ব্যক্তিগত রেসিপি-৩

সূর্যটা যেন দিগন্তে হেলান দিয়ে মজা দেখছে

কম্পিউটার মনিটরে তাকিয়ে থেকে থেকে চোখ ব্যথা হয়ে গেলো আজ। সিগারেটের তৃষ্ণায় ভেতরটা ছটফট ছটফট করলেও সারাটা দিন উঠবার এতটুকু উপায় ছিলোনা ।
কাল ছুটি, নিশাকে ডেকেছিলাম কয়েকটা নির্দেশ দেবো বলে।ও বেরিয়ে যেতে দেখি জানলা উজিয়ে এসে একদেয়াল সোনালী তরল রোদ টলমল করছে রেনোয়া-র After the Bath এর ওপর।

সাধে কি মনে হলো,

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি – ২

সেই ভোরবেলা থেকে ঝমঝম করে বৃষ্টি ঝরেই চলেছে। মন খারাপ করে সারাদিন বসে থাকবো সে উপায় নেই। সকাল সকাল এত্তেলা, অফিস চলো। ছুটির দিনে অফিস। বসের পিণ্ডি চটকাতে চটকাতে একেকটা রেড লাইট পেরিয়ে চলেছি হঠাৎ হুডতোলা পর্দাঘেরা রিকশায় একটি যুগলকে দেখলাম অপলক দৃষ্টিতে পরষ্পর চেয়ে আছে তো আছেই, আশপাশের বৃষ্টি কাদাজল অ্যাম্বুলেন্স ট্রাফিক পুলিশ ঝাপসা সিগন্যাল বাতি গলগল বয়ে চলা ড্রেন ছলছল ঢাকা শহর, কিছুই যেন আর ওদের বিব্রত করতে পারছেনা।মনটা ভীষণ অন্যমনা হয়ে গেলো।

বিস্তারিত»

একটি ব্যক্তিগত রেসিপি

কাজ করতে একটুও ইচ্ছে করছেনা।কি ভীষণ গরম! সিগারেট খাবার জন্য দুবার অফিসের বারান্দায় এসেই ঘেমে নেয়ে যাবার উপক্রম। দরজা ঠেলে ফের ভেতরে ঢুকতেই নিশা, আমার ব্যক্তিগত সুন্দরী (সরি, সেক্রেটারি), এখনো মানুষ হলেনা-গোছের দুষ্টু হাসি দিয়ে নাক চেপে ধরলো। নাহ্‌ আজ পালাবো। একটু ইটিশ পিটিশ করতে ইচ্ছে হচ্ছে আজ….
কাল একটু ভালো করে সাজগোজ করে এসো কেমন? কাজ আছে… নিশাকে বলে বেরিয়ে পড়লাম।
সিঁড়ি দিয়ে দুরদার করে নামতে নামতে দেখি পৃ-র মেসেজ।

বিস্তারিত»

অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (আমি যখন সংখ্যালঘু)

মাঝে মাঝে এই প্রবাস জীবনে খন্ড খন্ড অনেক আনন্দের মুহূর্ত চলে আসে। এই যেমন গাড়ি চালিয়ে যখন পাহাড়ের ঢাল বেয়ে সমতলে নামতে থাকি দূরে দেখতে পাই সাগরের এক ফালি অংশ। রূপালি রেখা, চিকমিক। আর রাতের বেলা হলে দেখবো সেই সাগর পাড়ের শহরটিতে স্তব্ধ জোনাকীদের মেলা। একেকটা এনার্জি সেভিং বালব যেন একেকটা জোনাকী। তারা সেখানে জ্বলেই আছে, নিভতে ভুলে গেছে। তাই দেখে মনটা ঝকমকিয়ে উঠে।

বিস্তারিত»

জীবনালেখ্য

জিতু আপির উপর আমার একটু রাগ হচ্ছে । বাবা তোমার স্টোরে জায়গা নাই , ভাল কথা । তাই বলে তোমার সব লেখাই আমার প্রিয়তে রাখতে হবে—–এ কেমন কথা ? নারী কবিতা পড়েই বোধহয় লিখতে বসেছিলাম……………………

কেউ কথা রাখেনি……………………………

ভয় পেলে ? হা হা হা ভয় নেই,
সুনীলের মত কোন প্রেম কবিতা শোনাতে বসিনি তোমাদের ।
দু’হাত ভরে প্রেমের উপাদান বিলাতে বিলাতে
আমি নিজেই যে আজ নিঃস্ব প্রায় ।

বিস্তারিত»

প্রসংগ বারবার শপ

অনেক দিন হলো এখানে লিখি না । লিখবো কি,ঠিকমতো তো ব্লগেই আসার সুযোগ পাই না । সাভারে জয়েন করার পরে আমার এই অবস্থা । এই কয়েকদিনে বেশ কয়েকটা ঘটনা ঘটলোঃ
১) এক্সিবিশনটা ভালই হইছে আলহামদুলিল্লাহ ।
২) আমি আরামের ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে সাভারে জয়েন করেছি এবং জয়েন করে চরম খাবি খাইতেছি ।
৩) এর মধ্যে আবার ছোট্ট একটা ঘটনাও ঘটে গেছে ।

বিস্তারিত»

আমি আর আমার একাকিত্ব

একটা কবিতা লেখার স্বপ্ন আমার বহুদিনের ।
নিজের আবেগ অনুভূতি উজাড় করে –
শ্বেত-শুভ্র কাগজে কাল বর্ণের কিছু বিচিত্র সাংকেতিক বর্ণে,
শব্দ-ছন্দ যেথায় তরঙ্গের খেলায় মাতে,
একবার চোখ বুলালেই বারবার দেখতে সাধ জাগে-
এমন কিছু ।

বিস্তারিত»

একটি ভূমিকা এবং কিছু মানুষের গল্প

সিসিবি এখন বেশ সরব। কবিতা, গল্প, ভ্রমণ কাহিনী, দিনলিপি- নানা বিষয়ে কতো লেখা। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ব্লগার, নতুন লেখা পাচ্ছি। অফিসে এসেই সিসিবির পাতাটা খুলি। যখনই সময় পাই, পড়ি।

নূপুর অনেকদিন পর মনে হয় কিছুটা অবসর পেয়েছে। ঝর্ণার মতো তড়তড় করে পরপর দুটো পোস্ট নামিয়ে দিয়েছে। ও স্নিগ্ধ রেশমি শব্দমালা দিয়ে এমন মুচমুচে পদ্য লিখে যে এরই মধ্যে শুধু “স্নানপর্ব” দিয়ে সিসিবির আন্ডা-বাচ্চা থেকে বুড়োদের পর্যন্ত তার পাঙ্খা বানিয়ে রেখেছে।

বিস্তারিত»

এলোমেলো কথামালা-১

[১২ এপ্রিল ২০১০ তারিখে ইউনিফিল-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে লেবাননে এসেছি…অনেক সাগর/উপসাগর পাড়ি দিয়ে । এখানে অবস্থানের কিছু কিছু কথা/স্মৃতিকেই অনিয়মিত/এলোমেলোভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছি আর কি!]

০২ জুন, ২০১০।
প্রথমবারের মতন তুরস্কের মার্সিন শহরে এসেছি আমরা…মনে অ-নে-ক চিন্তা, শহরটা ভাল লাগবে তো? লেবাননের মতন দেশটা সুন্দর…দেশের মানুষেরা বন্ধুবৎসল হবে তো? এখানে কোন বাংলাদেশী আছে না কি? থাকলেও সে/তিনি/তারা আমাদেরকে শহরটা দেখাবে/চিনাবে তো!

বিস্তারিত»

দৃষ্টির আড়াল হলেই মনের আড়াল হয় না বন্ধু

যে ছিল দৃষ্টির সীমানায় : শাহনাজ রহমতুল্লাহ

“যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়/ যে ছিল হৃদয়ের আঙিনায়/ সে হারালো কোখায় কোন দূর অজানায়/ সেই চেনামুখ কতোদিন দেখিনি……….” মিলনায়তন জুড়ে তখন পিনপতন নিস্তব্ধতা। বিষ্মিত শ শ মানুষ মুগ্ধ হয়ে তের বছর বয়সি এক বালকের কণ্ঠে বিরহ-বিষাদের প্রিয় গানটি শুনছে! আমাদের এই বালকটির নাম মাহবুবুল হক শিলার।

সময়টা ১৯৭৪ সাল শেষদিক। দিন-মাস মনে নেই।

বিস্তারিত»

শিরোনামহীন ব্লগর ব্লগর

১। গত এক বছরে এই নিয়ে দুইবার বাসা বদল করছি। গত বছরের অক্টবরে একবার করলাম। মেয়ে যেহেতু নভেম্বরে হবে তাই এক বেডরুমের বাসা ছেড়ে দুই রুমের বাসায় উঠলাম। কিন্তু নতুন বাসা নেবার সময় চিন্তাভাবনা না করেই ডুপ্লেক্স স্টাইলের দোতলা বাসা নিয়ে খেলাম ধরা। গত এক বছর ধরে সিড়ি বেয়ে উঠতে নামতে বিরক্তি ধরে গেছে। কানে ধরছি, আর দোতলা বাসা না। পিচ্চিও ইদানিং চান্স পেলেই সিড়ি বেয়ে দোতলা উঠে যায়।

বিস্তারিত»

খুশী হওয়া আসলেই সহজ

তিন বছর আগে যখন ডাক্তার জানালো যে তারা আমার হৃদয় খুলে দেখতে চায়, আমি অবাক হবার ভান করে বললাম – বলো কি? আমার স্ত্রী তো সব সময় বলে যে আমি হৃদয়হীন মানুষ। তোমরা কি তাকে যেয়ে বলবে যে আমার হৃদয়ের খোজ তোমরা পেয়েছো?

প্রথমে বুঝতে পারেনি, পরে বুঝতে পেরে ডাক্তার ও নার্স দু’জনেই হাসি দিল। বছর দু’য়েক ভালই চললো, তারপর তারা আবার আবিস্কার করলো যে,

বিস্তারিত»

অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (জীবনের টুকরো দেশে-বিদেশে)


মাঝে মধ্যে রাতের খাবারের সময়টাতে আমরা পরিবারের সদস্যরা মিলে গল্প গল্প খেলি। খেলাটা হচ্ছে কোন একটা বিষয়বস্তু নিয়ে পালাক্রমে সবাই একটা করে গল্প বলবে। যেমন কোন একদিনের বিষয়বস্তু ছিল এম্বুলেন্স। রাইসা গল্প বললো এইভাবে যে ফেইরী গড মাদারের দেরি দেখে সিন্ডারেলা ৯১১ (আমেরিকার জরুরী বিভাগের নাম্বার) নাম্বারে ফোন করে এম্বুলেন্স ডেকে এনে তাড়াতাড়ি রাজপুত্রের নাচের অনুষ্ঠানে চলে গেল। রাসীনের গল্পটা হলো এম্বুলেন্স আর ফায়ার ট্রাক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল।

বিস্তারিত»

আমার চারপাশ ০৪

আজকে সকালটা শুরু হল বৃষ্টি দিয়ে। ভোরে প্রচন্ড শব্দে একটা বাজ পরল, তখন প্রায় ছয়টা বাজে। বাজের শব্দ আর ঠান্ডা বাতাস এই দুইয়ে মিলে ঘুম ভেঙ্গে গেল। রাতে ঘুমিয়েছি অনেক দেরীতে তাই এই ঠান্ডা ঠান্ডা বৃষ্টি মুখর পরিবেশে আবার ঘুম। দারুন ঘুম। ঘুমানোর সময় একটা স্বপ্ন দেখলাম। কলেজ নিয়ে। কলেজে থাকতে সকাল বেলা বৃষ্টি ছিল সবার বহু প্রতিক্ষীত কিন্তু তার দেখা পাওয়া যেত ভোর বেলা কদাচিত।

বিস্তারিত»

আমার ফেসবুকিং আটকায় কে??

সরকার ফেসবুক বন্ধ করসে খুব ভাল করসে!পোলাপাইনের কাম নাই-কাজ নাই…সারাদিন এই ফাউল সাইটে বইসা গ্যাজায়!শুধুশুধু সময়ের অপচয়…এই কথা আমিও বিশ্বাস করি।কিন্তু ফেসবুক ছাড়া আর কোথাও শান্তি পাই না!কলেজ থেকে বের হইসি গত ২৪ তারিখ,পোলাপাইনরে খুব মিস করি!তবু খুব মজা লাগে সবাই ফেসবুকে দেখা সাক্ষাত করতে!কিন্তু কী থেকে কী হলো সন্ধ্যা থেকে ঢুক্তে পারতেসি না…প্রথমে বুঝি নাই কাহিনী কি!বুঝলাম সামুতে ঢুকে।তখন থেকেই হাজার হাজার পোস্ট কেমনে এফবি তে ঢোকা যায়!এর মধ্যে সবচেয়ে ইজি প্রসেস আসতে রাত ২ টা বাজছে।খালি এক সেকেন্ডের মামলা…http এর পর খালি একটা s বসায়া দেন!মানে এড্রেসটা হবে https://www.facebook.com …এই তো!আমি ফেসবুকে ঢুকসিলাম বাট মজা নাইক্কা!কজ পোলাপাইনই নাই।ওরা তো আর জানে না…মোবাইল দিয়া ঢোকে কিছু পাবলিক আছে…যাই হোক যারা ফেসবুক মিস করতেসেন ……আসেন…সরকার তো ফেসবুক আটকাইতে চায়…কিন্তু এইটা তো আর ক্যাডেট কলেজ না।আর ক্যাডেটদের আটকানো যায় নাকি?…চামে আমার প্রোফাইলটাও দিয়ে দেই…পারলে একটা রিকোয়েস্ট মাইরেন!

বিস্তারিত»