মনের ভাবটুকু ভাষাতে প্রকাশ করতে যে সব মানুষ বরাবরই দুর্বল, আমি তাদের দলে। তবুও অনেকদিন পর দুঃসাহসটুকু করে ফেললাম। সারাদিন অবিশ্রাম বর্ষন যে কাকে বলে তা কখনোই বুঝতে পারতাম না যদি না সিলেট আসা হতো। সারাক্ষন বৃষ্টির একটানা রিমঝিম ছন্দে আজ মনটা যে কোথায় হারিয়ে ফেলেছিলাম জানি না। বাইরে এখন রাতের নিঃশব্দতা, হঠাত করে নিজেকে অনেক একা মনে হচ্ছে। রোমান্টিক আমি ছিলাম না কখনই। তাই কখনই কবিতা আমাকে সেইভাবে টানে নি।
বিস্তারিত»কিছু কথা মনে পড়ে
ব্লগে একদম নতুন এসেই আমার ক্লাসমেট হায়দার এর “বাণী চিরন্তনী – ক্যাডেট ভার্সন” পইড়া ব্যাপক মজা পাইলাম। এরপর আমার মাথায় কলেজের কিছু উক্তি ঘুরাঘুরি শুরু করছে। চিরন্তনী টাইপ না হইলেও আমার এখনও মনে আছে। (হায়দারকে বলে নিছি, যাতে সে আবার কপিরাইট মামলা না করে দেয়)
১। কলেজে তখন ইংরেজীতে কথা বলার উপর খুব জোর চলতেছে। আমদের সাথে সাথে মাঝে মাঝে স্যাররাও ঝামেলায় পড়ে যেতেন।
বিস্তারিত»কি লিখি
আসলেই, কি লিখি! মাথাটা দিন দিন কেমন জানি খালি খালি লাগে। সকাল বেলা অফিসে ঢুকে সবার আগে এককাপ কফি না ধরাইলে (বিড়ি ছারছি আইজ ৯ মাস, অহন কফিই ধরাই, কপাল…) মাথার জট খোলে না। তারপরে ব্লগে ঢুকে মনে মনে আবার ভাবি , কি লিখি! প্রায় এক মাস আগে কাম্রুল ইয়াহু মেসেঞ্জারে নক কইরা জিগায় লেখা দেই না ক্যান। আমি যথারীতি বিশাল ভাব নিয়া কই “ভাইরে,
বিস্তারিত»একটি অগল্প-জনিত প্রয়াস বা বিভ্রম
বাইরে যদি খুব তীব্র আলো থাকে, তাহলে ঘরের ভেতর থেকেও সেই আঁচ টের পাওয়া যায়। জানালাটায় পর্দা দেয়া, তারপরেও সূর্যের আলোর তেজ পর্দার ঘেরাটোপ পেরিয়ে চলে আসে। আমি এরকম দিনে খুব ঘরকাতুরে হয়ে পড়ি, এ’ঘর-ওঘর করি। তারপরেও নিতান্ত দরকার না পড়লে বাইরে বের হই না। এখন কোনো কোনো দিন ছুটি থাকে, কোনো কোনো দিন সারাদিন কাজ। যেদিন কাজে থাকি, নিঃশ্বাস ফেলার সময়ও পাই না,
বিস্তারিত»ছারপোকা সমাচার-২
ছারপোকা সমাচার-১এর পর থেকে
…ঘটিতে থাকিল নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।ছারপোকা পিন্টুর জীবন অতিষ্ট করিয়া তুলিল।শুধু তারই না,সকলেরই।একদা এক হলমেট খাট পিছনের বারান্দায় লইয়া দাউ দাউ করিয়া আগুন ধরায় দিল আর তার পাশে দাঁড়াইয়া হা হা করিয়া হাসিতে লাগিল।নিন্দুকেরা রটাইল, ‘মাথা গিয়াছে!’ কিন্তু খাট আধপোড়া করিয়া সেদিন সে যে শান্তির ঘুম দিল তাহা দেখিয়া অনেকেই পরবর্তী এক সপ্তাহ ‘অগ্নিছ্যাঁকা’ দিয়া ছারপোকা তাড়াইল!কিন্তু এর কুফল পাওয়া গেল যেদিন একজন তার আধপোড়া খাট ভাঙ্গিয়া ভূপাতিত হইল!….খাট হইতে ছারপোকা হয়ত আগুন দিয়া তাড়ানো গেল,কিন্তু তাই বলিয়া কি আর টেবিল,চেয়ার,আলমারি পোড়ানো সম্ভব!…।তাই কেরোসিন অথবা মোমবাতি ক্রয় করিয়া কষ্ট করিয়া খাট পোড়ানোর তরিকা ধীরে ধীরে সবাই পরিহার করিল।।…..
বিস্তারিত»পাখির প্রতি…
প্রতিদিনের মত আজকেও ঘুম থেকে উঠেই বল্লাম,’কেমন আছো …?’বলেই বুঝলাম ভিতরটা মোচর দিয়ে উঠলো।প্রচন্ড কষ্টে মনে হলো দম বন্ধ হয়ে যাবে।বালিশে মুখ গুঁজে হাউমাউ করে কাঁদলাম,পাছে বাসার সবাই শব্দ শুনে ফেলে।
প্রথম যেদিন বুঝেছিলাম তুমি আর কোনদিন আমার হবেনা সেদিন যেমন আত্মাছেড়া কষ্ট হয়েছিল প্রতিটাদিন এবং আজো তেমন কষ্ট পাই।তোমাকে আলো ভেবে পেতে চেয়ে যে সারাজীবনের মত এমন অন্ধকারে হারিয়ে ফেলব…তুমি প্রথম থেকেই জানতে তাই না …?তাই আমাকে প্রতিটাদিন শক্ত হতে বলতে।কি লাভ হলো তোমার?আমাকে আগুনের কিনারে নিয়ে একা ছেড়ে দিয়ে কি লাভ হলো তোমার?কে জিতলো আর কে হারলো এই ভয়ঙ্কর খেলায়?
শিক্ষকতা এবং মোটিভেশনঃ কিছু ব্যক্তিকথন ও একান্ত চয়ন
শিক্ষকতা এবং মোটিভেশনঃ কিছু ব্যক্তিকথন ও একান্ত চয়ন
[এই লেখাটা আমার সকল শিক্ষক এবং ছাত্রকে উৎসর্গ করা হল।]
আমার ক্যাডেট কলেজের এক বন্ধুর দু’টি কথা আমি সবসময় মনে রাখার, পালন করার এবং অনুভব করার চেষ্টা করি। সে একদিন আমাকে বলেছিল নেশা এবং পেশা এক হওয়াটা নাকি একটা বিরাট মানসিক প্রশান্তির ব্যাপার। আবার কোন এক সময় তার মুখেই শুনেছিলাম, সেইই প্রকৃত সুখী,
বিস্তারিত»ছুটি
১২ ই জুন ১৯৯৯। প্রথম বার ছুটি কি তা সত্যি উপলব্ধি করি। আমাদের ফার্স্ট টার্মের প্রথম ছুটি ছিল সেটা। এর আগে স্কুল লাইফ এ পাওয়া সব ছুটির আনন্দ যেন উবে গিয়েছিল নিমিষেই। আর কখনও ঐ অনুভুতি ফিরে পাওয়াটা দুষ্কর হবে বলে ভেবেছিলাম। আমি জানি আমাদের সিংহভাগই কখনও আর সেই স্বাদ আস্বাদন করতে পারে নি।
অথচ ভাগ্যের চক্রে আমাদের মত গুটিকয়েক অসহায় প্রাণ এখনও ছুটির জন্য সেই একই ভাবে সীমাহীন আগ্রহে অপেক্ষা করে।
ভালোবাসা ফিরে ফিরে আসে
বহুদিন পর কলেজে গেলাম আজকে। সেই বহুদিনটা হিসেব করতে গিয়ে দেখি চার বছর হয়ে গেছে! শেষবার গিয়েছিলাম কলেজ রিইউনিয়নে, ২০০৭ এ। ৩৩ জনের বড়সড় গ্যাং ছিলাম সেবার আমরা। যাই করি সবাই একসাথে মিলে করি , শুধু বাথরুম আর টয়লেট ছাড়া। আনন্দে মাখামাখি হয়ে সেবার কলেজ থেকে ফিরে আসার পর কলেজে আর যাওয়া হয়নি।
আবার গেলাম আজ।
নস্টালজিয়ার টানে না, নেহায়েত পার্থিব দরকারেই যাওয়া।
বইমেলা, সেবা প্রকাশনী এবং আমি
বছর তিন চার আগের বইমেলার কথা। সেবা প্রকাশনীর স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। প্রচন্ড ভীড়, বেশিরভাগই স্কুল কলেজের ছেলেমেয়ে। সামনে এগুতে না পেরে এক কোনায় দাড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ কানে ভেসে এল এক তরুণীর মন্তব্য – “ভাবতে অবাক লাগে একসময় এই বই গুলো কিভাবে যে পড়েছি! এখন বুঝি এগুলো আসলে কোনো লেখাই না।“ তারপর কয়েকজন ভারতীয় লেখকের প্রশংসা করে তিনি বললেন যে এগুলোই আসল সাহিত্য। তাকিয়ে দেখলাম আমাদের সমবয়সী এক তরুণী তার বান্ধবীর সাথে কথা বলছে।
বিস্তারিত»নারী দিবস নিয়ে একটা কিছু লেখার চেষ্টা
১.
শুরুতেই নারীর জয়গান গাই। আজ দেওয়া হল অস্কার পুরস্কার। এবার সেরা পরিচালক হলেন ক্যাথারিন বিগোলো। অস্কারের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারী সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেলেন। তার ছবিটির নাম দি হার্ট লকার। সেরা সিনেমার পুরস্কারও পেয়েছে এটি। আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ ১০০ বছরে পা দিল। এরকম এক দিনে এর চেয়ে ভাল পুরস্কার আর কী হতে পারে।
বাড়তি কিছু তথ্য দেই। ক্যাথারিন বিগোলো জেমস ক্যামেরুনের সাবেক স্ত্রী।
পার্বত্য চট্টগ্রাম
কম্বল বিতরণের দিন সকাল সকাল উঠে রওনা দিলাম আমরা। এই দিকটায় যারা শীতবস্ত্র দিতে আসেন, তারা সবাই আশেপাশের রাস্তার ধারেই বিলিয়ে চলে যান, কারণ এতো লোড নিয়ে ভেতরে যাওয়াটা বেশ কষ্টকর। এই কারণে বান্দরবন ও তার আশেপাশের গ্রামের একজন একাধিক কম্বল পেলেও গভীর পাহাড়ে বসবাসকারীরা অসহায়ই থেকে যান। আমরা তাই ঠিক করলাম ভেতরে যাবো। বয়স কম, সুতরাং কষ্ট নামক পক্রিয়ার কথা মাথাতেও আসেনি আমাদের। এছাড়া তৈমু নামে যে এনজিওর সাথে যৌথভাবে কাজ করতে গিয়েছি,
বিস্তারিত»আমার একমাত্র ‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে’….সন ২০০৬
বস ডেকে বলে দিলেন, কালকে একটু ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাও তো……… ~x(
উফ!! এতো দেখি মহা মুশকিল, জানি তেমন কোন কাজের কাজ নাই, শুধু শুধু যাওয়া হবে……..কিন্তু তা তো আর বলা যায়না……তার উপর প্রথম চাকরি……তাই বললাম, স্যার ভ্যালেন্টাইন’স ডে তে ঢাকায় থাকা দরকার…….
তখনই চরম শুদ্ধভাষী বসের মুখে শুনলাম অমোঘ এক বাণী…. :no: …তোমার বউ যেদিন তোমার চাকরিকে তার সতিন মনে করবে, বুঝতে পারবে তুমি সফল!!!
বিস্তারিত»দিনলিপিঃ আউল ফাউল দিবস ও ফাও প্যাচাল
কিছুদিন আগে রাতে হঠাত মোবাইলে এস এম এস।
“ভাইয়া, কেমন আছেন? অনেকদিন সাড়া শব্দ পাই না। সব কিছু ভালো তো?”
পড়ার পর অনেকক্ষন কি চিন্তা করবো তাই খুজে পাচ্ছিলাম না। সিসিবি কি এক আজব মায়ার বাধনে আমাদের জড়িয়ে রেখেছে। তা না হলে সেই পিচকি চা ওয়ালাকে কখনো দেখি নাই, ও আমাকে দেখে নাই, সে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকে আমাকে এই এস এম এস করে।
বিক্ষিপ্ত ভাবনা – ৩
১। শুরু আর শেষের মধ্যে যে দুরত্ব, শেষ আর শুরুর মধ্যে কিন্তু তা নেই। এই চরম সত্যটা আমরা সবাই জানলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা মেনে নিতে চাই না। গত ১৩ ডিসেম্বর ২০০৯ থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য শুরু হয়েছিল আমাদের (অর্থাৎ সেনাবাহিনীর) শীতকালীন যৌথ প্রশিক্ষন। ছয় সপ্তাহ তীব্র শীতের মধ্যে মাঠে-ঘাটে, বনে-বাদারে থাকতে হবে এটাই তো অনেক কষ্ট, তারপর যদি যুক্ত হয় পদাতিক বাহিনীর চক্কর তাহলে তো কথায় নেই।
বিস্তারিত»