আমার ঈদ শপিং

আমাদের গাড়ির ড্রাইভার উচ্চশক্ষিত, মাস্টার্স ডিগ্রি করা। বিষয়ও ফেলে দেয়ার মতো না, অর্থনীতি। দেখতেও মাশাল্লাহ। ;;)

এখনও যারা বোঝেন নাই, তাদের জন্য বলি-এই ড্রাইভারটা আসলে আমি। এই রোজার সময় আমাকে ড্রাইভারেরই কাজ করতে হয়। এমনিতে আমার অফিসটা মজার। যে কোনো অফিসে যাই বলে বাসা থেকে বের হওয়া যায়। আর অফিসে যদি বলি একটা গুরুত্বপূর্ণ নিউজ পেতে সোর্সের সঙ্গে দেখা করতে হবে তাহলেও যে কোনো সময় বাইরে থাকা যায়।

বিস্তারিত»

বিসিসি ইফতার পার্টি – সিলেট এডিশন

আজ মহা ধুমধামে বিসিসি’র সিলেট পার্টির ইফতার সন্ধ্যা হয়ে গেল। জমজমাট এই ইফতার পার্টির উদ্যোক্তা ছিলেন বকক এর ৬ষ্ঠ ব্যাচের শফিউল্লাহ ভাই (মেজর শফিউল্লাহ)। ব্যতিক্রমধর্মী এইজন্য বলছি, যে ইফতার পার্টি টি ছিল খোলা আকাশের নীচে বিশাল এক মাঠের মধ্যে। আয়োজনের এই ব্যতিক্রম, উপস্থিত সবাইকে অত্যন্ত অভিভূত করেছে।

সিলেট ক্যান্টনমেন্টের ঠিক উল্টো পার্শ্বের হাউজিং সোসাইটির সর্বশেষ কিনারায় খোলা আকাশের নীচে চাদর বিছিয়ে একদল রোযাদার ইফতার করছে ব্যাপারটা আসলেই রোমাঞ্চকর।

বিস্তারিত»

খেরোখাতা – মেঘ ভাঙ্গা রোদ

১।
টানা নয়দিন পরে নেটে আসলাম। ন —য় — দি —-ন। কতকিছু ঘটে গেছে এই এতদিনে। বাংলাদেশের সংগে ভারতের নতুন নতুন চুক্তি হচ্ছে, জুলহাস সমুদ্র সীমানায় যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে যুদ্ধের অপেক্ষা করছে, ফুটবলের ঈশ্বরের কথা ফুটবল আর শুনছে না, তামিমের এক ডিগবাজীতে তার দাম ৫ লাখ বেড়ে গেছে, দুই নেত্রী একই টেবিলে বসে ইফতার করছে, ওবামা বলছে ইংল্যান্ডের কিছু কিছু কাজ তার আর পছন্দ হচ্ছে না …………

বিস্তারিত»

কিছুটা হাস্যরসের সাথে আত্মোপলব্ধি – বাংলাদেশের ক্রিকেট দল

এটি একটি তরতাজা সত্যি ঘটনা, এবং এটি প্রকাশের উদ্দেশ্য কোনভাবে ই কাউকে হেয় করা নয়, বরং এর মাধ্যমে আত্মোপলব্ধির একটি প্রয়াস নেয়া। বাংলাদেশের সাথে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের প্রথম টেষ্ট ম্যাচ চলাকালীন সময়ের ঘটনা। ঘটনাটি সংক্ষেপে এরকমঃ

গতকাল ২১/০৭/০৯ তারিখে আমাদের অফিসে বোর্ড মিটিং চলছিলো। বিশেষ একটি কারনে আমার সেখানে উপস্থিত থাকতে হয়েছিলো। রসকষহীন এরুপ একটি সভায় উপস্থিত থাকতে পেরে আমি নিজেকে একজন নিরানন্দ ব্যক্তি হিসেবেই গন্য করছিলাম।

বিস্তারিত»

বারংবার বিরক্ত হই, খুবই বিরক্ত

কোনদিনই লেখার অভ্যাস ছিলো না, লিখবো কোনদিন এমনটাও ভাবি নি । গত দু দশকে জীবিকার জন্য লিখতে হয় নি, কিন্তু জীবিকা টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু কিছু লিখতে হয়েছে, যেগুলোর পাঠক/শ্রোতা রা উপস্থিত ছিলেন তাদের জীবিকা টিকিয়ে রাখার জন্য ।এর মধ্যে মাঝে মাঝে বিভিন্ন ফর্ম পুরন করতে হয়েছে, সেগুলো ও লেখা, কিন্তু এখন যে অর্থে লিখছি, সেই লেখা না নিশ্চয়ই ।

লেখালেখি, তা যদি কাউকে পড়তে দিতে হয়,

বিস্তারিত»

সাংগঠনিক / প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা – একটি অভিজ্ঞতা – পর্ব ১

এটি আমার চলমান জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার শব্দরুপ মাত্র।

সম্পুর্ন কর্মজীবন এর সিংহভাগে সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়ে, প্রথম মোড় যেদিন নিলাম, সেদিন অর্থ ও বানিজ্য বিষয়ক একটি উপ-দপ্তরের কাজ বুঝে নেবার দায়িত্ব পেলাম। আমাকে যারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ দিলেন, তারা ও ইতিপুর্বে আমার ই মতো একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। যদিও তারা কেউই পুর্বতন প্রতিষ্ঠানে ১০ বছরের বেশী ছিলেন না, সেখানে ঐ একই ধরনের প্রতিষ্ঠানে আমার অভিজ্ঞতা ১৮ বছরের ও বেশী।

বিস্তারিত»

আমরা আমরাই তো !

১.
তাইফুর ভাইয়ের আসার কথা ছিল বিকাল ৫টার মধ্যে। কাইয়ুম ভাই আর আমারে তুলে নিবেন পান্থপথ থেকে, সেখান থেকে যাবো মিঃ বেকারের কেক নিতে, তারপর বেঙ্গল ক্যাফেটেরিয়া।
ঘড়ির কাটা পাঁচটা পার হয়ে যাবার পর আর থাকতে না পেরে কাইয়ুম ভাইরে ফোন দিলাম,
বস, তাইফুর ভাই কই?
মৌচাক পর্যন্ত আসছিলো, এখন আবার বাসায় ফেরত যাইতেছে
ক্যান কি হইছে?
মনটা নাকি ভুলে বৌয়ের কাছে রাইখা আসছে ,

বিস্তারিত»

রোজার দিনে বেজার দিনলিপি

দিনগুলা যায় ভালোই চলে
বেশতো সাধা সিধা
দু:খ খালি যায়না খাওন
লাগলে পেটে খিদা! :bash:

এই রোজাতে যায়না বোঝা
ক্লাস টাইমের পড়া
বোর্ড জুড়ে :just: ভাসতে দেখি
বুট, বেগুনী, বড়া! :dreamy:

বিস্তারিত»

সেই ঈদ শপিং

আমি বরাবরই জিনিসপত্র কেনার ক্ষেত্রে একটু choosy । এটার ভালো দিক হচ্ছে – সবাই পছন্দের দাম দেয়, আর অসুবিধার দিক হলো- যেকোন অনুষ্ঠানের আগে মার্কেটিং এর দায়িত্ব পড়ে আমার ঘাড়ে।
গত ঈদে আন্টি আর পিচ্চি কাজিনটাকে নিয়ে নিউ মার্কেট গিয়েছিলাম। সারাদিন কেনাকাটা করে বাসায় ফেরার পর বোন কান্নাকটি শুরু করল জুতা কিনে দেয়া হয়নি কেন – এই দাবিতে। ওর মত ভয়ংকর পিচ্চি আমাদের বংশে আর একটাও নেই।

বিস্তারিত»

ফ্ল্যাশব্যাক ০৬

১। আমাদের পৌরনীতির ইসহাক আলী স্যার খুব জনপ্রিয় ছিলেন। স্যার অনেক ফ্রি ছিলেন এবং অনেক সময় সিরিয়াস রোমান্টিক কথা বলতেন। স্যারকে আমরা গুরু মানতাম আর বলতাম *ক্স আলী। মাঝে মাঝে বাংলাদেশের পলিটিক্স নিয়ে বলতে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে যেতেন।তার একটা নমুনা-
“এই সেই আব্দুল বিশ্বাস(আব্দুর রহমান বিশ্বাস) যে খালেদা জিয়ার পে*কোট ধোয়”
পৌরনীতি পরীক্ষায় কোন প্রশ্নের উত্তর মানেই বেশি নম্বরের আশায় একগাদা পয়েন্ট আর কোটেশন,

বিস্তারিত»

স্মৃতির ঝাঁপি : জিয়ার নৃশংস শাসনকাল

প্রথম পর্ব ।। দ্বিতীয় পর্ব ।। তৃতীয় পর্ব ।। চতৃর্থ পর্ব ।। পঞ্চম পর্ব

‘৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে একই খুনি চক্র। এরই ধারাবাহিকতায় গায়ে ভারতপন্থী লেবাস পড়িয়ে হত্যা করা হয় খালেদ মোশাররফ, হায়দারসহ সেনা কর্মকর্তাদের। ৭ নভেম্বর মূলতঃ সেনা সদস্যদের এক বিশৃঙ্খল অভ্যূত্থানে জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান।

বিস্তারিত»

দিনলিপি ০৫: হাবিজাবি

১।
সিসিবি ইদানিং খুব জমে উঠেছে। নতুন নতুন লেখক, বিভিন্ন ধরনের লেখা, জমজমাট কবিতার পোষ্ট, সানা ভাই এর অসাধারন ক্যাপশন সহ ছবিব্লগ ইত্যাদি পাচ্ছি প্রতিদিন। কোন পোষ্টের কমেন্টে যেনো দেখলাম রকিবের চায়ের দোকানেও নাকি ভালো আড্ডা হয়। কোনো কারন ছাড়া আমাদের অফিস থেকে আমি, তানভীর, টুম্পা কেউই চায়ের দোকানে আসতে পারি না। আরো জমে উঠেছে ফ্যান্টাসী লীগ। প্রথম সপ্তাহে দেখলাম নয়া জামাই খুব চমকের সাথে ১ম পজিশনে,

বিস্তারিত»

এক আড্ডা, এক গান

১.
ক্যাডেট কলেজ জীবন শেষ করে যখন ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলাম, তখন যেন অথৈ সাগরে পড়ার মতো অবস্থা হলো। এক পাড়ায় ছিলাম বলে চিনতাম কেবল রতনকে। রতন সিলেট ক্যাডেট কলেজের, কলেজ নাম কাফি (আবদুল্লাহ আল কাফি)। রতন তখন ছাত্র ইউনিয়নের প্রথম সারির নেতা হতে যাচ্ছে, তাকে পাওয়াই যায় না। পরিচয় হলো মোমিনের সাথে। মোমিন ফৌজদারহাটের। আর ছিল তানিম (ওমর), ফৌজদারহাটের। আমরা এই চার জন ছিলাম অর্থনীতি বিভাগের ক্যাডেট।

বিস্তারিত»

১৭ আগস্টের ৩৫ বছর : বন্ধু তোদের ভালবাসি ভীষণ

আজ থেকে ৩৫ বছর আগে ৫৬টি বালক এক অজানা ভয় আর আনন্দের অদ্ভূত অনুভূতি নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে ঢুকেছিল। তারপর তারা ৬টি বছর একসঙ্গে সুখে-দুঃখে, ভালোবাসা-যন্ত্রণায় কাটিয়েছে। তারা অতিক্রম করেছে সাগর আর পাহাড়ের কোলে এক অনিন্দ্য সুন্দর সবুজ প্রান্তরে অসাধারণ সব সময়। সময়ের টানে আজ তারা ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। কিন্তু ওই সময়ে তাদের মধ্যে যে অবিচ্ছেদ্য বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল, তা আজো উষ্ণতার চাদর একইরকমভাবে ওদের মুড়ে রেখেছে।

বিস্তারিত»

আমাদের বাঁশিওয়ালা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

মানুষটাকে কাছ থেকে দেখেছিলাম দু’তিনবার। আকাশের মতো এমন বিশাল এক মানুষ। এমন সিংহহৃদয় মানুষ, আমাদের জাতির জীবনে একজনই এসেছিলেন। কিছুটা নিজের ক্যারিশমা, কিছুটা সাহস আর বাকিটা সময়- তাকে করে তুলেছিল এই জনপদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতায়। মানুষকে ভীষণ বিশ্বাস করতেন তিনি। হয়তো রবীন্দ্রনাথের মতোই মনে করতেন, ‘মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ।’

এই বাঁশিওয়ালা আমাদের নিয়ে গিয়েছিলেন মুক্তি সংগ্রামে, বাঙালি জাতির মুক্তির যুদ্ধে।

বিস্তারিত»