এক
ফোডর্ ফ্যাশনিস্টায় চাবি ঘুরাতেই ম্যাসেনজারে বার্তা এলো, আছো?
এন্ড্রোমেডার ওপার থেকে আসা সামান্য এই ‘আছো’ তে দিন শেষে
মেঘের আকাশে লীলাময় রংধনু!
মৃদঙ্গ সুর অথবা কুহকিনী কার্ডিনালের ঘোরলাগা ডাক
এ যেন পেনসেলিনার উদ্দাম সুর;
আতখা টানে ঘর থেকে বাইরে যাবার ডাক!
দুই
ছ’টা বেজে কুড়ি,
সাতটা পেরিয়ে সতের মিনিট হাওয়া,
আটের কাটা করছে ছুঁই ছুঁই
এখনো তুমি গুয়াডালুপে একা?
লিখছো বুঝি আন জীবনের অপার চাওয়া পাওয়া!
তিন
স্প্যাঘেটি জংশনে স্টিয়ারিং হাতে অস্তায়মান সূর্য
ওপারে যোজন দূরে তার প্রশান্ত মুখচ্ছবি
গুনগুন, খুনসুটি, কবিতার প্রহর
ঘড়ির কাঁটা গুণে তিরিশ মিনিট!
চাবি ঘুরিয়ে ঘরে ফিরতেই মনে হলো
খুব জরুরী কথাটাই তাকে বলা হয়নি!
এইটা যে লিখেছে, সে মোটেও কনো অকবি নয়।
আবার আবল-তাবল হলে, বুঝলাম কিভাবে?
ভাল লেগেছে....
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
সিসিবির প্রথিতযষা কবিদের ভীরে আমি শিশু বৈকি। খুব ভয়ে আছিগো, দাদা! অনেষ্ট অপিনিয়ন দিও সবাই মিলে, প্লিজ।
আতখা টানে বাইরে যাবার ডাক!
গুয়াডালুপে একা?
ঘড়ির কাঁটা গুণে তিরিশ মিনিট!
জরুরী কথাটাই বলা হয়নি!
বাহহহ ! এভাবেই থাক !
🙂 🙂 🙂 🙂
সুরের বাঁশি বাজায় যে জন
ডাকে যে জন ঘুমপিয়াসী তানে
আতখা টানে সেই উদাসী হাওয়া
লাগলো মনে অবাক করা গানে!
অনেক সুন্দর হইছে আপু কিন্তু অনেক ছোট। মনে হল শুরু করলাম মাত্র। যাই হোক দ্বিতীয় পর্ব অপেক্ষায় রইলাম। :clap: :clap:
তিনখানা প্রলাপ লিখলুম তাও বলছো বড় তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে গেল? আমি একে কমপ্লিমেন্ট হিসেবেই ধরে নিলুম, ভায়া! এটুকু লিখতেই প্রাণ ওষ্ঠাগত প্রায় তায় আবার দ্বিতীয় পবর্ চাইছো! সাইজ কি আসলেই ম্যাটার করে নাকিরে??
এন্ড্রোমেডার ওপার থেকে আসা সামান্য এই ‘আছো’ তে দিন শেষে
মেঘের আকাশে লীলাময় রংধনু!
অথবা
এখনো তুমি গুয়াডালুপে একা?
লিখছো বুঝি আন জীবনের অপার চাওয়া পাওয়া
কিম্বা
চাবি ঘুরিয়ে ঘরে ফিরতেই মনে হলো
খুব জরুরী কথাটাই তাকে বলা হয়নি!
অকবিদের এমন লেখা হলে কবিদের দিন শেষ
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
অনুপ্রাণিত হলাম, ভাইয়া! খানিক সাহস পেলাম মনে। আমার যদিত্ত বদ্ধমূল ধারণা সিসিবিতে কবি ব্যতিত কবিতা কেউই পড়েন না! তাতে বোধকরি কবির কিছুই যায় আসে না, কেননা কবি নিজের আনন্দেই লেখেন একখানা অমল ধবল কবিতা!
অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া!
"আমার যদিত্ত বদ্ধমূল ধারণা সিসিবিতে কবি ব্যতিত কবিতা কেউই পড়েন না! তাতে বোধকরি কবির কিছুই যায় আসে না, কেননা কবি নিজের আনন্দেই লেখেন একখানা অমল ধবল কবিতা" - এ প্রসঙ্গে, আমার 'কবিতার ইতিকথা' থেকেঃ
একটি কবিতার জন্ম হয় কবির মাথার ভিতর,
গর্ভজাত শিশুর ন্যায় কখনো ঘুমিয়ে থাকে,
কখনো উসখুস করে, কখনো ঘুরপাক খায়,
উথাল পাতাল করে বেরিয়ে আসতে চায়।
অবশেষে কলমের নিব দিয়ে সরাসরি, অথবা
ল্যাপটপের কীবোর্ড দিয়ে নিঃশব্দে প্রসবিত হয়।
শুধু কথার মালা গেঁথে কবিতা লেখা যায়না।
ভাবনার গ্রন্থিগুলো হৃদয়ের খুঁটিতে বাঁধা থাকে।
কখনো মাঝ রাতে কবি সেগুলো নাড়াচাড়া করে,
কখনো বা সাথে নিয়ে স্বপ্নের দেশে হারিয়ে যায়।
একান্তে নিভৃতে ওগুলো পাখা মেলে। কখনো ছন্দে,
আবার কখনো নিছক গদ্য হয়েও কবিতা হয়ে যায়।
নিদ্রা ও জাগরণে, দ্রোহে ও বিপ্লবে, প্রেম অথবা অপ্রেমে তাই বোধকরি কবিতার নিক্কনে অনন্ত অভিসার কবির!
কী চমৎকার একটি কবিতা খায়রুল ভাই!
এক। 'আতখা টানে ঘর থেকে বাইরে যাবার ডাক!' - এ ডাক তো শুধু কবিরাই শুনতে পায়, অকবিরা নয়।
দুই। 'লিখছো বুঝি আন জীবনের অপার চাওয়া পাওয়া!' - হুঁ, শুধু কবিরাই এসব লিখে।
তিন। 'ওপারে যোজন দূরে তার প্রশান্ত মুখচ্ছবি' - কবির মনেই ভেসে ওঠে এসব ছবি, আর...
'খুব জরুরী কথাটাই তাকে বলা হয়নি!' - ভুলোমনা কবিরাই এসব বলতে ভুলে যায়!
আর তাই,
সব মিলিয়ে এটা কোন অকবির কবিতা নয়।
সাহিত্য, ক্রিয়েটিভ রাইটিং অথবা সমাজবিজ্ঞানের ক্লাশ গুলোতে স্কুলে (এখানে স্কুল বলতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সবই বুঝানো হয়) এখানে ওখানে মাজর্িনের পাশে শিক্ষকের নোট লেখা থাকে। দু লাইনের এই নোটে শিক্ষক প্রিসাইসলি বলেন তার অভিমত অথবা অভিজ্ঞতার কথা।
আমার প্রায় সব লেখাতেই আপনার নোট গুলো আমি মনযোগের সাথে পড়ি, ভাইয়া। হিডেন ম্যাসেজগুলো পযর্ালোচনা করি অবসর সময়ে।
পাঠকের মন্তব্য লেখকের জন্য খুব প্রয়োজন। অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া!
বলতে চেয়েছিলাম, স্কুলে মাষ্টারমশাই এর নোটগুলো থেকে আমরা বরাবর একটা গাইডলাইন পেতাম। সিসিবিতে আপনার অনেষ্ট এবং সুচিন্তিত মতামত আমাদের গাইড করে। :hatsoff:
ধন্যবাদ। জেনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। চেষ্টা করে যাবো সব সময় মার্জিনে অনেস্ট অপিনিয়ন দিয়ে যেতে। নম্বর কম হলে যেন মন খারাপ না হয়।
মাস্টারমশাই হবার জন্য অভিজ্ঞতার ঝুলিটাও নেহায়েত হাল্কা নয়।
মাজর্িনের নোটে ডরেনা বীর 😛 আমি তো বরাবরের ফেলটুশ ছাত্র, ভাইয়া! সমালোচনা নেবার মত মনের জোর আমার আছে বৈকি! কেবলমাত্র পিঠ চাপড়ানো প্রশংসা নয়, অনেষ্ট অপিনিয়ন চাই, ভিন্ন মতের চচর্া দেখতে চাই সিসিবিতে!
🙂
শব্দপ্রলাপ যখন মনকে আচ্ছন্ন করে যায় তখন কি কবিতা আলতো করে আলতা আঁকা পা দেখায়? আমি গণ্ডমূর্খ, আমি কিছুই বুঝি না!
আলতা আঁকা পায়ের রূপমাধুরীর কথা যিনি বলেন তিনি যে গন্ডমূখর্ নন সেটি সহজে অনুমেয়, ভাইয়া! এরই নাম বুঝি বিনয়!
এমন আধুনিক আর সংবদ্ধ --- গুমরে গুমরে ওঠা প্রেমের ভাষা যদি কবিতা না হয় তাহলে কবিতা কী।
প্রতিটি লাইন উদ্ধৃত করার মতন!
সমকালীন অথচ চিরকালীন। এবং পেছন ফিরে চাইবার মতো।
:clap: :clap: :clap: :clap:
😀 😀 😀 😀
গতকাল থেকে আসরের কবিদের আস্কারা পেয়ে উড়েঘুরে বেড়াচ্ছিলাম ঘাস ফড়িঙের মত। আজ সিসিবির রাজকবি এসে ফাইনালি মোহর এঁকে দিলেন এই অকবির লেখনীতে! আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে!
অনেক ধন্যবাদ নূপুর! তোমার সাড়া না পেয়ে আমি ভাবছিলাম, কবিতা কি এমনই অখাদ্য হলো যে আমার কবি দেশ থেকেই পালিয়ে গেলেন! ব্যস্ততা কমেছে আশাকরি। 🙂