খুশী হওয়া আসলেই সহজ

তিন বছর আগে যখন ডাক্তার জানালো যে তারা আমার হৃদয় খুলে দেখতে চায়, আমি অবাক হবার ভান করে বললাম – বলো কি? আমার স্ত্রী তো সব সময় বলে যে আমি হৃদয়হীন মানুষ। তোমরা কি তাকে যেয়ে বলবে যে আমার হৃদয়ের খোজ তোমরা পেয়েছো?

প্রথমে বুঝতে পারেনি, পরে বুঝতে পেরে ডাক্তার ও নার্স দু’জনেই হাসি দিল। বছর দু’য়েক ভালই চললো, তারপর তারা আবার আবিস্কার করলো যে,

বিস্তারিত»

অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (জীবনের টুকরো দেশে-বিদেশে)


মাঝে মধ্যে রাতের খাবারের সময়টাতে আমরা পরিবারের সদস্যরা মিলে গল্প গল্প খেলি। খেলাটা হচ্ছে কোন একটা বিষয়বস্তু নিয়ে পালাক্রমে সবাই একটা করে গল্প বলবে। যেমন কোন একদিনের বিষয়বস্তু ছিল এম্বুলেন্স। রাইসা গল্প বললো এইভাবে যে ফেইরী গড মাদারের দেরি দেখে সিন্ডারেলা ৯১১ (আমেরিকার জরুরী বিভাগের নাম্বার) নাম্বারে ফোন করে এম্বুলেন্স ডেকে এনে তাড়াতাড়ি রাজপুত্রের নাচের অনুষ্ঠানে চলে গেল। রাসীনের গল্পটা হলো এম্বুলেন্স আর ফায়ার ট্রাক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল।

বিস্তারিত»

আমার চারপাশ ০৪

আজকে সকালটা শুরু হল বৃষ্টি দিয়ে। ভোরে প্রচন্ড শব্দে একটা বাজ পরল, তখন প্রায় ছয়টা বাজে। বাজের শব্দ আর ঠান্ডা বাতাস এই দুইয়ে মিলে ঘুম ভেঙ্গে গেল। রাতে ঘুমিয়েছি অনেক দেরীতে তাই এই ঠান্ডা ঠান্ডা বৃষ্টি মুখর পরিবেশে আবার ঘুম। দারুন ঘুম। ঘুমানোর সময় একটা স্বপ্ন দেখলাম। কলেজ নিয়ে। কলেজে থাকতে সকাল বেলা বৃষ্টি ছিল সবার বহু প্রতিক্ষীত কিন্তু তার দেখা পাওয়া যেত ভোর বেলা কদাচিত।

বিস্তারিত»

আমার ফেসবুকিং আটকায় কে??

সরকার ফেসবুক বন্ধ করসে খুব ভাল করসে!পোলাপাইনের কাম নাই-কাজ নাই…সারাদিন এই ফাউল সাইটে বইসা গ্যাজায়!শুধুশুধু সময়ের অপচয়…এই কথা আমিও বিশ্বাস করি।কিন্তু ফেসবুক ছাড়া আর কোথাও শান্তি পাই না!কলেজ থেকে বের হইসি গত ২৪ তারিখ,পোলাপাইনরে খুব মিস করি!তবু খুব মজা লাগে সবাই ফেসবুকে দেখা সাক্ষাত করতে!কিন্তু কী থেকে কী হলো সন্ধ্যা থেকে ঢুক্তে পারতেসি না…প্রথমে বুঝি নাই কাহিনী কি!বুঝলাম সামুতে ঢুকে।তখন থেকেই হাজার হাজার পোস্ট কেমনে এফবি তে ঢোকা যায়!এর মধ্যে সবচেয়ে ইজি প্রসেস আসতে রাত ২ টা বাজছে।খালি এক সেকেন্ডের মামলা…http এর পর খালি একটা s বসায়া দেন!মানে এড্রেসটা হবে https://www.facebook.com …এই তো!আমি ফেসবুকে ঢুকসিলাম বাট মজা নাইক্কা!কজ পোলাপাইনই নাই।ওরা তো আর জানে না…মোবাইল দিয়া ঢোকে কিছু পাবলিক আছে…যাই হোক যারা ফেসবুক মিস করতেসেন ……আসেন…সরকার তো ফেসবুক আটকাইতে চায়…কিন্তু এইটা তো আর ক্যাডেট কলেজ না।আর ক্যাডেটদের আটকানো যায় নাকি?…চামে আমার প্রোফাইলটাও দিয়ে দেই…পারলে একটা রিকোয়েস্ট মাইরেন!

বিস্তারিত»

নস্টালজিক

মনের ভাবটুকু ভাষাতে প্রকাশ করতে যে সব মানুষ বরাবরই দুর্বল, আমি তাদের দলে। তবুও অনেকদিন পর দুঃসাহসটুকু করে ফেললাম। সারাদিন অবিশ্রাম বর্ষন যে কাকে বলে তা কখনোই বুঝতে পারতাম না যদি না সিলেট আসা হতো। সারাক্ষন বৃষ্টির একটানা রিমঝিম ছন্দে আজ মনটা যে কোথায় হারিয়ে ফেলেছিলাম জানি না। বাইরে এখন রাতের নিঃশব্দতা, হঠাত করে নিজেকে অনেক একা মনে হচ্ছে। রোমান্টিক আমি ছিলাম না কখনই। তাই কখনই কবিতা আমাকে সেইভাবে টানে নি।

বিস্তারিত»

কিছু কথা মনে পড়ে

ব্লগে একদম নতুন এসেই আমার ক্লাসমেট হায়দার এর “বাণী চিরন্তনী – ক্যাডেট ভার্সন” পইড়া ব্যাপক মজা পাইলাম। এরপর আমার মাথায় কলেজের কিছু উক্তি ঘুরাঘুরি শুরু করছে। চিরন্তনী টাইপ না হইলেও আমার এখনও মনে আছে। (হায়দারকে বলে নিছি, যাতে সে আবার কপিরাইট মামলা না করে দেয়)

১। কলেজে তখন ইংরেজীতে কথা বলার উপর খুব জোর চলতেছে। আমদের সাথে সাথে মাঝে মাঝে স্যাররাও ঝামেলায় পড়ে যেতেন।

বিস্তারিত»

কি লিখি

আসলেই, কি লিখি! মাথাটা দিন দিন কেমন জানি খালি খালি লাগে। সকাল বেলা অফিসে ঢুকে সবার আগে এককাপ কফি না ধরাইলে (বিড়ি ছারছি আইজ ৯ মাস, অহন কফিই ধরাই, কপাল…) মাথার জট খোলে না। তারপরে ব্লগে ঢুকে মনে মনে আবার ভাবি , কি লিখি! প্রায় এক মাস আগে কাম্রুল ইয়াহু মেসেঞ্জারে নক কইরা জিগায় লেখা দেই না ক্যান। আমি যথারীতি বিশাল ভাব নিয়া কই “ভাইরে,

বিস্তারিত»

একটি অগল্প-জনিত প্রয়াস বা বিভ্রম

1010

বাইরে যদি খুব তীব্র আলো থাকে, তাহলে ঘরের ভেতর থেকেও সেই আঁচ টের পাওয়া যায়। জানালাটায় পর্দা দেয়া, তারপরেও সূর্যের আলোর তেজ পর্দার ঘেরাটোপ পেরিয়ে চলে আসে। আমি এরকম দিনে খুব ঘরকাতুরে হয়ে পড়ি, এ’ঘর-ওঘর করি। তারপরেও নিতান্ত দরকার না পড়লে বাইরে বের হই না। এখন কোনো কোনো দিন ছুটি থাকে, কোনো কোনো দিন সারাদিন কাজ। যেদিন কাজে থাকি, নিঃশ্বাস ফেলার সময়ও পাই না,

বিস্তারিত»

ছারপোকা সমাচার-২

ছারপোকা সমাচার-১এর পর থেকে

…ঘটিতে থাকিল নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।ছারপোকা পিন্টুর জীবন অতিষ্ট করিয়া তুলিল।শুধু তারই না,সকলেরই।একদা এক হলমেট খাট পিছনের বারান্দায় লইয়া দাউ দাউ করিয়া আগুন ধরায় দিল আর তার পাশে দাঁড়াইয়া হা হা করিয়া হাসিতে লাগিল।নিন্দুকেরা রটাইল, ‘মাথা গিয়াছে!’ কিন্তু খাট আধপোড়া করিয়া সেদিন সে যে শান্তির ঘুম দিল তাহা দেখিয়া অনেকেই পরবর্তী এক সপ্তাহ ‘অগ্নিছ্যাঁকা’ দিয়া ছারপোকা তাড়াইল!কিন্তু এর কুফল পাওয়া গেল যেদিন একজন তার আধপোড়া খাট ভাঙ্গিয়া ভূপাতিত হইল!….খাট হইতে ছারপোকা হয়ত আগুন দিয়া তাড়ানো গেল,কিন্তু তাই বলিয়া কি আর টেবিল,চেয়ার,আলমারি পোড়ানো সম্ভব!…।তাই কেরোসিন অথবা মোমবাতি ক্রয় করিয়া কষ্ট করিয়া খাট পোড়ানোর তরিকা ধীরে ধীরে সবাই পরিহার করিল।।…..

বিস্তারিত»

পাখির প্রতি…

প্রতিদিনের মত আজকেও ঘুম থেকে উঠেই বল্লাম,’কেমন আছো …?’বলেই বুঝলাম ভিতরটা মোচর দিয়ে উঠলো।প্রচন্ড কষ্টে মনে হলো দম বন্ধ হয়ে যাবে।বালিশে মুখ গুঁজে হাউমাউ করে কাঁদলাম,পাছে বাসার সবাই শব্দ শুনে ফেলে।
প্রথম যেদিন বুঝেছিলাম তুমি আর কোনদিন আমার হবেনা সেদিন যেমন আত্মাছেড়া কষ্ট হয়েছিল প্রতিটাদিন এবং আজো তেমন কষ্ট পাই।তোমাকে আলো ভেবে পেতে চেয়ে যে সারাজীবনের মত এমন অন্ধকারে হারিয়ে ফেলব…তুমি প্রথম থেকেই জানতে তাই না …?তাই আমাকে প্রতিটাদিন শক্ত হতে বলতে।কি লাভ হলো তোমার?আমাকে আগুনের কিনারে নিয়ে একা ছেড়ে দিয়ে কি লাভ হলো তোমার?কে জিতলো আর কে হারলো এই ভয়ঙ্কর খেলায়?

বিস্তারিত»

শিক্ষকতা এবং মোটিভেশনঃ কিছু ব্যক্তিকথন ও একান্ত চয়ন

শিক্ষকতা এবং মোটিভেশনঃ কিছু ব্যক্তিকথন ও একান্ত চয়ন

[এই লেখাটা আমার সকল শিক্ষক এবং ছাত্রকে উৎসর্গ করা হল।]

আমার ক্যাডেট কলেজের এক বন্ধুর দু’টি কথা আমি সবসময় মনে রাখার, পালন করার এবং অনুভব করার চেষ্টা করি। সে একদিন আমাকে বলেছিল নেশা এবং পেশা এক হওয়াটা নাকি একটা বিরাট মানসিক প্রশান্তির ব্যাপার। আবার কোন এক সময় তার মুখেই শুনেছিলাম, সেইই প্রকৃত সুখী,

বিস্তারিত»

ছুটি

১২ ই জুন ১৯৯৯। প্রথম বার ছুটি কি তা সত্যি উপলব্ধি করি। আমাদের ফার্স্ট টার্মের প্রথম ছুটি ছিল সেটা। এর আগে স্কুল লাইফ এ পাওয়া সব ছুটির আনন্দ যেন উবে গিয়েছিল নিমিষেই। আর কখনও ঐ অনুভুতি ফিরে পাওয়াটা দুষ্কর হবে বলে ভেবেছিলাম। আমি জানি আমাদের সিংহভাগই কখনও আর সেই স্বাদ আস্বাদন করতে পারে নি।
অথচ ভাগ্যের চক্রে আমাদের মত গুটিকয়েক অসহায় প্রাণ এখনও ছুটির জন্য সেই একই ভাবে সীমাহীন আগ্রহে অপেক্ষা করে।

বিস্তারিত»

ভালোবাসা ফিরে ফিরে আসে

বহুদিন পর কলেজে গেলাম আজকে। সেই বহুদিনটা হিসেব করতে গিয়ে দেখি চার বছর হয়ে গেছে! শেষবার গিয়েছিলাম কলেজ রিইউনিয়নে, ২০০৭ এ। ৩৩ জনের বড়সড় গ্যাং ছিলাম সেবার আমরা। যাই করি সবাই একসাথে মিলে করি , শুধু বাথরুম আর টয়লেট ছাড়া। আনন্দে মাখামাখি হয়ে সেবার কলেজ থেকে ফিরে আসার পর কলেজে আর যাওয়া হয়নি।
আবার গেলাম আজ।
নস্টালজিয়ার টানে না, নেহায়েত পার্থিব দরকারেই যাওয়া।

বিস্তারিত»

বইমেলা, সেবা প্রকাশনী এবং আমি

বছর তিন চার আগের বইমেলার কথা। সেবা প্রকাশনীর স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। প্রচন্ড ভীড়, বেশিরভাগই স্কুল কলেজের ছেলেমেয়ে। সামনে এগুতে না পেরে এক কোনায় দাড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ কানে ভেসে এল এক তরুণীর মন্তব্য – “ভাবতে অবাক লাগে একসময় এই বই গুলো কিভাবে যে পড়েছি! এখন বুঝি এগুলো আসলে কোনো লেখাই না।“ তারপর কয়েকজন ভারতীয় লেখকের প্রশংসা করে তিনি বললেন যে এগুলোই আসল সাহিত্য। তাকিয়ে দেখলাম আমাদের সমবয়সী এক তরুণী তার বান্ধবীর সাথে কথা বলছে।

বিস্তারিত»

নারী দিবস নিয়ে একটা কিছু লেখার চেষ্টা

১.
শুরুতেই নারীর জয়গান গাই। আজ দেওয়া হল অস্কার পুরস্কার। এবার সেরা পরিচালক হলেন ক্যাথারিন বিগোলো। অস্কারের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারী সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেলেন। তার ছবিটির নাম দি হার্ট লকার। সেরা সিনেমার পুরস্কারও পেয়েছে এটি। আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ ১০০ বছরে পা দিল। এরকম এক দিনে এর চেয়ে ভাল পুরস্কার আর কী হতে পারে।
বাড়তি কিছু তথ্য দেই। ক্যাথারিন বিগোলো জেমস ক্যামেরুনের সাবেক স্ত্রী।

বিস্তারিত»