অনেক দিন হলো এখানে লিখি না । লিখবো কি,ঠিকমতো তো ব্লগেই আসার সুযোগ পাই না । সাভারে জয়েন করার পরে আমার এই অবস্থা । এই কয়েকদিনে বেশ কয়েকটা ঘটনা ঘটলোঃ
১) এক্সিবিশনটা ভালই হইছে আলহামদুলিল্লাহ ।
২) আমি আরামের ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে সাভারে জয়েন করেছি এবং জয়েন করে চরম খাবি খাইতেছি ।
৩) এর মধ্যে আবার ছোট্ট একটা ঘটনাও ঘটে গেছে । আমি মেজর র্যাংক পড়ে ফেলছি । বুড়া হয়ে গেলাম ।
যাই হোক, আসল কথায় আসি। গতকাল হেয়ার কাট নিতে নিতে হঠাৎ কলেজের বারবার শপের কথা মনে পড়ে গেল । আমি নিশ্চিত, ক্লাশ সেভেন কিংবা এইটে আমার মতো সবারই বারবার শপ একটা বিরক্তিকর জায়গা । ৩০ জনের পিছনে লাইনে দাঁড়িয়ে যখন আমার টার্ণ আসবে আসবে করছে ঠিক সেই সময়ে ক্লাশ ১২ এর ৪/৫ জন এসে বসবে ।আমাদের কলেজে তখনকার সময়ে (৯৩-৯৯) ৩ জন বারবার ছিলেন:
১। দুলাল দা ( বয়স ৩৫-৪০ । সবচাইতে স্মার্ট কাট দেয়,সবচাইতে ইয়াং এজন্য আমাদের প্রয়োজনটা বোধহয় বুঝতো,আর একে টাকা দিলে চুল কম কাটতো )
২। বুড়া (এই লোকটার বয়স তখনই ৭০-৭৫ হবে । অফুরন্ত প্রাণশক্তি । কোন কথা না বলে একমনে চুল কাটতে থাকতেন । ক্যাডেট পেলে পুরাই “মুরগি ছিলা” করে দিতেন ; এজন্য কেউ তার কাছে চুল কাটতে চাইতো না )
৩। মিডল ম্যান ( এর নাম আমাদের কারোই জানা চিল না । চুপচাপ চুল কাটতেন )
দুলাল দা ছিলেন মূলত বারবার শপের হিরো । সবাই চাইতে দুলাল দার কাছে চুল কাটতে । এজন্য দুলাল দা যে চেয়ারে চুল কাটতেন ঐ চেয়ারের পিছনে বিরাট লাইন থাকতো বিরাট । আর বুড়ার চেয়ারে নিতান্ত ধ্রা খাওয়া ২/১ জন ছাড়া কেউই থাকতো না । বুড়া চুল কাটতে কাটতে যখন দেখতে পেত যে তার লাইনে আর কেউ নেই তখন দুলাল দার লাইনের সবচাইতে পেছনের জনের কলার ধরে এনে নিজের চেয়ারে বসিয়ে বলতেন “পাইছি এইবার এট্টারে,ঘেডিডা লামাইয়া হালা দেহি “।তারপর তার লাইনে না আসার অপরাধে এমন এক কাট দিতেন যে ঐ ক্যাডেট অনেকদিন মনে রাখতো তার কথা ।
দুলাল দা । দ্যা হিরো । তার কাছে চুল কাটার জন্য সেইরকম ভিড় । লাইন পেলে মনে হতো ‘আমি ইহাকে পাইলাম’ ! চেয়ারে বসার সময় আলতো করে পকেট হাত দিতে হতো পকেট থেকে “চাবি” বের করার উদ্দেশ্যে যখন অবশ্যম্ভাবীভাবে টাকাটা বের হয়ে যেতে হবে যাতে করে দুলাল দা দেখতে পান যে টাকা আনা হয়েছে । ঠিকঠাক মতো চুল কাটার করে ওটা তাকে হস্তান্তর করা হতো । কিন্তু মেহেদির মতো কয়েকজন আবার ছিল যে চুল কাটার পরে দুনিয়ার কাউকেই চিনিনা এরকম একটা ভাব করে টাকা না দিয়েই চলে আসতো । দুলাল দা তাকিয়ে তাকিয়ে তার চলে যাওয়া দেখতো । এই দুলাল দার একট ডায়লগ এখন ও আমরা বলি – “ওয়াসামবাপ (অসম্ভব), এই চুলা আমি কারছি?” শানে নুযুল হলো,দুলাল দা টাকা নিয়ে চুল এতটাই কম কেটেছেন যে মনে হচ্ছে চুলই কাটেনি । যথারীতি এ্যাডজুটেন্টের কাছে ধরা । তিনি ষ্টাফ ডেকে ধরিয়ে দিলেন তার কাছে । জিজ্ঞেস করলেন কে কেটেছে চুল ? উত্তরে যথারীতি দুলাল দার নাম । ডাকা হলো তাকে । দুলাল দা দেখে বললেন ওয়াসাম্বপ ……।
মিডল ম্যান অবশ্য ভদ্র গোছের মানুষ ছিলেন । কথা কম,কাজ বেশী নীতিতে বিশ্বাসী । ক্লাশ সেভেন এইটে লাইন ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতাম । আর ক্লাশ টুয়েলভে আমরা থাকতাম ঘুমিয়ে । আর বারবাররাই ডাকতে যেতেন রুমে,চুল কি কাটছেন?
সেই দিন শেষ হতে না হতেই গিয়ে পড়লাম বি এম এ র বারবার দের হাতে । ওরে বাপ্রে বাপ !!! ঐ কথা আজকে আর না বলি । এই পর্যন্তই আজকে থাক ………………
😛
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
..........পরথম হওয়ার কোন চান্স ই নাই ।।। 🙁
.....কলেজের নারায়ণ দা, শংকর দা এবং একই সাথে বি এম এর নাম না জানা অগ্নিমূর্তিগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো ।।।
:)) :)) :)) :))
😀 😀 😀
মজার তো! 😀
অভিনন্দন! কিন্তু আমাদের ব্যাচমেটরা এখন মেজর? মেঘে মেঘে কখন যে এত বেলা হয়ে গেল! 😮
বুড়া হইয়া গেলাম রে 🙁
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
আপনি ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন এতদিন?
আমার বাসা ঘাটাইল এ।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
এখন কইয়া কি লাভ?গুল্লি করা উচিত তোরে
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
ইউসুফ ভাই (মামাজান) ['৮৩-'৮৮ ঝকক] ঘাটাইলে পোস্টেড। প্রমোশন হইসে। লেঃকর্ণেল।
কস কি!!!! খাইতে হইবো মামার কাছ থিকা 😀
😀 😀
সামনে চুল রাখতে হবে, একটা প্ল্যান ছিল। এমনিতেও মুরগী ছিলা, তাও যদি একটু চুল থাকে সামনে।
এক্সকারশনের আগে এই প্ল্যান ছিল। সো নাপিত যখন তার উপরে বড় কাচি আর পিছনে ক্ষুর চালিয়ে সামনে ছাটার জন্য কাচি বদলাতে গেছে, আমি এই সুযোগে হাওয়া। তয় বেটা নাপিত একটা ক্যাডার, আমারে ধরার জন্য এই ব্লক সেই ব্লগ চক্কর দিছিলো।
বিকালে এডজুটেন্ট পুরো ব্যাচ ডাকার পর তখন ওই হালা নাপিতও আছে। x-(
কলেজের বারবারদের নাম মনে করতে পারছি না। তবে হেয়ার কাট এপিসোড আসলেই বড় নির্মম ছিল।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
আমাদের ছিলো হিটলার। সে ব্যাটা আসলেই হিটলার ছিল, কিছুতেই কাজ হতো না।
রঞ্জনা আমি আর আসবো না...
ভাগ্যিস আমাদের এমন কন জ্বালাময় অভিজ্ঞতায় পরতে হত না :awesome:
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
স্যার ভাল ছিল। মজা পেলাম :clap: :clap:
ওরে রুম্মান ভাই কি মনে করাইয়া দিলেন!!!!!!!
বুড়া দাদুর সেই হুংকার "বাহিরে যাও"
দুলাল দার কাছে লাইন যত বড় হত, দাদু তত ক্ষেপত এবং তার বহিঃপ্রকাশ ছিল ক্যাডেট দের মুরগী ছিলা করে। আর চান্স পাইলেই দাদু দুলাল দারে ঝারি মারত।
আহা!!! সেই দুর্বিষহ দিন গুলিও এখন মধুর স্মৃতি।
আমাদের সময় তো দাদুর ডায়লগ - "ঘেডিডা লামাইয়া হালা দেহি "
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
মজা পাইলাম 😀 :thumbup:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
কলেজে ঝাঁকড়া চুল রাখার অপরাধে এডজুট্যান্ট আমারে ৩টা এক্সট্রা ড্রিল লাগাইছিল । :frontroll: :frontroll: :frontroll:
...১ সপ্তাহ পরে এডু আইসা দ্যাখে আমি ইডি খাটতেছি ঠিকই, কিন্তু চুলগুলা প্রায় চোখ ঢাইকা ফেলসে, অর্থাৎ কিছুই কাটি নাই । সাথে সাথে বারবার ডাইকা আমারে এমন এক যুগান্তকারী ছাঁট দেওয়া হইলো, :duel: ব্যাচে আমার নাম হয়া গেল 'মহাত্মা গান্ধী'... কারণ দেখতে আসলেই বাপুজীর মতন লাগতেছিল। :-B
এই দুঃখ এখনও যায় নাই... 🙁 গান্ধীজী, আপনের মাথায় টাক না থাকলে হইতো না ??? ~x(
=)) এইডা কি কইলি ফারাবী,আমার তো চুক্ষে পানি আয়া পড়লো তোর দুষ্কে :((
হ, গড়াগড়ির ইমো দিয়া চউক্ষে পানি...!! x-( কামটা ঠিক করলেননা মাস্ফুদা, গান্ধীজীর আত্মা বদদোয়া করবো কইলাম...
ফারাবী ভাই, দুঃসংবাদ,
আপনার সেই কালজয়ী গান্ধীজী কাট এর কথা এখনো আমাদের সবার মনে আছে 🙂
সুনীল ভাই এখনো নাকি ক্লাস সেভেন এর এই কাট এর ভয় দেখায় !
এর চেয়েও বড় কথা , গান্ধীজী কাট এর নাম যে "গান্ধীজী কাট" , পুলাপান বেমালুম সেটা ভুলে গেছিলো কিংবা জানতোই না !!
আপনার নামানুসারে তা "ফারাবী-ভাই-কাট" হয়ে গেছিলো !!
বস্ মনে দুঃখ নিয়েন না...আপনার তাও চুল আছে , আর আমি ২০ বছর বয়সেই অর্ধেক টাক হয়ে গেছি ,আমার বাবার চেয়েও তাড়াতাড়ি !! :((
হ, সুনীল ভাই যে সারা কলেজে 'ফারাবী-কাট' নামে নতুন থ্রেট চালু করছিল, এই খবর আমিও পাইছিলাম... তয় ওই ব্যাটা আমার সামনে ক্যান জানি এই কাটের নাম মুখে আনতো না... আমারে দেইখা মায়া হইত বোধহয় 😕
টাক লইয়া দুঃখ করিস না ব্যাটা- টাকে পার্ছুনালিটি বাড়ে... 😛
এয়ারফোর্সের পাইলটদের চুল যেমনে কাটে মাশা-আল্লাহ 😉
বাফার এক ম্যাগাজিনে পড়ছিলাম এক ক্যাডেট ভ্যাকেশনে বাসায় যাওয়ার পর মায়ের কাছে ডায়ালগ শুঞ্ছেঃ "তুমি কে বাবা?তোমাকে চেনা চেনা লাগতেছে" =))
🙁 মাস্ফ্যু ভাই... ওইডা ফ্লাইট ক্যাডেট অবস্থার ছাঁট... এইডা বিএমএ, বাফা, বিএনএ সবাইরেই ২ বছর বহন করতে হয় - এক্কেবারে সীল মারা কাট :-B ......
...আর ইয়ে...কমিশন পাওয়ার পরে কিন্তু কাহিনী আলাদা - ;;; অফিসার লাইফের হেয়ার স্টাইলকে 'টপ গান' এর টম ক্রুজ B-) কিংবা ভীর-জারা'র শাহরুখ খানের :shy: হেয়ারস্টাইলের সাথে তুলনা করলে মোটেও অত্যুক্তি হবে না... 😛
নাভেদ এর রাহুল কাট এর কথা মনে পড়ে গেল বাপুজি
সোহানা, তোমার নিজের যে নমুনা টাইপের চুল ছিল... কাটতে তো ঘাস কাটার মেশিন আনতে হইত !! =)) =))
মিডল মান ও দাদুর আরেকটা গুন ছিল, এরা মাঝে মাঝে চুল এর সাথে ঘাড়েও দুই চারটা কোপ দিত, :gulli2:
একদম ঠিক.... 😛
Life is Mad.
বস কত কথা মনে করায়া দিলেন :dreamy:
মিডল ম্যানকে আমরা বলতাম থার্ড ম্যান। দাদুর সেই বিখ্যাত ডায়লগ ছিল "তোমরা বাহিরে যাও"
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
অভিনন্দন মেজরসাব!
রুম্মান, এক্সিবিশনের ছবিগুলো নিয়ে একটা ফটোব্লগ দাও সময় পেলে।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
বস,
থ্যাংকিউ । দেখি সময় পেলে দিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ ।
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
:salute: ...আমাদের সিসিবি :party: কবে হবে????
কোনোদিন খাইতে পারলাম না ডুড্....... আফসোস!!!
কি কি খাবি শুধু বলে ফেল বাবা......
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
বিপদে ফেলে দিলেন তো ভাই, এখন তো কিছু খাইবার লাগি খুঁজিয়া পাইতাছি না।
থাক, পরে..... রোজা-রমজানের দিনে এত খাই-খাই করা ঠিক না!!
আজ্ঞে রুম্মান্দা,খানাপিনার কতা কি জানি বলছিলেন?তা এই অধমকে বলেই দ্বেকুন না :shy: পুরো আস্ত পাঁঠা এক বসায় মেরে দিতে না পারলে আমার নাম মাস্ফ্যু সেন নয় :grr:
সেন বাবু,
দেকেন গিয়ে কি করতে পারেন ।
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
হেয়ার কাটের প্রসঙ্গ যখন, তখন কিছু ঘটনা তো শেয়ার করতেই হয় -
আমাদের আজাদের এটা একটা কমন প্রাকটিস ছিল যে, টাকা দিয়ে চুল 'রাখা'। ধরা যে খেত না তা নয়, তবে এই প্রাকটিস বহাল ছিল সবসময়।
শাহেদ আর ইখতিয়ার একবার বিশ্বকাপের সময় রোনালদো কাট নিয়ে কলেজে ঢুকেছিল, তাদের দুই দিনের মাথায় দুই সপ্তাহের জন্য বাসায় ফেরত পাঠানো হয়েছে, চুল 'বড় করিয়ে' আনার জন্য!
আমাদের দুই ব্যাচ সিনিয়র হাসান ভাই (কলেজ প্রিফেক্ট)-এর খুব স্টাইলিশ চুল ছিল, এবং সেটা উনি বেশ ভালই শো-অফ করতেন। আর নেতা মানুষ, তাই তাকে এটা নিয়ে বেশি ঘাটানো-ও হত না। কিন্তু একবার এ্যাডজুটেন্ট স্যার বিষয়টা মার্ক করেছিলেন এবং এমন মারদাঙ্গা কাট দেওয়াইছিলেন বাপরে বাপ!!
বাবার কাছে কলেজের বারবারদের মেশিন দিয়ে চুল কাটার গল্প শুনতাম ছোটবেলায়, "ঘিস ঘিস" করে নাকি চুল কাটতো। ক্যাডেট কলেজে গিয়ে প্রথম চুল কাটার মেশিন দেখি। জিনিসটার মেকানিজম-টা যেরকম আকর্ষনীয় ছিল, ব্যবহার সেরকম-ই নির্মম ছিল। নির্দয়ভাবে যখন জুলফির ওখানে টান দিয়ে দিয়ে কাটত, মনে হত ওদিক দিয়েই মনে হয় এবার প্রাণটা বেরুবে 😕
এই রকম ভোঁতা মেশিন আর ক্ষুর আমি আমার লাইফে আর দেখিনাই 🙁
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
সেভেন এইটে শুক্রবারের চুল কাটা বড়ই পেইন ছিলো 🙁
সহমত
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
তোগো জন্য ম্যালা পেইন...... কোন্ মুড়োয় থাকতি! সে-----ই হুনাইন!! ওখান থেকে বারবার শপ তো কোয়ার্টার মাইল ছিল পুরা!!!!
দোস্ত সবচেয়ে পেইন লাগত হেয়ারকাটের পর গোসলের লাইন। শালার..... সেইরা'ম একখান লাইফ কাটাইছিলাম রে!
B-) হুনাইন হাউজকি বাত হি কুছ অর হ্যায়( কপিরাইট বাদশা খান,ম্যায় হুঁ না)
আমাদের কলেজে নাপিত ছিল হেলাল ভাই।আমরা শুনএছিলাম যে ওই ব্যাটা নাকি সর্বহারা ছিল।কাজ কাম ভাল পারত না তবে তার ভয়ে অন্য কেউ আর টেন্ডার দিত না।চুল কাটত মুরগি ছিলা করে।আপনি যেই হন না কেন কুপন আপনাকে দিতেই হবে,তবে চুল বড় রাখার জন্য না,তার বকশিস।পরে সে মুচি ব্যাটার কাছে কুপন চেঞ্জ করে টাকা নিত।
এ তো দেখি হিটলার :grr:
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
ওরে বদমাইশ রে!!
রুম্মান পুরানো কথা মনে করাইয়া দিলি মামা। হা হা। আমি ছিলাম দুলাল এর বান্ধা কাস্টমার। চুল বড় রাখার জন্য টাকা দেওয়া শুধু CADET কলেজ এই সম্ভব।
কলেজ লাইফে চুলের ইস্টাইল করার জন্য হেন কাম নাই যা করি নাই...আর সেই জন্যই মনে হয় আজ মাথাটা আমার এমন গড়ের মাঠ... ~x(
কলেজে থাকতে চুল কেমনে বড় রাখা যায় সেই চেষ্টা করতাম...আর এখন মাথার সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে চুল কত ছোট করা যায় তার কসরত করতে হয়... :((
=)) =)) =)) =))
রুম্মান ভাই, মিজার সাব হবার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন... :clap: :party:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমাদের বারবার শপ পুরা একি রকম ,কিন্তু খালি সুনীল ভাই পার্মানেন্ট, আরগুলা বদলাইত ...উনি সিনিয়রদের চাহিদা বুঝতেন...
কিন্তু সমস্যা হলো সুনীল ভাই একা যতগুলা মাথা সাইজ করতো , বাকী দুইটা তার অর্ধেক ও করতো না...
ফলাফল হিসাবে পরেরদিন প্যারেডে নাম নোট হওয়ার ভয়ে ,একবার আমাদের রেজা নিজেই হেয়ার রিমুভার মাথায় লাগায়ে নিজে নিজে চুল কাটা শুরু করলো... :)) পরবর্তী ২ মাস তার খাবলা খাবলা চুল ছিলো ...হেয়ার রিমুভার বলে কথা !! ~x(
সেই থেকে শুরু ...আমাদের কলেজে পোলাপান নিজেরাই নিজের চুল কাটতো
...সোহ্রাওয়ার্দী হাউজ হলো বারবার শপের সবচেয়ে কাছে , কিন্তু কি এক অদ্ভুত কারণে ওদের মধ্যে থেকেই ব্যাচের ফাষ্ট ক্লাস নাপিত গুলা বাহির হলো ...এরা একটা কোক এর বিনিময়ে শুধু ক্লাসমেট লেট পার্টির চুল কেটে দেয় ... O:-)
সার্ভিস খুবই ভালো ছিলো, কারন ...ওরা প্রায় কিছুই কাটতোনা , পাশ দিয়ে সাইজ দিতো খালি !! 😛
ফিফটি 😀 😀
আমাদের কলেজে আমরা নিজেরাই একজন আরেকজনের চুল কাটতাম। 🙂
🙂 😛 😀
Life is Mad.
কলেজে বারবারসশপ নিয়া সেই সব কালচারাল শো'র কথা আজ ও মনে পরে।
:duel: