আ মরি বাংলা ভাষা

বেশ কিছুদিন ধরে দাঁতের ব্যথায় ভুগছি। এদেশে ডাক্তারের এপয়েনমেন্ট পেতে রীতিমত গলদঘর্ম হতে হয় আর সেখানে যদি হয় আমার মতো মেডিক্যাল ইন্সুরেন্সহীন হতভাগি তাহলে তো আর কথায় নেই। বহু চেষ্টা তদবির এর পর অবশেষে একজন ডেন্টিষ্ট এর এপয়নমেন্ট পাওয়া গেলো। কিন্তু সমস্যা বাঁধলো ডাক্তারকে নিয়ে। ডাক্তার বাবাজি সাক্ষাৎ আমেরিকান। তিনি বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর আমার সমস্যাটি তাকে খুলে বলতে বললেন।

বিস্তারিত»

০৪ঠা ফেব্রুয়ারী ২০১১,স্বপ্ন না কি সত্যি????

সেই সেপ্টেম্বর ২০১০ থেকে দেশে আসি আসি করে আর আসা হয়ে উঠছিল না। আইভরি কোস্টের ঘাড়-তেড়া প্রেসিডেন্টের তেড়ামির বলির পাঠা হয়েছিলাম আমরা। যাই হোক দেশে ফিরলাম সেজন্য নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল। তবে এয়ারপোর্ট রোড ধরে যখন এগুচ্ছিলাম তখন ভাগ্যটাকে ততটা সুপ্রসন্ন মনে হচ্ছিল না। তবে দেশে ফেরার আনন্দে সেটাকেও কেন জানি উপভোগ্য মনে হচ্ছিল। গত ১লা ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরলাম। বহুল প্রত্যাশিত এই ঘরে ফেরাটা আরও এক নতুন মাত্রা পেল ৪ তারিখে এসে।

বিস্তারিত»

২৯ সমগ্র

যেহেতু আজ ক্লাস ছিল না,তাই একটু আগে ঘুম থেকে উঠলাম। ঘুম থেকে উঠেই ক্যাডেট কলেজের কথা মনে পড়ে গেল। মনে পড়ে গেল বিভিন্ন সময়ে এক একজনের মুখ থেকে বের হয়া ডায়ালগ গুলো আর মজার মজার সব ঘটনা গুলো। আর তাই শেয়ার করতেই ব্রাশ না করেই ল্যাপটপ নিয়া বসা।

১…আমরা যখন ক্লাস সেভেনে,তখন আমাদের জেপি ভাইয়ার টানটান করে মশারি টাঙ্গানো নিয়া কালজয়ী ডায়ালগ,”পিটি শু  থ্রো করলে যাতে আমার কাসে ব্যাক করে”।

বিস্তারিত»

যাত্রা হলো শুরুঃ লিটিল বাংলাদেশ

গতকাল ১৫ই জানুয়ারী, ২০১১ বিকেলটা আমেরিকায় একটা খুব ছোট্ট কিন্তু আমেরিকার বাংলাদেশী কম্যুনিটির ইতিহাসের এযাবৎকালের সবথেকে বড় ঘটনাটা ঘটে গেলঃ আমেরিকার বুকে সর্বপ্রথম একটা এলাকা বাংলাদেশের সাথে মিলিয়ে ‘লিটিল বাংলাদেশ’ হিসেবে অফিসিয়ালী অভিষিক্ত হলো। এলাকাটা আয়তনে খুবই ছোট। লস এঞ্জেলস শহরে কোরিয়া টাউন নামে পরিচিত এলাকার একপাশে ভার্মন্ট এভিনিউ আর নর্মান্ডি এভিনিউ এর মধ্যবর্তী ৩নং সড়কের দুইধার। সিটি মেয়র এবং বাংলাদেশ দুতাবাসের কর্মকর্তা মিলে সাইনবোর্ড টানিয়ে এলাকা চিহ্নিত করে দিলেন।

বিস্তারিত»

“ইউনূসের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে”

এক. দেশের অবস্থা কেমন
বেশ কিছুদিন আগে শান্তা ফোন করেছিল। অনেকক্ষণ কথা হলো। আলাপের এক পর্যায়ে শান্তা জানতে চাইলো দেশের অবস্থা কি? বললো, যারা দেশ ঘুরে যায় প্রায় সবাই খারাপ বলে। দেশের অবস্থা নিয়ে শান্তাকে সেদিন অনেক কথাই বলেছিলাম। প্রবাসীরা যখন দেশের পত্রিকা পড়ে, তারা রীতিমতো ঘাবড়ে যায়। খুন, ধর্ষন, লুটপাট, দুর্নীতি, আওয়ামী লীগ-বিএনপির রেষারেষির সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে নারীর ওপর যৌন নির্যাতন। প্রতিদিন গণমাধ্যমে নির্যাতন,

বিস্তারিত»

কারওয়ান বাজারে একটি ঘটনাবহুল রাত

কলেজে থাকতে ফিজিক্সের জনৈক ম্যাডাম একটা অংক করা নিয়ে বলেছিলেন, “সামনে দিয়াই পারো না, আবার পেছন দিয়া…………”

বহুদিন পর আবার সেই কথা মনে পড়ল, সম্পূর্ণ অন্য পরিবেশে, এবং পরিবেশটা রসিকতার ছিল না।

ডিপার্টমেন্টে সন্ধ্যাভর আড্ডা শেষে বাসায় যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম; এমন সময়, এক বন্ধু বলল, “অমুক ভাই তো অমুক কে নিয়ে অমুক দিন থেকে অমুক দিন পর্যন্ত লাইনে দাঁড়ায় বিশ্বকাপের অমুক,

বিস্তারিত»

আফসোস

আমার অনেক দিন ধরেই শখ একটা ক্যামেরা কেনার। বিভিন্ন জায়গায় গেলে অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখে আফসোস হয়। এই আফসোস আরো বেশি হলো এখানে, পদ্মার তীরে, এসে। আজীবন শুধু ছবিতে আর মুভিতে দেখেছি নীল পানির হ্রদ, নদী, সাগর…ইত্যাদি। সেটা যে বাস্তবে সম্ভব হতে পারে সেটা কখনো ভাবি নি। এর আগে পোস্টিং ছিল যমুনা ব্রিজের পাশে, সেখানে ঘোলা পানি দেখেই অভ্যাস। সপ্তাহ পার হল, এসেছি পদ্মার তীরে।

বিস্তারিত»

আজ আমি কোথাও যাবো না

আজ বছরের শেষ দিন। অনেক দিন হয়ে গেল, থার্টি ফার্স্ট নাইট বলে যে কিছু আছে, তা প্রায় ভুলেই গেছি। পেশাগত ভাবেই এই সময়টা আমাকে কাটাতে হয় মাঠে-ঘাটে(শীতকালীন মহড়া)। অবশ্য এম্নিতেও যে আগে খুব ফালাফালি করতাম, তা না। তাই খুব একটা আফসোস ও নেই। বরং কিছুটা সারক্যাস্টিক ই ছিলাম, তাই অন্তত এই রাত টায় ১১ টার মধ্যে ঘুমায় যেতাম( =)) )।

যাক, এখন আছি জেলা শহর পাবনার একপ্রান্তে(আসলে ঈশ্বরদী)।

বিস্তারিত»

পশ্চিম পর্ব (ভূমিকা পর্ব )

বজ্র পর্বতের পায়ে ছোট্ট একটা শহর। শহরে একটা মল, কিছু সাধারন দোকান আর গোটাকয়েক আবাসিক এলাকা। স্বল্প আয়তন, অল্প মানুষ আর গোছানো পরিসরে ছবির মত সাজানো শহরটার নাম সিয়েরা ভিস্তা। মেক্সিকোর সীমান্ত ঘেঁষা হুচুকা মাউন্টেনের পায়ের কাছে এই শান্ত শহরটাতে মাস সাতেক বাস করতে হয়েছিল আমাকে।

সিয়েরা ভিস্তা, নামটাই তো কেমন অন্যরকম। কিশোর বেলায় পড়া ওয়েস্টার্ন গুলোতে এই নামটা ছিলো কিনা মনে নেই,

বিস্তারিত»

খেজুরে আলাপ – ১

বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে সকালে ঘুম ভাঙলো। বেশ হিমহিম রোমান্টিক আবহাওয়া। ব্যাচেলর মানুষ, বিছানায় একাই ঘুমাই। কাঁথাটাকে আরেকটু জোরে আঁকড়ে ধরে পাশ ফিরলাম। মাথার মধ্যে জসীমউদ্দীনের কবিতা উঁকি দিয়ে গেল:
“আজিকে বাহিরে শুধু কলকল ঝরঝর চারিধারে
বেণুবনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।“

এই আবহাওয়ায় অফিসে যাওয়ার মোটেই ইচ্ছা জাগে না। যাব কি যাব না করতে করতে না যাওয়ার সিদ্ধান্তটা চূড়ান্ত করে ফেল্লাম।

বিস্তারিত»

বিক্ষিপ্ত সময় আর মনে যখন কবিতা থাকেনা…

মাঝে মাঝে মনে হয় স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ সব শিখে ফেলি। ধ্রুপদী সব সাহিত্য অনুবাদে নয়, তার মূল ভাষায় পড়বো! জানি অনেক ছোট ছোট অপ্রাপ্তিগুলো যেমন কুঁড়ে কুঁড়ে খায়, তেমনি এই অতি উচ্চাশা পূরনের ব্যর্থতা কখনোই সেভাবে অনুভবই করবোনা হয়তো। বড়জোর এই এখনকার মতোই অথবা আরেকটু জোরে দীর্ঘশ্বাসই বেরুবে…

আমার উপর দাদার খুব সূক্ষ্ণ একটা প্রভাব আমি টের পাই। সেই ছোটবেলায় গ্রামে গেলে খুব সকালেই ঘুম ভেঙ্গে যেত।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি-৫

খোলা মাঠ।বিস্তৃত সবুজের দিকে চোখ মেলে রয়েছি দুজনে।একটা বিশাল বুদ্বুদ কোত্থেকে যেন ভেসে এসে হেলেদুলে লাফিয়ে লাফিয়ে সামনে দিয়ে পালিয়ে গেলো, গায়ে তার পিছলে যাচ্ছিলো রঙধনু।একছুটে একটা কাঠবিড়ালী এসে পৃ-কে মুখ ভেংচে গেলো।দূরে কোথাও মন উদাস করা সুরে বাঁশি বাজছে।
‘এ জায়গাটার নাম কী পৃ?’
‘জানিনা সোনা, আগে কখনো এসেছি এখানে?’

নিশ্চয়ই এসেছিলে
কোন একদিন
আমারি হাত ধরে,
বুনোপথের ঠিক এই প্রান্তে।

বিস্তারিত»

শব্দহীন সময়

নীলাদ্রির আজ মন ভাল নেই। সুদূরে শূন্য আকাশের গায়ে জমে থাকা ছিন্ন ভিন্ন মেঘের গায়ে জমাট ধূলিকণা আর সেইসাথে ছড়ান শূন্যতার রেণু। নীলাদ্রির আজ মন ভাল নেই সেই শূন্যতার রেণুতেই। ফেলে আসা সময়ের নিবিড় আবেশ একটুখানি কষ্টের তীর হয়ে গেঁথে আছে মনের গহীন কোণে, যেখানে শব্দময় অতীত কেবলই গুমড়ে মরে আজকের ভয়াল নৈশব্দের কাছে।

আজ সেই ফেলে আসা সময়ের ঝুম বৃষ্টি, ভেজা মাঠ,

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি-৪

নাহ্‌ আর ভাল্লাগছেনা এত কাজ। সিগারেটে টান দিতে দিতে ঠিক করে ফেললাম, ক’দিনের জন্য অফিসের খাঁচা থেকে উড়াল দিতে হবে। এই আঠার তলা থেকেও আকাশটাকে যে কেন এত দূরের বলে মনে হয়!
মনটা কি আজ উড়ুউড়ু হয়ে আছে? লাঞ্চটাইমে নিশা ডাগর আঁখি মেলে জানতে চাইলো, আপনার কি মন খারাপ?
না মেজাজ খারাপ।কাজ যেটা দিয়েছিলাম হয়ে গেছে?(আমার মন খারাপের দিস্তা তোমারে মাপতে কে কইলো লক্ষীছাড়া?)

এখন ভোর সাড়ে চারটে।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন মৃত্যু অথবা ভালোবাসার গল্প

স্বপ্নেরা সুন্দর হয়,ভালোবাসা বিষণ্ণ হয় , জন্ম হয় শুভ্র অথবা শীতল। আগমনে চঞ্চল হয় এক অথবা দুফোটা জলকণা। আর নিশ্চলতার মাঝে শুরু হয় গতির। সেই গতির টানেই শুরু হয় তার অথবা তাদের যাত্রা।শুভ্রতার বুক হতে সে নেমে আসে কেবল। আঁধার অরণ্য তাকে আলো দেখিয়ে শোনায় একটানা একঘেয়ে নৈঃশব্দ্যের গান। সেই গানে তারা সঞ্চারিত হয় ক্রমশ। পাথরের বুক চিড়ে বের হয়ে আসে যেন।জন্ম হয় শুভ্র, শুভ্রতা বিলীয়মান হয় জীবনের গতিতে।তপ্ত রৌদ্র বেগবান করে তার স্রোতকে।নিশ্চল পাথুরে ভালোবাসায় বেড়ে উঠে সে ক্রমাগত বিদীর্ণ করে তার জননীর বুক অথবা সে জননী যেন হাসিমুখে বরণ করে নেয় জন্মের বেদনা।

বিস্তারিত»