ত্রিশ কোটি হাত বনাম ক্যান্সার

কিরে ব্যাটা মন খারাপ?ধুর বোকা ক্লাস সেভেনে একটু আধটু এরকম হয়।এজন্যে মন খারাপ করতে হয়না।পেছন তাকিয়ে দেখি হোসেন ভাই।
তার সেই চির চেনা হাতটা মাথার ওপর।আমি আরো জোড়ে ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেললাম।একটু আগেই রুম লীডারের রুমে ছিলাম।টানা দশমিনিট জানালার গ্রিলের সাথে পা ঝুলিয়ে।ক্যাডেট কলেজের ভাষায় যার নাম লং আপ।হোসেন ভাই তখন রুমে ছিলেন।আমার অবস্থা দেখে ভেতরে ভেতরে হয়তো একটু আধটু কষ্টও পেয়েছিলেন।কিন্তু ক্লাসমেট এর মুখের ওপর কথা বলা নিয়মে নেই।তাই তিনি এখানে নির্বাক দর্শক।

বিস্তারিত»

এমনি করে সবাই যাবে…

গানটি ছিল এরকম

এমনি করে সবাই যাবে, যেতে হবে,
দেহের মাপের মাটির ঘরে শুতে হবে,
কেউ রবে না তখন সাথে যারাই ছিলো দিনে-রাতে;
চোখের আলোর ঝাড়বাতিটা নিভিয়ে দেবে, নিভিয়ে দেবে। ……

ফিডব্যাকের ১৪০০ বঙ্গাব্দ এ্যালবামের গান।

বিস্তারিত»

এ্যানাগ্লিফ

এই বছরের এপ্রিল মাস থেকে রাজধানীতে অবস্থান করছি। ৪ জন মিলে আছি আমার কলেজের-ই এক বন্ধুর বাসায়; ৪ ক্যাডেট বন্ধু, আর কেউ নয়। সুতরাং বলাই বাহুল্য, সময়টা দারুণ যাচ্ছে 🙂

আমাদের প্রতিদিনের একটা কমন কাজ হল অফিস থেকে ফিরে রাতে ডিনারের পর একসাথে রাত জেগে টিভি দেখা। এটা প্রতিটি পরিবারেরই একটা খুব সাধারণ দৃশ্য, কিন্তু ব্যাপারটা আদতে অত স্বাভাবিক নয়। ব্লগের নন-ক্যাডেট ভিজিটর-দের বোঝার সুবিধার্থে বলছি : ক্যাডেট কলেজে একসাথে থার্সডে নাইটে মুভি দেখার ব্যাপারটা অনেক স্পেশাল ছিল।

বিস্তারিত»

ক্লাস টুয়েলভ ১৯৮৩

১ জানুয়ারী’ ৮৩।
অবশেষে তুমি এলে। অনেক প্রতীক্ষার পর, কোনো আড়ম্বর বা আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া। তুমি যুগযুগান-রে মহাকালের সূচনা এভাবেই দাও কোনো একটি দিনের মাধ্যমে। তিরাশী, বিরাশিতে তুই পঁচা ছিলি। এ বছর আমার সাথে ভালো আচরণ করিস।

৩ জানুয়ারী’ ৮৩।
”আল্লাহ তা’য়ালা তোমাকে যতটুকু দান করিয়াছেন, ততোটুকুতে শানি- থাকিয়া এবং তাহার শুকরিয়া আদায় করিয়া পরিশ্রম করিতে থাক। অবশ্যই আল্লাহ তা’য়ালা একদিন তোমাকে সম্মানিত আসনের মালিক করিবে॥”

৮ জানুয়ারী’ ৮৩।

বিস্তারিত»

ক্লাস ইলেভেন ১৯৮২

৫ জানুয়ারী ’৮২।
উইন্টার ভ্যাকেশনে বাড়ি আছি। সামনে এস এস সি পরীক্ষা। পড়াশুনা ছাড়া আর কোনো কাজ নাই। কিন’ আমি আছি আমার রেডিও নিয়ে। শ্রীলংকা ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন থেকে আপকে ফরমাইশ অনুষ্ঠান যতক্ষণ চলে আর কিছু করিনা। শুধু গান শুনি।

১১ জানুয়ারী ’৮২।
আমার কোনো প্রিপারেশন নাই। একা একা নিজে রুটিন করে নিজে পড়ছি। তুহীন দুইজন মাস্টার রেখেছে।

২৮জানুয়ারী ’৮২।

বিস্তারিত»

ক্লাস টেন ১৯৮১

১৫ জানুয়ারী ’৮১।
সকালে জালাল চাচার সাইকেল নিয়ে বিয়ানী বাজার গিয়েছিলাম জমিনের রেজিষ্ট্রি হবে। বড় চাচার আসার কথা ছিলো ১টা পর্যন-। কিন’ ২টা পর্যন- যখন এলেন না, তখন আমি সাইকেল নিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলাম। বিয়ানী বাজারে খবর পেলাম আমাদের গ্রাম দোয়াখার সাথে পাশের গ্রাম পুরষপালের মারামারি হয়েছে। তাতে আমাদের গ্রামের একজন মারা গেছে। আমি দ্রুত বাড়ির দিকে আসতে থাকি। এ সময় শুনি আমাদের গ্রাম নয়,

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি-৭

একেকদিন অফিস পালিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াতে বেশ লাগে।কি একটা জরুরী কাজ পড়ে গেছে ভান করে বেরিয়েই একটা লম্বা শ্বাস-উফ্‌, দম বন্ধ হয়ে আসছিলো!ঘাড় কাত করে তার আর দালানের জঙ্গল থেকে আকাশটাকে আলাদা করতে চেষ্টা করি, পারিনা।একটুকরো আকাশও আজকাল এত দুর্লভ হয়ে গেছে এই শহরে!

অফিস পালিয়ে মানুষ দেখি,ছককাটা আকাশের নীচে ঢাকার উদভ্রান্ত ছুটে চলা দেখি।
দিনটাকে এত মনোরম আর রঙিন মনে হয়!অঢেল সময় হাতে নিয়ে একেকটা মুহূর্তকে নবাবী মেজাজে ছুঁড়ে ফেলতে ফেলতে ফুটপাত ধরে এগিয়ে চলা।ঘাড়ের কাছে কয়েকটা রিকশা এসে দেনদরবার করে উড়িয়ে নিয়ে যাবার প্রত্যয়ে।না হে,

বিস্তারিত»

ক্লাস নাইন ১৯৮০

১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৮০।
গতকাল রাত ১২টায় শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে মেইলে উঠেছিলাম। দ্বিতীয় শ্রেণীর কামরা। সকাল ১০ টায় ট্রেন এসে থামলো চট্টগ্রাম স্টেশনে। আজ জীবনের দ্বিতীয় বারের মতো চট্টগ্রাম নিউ মার্কেটে ঘুরাঘুরি করলাম। ওখানে এসকেলেটার দিয়ে দোতলায় উঠা যায়। আমি কয়েক বার উঠা-নামা করলাম। বিকেল ৪টায় নাভিদের সাথে কলেজে  চলে এলাম। বছরের শুরুতে একমাস উইন্টার ভ্যাকেশন ছিলো। কাল থেকে শুরু হবে নতুন ক্লাসে নতুন জীবন।

বিস্তারিত»

বিনির্মাণ

মাঝে মাঝে কোলাহল মুখ ফিরিয়ে নেয় জলের প্রবাহের মতো শব্দের ঢেউ এলোমেলো যত্রতত্র হঠাৎ খুলে যায় স্রোতমুখ তার অন্যদিকে কোন অন্য মানুষের দিকে

কোলাহলে পিঠ রেখে অন্ধকার দেখি
গাঢ় বিশুদ্ধ অন্ধকার জ্বলছে মেরুদণ্ডহীন
লতানো গাছের মতো নমনীয়, নতজানু
জড়িয়ে আছে বিদ্যুল্লতা
একা একা তীব্র মৌন

নেই আপত্তি নেই অভিযোগ
নেই পুরানো হিসাব মেটানোর দায়

একটা ফ্ল্যাট স্যান্ডের পরে ফটফট করতে করতে পাঁচ তলার ফ্ল্যাটে উঠে দেখি হাতুড়ি এবং লোহা দিয়ে দুইজনে দেয়াল ভাঙছে।

বিস্তারিত»

একটি ব্যক্তিগত উপলব্ধি

এক সময় যেটা অন্যায় ভাবতাম সেটা কাউকে সমর্থন করতে দেখলে খুব রাগ লাগত।কিন্তু যত দিন যাচ্ছে আমি একটা বিষয় খেয়াল করেছি পৃথিবীতে মনে হ্য় এমন কোন কোন বিষয় নেই যেটা অন্তত একজনও সমর্থন করে না। প্রায় সব মত পথ তা আপাত দৃষ্টিতে যত খারাপই মনে হোক না কেন কেউ না কেউ এর সমর্থক হবে কেউ কেউ অনুসারি হবে। কিছু ঊদাহরণ দিলেই বিষয়টা পরিষ্কার হবে। যেমন হিটলার ,

বিস্তারিত»

বাংলাদেশ বদলাবেই

আজ থেকে ৩ বছর আগে মাত্র কেবল সেকেন্ড ইয়ারে পা দিয়েছি। আমাদের একটা কোর্স ছিল (নাম ভুলে গেছি) সেখানে ইন্টারন্যাশনাল বিযনেস পড়ানো হতো। বড় অর্থনীতি কিভাবে ছোট অর্থনীতিকে খেয়ে ফেলে তাই শিখছিলাম। বেনিয়া গোষ্ঠী (পড়ুন রাষ্ট্র) যারা আগে এলাকা দখল করে শোষন করত এখন তারা বিশ্বায়নের নামে অর্থনৈতিকভাবে শোষন করে। তারা ঋণ নিতে বাধ্য করে আবার তার কারনে তাদের নির্দেশিত পথে চলতেও হয়।

বিস্তারিত»

রোড টু জার্মানী ৩

রোড টু জার্মানী
রোড টু জার্মানী ২

আজকের আলোচনার বিষয় জার্মানীতে এপ্লাই করার বিস্তারিত উপায়।

জার্মানীতে এপ্লাই করার জন্য একটি সাইট একাই একশ, এখান থেকে আপনি খুঁজে নিতে পারবেন আপনার পছন্দ মত বিষয়, লেভেল, ভাষা মাধ্যম এবং ইউনিভার্সিটি। সেই সাথে পাওয়া যাবে এপ্লাই করতে কি কি যোগ্যতা দরকার, খরচের ধারনা, এপ্লাই করার ডেডলাইনসহ অজস্র দরকারী তথ্য।

বিস্তারিত»

ও আমার চক্ষু নাই

রুমানা মঞ্জুরকে নিয়ে এর মধ্যে গণমাধ্যমে, ব্লগে, ফেসবুকে প্রচুর লেখা হচ্ছে। ভাবছিলাম কি লিখবো! রুমানার ওপর নির্যাতনের কথা? এক ছাদের নিচে যার উপর সবচেয়ে ভরসা করা যায়, সেই লোকটার অমানুষ হয়ে ওঠার কথা? ঘরে ঘরে যে পারিবারিক সহিংসতা এদেশে চলে তার কথা? আমাদের সযত্নে গোপন রাখা সব সত্যের কথা? আমাদের তথাকথিত পৌরুষত্বের রগরগে কোনো দম্ভ?

এক. “এটা কোন রহস্য মামলা নয়।

বিস্তারিত»

রোড টু জার্মানী

যে সকল ভাই ও বোনেরা আঁতলামি আপডেট ২ পড়ে আমার জন্যে দোয়া করেছেন অথবা পড়েছেন কিন্তু দোয়া করেন নাই অথবা পড়েনও নাই দোয়াও করেন নাই তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

আমার বহুদিনের স্বপ্ন, “চাকরি ছেড়ে আবার ছাত্র হবার ধান্ধাবাজী” করতে করতে আমি অবশেষে সফল হতে চলেছি প্রায়।

ক্যাডেট কলেজ থেকেই স্বপ্ন ছিলো, দেশের বাইরে পড়তে যাব। মনে আছে, তানভীর (আমাদের পাগল বৈজ্ঞানিক ) যে কিনা ক্যাডেট কলেজে থাকতেই অক্সফোর্ড,

বিস্তারিত»

একজন খাদিজা বিবির গল্প

শাহজাদপুর এলাকায় থাকছি প্রায় দেড় বছর ধরে । বছর খানেক হবে আমাদের এলাকার মসজিদটা ভেঙে আবার চারতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে নতুন করে করা হচ্ছে।মোটামুটি প্রতি সপ্তাহেই জুম্মার নামাজের সময় ইমাম সাহেব মসজিদের কাজে সহযোগিতার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান করছেন। অনেকেই এগিয়ে আসছেন। খুতবা শেষে ইমাম সাহেব কারা কারা কত সাহায্য করলেন তার একটা ছোট হিসাব দিতেন। নামাজ শেষে তাদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হতো।

বেশ কিছুদিন আগে ইমাম সাহেব জানালেন দোতলার ইলেক্ট্রিক ওয়ারিং এর কাজ বাবদ প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা লাগবে।

বিস্তারিত»