১। গত এক বছরে এই নিয়ে দুইবার বাসা বদল করছি। গত বছরের অক্টবরে একবার করলাম। মেয়ে যেহেতু নভেম্বরে হবে তাই এক বেডরুমের বাসা ছেড়ে দুই রুমের বাসায় উঠলাম। কিন্তু নতুন বাসা নেবার সময় চিন্তাভাবনা না করেই ডুপ্লেক্স স্টাইলের দোতলা বাসা নিয়ে খেলাম ধরা। গত এক বছর ধরে সিড়ি বেয়ে উঠতে নামতে বিরক্তি ধরে গেছে। কানে ধরছি, আর দোতলা বাসা না। পিচ্চিও ইদানিং চান্স পেলেই সিড়ি বেয়ে দোতলা উঠে যায়। অতএব, আবার বাসা বদলাও।
২। ভা্জিনিয়া তে যখন মাস্টার্স করছিলাম, বউ তো ঢাকায়। প্রতি সেমিস্টার পর পর দেশে যেতাম। মাসে বেতন পেতাম মাত্র ১১০০ ডলা্র। পিঁপড়ার গুড় গোনার মত করে পয়সা বাচাতাম প্লেনের টিকিট কেনার জন্য। প্রথম যেবার আসলাম, সেবার পকেটে ছিল প্রায় ৬০০ ডলার, কিন্তু প্লেনের ভাড়া প্রায় ১৫০০+। অন্য বাঙ্গালিদের কাছ থেকে ধার দেনা করে টিকেট কেটেছিলাম। এর পরে আরো পাচছবার গিয়ছি। টিকেট কাটার পর কি যে উত্তেজনা। রীতিমত ক্যালেন্ডা্রে দাগ কেটে দিন গোনা। তারপর যাবার দিনে এয়ারপোর্টে রওনা দেয়া। শেষ দেশে গিয়েছি ২০০৮ এর মার্চে।গত আড়াই বছর ধরে নাক গুজে পরে আছি এই কোনায়। নাহ আর না। শেষ পর্যন্ত টিকেট কেটেই ফেললাম। তিনজনের টিকেট কাটতে যথারীতি ব্যাঙ্ক খালি। তাতে কি, আমার দিন গোনা তো শুরু। তারপর এমিরেটসের ফ্লাইটে ৩০ ঘন্টা, অতঃপর ঢাকার জ্যাম, আহ। গিয়া আবার বিসিসির রি-ইউনিয়ন। :goragori:
৩। পত্রিকায় প্রাইভেট ভার্সিটির ভ্যাট বিষয়ক খবর দেখে বেশ উদ্দ্বেগিত হলাম।সরকার কি শিক্ষার উপরও কর বসাচ্ছে নাকি। তাহলে পাবলিক ভার্সিটি কি পুন্য করেছে যে তারা বাদ? হাস্যকর সব পদক্ষেপ। প্রাইভেট ভার্সিটি আইনে মালিকপক্ষ সরকারকে তাদের কর্মকান্ডের জন্য জবাব দিতে বাধ্য নয়, কিন্তু ভ্যাট দেবে সাধারন ছাত্র। বলিহারি যাই। প্রাইভেটের পোলাপাইন গুলারো বোঝা উচিত আসল সমস্যা মালিক পক্ষ যারা বছর বছর ফি বাড়ায়। ভাংচুর করলে মালিকের গাড়ি আগে করা উচিত।
৪। ব্লগে তো সাবিহা জিতুপ্পি দেখি মহা হিট। তাইফুরে্র স্মৃতির ডাটাবেজ পইড়া আমার ডাটাবেজা হানা দিলাম। আম্মার সাথে গরুর গাড়ি করে দাদা বাড়ি যাবার কথা মনে পড়ছে। কতদিন গরুর গাড়ি চড়ি না। কামরুলের প্রেম বিষয়ক গল্প বেশ বেদনাদায়ক। মাস্ফুদাকে অভিনন্দন ঠোলা বাহিনীতে সুযোগ পাবার জন্য। ক্লাস এইটে একবার কলেজ থেকে বাসা আসার সময় এক পিচ্চি আমারে দেইখা ঠোলা কয়া ডাক দিসিল। তোমার কস্ট আমি বুঝি মাসরুফ। তারপরো অভিনন্দন :thumbup: ।
৫। অবশেষে Starcraft 2 এর শুভমুক্তি হয়েছে এই ২৭ তারিখে। পিসিতে গেম খেলা ছাড়ছি বুয়েট ছাড়ার পর থেকেই। ইসস, কি খেলাই না খেলছি পাচ বছর হলে ল্যান কইরা। সারা রাত মাল্টিপ্লেয়ার গেম খেইলা ভোর বেলায় ঢাকা মেডিকেলের সামনে হোটেলে পরটা আর ডিম, আহ্। পরদিন আবার টেরান, জার্গ, আর প্রোটোস নিয়া মারামারি।
Starcraft প্রথমটা বের হয়েছিল মনে হয় ১৯৯৮ এর দিকে। দ্বিতীয়টা বের হইল বার বছর পর। এটাকে বলা হয় দি গ্রেটেস্ট স্ট্র্যাটেজি গেম অব অল টাইম। দক্ষিন কোরিয়ায় তো এটা জাতীয় খেলা। এজন্য ওদের তিনটা ডেডিকেটেড টিভি চ্যানেল পর্যন্ত আছে। বিশ্বাস না হলে সার্চ দিয়ে দেখ। কর্পোরেট কম্পানিগুলো রীতিমত পয়সা দিয়ে খেলোয়াড় পোষে ক্রিকেটারদের মত। এইসব খেলোয়াড়রা সেলিব্রেটিদের মত মর্যাদা পায় ওখানে।
আমিও ভাবছি নতুন বাসায় গিয়া একটা ডেস্কটপ কিন্যা ফালামু, কিসের কি। তারপর অনলাইনে ঢিসুম ঢিসুম। কোরিয়া যামু নাকি ভাবতাছি।
৬। অফিসে ভালই চাপ। ছিল না কখন, আমারে তো আর মাগনা বসায় রাখে না। তাও এখানে অনেক আরাম। আমার এক কলিগ গত মাসে মাইক্রোসফট ছেড়ে গোল্ডম্যান স্যাক্সে জয়েন করেছে নিউ ইয়র্কে। ওখানে নাকি অফিসে বাইরের কোন সাইট পর্যন্ত ব্রাউজ করতে দেয় না, ব্লগ তো দূরে থাক। এখানে আমার নিজের রুমে আমি আন্ডি পইরা থাকলেও কেউ কিছু কইব না। সেখানে নাকি সবাই পাশাপাশি ডেস্কে সকাল আটটা থেকে রাত আটটা। তয় বছরে ১০০,০০০ ডলার দিলে আপত্তি কিসের।
৭। ৪ জুলাই (এখানকার স্বাধীনতা দিবস) গিয়েছিলাম রোড ট্রিপে অরেগনের ক্রেটার লেকে, যেটা বিখ্যাত নীল রঙ এর পানির জন্য। কয়েক পিস ছবি দিলাম, সাথে আমার পিচ্চির লেটেস্ট আপডেট। ওর দিকে তাকিয়ে থেকেই এই মরার যায়গার পরে আছি আড়াই বছর, নইলে কবে…
দেখেই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা হচ্ছে আপনার মেয়েকে...
🙂
ইয়ে মানে,আমার 'সে'-ও কিউট বাচ্চা কাচ্চা দেখলে খেয়ে ফেলতে চায়! 🙁 সামিয়াপ্পি,এটা কেমনে করে,বলেন তো? :-B
কিরে পিন্টু নাকি??? তা খেয়ে যখন ফেলতেই চায় সেক্ষেত্রে "স" আপাকে(এখানে আমাদের বোমাবাজ সামিয়াপ্পুর কথা বলা হচ্ছেনা,খুউব খিয়াল কইরা) তারাতাড়ি আমাদের ভাবী বানিয়ে ফেললেই হয়! তারপর ইনশাআল্লাহ আমরাও চাচা হমু আর "স" ভাবীও খাদ্য পাবে 😉
অফ টপিক- এই "স" আপাটা কে তার পরিচয় জানলেও কমুনা।ভাইয়ের নিষেধ আছে ;;;
:shy: বস,আস্তে ,চাইপা যান 😕
আপ্নের ছানাটা অতীব চুইট ... নামটা জানি কি? এদেশি মেয়েদের মতন দেখা মাত্র ঊঊঊঊঊঊঊঊঊঊঊ করে আওয়াজ দিতে পারলাম না, তবে ইচ্ছাটা উকি মেরে যে যায়নি তাও না।
ক্রেটার লেকের ছবিটা দেখে টুডু লিস্টটা বড় করলাম ... এবং মোটামুটি উপরের দিকেই যোগ করলাম। আপনেরে নিয়া যাবো ... তবে ঘরের বাইরে থেকে ফোন দিয়া শিউর হয়ে নিতে হবে আন্ডি পড়ে বসে আছেন কিনা 😉
ষ্টারক্রাফট ১ ধুমায়া খেলসি .... এই স্টারক্রাফটটা খেলার খুবই শখ, কিনার মতন অর্থ নাই (প্লেনের টিকিট পার্টটা রিভিজিটেড), আপনে তো মালদার পুরুষ (পুলাপাইন একদম চুপ থাক কৈলাম) .... আপনে কিনার পর ধার দেন না 😉 😉 ডেক্সটপটা কিনার সাথে সাথে ফেরৎ দিয়া দিবো কথা দিলাম 😉 😡 😡 ;)) ;))
মেয়ের নাম রাইহা।
স্টারক্রাফট ২ এর দাম ৬০ ডলার। তোমারে দিলেও তো খেলবার পারবা বইলা মনে হয় না। আমি তো আগেই ওই সিরিয়াল কি রেজিস্টার কইরা ফালামু 😛 । লেকটা আসাধারন। কি যে নীল নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। পানি যে কি নীল হতে পারে তা আগে বুঝিনি। এই লেকটা হয়েছে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের পর আগ্নেয়গিরির মাথাটা ডেবে যাবার কারনে। বিশেষ কিছু কেমিক্যালের কারনে এই নীল। ম্যালা জ্ঞ্যান ঝাড়লাম। :-B
আপনের না দয়ার শরীর ... :boss: :boss: :boss:
লেকটা দেখতেই হবে ... ওরেগন বহুৎ দূর 🙁
ইফতেখার, তুমিই বল, এই পরী দেখে উউউউউউউউউউউ............ না করে থাকা যায়!
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
যায়না ...ঠিকই বলেছেন।
যতবার এই ঊঊঊঊঊঊ শুনি ততবারই হাসি পায়, এরা এত বেশি বলে 😉
ভাইয়া, মেয়ে টা তো এন্জেল....
বৃষ্টি কে ভালবাসতে শিখলে অরিগনও ভালো লাগবে ।সব সময় সবুজ, তুষার আবৃত পর্বতচূড়, লেক, ১৮০ ডিগ্রী র জোড়া রংধনুর মনোরম সৌন্দর্য আর বসন্তে টিউলিপের দিকে তাকাতে ভুলবেন না।
নিউ ইয়র্ক সিটিতে লিভিং কস্ট টা এত বেশি যে সেখানে ১০০ k
আর পোর্টল্যান্ডের ৭০ k এর কোনো পার্থক্য দেখিনা।
চাইল্ড সেফটি স্টেযার গ্যেট লাগানোর কথা ভেবেছেন কি কখনো? আমি লাগিয়ে নিয়েছি।
লিখার সাথে ছবি যোগ করাতে আরো প্রানবন্ত মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ।
নিউ ইয়র্কের ব্যাপারটা ঠিক। আপ ডাউন কমিউটে তিন ঘন্টা মেট্রোতে কাটিয়ে অফিস করা, হাই ইঙ্কাম ট্যাক্স, সেলস্ট্যাক্স, সে হিসাবে এখানে অনেক ভাল আছি কোন সন্দেহ নেই।
চাইল্ড ডোর লাগানোর কথা ভেবেছিলাম। পরে দেখলাম বাসা যখন চেঞ্জ করছিই, কয়েকদিন ঠেকা দিয়ে চালাই। সিড়ির মুখে চেয়ার দিয়ে আটকে রাখি।
ভাই কবে আইতেছেন ????
রি ইউনিয়নে যাওয়া হবে কিনা বুঝতে পারতেছি না......এই ছাতার চাকরী আর ভাল্লাগে না....
মা-মনি মাশাল্লাহ অনেক বড় হয়ে গেছে 🙂
কোরবানীর দিন কয়েক আগে। শেষ রি-ইউনিয়ন গিয়েছিলাম মনে হয় ৯৮ না ৯৯ তে। এর পর খালি মিস করেই গেছি। এইবার ইনশাল্লাহ। কবির মত, "দেখিস, একদিন আমরাও"... :-B
যাক আপনার উছিলায় সিসিবির একটা গেট টুগেদার হবে। আমি আবার সেই সময় দেশে থাকব। লাকটা ভালই বলতে হচ্ছে।
পিচ্চিটা মাশা আল্লাহ হেভভি কিউট হইছে।
ওহহ নো কোরবানি ঈদ আমি মিস করব। আমি তো রোযা ঈদে থাকব। :(( :((
🙁 :no:
বড় চুলে তপু ভাইরে পুরা ছিনেমার হিরু হিরু লাগতেছে 😀
ঐ :thumbup:
মাস্ফুদাকে অভিনন্দন ঠোলা বাহিনীতে সুযোগ পাবার জন্য। ক্লাস এইটে একবার কলেজ থেকে বাসা আসার সময় এক পিচ্চি আমারে দেইখা ঠোলা কয়া ডাক দিসিল। তোমার কস্ট আমি বুঝি মাসরুফ। তারপরো অভিনন্দন
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আমাকে বাঁশ দেয়া হলো :-B (কপিরাইট মইনুল ভাই)
অফ টপিক- ১)আমার মাস্ফ্যু নামের সাথে "দা" লাগায় ব্লগের ছুডো পুলাপাইন,কিন্তু আপনি তো বড় ভাই,আমিই বরং আপনেরে মর্তুজাদা ডাকুম ভাবতেছি।
২) পরের বিসিএসেও রিটেনে টিকছি।ভাইভাটা ফাটাফাটি হইলে একটা অতি ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে(না হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯%) পরথম পছন্দ(ফরেন) পাওয়ার।ওইতা হইয়া গেলে শিফট কইরা ফেলুম,তখন আর কেউ ঠোলা কইয়া গালি দিতে পারবোনা :dreamy:
৩) ইয়ে বস, আপনার ওই কচিকাঁচার সিরিজের পরের পর্ব কবে পামু?সেই ইন্দাইয়ারবনাইন্টিন্সিক্সটিনাইন থিকা অপেক্ষায় আছি আইজুদ্দিন হয়া বইসা আছি...
৪) রাইহা মামনি তো অনেক বড় হইছে।ইনশা-আল্লাহ আরো বড় হয়ে ও ওর মাস্ফ্যু চাচার মত পুলিশ অফিসার হবে, সোয়াটের স্নাইপার ইউনিটে জয়েন করবে B-) :-B
মাস্ফ্যু দা , আপনার শেষ রক্ষা হবে নাকো দাদা :grr:
x-( কিঁ বঁলঁতেঁ চাঁচ্চিঁস রেঁ নঁগেঁণঁ থুঁক্কুঁ রেঁজঁওঁয়াঁন?? x-(
সাঁরঁদাঁ আঁপনাঁকেঁ ডাঁকঁছে :grr:
রেজওয়ান ভাই,আপনে একটু বিনয়ী হওয়ার চেষ্টা করেন।মাস্ফ্যু ভাই ভালা লুক,আমরা ক্যাডুরাও ভালা।মাগার খোমাখাতায় তো দেখলাম নিজের গায়ে বাড়ি মারার জন্য একখান মানুষ নিয়োগ দিছেন 😛 বিনয় না দেখলে কিন্তু বিনা কমান্ডেই আপনার গায়ে ঝাঁটা খাবেন :grr:
ইয়ে মানে ,রেজওয়ান ভাই,মশকরা করলাম,সত্যি কথা হল,তিনি সেরকম দেখতে 😡
হ রে,আমাদের রেজু ভাবী মাশাআল্লাহ পরীর মত সুন্দর।গুড চয়েস,রেজু! :clap:
:shy: :shy: :shy:
মাস্ফুদা, আপনি যে সবার মাস্ফুদা।
আমার মেয়েরে আমি কিছুই বানামু না। আমি চাই ও কোনদিন বড় না হোক। বড়জোর ২-৩ বছর। এর চাইতে বড় হওয়া ওর জন্য নিষেধ।
রাইহা মনি অন্নন্নেক বড় হউক মনে, মানে, বিদ্যায়, জ্ঞ্যানে, বুদ্ধিতে।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
আপ্নের জুক্সের সিরিজের পরের পর্ব কই?
আপনের কচিকাঁচার পরের পর্ব কই?
আপনের ডায়লগ মাসালার পরের পর্ব কই?
লেখা ভাল। পানির নীল রংটা বেশ সুন্দর। পিচ্চিটা অসাধারন কিউট। অনেক আদর আর দোয়া রইল আম্মুটার জন্য। লেখার জন্য ৫ তারা।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
তেল দিলেন দেইখা খুশি হইলাম। 😀
মামা তোর ছানা তো মাশাল্লাহ অনেক cute. এইবার reunion এ তো তোর মেয়েকে নিয়ে টানাটানি পরে যাবে। তুই reunion এ থাকবি ....খুবই আনন্দ লাগছে...ছবিগুলো অসাধারন...আসতে মন চায়...ভালো থাকিস...দেখা হবে... 🙂
কংগ্রাচুলেশন্স, কইন্যার বাপ হবার জন্য। ভাগ্যবানেরই কন্যা হয়, শাস্ত্রে আছে। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আছি ভাই দৌড়ের উপর। সারাক্ষন মেয়ের খাওয়ার পিছনে। সে দাত চাইপা বইসা থাকে আর আমরা মা বাপ চামচ বাটি নিয়ে সাইডে খারায়া থাকি।
খাওয়া নিয়া চাপাচাপি করিও না কইলাম। বাচ্চা যদি বুইজা ফালায় তুমি তারে জোর কইরা খাওয়াইতেছ তাইলে আর খাইতে চাইবে না, বাচ্চারা মনে হয় ডিফেন্সিভ ট্যাক্টিসে চলে। তুমি বরং এমন ভাব দেখাও "খাইলে খাও না খাইলে নাই" "এক দুই বেলা না খাইলে কোন সমস্যা নাই" তাইলেই দেখবা কাজটা সহজ হইবো। নিজে থেকেই খাইতে চাইব।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বাচ্চার মায়ে মর্তুজা ভাইরে বাসা থেকে বাইর করে দেয়ার চান্স আছে এই ট্যাকটিক্সে 😉 😉 আন্ডি পড়ে থাকলে সর্বনাশ 😉
আমি তো অত পাত্তা দেই না। কিন্তু বউ খাওয়ানোর জন্য জান প্রান দিয়া ফালায়। কইছি অনেক, লাভ হয় নাই।
ভাতিজী তো মাশাল্লাহ দারুন কিউট।
আমরা স্টারক্র্যাফটের চাইতে এজ অফ এ্যাম্পায়ার বেশী খেলতাম।
এজ অফ এম্পায়ার, সে তো আরেক কাহীনি। ফাটাইয়া খেলছি। আমার বড় ভাই ছিল টেস্ট প্লেয়ার। একবার দেখি সে এক গেম বার ঘন্টা ধইরা খেলে। আইল্যান্ড নিছে, ছোট ছোট দ্বীপ। তার দ্বীপের রিসোর্স শেষ। সে তখন প্রিস্ট দিয়া পাশের দ্বীপ দিয়া যখনই কোন শ্রমিক দ্বীপের তীর ঘেইষা যায়, সে প্রিস্ট দিয়া হোইও হোইও কইরা কনভার্ট করে।
বুয়েটের পোলাপাইন গুলার সাথে এজ অফ এ্যম্পয়ারের কি বুঝি না .... অলওয়েজ ধুমায়া খেলে এই এক্টা গেম 😉 এমনকি খেলার ফাকে ক্যাফেতে গিয়েও পরের ম্যাচের স্ট্র্যাটেজি নিয়া আলোচনা করে।
ল্যানে খেল্লে বুঝতা ঘটনা কি।
ভাইরে, এই গেমটা ল্যানে খেলবা কয়েক দিন। তারপরে বুঝবা। বিশ্বাস, বিশ্বাসঘাতকতা, বন্ধুত্ব, বেঈমানি, সহযোগিতা, প্রতিশোধ ---- পুরা রাজনৈতিক প্যাকেজ। অ্যালাই করে বন্ধুর বেইজের মাঝখানে গিয়া এনিমি বানায়া তামা তামা করে দেয়ার কাহিনী কতো যে হইসে ...... আহারে ... সেই দিনগুলা ......
রাইহা দেখতে আপনার মত হয়েছে কিছুটা,ভাবীকে দেখলে মনে হয় বুঝতাম।কিন্তু সুন্দর হয়েছে ভাই :thumbup:
🙂 🙂
বেশ অনেকটা সময় পর আপনার লেখা পেয়ে ভালো লাগছে।
আর মা-মনি? অনেক অনেক আদর ওর জন্য 🙂 🙂 ।
রি ইউনিয়ন এ দেখা হবে আশা করি 😀 😛 ।
Life is Mad.
এক্সারসাইজ করবেন না ???
ইনশাআল্লাহ দেখা হবে।
মরতুজা ভাই,
দেশে আইসা আওয়াজ দিয়েন ... ;;;
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আইচছা দিমুনে।
ইয়া আল্লাহ সেদিন না মামনী কিউমিউ করলো, মাশাল্লাহ খুব্বি কিউট হয়েছে। একদম পাকনা বুড়ি। :hug:
এইখানে পোলা দুইটারে দেখে " ওহ হাই হ্যান্ডসাম কইয়া কাছে গিয়া গাল টাইনা দেয় ", আমার ভাইয়ে কয় " চিক ম্যাগনেট " কারন তাদের লইয়া বাইরে গেলেই মাইয়ারা কাসে আইসা কথা কয় :chup:
যাভিয়ের যখন প্রথম সিঁড়ি দেখে কাছে গিয়া চিন্তা করে এক পা দিয়া নামবো কি নামবো না ;)) একবার ভয় ভাঙ্গার পরেতো তারে কি গেইট দিমু? ভাইঙ্গা ফেলানোর অবস্থা হইসে। বড়টা সে হিসেবে শান্ত হয়েছে। 🙂
আর খাওয়া নিয়া চিন্তা কইরেননা, ফজু ভাইয়ের টেকনিক কাজে লাগতে পারে, আমিও একি সিস্টেম করে লাভ পাইসি। অবশ্য ভাইয়া সব বাচ্চা এক হয়না, যেমন আমার ছেলেরা দুই ভাই দুইরকম হয়েছে সব কিছুতে। সেটা খাওয়া, দুষ্টামী, পড়া, গোসল যাই বলেন্না কেন। 🙂
ভাইয়া মামনী কি এখন কোন কথা বলে বা কোন শব্দ? এই সময়গুলা আর পাবেননা, কিভাবে সময় দ্রুত চলে যায়, তাইনা? আমিওতো ভাইয়া ওদের আর বড় করতে চাইনা, আমার কোলে এরকম করেই থাকুক আজীবন। 🙁
লেকের ছবিটাও সুন্দর আসছে খুব। কথা হবে ভাইয়া, একদিন কল দিয়া মামনীর মা-বাবা ডাক শুনুমনে। 😀
ভালো থাকবেন আপনারা 🙂
অনেক ধন্যবাদ দিহান ভাবী। আমি অত চাপাচাপি করি না, কিন্তু ওর মা সারাক্ষন আছে ওই নিয়া। আমি কিছু বললে শোনে না। বলে আমি নাকি বেশি বুঝি।
অনেকদিন পর মরতুজা ভাই, লেখা দারুন হয়েছে। রাইহা মামনিকে অনেক অনেক আদর।
রিইউনিয়নে দেখা হবে। 🙂
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
তুমি কি বিসিসিতে ছিলা নাকি? নাকি বিসিসি বিয়া করছ? বয়স দেইখা তো মনে হয় না বিয়ার বয়স হইছে। তাইলে ঘটনা কি? 😛
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
খাইসে!
ক্যাডেট কলেজগুলা কো-এড হইলো কবে থেইকা ???? :-/ :-/
আই উইশ :goragori:
এই কয়টা লাইন বাদে পুরা লেখায় পাঁচ তারা।
আমি আম্মারে খালি একটা পিচ্চি কামড় দিব 😛 আর দোয়া করি , যেন মামণি বড় না হয়। এই বয়সী আন্ডা বাচ্চাগুলাকে আমি বিরাট ভালো পাই 😀
আব্বা দুইটা কাছেই আসে, জামাইরে কও নিয়া আইতে। দেইখা যাও দুইটারে। 😛
আসো কেমন তোমরা? 🙂
ভাইয়া, বহুতদিন পর দেখি!!! কেমন আছেন? ভাতিজি দেখি অসম্ভব মিষ্টি হয়েছে।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ছিলাম সবসময়ই। আছি ভালই। তোমার দোকান কেমন চলে? চা-টা তো দিলানা?
ভাই,
আপনার পুতুলটারে কাজলের টিপ দিয়া রাইখেন...
নজর লাইগা যাবে নাইলে...
পুরা "হাট্টুম হুট্টুম কুট্টুম কা" একটা...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
গেট টুগেদারে যাইতে মঞ্চায় 🙁
আপনি দেশে আসলে আপনার উছিলায় যদি একটা গেট-টুগেদার হয় তাইলে খুব খুশি হইতাম। আর গেট-টুগেদারে অবশ্যই রাইহা মামণিকে নিয়ে আসবেন।
দেশে আসেন, অনেক অনেক মাস্তি কইরা যান। 🙂
আমার বাসার ছাদে একটা গেট টুগেদার করতে চাই।
জলদি দেশে আসেন।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আবার লেখাটা খুলে বসছিলাম পড়ব বলে । কিসের কি , দিব্যি স্ক্রল করে নীচে নেমে গেলাম মামণির ছবি দেখতে 😀 আম্মাজির আর কয়টা ছবি দেয়া যায় না ভাই ?