১
আচ্ছা শিল্প কী?
আপনি দ্য হুইসেলব্লোয়ার মুভিটি দেখেছেন? বসনিয়ার যুদ্ধ-পরবর্তী প্রেক্ষাপট নিয়ে ছবিটি তৈরি হয়েছিল। সেখানে দেখি অল্পবয়সী মেয়েরা মানব পাচারের মাধ্যমে কিভাবে পতিতালয়ে আটকে যায়। শান্তিরক্ষার নামে জাতিসঙ্ঘের যে কর্মীরা সেসময় সেখানে কাজ করতেন, রাতের বেলা তারাই আবার হতেন ওদের ভোক্তা। হ্যাঁ, সেক্স বা যৌনতা ছবিটির একটি মূল উপজীব্য। তবে তার উপস্থাপন এমন ছিল যে আপনি ঐসব কিশোরী মেয়েদের মানুষ ভাববেন।
আজকাল
ঘরের দেয়ালগুলি খুব বিরক্ত করে
বৃষ্টি আসে না, আকাশ দেখি না
জানালারা থাকে না জায়গা মত
অবনী আর বাড়ি ফেরে না
গুমোট ঘর, নোনা ধরা দেয়াল
শুধু টের পাই আমাদের চারপাশে
জীবনের স্রোতের কোলাহল
স্বপ্নেরা হাতড়ে যায় দেয়াল জোড়া
যে দেয়ালে মিশে গেছে তোমার ছায়া …
( পূর্বে প্রকাশিত )
বিস্তারিত»শব্দের নীরব সান্ত্বনা
কবির অরক্ষিত মনে,
শব্দরা দাঁঁড়িয়ে থাকে নিঃশব্দ প্রহরীর মত।
মনের আনাচে কানাচে কিছু কিছু শব্দ থাকে
ইতস্ততঃ ছড়িয়ে ছিটিয়ে, আর কিছু ডুবে থাকে
মনের অতল গভীরে। ডাক দিলে নিমেষেই চলে আসে।
কবির পাশে যখন কেউ থাকেনা, তারাই কবিকে ঘিরে রাখে।
কবি কখনো আহত হলে,
সেইসব শব্দরা চলে আসে বিশ্বস্ত দেহরক্ষীর মত।
নীরবে পাশে দাঁড়িয়ে শোনায় যত সান্ত্বনার বাণী।
নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে হচ্ছে………
ঘণ্টাখানেক আগে মস্কো বিমানবন্দরে নামলাম। অপেক্ষা করছি পরবর্তী বিমানের জন্য, জার্মানীর ডুসেলডর্ফে যাবো। সময় কাটানোর জন্য নেটে গিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম ছবিটা দেখে-

ছবির এই মানুষগুলোও আমার মতো বাংলাদেশী, এরাও গন্তব্যের অপেক্ষা করছে। অথচ আমাদের মাঝে কত পার্থক্য!
আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা আমাকে এই মানুষগুলোর মতো জীবনের কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়নি।
অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দোওয়া করি এদের কষ্ট দ্রুত লাঘব হয়ে যাক।
বিস্তারিত»অনিশ্চিতের প্রতীক্ষায়
মুখের বলিরেখাগুলো বলে দেয়,
কতটা পথ তুমি পেরিয়ে এসেছো।
সে পথটা যে কুসুমাস্তীর্ণ ছিলোনা,
চোখের অভিব্যক্তিই তার প্রমাণ।
মুখে প্রতিবাদ নেই, চোখে আছে।
দুটো ঠোঁট যেন সেলাইয়ে জোড়া
দুটো চোখ যেন কত বিস্ময়ভরা,
উষ্মায় ভুরু দুটো কুঁচকে গেছে।
হে অনিশ্চিতের পথযাত্রী,
তোমার বাকী পথটুকু মসৃণ হোক!
মশালের ন্যায় জ্বলজ্বলে চোখদুটো
বোঁজার সময় এক পশলা বৃষ্টি হোক!
হয়রাণ হয়ে যাবো
তোমাকেই ভালবেসে
এই আমি যুগে যুগে
হয়রাণ হয়ে যাবো
নিশিদিন খুঁজে খুঁজে……
(অপ্রকাশিত গানের কথা)
কথা ও কন্ঠ: বাপ্পী খান
সুর : নিয়াজ আহমেদ অংশু
সবই ভালো, সবাই ভালো
এই দেশেতে সবাই ভালো, সবই ভালো
ফরমায়েশী কবি ভালো
সূর্য কিবা রবি ভালো
রাতের বেলা চাঁদের বুকে
সাঈদী সাবের ছবি ভালো।
হাবুল ভালো, আবুল ভালো
ইসলামাবাদ, কাবুল ভালো
টিএসসিতে নারীর গায়ে
হাতবুলানো বাবুল ভালো।
ব্যক্তিগত রেসিপি – ১১
ফেসবুক ও টিয়াপাখি
‘তোর সঙ্গে আর কথা নেই’ ফেসবুক মেসেঞ্জারে পৃ-র বারতা পেয়ে একটু নড়েচড়ে বসলাম। ঢাকার ফুরফুরে বিকেল মুহূর্তে কেমন ম্লান হয়ে আসে।
‘কথা নয় নেই, দেখা তো হোক!’
‘কোন কথা নেই। নেই, নেই!’ যেন ফুঁসে উঠে সেলফোন।
বারদুয়েক ফোন করি অতএব, সাড়া মেলেনা। অজ্ঞাত অপরাধের হিসেবনিকেশ করতে করতে ঢাকার বুকে নেমে আসি। এ বিশাল জনসমুদ্রে নিজেকে আরো একা মনে হয় আর তাতে স্বস্তিবোধই করি খানিক।
হ্যাটস অফ টু এমেক সিস্টারস – সাথে কিছু প্রস্তাব
কত কিছু নিয়েই না ব্লগ লিখার তাগিদ থাকে।
কখনো নিজের দিক থেকে আবার কখনো অন্যদের কাছ থেকেও।
অথচ এক এক সময় এমন এক একটা বিষয়ের মুখোমুখি হই যে সব তাগিদ পিছনে ফেলে সেটা নিয়েই বসে যেতে হয়।
এই রকমের একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হলাম আজ আবার।
বলছিলাম এমেকের বোনদের আয়োজনে আজ অনুষ্ঠিত ও আমার অংশ নেয়া “জরায়ু মুখ ক্যান্সার” সম্পর্কিত এওয়ারনেস জাগানো প্রোগ্রামটির কথা।
~ প্রেম প্রণয় যদাপি দীপ্য বহমান | জীবন ঋতি নিয়ত ঋদ্ধিমান – তিন ~
কিন্তু সেই পেরে ওঠা আর কখনো হয় না … … …
আমাদের চারপাশে অগণন আকাঙ্ক্ষার দীর্ঘ তালিকা । এর মাঝে কিছুই চাই না আমি বাদ দেবো । এই ইঁদুর দৌড়ে এতোটাই মগ্ন আমরা যে তাতে আমাদের মনের গহীনের সুকোমল অংশটুকুকে যার পর নাই অনায়াস গ্রাস করে নিচ্ছে অদৃশ্য এক এথলেটিক ট্র্যাক । আমাদের অজান্তে । কিংবা কখনো কখনো আমাদের সাগ্রহ সমর্পণে ।
এই প্রাপ্তির লাগামহীন তেষ্টা সারাক্ষণ অন্তর্গত আবেগ ও সুকুমার অনুভূতিগুলোকে দাবড়ে হটিয়ে দিচ্ছে জীবনের মঞ্চ থেকে ।
বিস্তারিত»দিনলিপিঃ এডিবল এরেঞ্জমেন্ট
দেশে মা খালাদের দেখেছি কেউ অসুস্থ হলে আতপ চালের ভাত, কচি মুর্গির ঝোল, আর সুপ রাঁধতে ব্যতিব্যাস্ত হয়ে পরেন। সাথে কাঁচা পেঁপে সহযোগে শিঙ্গি মাছের সুরুয়া অথবা জাম আলু আর মাগুর মাছের জড়াজড়ি কোন প্রেপ থাকে। অসুস্থতার কারণ যা’ই হোকনা কেনো ঝোলে ভাতে মাখামাখি আয়োজনে রোগীর প্রতি উপচানো ভালবাসা দেখাতে সবাই তৎপর হয়ে ওঠে। আর কেউ মারা গেলে তো বাঙ্গালী বাড়িতে উনুনই জ্বলেনা পাঁচদিন। আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুদের বাড়ি থেকে প্রতিবেলা খাবার থেকে শুরু করে থারমোফ্লাস্কে চা অবধি পৌঁছে যায় সেই বাড়িতে।
বিস্তারিত»এ কেমন জীবন

জীবনে সুখ থাকে, সুখের সম্পর্ক থাকে,
থাকে ভালোবাসার মানুষ;
ছোট্ট একটা শান্তির নীড় থাকে,
সেই নীড়ে থাকে কমলতার পরশ ।
বিস্তারিত»ডিপ্রেশন
ঘরের অন্ধকার কোনা
কথা বলেই চলে;
কুয়াশার স্যাঁতস্যাঁতে স্বরে
চোখ বুজে গুটিসুটি মেরে পড়ে থাকি,
সে বলেই চলে, জল জঙ্গল,
বুনো হাস, নক্ষত্র আর মৃত্যুর গল্প
উদ্বাস্তুর উদ্যান

ঢাকায় আমাদের কোন বাড়ি নেই। ভাড়ার বাসায় উদ্বাস্তুর মত জীবন যাপন।এক চিলতে বারান্দায় প্রথমে কয়েকটা টব রেখেছিলাম মাঝে মধ্যে বারান্দায় বসে চায়ে চুমুক দেয়ার জন্যে। বড় লোকদের পাড়ায় এসে মনে হল বারান্দায় বসে চা খাওয়ার চল টা উঠে গিয়েছে। সুন্দর সুন্দর বারান্দা শূন্য পড়ে থাকে। পরে বুঝেছি এই সব বাড়ির মালিকদের অঢেল বিত্ত, তবে ছেলেমেয়েরা কাছে অথবা দেশে না থাকায় তাদের ভরসা,
একটি কাল্পনিক কথোপকথন
(কিছু ফরমায়েশি ও প্রমিজড লিখা জমে গেছে। ওগুলো লিখে পোস্ট করার আগেই এই রেডি লিখাটা দিয়ে দিলাম। এইটা বেশ কিছুদিন আগে খসড়া করা ছিল। নীচে নামতে নামতে কিছুটা সময় পাওয়া যাবে। ততদিনে ওগুলো নামিয়ে ফেলবো বলে আশা করছি…)
-এখানে এসেছেন কেন?
-তুমি জানো না বুঝি?
-না বললে জানবো কি করে?
-না ই যদি জানো, তবে থাক না তা অজানাই
কি আর এমন হ্রাস-বৃদ্ধি হবে তাতে?