আমার রুম থেকে বেরিয়ে করিডোরে দাঁড়িয়ে চোখ দুটো সোজা করে তাকালে সারি বাঁধা ইউক্যালিপ্টাসগুলো চোখে পড়ে সবার আগে। ওরা এমনিতে খুব চুপচাপ। শুধু হঠাৎ হঠাৎ যখন বাতাস এসে চুরি করে গায়ে এসে আছড়ে পড়ে তখন আনন্দে ওরা মাথা নাড়ে ঝিরঝিরে পাতাগুলো নাড়িয়ে । আমার এমনিতেই সচরাচর কোন কাজ কাম থাকেনা। যখন কিছুই করার থাকেনা তখন চুপচাপ করিডোরে ইউক্যালিপটাসগুলোকে সামনে রেখে দাঁড়িয়ে থাকতাম। থাকতাম বলাই ভালো।
বিস্তারিত»ফিকশন না, ফ্যাক্ট !
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘৃণাস্তম্ভ বলে একটা স্তম্ভ আছে। ৭১ এর রাজাকারদের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানোর উদ্দেশ্যে এখানকার শিক্ষার্থীরা এই স্তম্ভ নির্মাণ করেছে। ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার সামনে অবস্থিত এই স্তম্ভের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আপনাকে শুধু একটু কষ্ট করে এই স্তম্ভটির কাছে গিয়ে থুথু নিক্ষেপ করতে হবে। ব্যস হয়ে গেল; যুদ্ধাপরাধীদের আপনি জানিয়ে দিলেন আপনার মনের অনুভূতিটি। যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে পারেন না কিংবা কোন ফোরামে প্রকাশ করতে পারেন না নিজের মতামত তাদের জন্য এটি একটি এই অনন্য সুযোগ ।
বিস্তারিত»বিচ্ছিন্ন আবেশ
অনুভূতিহীনতা অথবা তীব্র অনুভূতিপ্রবণতা কিংবা বিচ্ছিন্ন অনুভূতির অসংলগ্ন জালে আটকে গেছি আমি। সাধারণ ভাবনা চিন্তার উর্ধ্বে মনে হচ্ছে নিজেকে। আমার কাছে সময়ের হিসাব নেই ভেবে আমি আৎকে উঠি। আমি কোথায় ছিলাম কেমন করে এখানে আসলাম সে হিসাব গুলো থাকছে না। সেটার দরকার আছে কি এখন- পরিষ্কার হয়না। আমার কানের কাছে ক্রমাগত বোঁ বোঁ শব্দ বেজে যাচ্ছে। চোখ দিয়ে তাকিয়ে চারপাশ দেখার চেষ্টা করছি। একটা বদ্ধ রুমের মাঝে আছি আমি।
বিস্তারিত»দিনলিপি-৩ : ডানার জন্যে প্রার্থনা আর বেহেশতী মিথ্যা সুখের স্বপ্ন
উর্ধ্বাকাশ হতে রাত্রির সাগরে পরা পৃথিবীকে দেখায় নক্ষত্রের অলংকারে লজ্জাবতী আকাশের মত। উড়তে থাকি আর একে একে পেড়িয়ে যাই যত ছোট শরীরে বন্দী ক্ষুধা আর প্রবনতার রসায়ন,পৃথিবী জুড়ে বেহেশতী মুখোশ নেমে আসে।
আমরা এবং আমি’রা গুটানো বৃত্ত থেকে পরিধি হিসেবে যতটা আশ্বস্ত, কিন্তু ‘কেন’ রা ততটাই হামলে পড়ে বেয়াদপ সংশয়ের পথে। সমুদ্র বালুতে যত চন্দ্রাহত ক্লীবের আনাগোনা অথবা ‘এই আমি ভালো আছি’ তে কতটুকু উৎসারন হয় কবিতা আর মিথ্যা?
বিস্তারিত»কিছু কথা : রাজনীতি ও শিক্ষা
মানুষ রাজনৈতিক জীব। যিনি এই অসাধারণ কথাটি বলেছিলেন সেই মহামনীষীর নামটি এই মুহূর্তে মনে নেই। এ্যরিস্টটল সাহেব হতে পারেন। যাই হোক তাকে এই মুহূর্তে সামনে পেলে যে আমি মোটেও খুশি হব না, তা জোর গলায় বলতে পারি। কারণটা আর কিছু না, রাজনীতি। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে বর্তমান সরকারি দলের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখে ভয় পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া স্বরূপ ক্যাডেট কলেজ ব্লগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম “আমি খুব ভয় পাই”
বিস্তারিত»যুদ্ধপরাধ : ১৬ ডিসেম্বরের আগেই তদন্তকারী নিয়োগ হবে
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগেই বাস্তব কাজের অগ্রগতি সরকার দেখাতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, এদের বিচারের বিরুদ্ধে বাইরের কোনো শক্তির চাপ নেই। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংন্থা, মানবাধিকার সংগঠন ও দেশ, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের দিক থেকেও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কোনো চাপ নেই। তারা বরং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচার দেখতে চায়। এক্ষেত্রে সহায়তাও দেবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
বিস্তারিত»দিনলিপি – ২ ঘাস খেয়ে গরু হওয়ার স্বপ্ন
গুজরাতের আগুন নিয়ে শোনা গল্প মাথার চারপাশে শীতলপাটি বসিয়ে আরামে আয়েশে নিদ্রা যায়। রাজার প্রবল শখ শিকারের, দুর্বল হরিণের গায়ে একটা ধনুক বিধিয়ে দেবার আর প্রবাহিত লাল রক্তে সূর্যের প্রতিফলান দেখার। মন্ত্রী মোসাহেবী চালে তেলতেলে মুখে একটা চৈনিক হাসি ফুটিয়ে আশ্বিনের রমন তাড়িত কুত্তার মত জিভ বেড় করে রাজার সামনে পেশ করে তার মেরুদন্ডের ডারউইনী অর্জন। রাজার অন্যমনস্ক জিজ্ঞাসা
“আজ বৃষ্টি হবে?”
রাজার শিকারের ইচ্ছায় পানি ঢেলে দেয়ার ভয়েই হোক আর মাথার উপরে গনগনে মধ্যাহ্নের সূর্যটার জন্যেই হোক মন্ত্রী তড়িৎ জবাব
“না রাজমশাই,
স্মৃতির ঝাঁপি : ইতিহাসের কালো অধ্যায়-১
প্রথম পর্ব ।। দ্বিতীয় পর্ব ।। তৃতীয় পর্ব ।। চতৃর্থ পর্ব ।। পঞ্চম পর্ব।। ষষ্ঠ পর্ব
১৯৭৫ সাল নিয়ে আমাদের জানার আগ্রহ ভীষণ। বাংলাদেশের ৩৮ বছরের ইতিহাসে ওই সময়টা ছিল প্রচণ্ড অস্থিরতা আর বিভ্রান্তির। রাজনীতি নিয়ে জাতি হিসাবে বাঙালির আগ্রহ সম্ভবত বিশ্বে বিরল। এতো দরিদ্র, এতো ছোট অথচ জনবহুল এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশের মানুষের এইরকম রাজনৈতিক সচেতনতা আমি জানি না আর কোথাও দেখা যায় কিনা!
বিস্তারিত»দিনকাল -১ : মাথাও আছে, ব্যাথাও আছে কিন্তু মহাবিশ্বে নেই একটা কুড়াল
বিভিন্ন সময় আমি আক্রান্ত হই তীব্র মাথাব্যাথার। ব্যাথাটা বিস্ফোরণের মত মাথার কোন এক নৈর্বত্তিক অংশে শুরু হয়ে তীব্রতা কমে বিস্তার বাড়ে, উভয়েই এক্সপোনেনশিয়ালী। মাথা ব্যাথার ফিজিক্যাল কারন ঘাটাঘাটি না করাটাই ভালো কারন, জান্তব বা দৈবচয়নে অনেক কারনই উঠে আসতে পারে। আমি অবশ্য মাথা ব্যাথার কারন কে বিশেষ গুরুত্ব দেই না। ব্যাথার প্রকোপে যখন সিগারেটের ধোয়া কাগজের মত বিস্বাদ লাগে তখন মাঝে মাঝেই দিশেহারা লাগে। জ্বলন্ত সিগারেট টা ফেলে দেই।
বিস্তারিত»আন্টি: একজন মায়ের মুখ…..
ঘটনা-১:
বেশ ক’বছর আগে মুস্তাকিমের বাসায় ছুটিতে গেলে ঢুকতে ঢুকতেই ও বললো, আম্মা কিন্তু ফুল প্রফেসর হয়ে গেছেন…..আন্টি আনন্দমোহন কলেজের প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক…….ডাইনিং টেবিলে বসে একথা ওকথার মাঝেই হঠাৎ বললাম, “আন্টি, কংগ্রাচুলেশন”……আন্টি মূহুর্ত কয়েক সময় নিয়ে কপট অভিমানের সুরে বললেন….আমার খবরটা ওরা কাউকেই আমার নিজের মুখে বলতে দিবেনা দেখতেছি…..
ঘটনা-২:
মুস্তাকিম বছর দুই আগে ফোন দিল, আম্মাকে তো ডেল্টা মেডিকেলে ভর্তি করছি,
সহনশীলতা আর সবাইকে ধারণ করেই সিসিবি বড় হবে
রেডিও’তে প্রায়ই ক্ষুদেবার্তা আসে, “আমার মন খারাপ, আমার জন্য একটা গান বাজাও না, প্লিইইইজ…….”। এতোদিন এরকম ক্ষুদেবার্তা নিয়ে আমি হাসতাম। আমাদের কথাবন্ধুদের বলতাম, এইসব মন খারাপ বিলাসিতা মার্কা বার্তা পড়া বন্ধ করো। কিন্তু কি আশ্চর্য সেই আমিই কিনা গত দু’সপ্তাহ ধরে এইরকম “মন খারাপ” বা “অবসাদ” বা “ক্লান্তি বিলাসে”র মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। এই সময়কালে সিসিবির খুব কম পোস্টই পড়েছি। আরো কম মন্তব্য করেছি।
বিস্তারিত»ফ্ল্যাশবন্ড ০০৭
আমি মনে হয় রাইটার্স ব্লকে পড়েছিলাম। আমার ব্লগ স্টোর রুম দেখলেই যে কেউ বুঝতে পারবেন।তৌফিকের ফর্মুলা মতে তাই দাঁড়ায় ব্যাপারটা।যদিও আমি তৌফিকের মত তারকা লেখক না তারপরও কেন এমন হলো সেটি আমার বোধগম্য নয়।
যাইহোক সিরিজের এই পার্টের নামকরন নিয়ে একটি কথা বলে নেই।আমি আবার বন্ড সিরিজের একজন ফ্যান।তাই ৭ সংখ্যা আসলেই ০০৭ ইউস করি প্রায় সব জায়গায়।
১/ আমি আর কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে সিনেপ্লেক্সে গিয়েছিলাম জেমস বন্ডের ‘ক্যাসিনো রয়্যাল’ দেখার জন্য।
বিস্তারিত»আমার ছোট মার জন্মদিন আজ
ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি আমি আমার মায়ের ছেলে। মায়ের সাথেই নাকি আমার চেহাড়া-স্বভাবের মিল বেশি। মাকে দেখতাম গল্পের বই পড়তে। শুনেছি বই পড়তে পড়তে ভাত গলে যেতো, তরকারি পুড়তো, কিন্তু মা বই পড়ছেই। আমার বই পড়ার নেশা মায়ের কাছ থেকে পাওয়া।
আমার এই মায়ে মন ভরলো না। আমি আরেকটা মা নিয়ে আসলাম। আমার নতুন মা অনেক ছোট। তার একটা নাম আছে, কিন্তু আমি মা বলেই ডাকি।
দর্শক
বারান্দায় গ্রীল ধরে অনেক্ষন দাড়িয়ে ছিলাম। কোন কারন নেই। এমনেই। আসলে কিছুই জীবনের মাঝখানে মেলাতে পারি না ,শুধু গ্রীল জাপ্টে দাড়িয়ে দেখি। কিছু দেখার উদ্দেশ্যে তাকাই না। চোখে পরে। একে দেখা বলে না। দেখা মানে তথ্য ,অবয়ব সংগ্রহ করা। কিছুই সংগ্রহ করি না , কিছু সংগ্রহের ইচ্ছাও নেই। পৃথিবীর অসংখ্য উপাদানের সাথে আমার পার্থক্য করে দেয় এই গ্রীল। আমি অখুশি হই না। পরম আগ্রহে গ্রীলের মরচেতে হাত ডোবাই।
বিস্তারিত»যাই না – বলো আসি…
গত ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে ওদের হাল্কা কথোপকথন
আকাশঃ
হ্যালো। দেখতে দেখতে অনেকটুকু সময় পেরিয়ে গেল, না!
নীলিমাঃ
হুম্ম। ব্যস্ত সময় খুব দ্রুত পেরিয়ে যায়।
– জানো, তোমায় ভেবে ভেবেই পৃথিবীটাকে লাটিমের মত ঘূর্নি খাইয়ে খাইয়ে এই সময়টুকু পার করেছি আমি।
– এই যে, এখন আমাকে খুশী করা হচ্ছে না? শুধু তো আমায় ভেবেই বুঝি দিন যায় তোমার ?
বিস্তারিত»