“অবশ অনুভূতির চিঠি”

জানালার বাইরে ছিল অতি সাধারণ সবকিছু। একটি সবুজ ধানক্ষেত, আমের বাগান কনক্রিট রোড, ধুপি শপ, রেশন স্টোর, পানির ট্যাংক। প্রথম দিন যেমন নতুনত্ব ছিল সেদিনটাও কোন পার্থক্য ছিল না অনুভবের। জানালায় একবার দাড়িয়ে শেষবারের মত দেখলাম আমার ছবির ফ্রেমটা। জীর্ণ অথবা রংয়ের যত্নে লুকিয়ে থাকা রডগুলো ছুঁয়ে মনে হল ক্ষুদ্র অথচ প্রাণের কিছু অংশ রেখে যাচ্ছি। গতকাল রাত থেকে আমার অনুভুতিগুলো অনেকটা্ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

বিস্তারিত»

একটি সাময়িক পোষ্ট

এক ফোটাও বাড়িয়ে বলছি না।
অন্য যেকোন প্রতিবাদের চাইতে আমাদের প্রতিবাদ ছিলো একেবারেই ভিন্ন।
প্রথমেই গর্ভস্রাবেরা দখল করে নেয় স্মৃতি সৌধ, আমাদের শহীদ মিনার; আমরা তখনো পৌঁছাইওনি লন্ডনের আফতাব আলী পার্কে।
এরপর ওরা পার্কের মাঝের সড়কটি দখলে নেয় সেই সাথে শহীদ মিনার সংলগ্ন স্থানসমূহ।
আমাদের পেছনে ওরা আরেকটি লাইন করে দাঁড়ায়।
আমাদের বামে দাঁড়ায়।
আমাদের ডানে দাঁড়ায়।
বিশ্বাস করেন ভাই সে এক অভাবনীয় অবস্থা।

বিস্তারিত»

অন্যরকম ডায়েরী

কলেজে থাকতে ডায়েরী লেখার অভ্যাস অনেকেরই থাকে, আমারও ছিল। তবে কখনোই নিয়মিত হতে পারিনি। একবার-দুবার নয়, চার-চারবার ডায়েরী লেখা শুরু করি। প্রথমটা ক্লাস সেভেনে। দ্বিতীয়টা মনে নেই, তৃতীয়টা ক্লাস নাইন-এর শেষ থেকে এস.এস.সি. পর্যন্ত। শেষবার ক্লাস টুয়েলভে।

প্রথমটায় ছিল ক্লাস সেভেন-এর এক বাচ্চা ক্যাডেট-এর সুখ(!)-দুঃখের কথা। এমনকি কোন সিনিয়রের কাছে কি পানিশমেন্ট খেয়েছি, পরিমাণসহ লেখা! তৃতীয়টা কিছুটা পরিপক্ক। তবে তৃতীয়টায় আর গতানুগতিক থাকতে ভালো লাগলো না,

বিস্তারিত»

ইস্তানবুলের ডায়েরি

সময়কে যদি বহমান এক নদীর সাথে তুলনা করি তাহলে জীবনের ওই দুঃখগুলোকে বলতে হবে বহমান ওই নদীতে ভেসে থাকা ছোট ছোট কচুরিপানা। প্রবাসী জীবনের কেটে যাওয়া ৪ টি বছরে পরিকল্পনার ছকে এসেছে নানা রকমের পরিবর্তন আর জীবন পেয়েছে বাস্তবতাকে মুখোমুখি করে দেখার সুযোগ। পরিচিতি লাভ করেছে সেই সব সংগ্রামী মানুষের যারা হয়তবা ছোট ছোট স্বপ্ন বুকে বেঁধে পাড়ি দিয়েছিল মাতৃভূমিকে ছেড়ে হাজার হাজার মাইলের পথ…দেখেছিল রঙিন এক স্বপ্ন আর যাদের বুকের আশায় ছিল মাতৃভূমিতে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজন ও মা বাবা…উন্নয়নশীল দেশের কিছু খেটে খাওয়া মানুষজনের সেই স্বপ্নগুলোকে আমি হয়তবা আমার ডায়রিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবদ্ধ করতে পারব না কিন্তু হয়তবা আমি পরিচয় করিয়ে দিতে পারব তাদের আশা নিয়ে বেঁচে থাকার সেই সংগ্রামকে…

বিস্তারিত»

প্রবাস জীবন ও প্রথম পোস্ট এর সাময়িক উত্তেজনা

১)মাঝে মাঝে ভাবতেই অবাক লাগে। দেখতে দেখতে ছয় মাস কাটিয়ে দিলাম ইউএস এ তে। গত ডিসেম্বর এর সময় শুনলাম একাডেমি তে ১ টা অফার এসেছে  । ১ জন ক্যাডেট নিবে ওরা। চার বছর এর জন্য।  ইউএস নেভাল একাডেমি ! সেই বিখ্যাত আনাপোলিস। এই মুভি টা  দেখে ফাস্ট টার্ম এ মোরাল  নেবার চেষ্টা করেছিলাম। যাই হোক, আমার কি? আমার দরকার কমিশন। ঐটাতে ই  আমি খুশি। আনাপোলিস আমার লাগবে না।

বিস্তারিত»

রোজকার স্বপ্নলিপি


১.
নিজের সাথে নিজের এই ক্লান্তিকর খেলা শেষে রমণোত্তর বালকের হতাশা দেশে ফেলেছিলো এক নিরুত্তাপ তরুণী।এই দেখে তারও বোধহয় সাধ হয়েছিলো সন্ন্যাসের।তাই নদী ভ্রমন থেকে ফিরে এসে সে ঘরে যায় নি আর,জলপ্রপাতের তুমুল জলরাশির ভেতর হারিয়ে যেতে যেতে একমুহূর্তে ডেকে উঠেছিলো বালককে।
বালক তখন গভীর নিদ্রায় অচেতন হয়ে মুছে নিতেছিলো সমগ্র রাত্রির পাপ ও ক্লান্তি।তাই সেই নারী কন্ঠের ডাক একটি অসহায় পাখির কূজনে ট্রান্সলেট হয়ে ঢুকে পড়েছিল বালকের স্বপ্নের ভেতর।

বিস্তারিত»

যাতনা কাহারে বলে! ভালবাসা কারে কয়!

যাতনা কাহারে বলে! ভালবাসা কারে কয়!

বেশ কয়েক বছর আগে একজন সাহিত্যের শিক্ষক আমাদের ক্লাশে বলেছিলেন, একজন কবির কাছে কবিতা জন্ম দেয়া নাকি অনেকটা সন্তান প্রসবের মতই একটা ব্যাপার। যতক্ষন কবিতাটা বের না হয়, একটা যন্ত্রনা হতেই থাকে। আর বের হবার সাথে সাথেই এক অনাবিল প্রশান্তি। এ বিষয়ে আমার উপলব্ধি হল, মনের কথা বলে ফেলার মধ্যেই একটা বিরাট রিলিফ কাজ করে। তা সে সুখের হোক,

বিস্তারিত»

প্রাপ্তি

খুব ছোটবেলা আমি নিজেকে পুলিশ বলতাম।প্রতিবেশী এক চাচী এখনো আমাকে “পুলিশ কাকা” বলেই ডাকেন।বিক্ষিপ্তভাবে ছোটবেলার কিছু স্মৃতি মনে পড়ে,যেখানে উনাদের বাসার গেটে নক করে চিৎকার করে নিজের পরিচয় দিচ্ছি “আমি পুলিশ”।তবে সে স্বপ্নটা কিভাবে সেনাবাহিনীতে পরিণত হল তা নিজেও জানিনা।শুধু এটুকু মনে আছে ক্যাডেট কলেজে ক্লাশ সেভেনে এক স্যারের প্রশ্নের জবাবে নির্দ্বিধায় বলেছিলাম আমার এইম ইন লাইফ সেনাবাহিনীতে জয়েন করা।সত্যি বলতে কি,কখনো কোন সেকেন্ড থট মাথায় আসেনি সেনাবাহিনী ছাড়া।এইচএসসি পরীক্ষার পর বুয়েট কোচিং এ ভর্তি হয়েছিলাম ঠিকই,তবে রেজাল্টের আগেই আইএসএসবি গ্রীন কার্ড হাতে চলে আসায় সে পথে আর পা বাড়াইনি।মডেল টেস্টগুলোতে চশমা পাওয়াটাও সে পথ ছেড়ে দেবার একটা কারণ হলে হতেও পারে সেটা অস্বীকার করাটা অন্যায় হবে।আজ একটু ব্যাক ক্যালকুলেশন করে দেখলাম আগামী ডিসেম্বর এ আমাদের চাকরির ছয় বছর পূর্ণ হতে চলেছে।সকালে শেভ করতে গিয়ে আয়নায় নিজের চেহারাটা লক্ষ করে মনটা একটু খারাপই হয়ে গেল।কল্পনার সাথে যে অনেক বেশী পার্থক্য দেখছি!!!না না,ভুল বুঝবেন না,নিজের চেহারা সিনেমার নায়কদের মত কল্পনা করিনা।তবে নিজের কথা ভাবতে গেলেই এখনো মনের আয়নায় এক কিশোরের ছবি ভেসে উঠে।ভাঙ্গা চোয়াল,দোমড়ানো ড্রেস,লুজ বেল্ট,পালিশ না করা ফ্যাকাশে অক্সফোর্ড সু(এক কালে যেটা কাল রঙের ছিল) আর কাঁধে ছয় দাগওয়ালা লাল রঙের অ্যাপুলেট।সত্যি বলছি নিজেকে এখনো ক্লাশ টুয়েলভ পড়ি বলে মনে হয়-অনার্স পড়ুয়াদের এখনও নির্দ্বিধায় বড় ভাই ভাবি।ক্যান্টনমেন্টের গাছে ঝুলে থাকা আম কাঁঠাল গুলো তাই এখনো অশ্লীল আহবান জানায়,ক্রিকেট ব্যাট বল শুক্র-শনিবারের ঘুম কেড়ে নেয়,টেবিল টেনিস টেবিলে দুপুরের ঘুম বিসর্জন দেই,বিকালের গেমস এ এখনো অফসাইড নিয়ে তর্কে জড়াই জুনিয়র অফিসার(ওরাও এক্স ক্যাডেট)দের সাথে।তবে নিমকহারাম আয়নাটা বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় আমি আজ আর কলেজের ক্লাশ টুয়েলভ নই।পাশাপাশি আত্মীয়স্বজন(খালি মাবাবা বাদে),বন্ধুবান্ধব,সিনিয়র কিংবা জুনিয়র(হারামখোর একেকটা) সবাই প্রায়ই জানতে চায় কবে বিয়ে করব।এমন কী ছুটি যাবার সময় সৈনিকগুলা পর্যন্ত মুখ টিপে হাসে।কারণ আমার ইউনিট আবার অফিসারদের আর্লি ম্যারেজের জন্য বিখ্যাত।সব মিলিয়ে বয়সটা যে আর থেমে নেই সেটা বোঝা যায়।তবে এমন কোন বয়সও হয়নি যে জীবনে পাওয়া না পাওয়ার হিসাব করতে বসব।

বিস্তারিত»

আর একটা দিন

এক একটা দিন যায়, বিষণ্ণতা কেমন জড়িয়ে জড়িয়ে ধরে। বিশ্ববিদ্যালয় পেরুনো মনটা আমার বারবার প্রশ্ন করে, এইটেই কি জীবন? ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়। একদিন বাসায় ফেরার পথে আকাশ জুড়ে হেলিকপ্টারের শব্দ। প্রথমে ভাবলাম তপন চৌধুরী বুঝি খুব মিটিং করে বেড়াচ্ছেন। (রিসেন্টলি নতুন তথ্য জানলাম যে স্কয়ারের তপন চৌধুরী নাকি জ্যামের কারণে এখনে গাড়িতে চড়া ছেড়ে হেলিকপ্টারে ওঠা শুরু করেছেন। তার প্রতি অফিসের মাথায় আছে সুদৃশ্য হেলিপ্যাড।

বিস্তারিত»

ব্যথা

অন্ধকার আস্তাকুড়ে আমায় ফেলে রেখে
তুমি চলে গেছো
স্মৃতিগুলো বিস্মৃতির কাঁটা হয়ে
আমার হৃদয়ে ব্যথা দিচ্ছে
অন্ধকার যে আমার পছন্দ না, তুমি জানতে;
তবুও আমায় ভুতুড়ে অন্ধকারে রেখে গেছো।
তোমার হাসি আজও কানে বাজে নুপুরের তালে;
আজো তোমার স্নিগ্ধ চুলের গন্ধে আমার চারদিক সুরভিত;
একটি ঘর্মাক্ত সন্ধ্যায় তোমার নাকের উপর জমা শিশিরগুলো
আজো আমায় জানান দেয় একটি সুন্দর দিনের সমাপ্তি;

বিস্তারিত»

৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ২১তম পর্ব

এক.

“পেয়ারা! ঝাল-মশলা দিয়ে পেয়ারা!” আজ সকালে অফিসে যাবার সময় রাস্তায় ফেরিওয়ালা এভাবেই ডাকছিল। পেয়ারা আমাদের দেশের একটি অতি পরিচিত ফল। এই ফল নিয়ে অনেক সুখস্মৃতি আমার মনে এখনও গেথে আছে। তখন আমি এক ঝটকায় ১০ বছর পেছনে চলে গেলাম।

আমাদের ক্যাডেট কলেজগুলোর বিশাল আয়তনের কারণে প্রায় সবগুলো কলেজেই প্রচুর ফল গাছ বিদ্যমান। উদাহরণঃ আম, কাঠাল, জামরুল,পেয়ারা, আমলকী, জাম, ডাব, গাব ইত্যাদি।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন সন্ত্রাস – ১

খুব মৃদু ভাবে ঘন্টা বেজে যাচ্ছে যেটা একদম ভালো লাগে না। আজকে একদম উঠতে ইচ্ছা করছে না। বন্ধ চোখ এক চিলতে খুলে দেখলাম বাইরে আলো ফুটেনি কিংবা কুয়াশা। যেটাই হোক এখন উঠবার প্রশ্নই আসে না। চোখ আবার বুজে ঘুমের রাজ্যে একটু ডুব দেবার আগেই স্টাফের তীক্ষ্ণ হুইসেল বেজে উঠলো। নাহ আজকে ঘুমাতেই দিবে না। কোনমতে উঠে বসলাম বিছানায়। ফয়সাল, মঞ্জুর, হাবীব, শাকেরীন, মোটামুটি সবাই উঠে পড়ছে।

বিস্তারিত»

ইস্তানবুল,কিছু অভিজ্ঞতা এবং আমি (১)

আজকে আবারও হটাৎ করেই লিখতে বসা। আসলে গণহারে এক্সামগুলোতে কাঁচা কাঁচা সব বাঁশ খেতে খেতে লেখতে বসার সময়ই হয় না। সেই সাত সকালে উঠে কাঁধে এক ঝোলা নিয়ে সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে যেতে হয় ইউনিভার্সিটিতে। সারাটা দিন কানের পাশে তুর্কী ভাষায় প্যাঁচাল শুনতে শুনতে যখন দেখি কানটা  প্রায় ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে তখন ঘড়ির কাঁটায় প্রায় ৬ টা বাজে। এটা হল আমার নিত্ত নৈমিক ব্যাপার।

বিস্তারিত»

প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ

প্রিয় হুমায়ুন আহমেদ,

অনেক আবেগ জমে গেলে আমি লিখতে পারিনা। শ্রাবন মেঘের দিনে তোমার চলে যাওয়াটাও মানতে পারছিনা। এই শ্রাবনে তোমার কোথাও যাবার কথা ছিলনা। শঙ্খনীল কারাগার কিংবা নন্দিত নরক কেউ তোমাকে পাওয়ার যোগ্য নয়। তুমি কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ হয়ে আমাদের জোছনা ও জননীর গল্প শোনাবে। তেতুল বনে যে জোছনার রূপ ঝরে পড়বে। মধ্যাহ্নের তীব্র রোদে হিমু হেঁটে চলবে ঢাকার রাস্তায়,তুমি রূপাকে চিরদিনের জন্য তাঁর করে দেবে।

বিস্তারিত»

তিন দশক পর সফল হলেন জিয়াউর রহমান

গত শতকের আশির দশকে নেওয়া জিয়াউর রহমানের ‘কর্মসূচি’র সাফল্য দাবি করতে পারি এখন আমরা! পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী : বাঙালি অনুপাত এখন প্রায় ৫০ : ৫০! তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে দুটিতে এখন আমরা বাঙালিরা সংখ্যায় পাহাড়িদের চাইতে বেশি! আমরা বাঙালি শাসকগোষ্ঠি এখন ‘নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পারি’ এই ভেবে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আর স্বাধীন হতে পারবে না! পাহাড়িরা বড়জোর আগামী দশকে প্রকৃতভাবেই নিজভূমে পরবাসী হবে!

যারা জানেন অথবা জানেন না তাদের সবার জন্যই বলি,

বিস্তারিত»