ফ্রি ব্রেকফাস্ট ছিলোনা। মর্নিংওয়াক থেকে ফেরার সময় ফুটপাথ থেকে অথবা যেকোন খাবারের দোকান থেকে নাস্তা নিয়ে আসতাম।এবার যেহেতু কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট তাই সে ঝামেলা নেই। আবিদ রুমে এসেছিলো ব্রেকফাস্ট নিয়ে তাঁকে বললাম, ‘একটা ট্যাক্সি লাগবে, সাদা ট্যাক্সি’। সে বলল, ‘স্যার আপনি এসি চাচ্ছেন কীনা বলুন,

বিস্তারিত»

প্রলাপ – ১৪

সে-কথাগুলো কেবলি ভাসতে থাকে।
আকাশের এক টুকরো ফাঁকে
কি করে এঁটে যায়
মস্ত জীবনের সবগুলো ছবি
হার্ড ডিস্ক, যত নেগেটিভ
মামুলি সব লোনাজল,
কথা অনর্গল

তাকে প্রলাপ বলে ভুল করে
ছুঁড়ে ফেলে
হাত মুখ মুছে নিয়ে
জীবনে জীবন ঘষে
আগুন জ্বালাবার মিছে
প্রয়াস নিয়ে
যখন ফুলে ফুলে
দুলে দুলে উঠছে
সব-পেয়েছি-র হাওয়া,

বিস্তারিত»

‘ওম মনিপদ্মে হুম’ – পর্ব ২

‘ওম মনিপদ্মে হুম’ – পর্ব ২

ড. রমিত আজাদ

 

“বাঙালি অতীশ লঙ্ঘিল গিরি তুষারে ভয়ংকর, জ্বালিল জ্ঞানের দীপ তিব্বতে বাঙালি দীপংকর।” (সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত)

 

হ্যাঁ, কোন কিছুই দমাতে পারেনি ৬২ বছর বয়স্ক শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপংকর-কে, দুর্গম গিরিপথ, তুষারাচ্ছন্ন অয়ন, প্রতিকুল আবহাওয়া, সব বাধা অতিক্রম করে তিনি পৌছেছিলেন হিমালয় রাজ্য তিব্বতে কেবল জ্ঞানের আলো ছড়াতে।

বিস্তারিত»