এক.
এবারো সময় ক্লাশ সেভেন, স্হান ফজলুল হক হাউস । যান বাঁচানো ফরজ তাই সংগত কারণে ঘটনার নায়কের নাম উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকলাম । ক্লাশ সেভেন থেকেই আমাদের জনৈক বন্ধু স্ক্র্যাচিং এ পারদর্শী্ ছিল । আর মাঝে মাঝে স্হান কাল পাত্র ভুলে মনের আনন্দে গীটার বাজাতো । একদিন তখনকার কলেজ গেমস প্রিফেক্টের রুমে তার ডাক পরল । খেলাধূলার কোন একটা ব্যাপারে তাকে নসিহত করা হচ্ছে ।
অপেক্ষা
সেই আটটা পঞ্চাশ থেকে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছি, ক্ষিলখেত ওভার ব্রিজ এর একটু সামনে। পকেট থেকে মোবাইলটা আনমনে বের করে পর্দার দিকে তাকাতেই আঁতকে উঠলাম। নয়টা তিরিশ বাজে। হলোটা কি, এখনো আসছেন না! আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম অনেক দূর চলে এসেছি – লোটাস কামাল টাওয়ার এর পাশে। অনেক্ষণ অন্যমনস্ক ছিলাম, তাই খেয়াল করিনি।
দিনের এই সময়টাতে আমি সাধারণত অন্যমনস্ক থাকি না। যন্ত্রের পিঁ পিঁ পিঁ শব্দে সকালে ঘুম ভাঙ্গে,
বিস্তারিত»বাবা হবার গল্প…
অনেক দিন ধরেই সিসিবি পড়তেসি। আর চিন্তা করতেসি কিছুতো একটা লিখা দরকার। কিন্তু আমি কখনই লেখক ছিলাম না,এমনকি কলেজেও না। ছিলাম পাঠক। ইঊনিভারসিটিতে গিয়ে হয়েছিলাম কথক। আর এখন আমি হইলাম শুধু দেখক। শুধু সিনেমা আর ফুটবল দেখি। কখনই ক্লান্ত হইনা। যেহেতু এইটা লিটল ম্যাগ না…একটা অনলাইন ব্লগ; সুতরাং আমার কাঁচা লেখাটাও সাহস করে দিয়ে দিলাম।
১
এবারের ঈদটা ছিল একটু অন্য রকম। আসলে ঈদের দুইদিন আগ থেকেই হাসপাতালে ছিলাম।
কিছু বিব্রতকর মুহুর্ত
১। ডিনার এ হেভি ভাব নিয়ে জুনিয়ার দের সামনে এসে জুনিয়ার দের মুচকি হাসি দেখে আবিস্কার করা যে প্যান্ট এর চেইন খোলা……
২। প্রিফেক্ট রা ডাইনিং এ ঢুকে ইংলিশ এ শাউট করতে গিয়ে মাঝ পথে খেই হারিয়ে ফেলা……
৩। টয়লেট এ বসে হাগু করতে গিয়ে পাশ এর টয়লেট থেকে ভেসে আসা কন্ঠঃ “আই, কে রে ভাই……গন্ধ……ইশ” পানি ঢাল ”
৪। সকালে বড় ভাই কে ডাক তে গিয়ে উনা কে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পাওয়া……
প্রথম আলোর জন্মদিন : অভিনন্দন কমরেডস
[ বিষয়টি ক্যাডেট কলেজের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়। একসময় প্রথম আলোতে কাজ করতাম। তাই প্রথম আলোর জন্মদিনে আজ প্রথম আলো ব্লগে এই পোস্টটি দিয়েছিলাম। ভাবলাম তোমাদের সঙ্গেও শেয়ার করি। কারো ভালো না লাগলে নির্দ্বিধায় জানিও।]
প্রথম আলোর আজ জন্মদিন। বেশ সশব্দে এবং সগৌরবে দিনটি আজ পালন করতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ও আলোচিত সংবাদপত্রটি। অভিনন্দন প্রথম আলো, অভিনন্দন প্রথম আলোর সব সাংবাদিক-কর্মীকে।
বিস্তারিত»লাল গোলাপ শুধু তার জন্যে
বাসার সামনে গলির দোকানে চা খেতে খেতে রায়হানকে (রায়হান আবীর) জিজ্ঞেস করলাম, “কি করা যায় বুদ্ধি দেস না একটা ?” অনেক্ষন চিন্তা করেও কিছু না পেয়ে ও বললো, “বাদ দেন ভাইয়া, আপাতত কয়দিন এইভাবেই চলুক।”
-ধুর বেটা, একবার সিদ্বান্ত নিয়া এখন পিছাইয়া আসলে কেমন দেখা যায়
-তাইলে কি করবেন?
আমি কিচ্ছুক্ষন ভেবে বললাম, “উপায় আছে একটা, দাঁড়া, আজকেই মেইল করতেছি। হইয়া যাবে।”
তারপর রায়হান কে উপায়টা বুঝিয়ে বললাম।
এমন দিনে তারে বলা যায়
ওয়েদারের কোন তালগোল খুইজা পাইতেছিনা। ভাদ্র মাস গিয়া এখন কার্তিকের মাঝামাঝি। কোথায় জীবনান্দের কার্তিকের নবান্নের দেশ, হিমশীতল প্রকৃতি আর শিশিরের শব্দ এতো দেখি একেবারে রবীন্দ্রনাথের পাগলা হাওয়ার বাদল দিন আর বৃষ্টি নেশা ভরা সন্ধ্যা বেলা।
বৃষ্টি আমারও ভালো লাগে (‘বর্ষা’ লিখলে আবার জিহাদ মাইন্ড খাবে, সুতরাং সেফ সাইডে থাকা ভালো) 😉 । কিন্তু এইরকম বিড়-বিড়াইয়া বৃষ্টি না। আরে বেটা নামবিই যদি ঝম-ঝমাইয়া নাম।
বিস্তারিত»ঈদ মোবারক সবাইকে
অনেক বেশী দেরী করে হলেও সবাইকে ঈদ মোবারক।
সুদীর্ঘ ১২টি দিন নেট থেকে অফ থাকার পরে সিসিবিতে আবার ফিরে এলাম। মাঝখানের এই কয়েকটি দিন বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কাটিয়ে এক মিশ্র অনুভূতি নিয়ে ফিরে এলাম। ভালো আর খারাপ এই দু’টি মিশেল অনুভূতি আমার এই ১২টি দিন কে আবৃত করে রাখলেও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি…কারণ ছুটিটা এরচেয়ে খারাপ ও তো হতে পারতো…।
আশা করি সবার ঈদ খুব ভালো কেটেছে।
বিস্তারিত»আমার বন্ধুয়া বিহনে-২
আমার বন্ধুয়া বিহনে-১
আমার রুমমেট শোয়েবের চেহারাটাই এমন, ও জেগে থাকলেও আমরা সন্দেহ করতাম শোয়েব ঘুমিয়ে আছে। করার অনেক কারনও ছিল।
প্রেপ কিম্বা ক্লাস আওয়ারে ফর্মে অনেক হিট ফ্লপ রস হতো। মাঝে মাঝে কেউ খুব হিট কোনো রস করলে আমরা সবাই দম ফাটিয়ে হাসতাম। কেউ চেয়ার থেকে পড়ে গড়াগড়ি খেতো। অতি উৎসাহী এবং সুযোগসন্ধানী কয়েকজন, ওরে মা রে, হাসতে হাসতে মইরা গেলাম রে বলে চামে পাশের জনকে কিল,থাপ্পড় মেরে দিতো।
শিরোনামহীন____
ভোর পাচটা । আচমকাই ঘুম ভেঙ্গে গেল । প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভে ডেটোনেট করার মত দুপ করে রাজ্যের সব ফ্রাস্ট্রেশন যেন একবারে জলে উঠলো । ইছ্ছে হছ্ছিল একদৌড়ে নিচে নেমে গাড়িটা নিয়ে ফুল স্পিডে কোথাও বেরিয়ে পরি । বিপদজনক চিন্তাটা বাদ দিয়ে একটা সিগারেট ধরালাম । তারপর আর কিছু না পেয়ে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় এই ব্লগের সামনে…।
অথচ কালই ভাবছিলাম আমার মন খারাপ হছ্ছেনা কেন ,
বিস্তারিত»কামরুল ভাইয়ের ইফতারি আমার জিলাপি ভক্ষণ ও হাবিজাবি :মূল বৃত্তান্ত
সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিল,ছিলনা চাঁদ(সাদী মহম্মদের গান থেকে না বলে ধার করলাম)।ধানমন্ডি ১১ নাম্বার রোডের লি বিউটি পার্লারের পাশে যে ফ্ল্যাটটা(না,প্রিয় পাঠক,আমার রুম থেকে সৌন্দর্যবর্ধন কেন্দ্রে আগত তন্বীদের তনুর লেশমাত্র দৃশ্যমান হয়না), সেটার কোনার রুমে রোজা-ক্লিষ্ট অবস্থায় আমি “পড়িয়া পড়িয়া ঘুমাইতেছিলাম”। দুচোখ জুড়ে আনাগোনা করছিল আসন্ন ইফতারের খানাদানার অবয়ব।ইফতারির সময় ছিল ৬ টা আর আমার ঘড়িতে তখন বাজে ৫ টা ৫০ । হঠাৎ মুঠোফোন বেজে উঠল-দেখি কামরুল ভাই।ঘুম জড়ানো অবস্থাতে বসকে সালাম দিলাম।আমি ভেবেছিলাম ইনি বাসাবোবাসী কামরুল ভাই,জাপান থেকে দেশে এসেছেন যিনি।
বিস্তারিত»ভালো আছি, ভালো নেই….
আজকাল কীবোর্ড, মনিটর টেনে (??) তেমন একটা লিখতে ইচ্ছে করেনা। খালি আলসেমি লাগে। তাই বলে বলবোনা আমি দিন দিন অলস হয়ে যাচ্ছি। কারণ সেটা আগে থেকেই ছিলাম। এখন শুধু ধারাবাহিকতাটা বেশ যত্ন করে বজায় রাখছি। এরমধ্যেই দেখতে দেখতে আঠারোটা রোজা কেমন করে চলে গেল। টেরও পেলাম না। শুধু বিকেল হতে হতে পেটের ভেতর কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগে। কি যেন নেই, কীসের যেন অভাব।তাছাড়া বাকি সব ঠিক আছে।
বিস্তারিত»প্রাপ্তবয়ষ্ক – ১
টাইটেল দেখেই বোঝা উচিত এই পুষ্ট খানা সকলের জইন্য প্রযোজ্য নাও হইতে পারে। তয় আমার ধারনা ইহা সকলেই পড়িবে এবং সকলের জইন্যই ইহা প্রযোজ্য হইবেক।
আজ রবিবার ছিল। এমনিতে রোযা, তারওপর বাসায় কোন কাজ নাই। সন্ধায় এক বাসায় ইফতার এর দাওয়াত আছে। তাই সকালে (আমার উইকএন্ড এর সকাল মানে আবার দুপুর বারোটার পর) ঘুম থেকে উঠে ভাব্লাম বাসায় কাম কাজ যহন নাই, যাই অফিস গিয়া কম্পিউটার গুতাই গিয়া।
বিস্তারিত»ক্যাডেট ডায়েরী ( ১৯৯৬ )—- ২
পূর্ব পাতা
মার্চঃ ২৪
ওফফ আজ ক্যাডেট কলেজের ভাইভা পরীক্ষা ছিল। একটা অবশ্য মজা হয় ক্যাডেট কলেজের এই পরীক্ষাগুলার দিন। বেশ পিকনিক পিকনিক ভাব হয়। আমার পরীক্ষা ছিল শহীদ রমিজউদ্দীন স্কুলে। ক্যান্টনমেন্ট এর স্কুল গুলা কেমন যেন। কখনো আমি এর আগে ক্যান্টনমেন্ট এ যাইনাই ক্যাডেট কলেজের পরীক্ষা দেওয়ার আগে। আজ অবশ্য আমার বেশ টেনশন হচ্ছিল। কারণ আব্বুর সামনে ভাইভা প্র্যাকটিস করা ছাড়া আমি আসলে আর কিছুই করিনাই।
ক্যাডেট ডায়েরী ( ১৯৯৬ )—- ১
শুরুর আগে
ক্যাডেট কলেজে থাকতে ডায়েরী লেখার অভ্যাস ছিল আমার। আবার সেই সাথে একটা বদভ্যাস ও ছিল বেশ কিছু দিন চলে গেলে সেই গুলা পড়ে নিজেরই লজ্জা লাগত তাই সেটা আবার ছিড়ে ফেলে দেওয়া। এই সিসিবি আসার পর থেকে আমি সেই ডায়েরী গুলাকে খুব খুবই মিস করছি। তাই পুরান ডায়েরীর আদলে পুরান ঘটনাগুলা নতুন করে লেখার চেষ্টা করছি। যেহেতু এটা পুনঃলিখন তাই দিন তারিখ না মিলার সম্ভাবনাই ৯৯%।