একজন খাদিজা বিবির গল্প

শাহজাদপুর এলাকায় থাকছি প্রায় দেড় বছর ধরে । বছর খানেক হবে আমাদের এলাকার মসজিদটা ভেঙে আবার চারতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে নতুন করে করা হচ্ছে।মোটামুটি প্রতি সপ্তাহেই জুম্মার নামাজের সময় ইমাম সাহেব মসজিদের কাজে সহযোগিতার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান করছেন। অনেকেই এগিয়ে আসছেন। খুতবা শেষে ইমাম সাহেব কারা কারা কত সাহায্য করলেন তার একটা ছোট হিসাব দিতেন। নামাজ শেষে তাদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হতো।

বেশ কিছুদিন আগে ইমাম সাহেব জানালেন দোতলার ইলেক্ট্রিক ওয়ারিং এর কাজ বাবদ প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা লাগবে।

বিস্তারিত»

অজানা ডাইরীর পাতা থেকে

জীবনটা আর্শ্চয রকমের ছন্নছাড়া হয়ে যাচ্ছে।কিছু ভাললাগেনা কিচ্ছুনা।আমার নিজের মধ্যে আর্শ্চয রকমের একটা পরিবর্তন।আমি হেরে যাচ্ছি আমার কাছে।হাজারো চিন্তা আমাকে অজগরের মত পেচিয়ে ধরেছে।শুনেছি অজগরেরা নাকি শিকারকে না মারা পর্যন্ত এভাবে পিষতেই থাকে।জীবন আমাকে হয়ত অমৃত্যু এভাবেই পিষে যাবে।
পড়াশোনাটা শেষ হয়ে যাচ্ছে, তার চেয়ে বড় কথা সুমাইয়ার কাছে চেয়ে নেওয়া সময় গুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে।ভয় হয় একদিন হয়ত হঠাৎ দেখব সব শেষ।এই যে জীবন নিয়ে এত চিন্তা সব অর্থহীন হয়ে যাবে।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি-৬

আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি ঝরছে তো ঝরছেই, রাতভর ঝরে ঝরে ঢাকাশহরে প্লাবন নিয়ে আসবে বুঝি।
অনেক রাত হলো, একটুও ঘুম আসছেনা।
হুস করে একটা ট্রাক চলে গেলে পুরো মহল্লাটা পাশ ফিরে শুলো।

বাইরে রাস্তায় টিমটিম করে জ্বলতে থাকা ল্যাম্পপোস্টের বাতিটা কোনরকমে একফোঁটা আলো এনে ফেলেছে আমার বিছানার উল্টোদিকের দেয়ালটাতে।
সেখানে ঝুলছে পৃ-র দেয়া মুখোশটা, পহেলা বৈশাখে মেলা থেকে কিনে দেয়া।
হা করে মস্ত একটা নির্ঘুমতা নিয়ে আমার দিকে চেয়ে থাকে একেকটা রাত,

বিস্তারিত»

প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির খতিয়ান

কলেজে থাকতে অনেকেই একটা কথা বলত ক্যাডেট কলেজ আমাদের কি দিয়েছে? আমিও এর ব্যতিক্রম ছিলাম না। চিন্তা করতাম এরকম পিটি, ড্রিল, ফলিন, পানিশমেন্ট আর এত এত নিয়ম……আমরা যে প্রায় সব ধরনের স্বাধীনতাই বিসর্জন দিচ্ছি বিনিময়ে কি পাচ্ছি? আমার বাবা মা জানতেন আমি ভাল ছাত্র, হয়তো এই জন্যেই ক্যাডেট কলেজে চান্স পেয়েছিলাম। কিন্তু কলেজে ঢুকার পর হয়তো আমার থেকে  আরো ভাল অনেকের ভিড়ে আমি হারিয়ে গেলাম।হয়ত বাবা মা-র শাসন ছিল না তাই পড়াশোনার দিকে মনোযোগ কম ছিল।

বিস্তারিত»

আঁতলামি আপডেট ২

আন্ডারগ্রাজুয়েশনের পাট চুকিয়ে কয়েকদিন বেশ ভালোই ছিলাম। নিজেকে কেমন বড় বড় মনে হত। যখন দেখতাম ক্লাস ১/২ তে পড়া আন্ডাবাচ্চা সারাদিন ঘাড়গুজে পড়াশুনা করছে তখন মনে হত আমাকে আর এমন করে পড়তে হয় না । আত্বতুষ্টিতেই মনটা ভরে যেত।

মিডটার্ম নেই, সেমিস্টার ফাইনাল নেই, এ যেন এক শান্তির জীবন।

এই সুখ কপালে সইলো না বেশীদিন। লোকজনের খালি একই প্রশ্ন,

বিস্তারিত»

চিলে কান নিয়ে গেল: আমি জ্ঞানপাপীর দলে

ফেসবুকের এক্স ক্যাডেটস ফোরামে হঠাৎ করেই প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য/ গালি-গালাজের বন্যা বয়ে গেল। প্রথম আলোর সাংবাদিক/ যে কোনো সাংবাদিকদের নিয়ে তীর্যক/ শ্লেষাত্মক মন্তব্য পড়তে পড়তে ভাবলাম, এই পেশায় এসে কি ভুল করে ফেলেছি! তার উপর আবার দীর্ঘদিন প্রথম আলোতেই ছিলাম। এখনো প্রথম আলোতে বেশ কয়েকজন ক্যাডেট বেশ দায়িত্বশীল পদে কাজ করছে। এদের সবার নজর এড়িয়ে কি করে এমন ক্যাডেটবিরোধী একটা প্রতিবেদন ছাপা হলো!

বিস্তারিত»

অটোয়ার জার্নাল – তিন

এমনি
এক একটি দিন কখনো কখনো যায় শুধুই নষ্টালজিয়ায়। আমি বোধহয় এই সময়টায় সাংঘাতিক অতীতচারিতায় ভুগছি। হয়তো এটাই হোমসিকনেস। আমি হোমসিক! কয়েকটি শহরে নিজেকে খুঁজে ফিরছি। আমার জন্ম যশোরে, সেইখানে আমার নাড়ি পোঁতা আছে। গেঁদা শৈশব সাতক্ষীরায়, সেই স্মৃতি খুব অস্পষ্ট যদিও। খুলনা এবং যশোর, শৈশব এবং কৈশোরের রঙীন দিনগুলো। মাঝে রাজশাহীতে কিছুদিন – সাহেব বাজার, টি-বাঁধ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, টেনিস ক্লাব, চিড়িয়াখানা, উপশহর,

বিস্তারিত»

হাতিবেড় গ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কুমির প্রজনন খামার

এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান :: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ভাওয়াল গড়াঞ্চলের বিস্তীর্ণ শালবন পরিবেষ্টিত হাতিবেড় গ্রাম। লালমাটি আর অসমতল টিলা বনভূমি ঘেরা অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত এ পল্লী। এক সময় এ গ্রামটি জনবসতিহীন বন্য পশু-পাখির অভয়ারণ্য ছিল। মাত্র ২০ বছরের ব্যবধানে ভালুকার বিশাল বনাঞ্চল পরিণত হয়েছে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল জনপদ হিসেবে। আর দিন বদল আর পালাবদলের পালায় এ গ্রামেই গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কুমির প্রজনন খামার।

বিস্তারিত»

গুড়াকাব্য রিলোডেড: ইহা একটি পুরুষবিদ্বেষী পোস্টের জবাব

[তাইফুর ভাইয়ের কমেন্টের সূত্র ধরেই লিখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বড় হয়ে যাওয়ায় পোস্ট আকারেই দিয়ে দিলাম। এটি তীব্র সাম্প্রদায়িক, নারীবিদ্বেষী এবং সংকীর্ণ পুরুষতান্ত্রিক একটি পোস্টের জবাবের জবাব। কাব্যগুলোয় আপাত দৃষ্টিতে নারীদের পক্ষ অবলম্বন করলেও কবি আড়ালে বলেছেন অন্য কথা যা সেই প্রাক্তন পোস্টকেই সাপোর্ট করে । যার নমুনা প্রতিটি কাব্যের অর্থের ভিতরেই লুক্কায়িত….এবং যাহা অতীব সত্য :grr: :grr: ]

এক.
বিকেল বেলা চটপটি
পড়ে থাকে কটকটি

[অর্থ: প্রেমিকার সঙ্গে ডেট করে আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি ………………..]

আসল অর্থ: প্রেমিকার সাথে ডেট করাকে কবি লুজ মোশনের সাথে তুলনা করেছেন।

বিস্তারিত»

একটি দাওয়াতী পোষ্ট

ব্লগের এই দুর্দিনে আমি একটা বিশাল পোষ্ট দিতাম চাই।
” শৈবাল দিঘীরে বলে উচ্চ করি শির
লিখে রেখো দুই ফোটা দিলেম শিশির। ”
যাক আযাইরা প্যাচাল না পাইরা এইবার আসল কথায় আসি। আমি গত ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১১ তে ছোটখাট একটা বিয়া করছিলাম। সেই বিয়াটাকে একটু টাইনা বড় করতে মঞ্চাইতাছে। অনুষ্ঠানটা করা হয় নাই। হঠাত করে ভাবলাম করেই ফেলি। যেই কথা সেই কাজ।

বিস্তারিত»

এলো্ + মেলো = এলোমেলো 0.১

অনেকদিন ধরে কিছু লিখতে ইচ্ছা করেনা, পড়তেও ইচ্ছা করে না । সারা মন জুড়ে আছে শুধু একটা ভীষন আলসেমি । আর আমার ব্যাড লাক টা খুবই খারাপ যাচ্ছে ইদানিং । গত শনিবারেই কানের পাশ দিয়ে গুলি গেল । যাচ্ছিলাম ফারজানি’র জন্মদিনে, বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ গাড়ির ব্রেক ফেল করল আর ধাম করে সামনের গাড়িটাকে মেরে দিলাম । পুরা ঘটনা টা হলো কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে । প্রাথমিক শকটা কাটিয়ে উঠে বের হয়ে দেখি গাড়ির বাম্পার তিন টুকরা হয়েছে আর হুডটাও গেছে ।

বিস্তারিত»

স্ট্যাটাস-টাইপ পোস্ট

অনেকদিন পর অনেকের উপস্থিতি দেখে ভাব্লাম হাল্কার উপর ঝাপ্সা লিখখা ফালাই।

১। শান্তাপু, প্রথমে আপনার কাছে মাফ চেয়ে শুরু করতে চাই। আপনি আমাকে মনে রেখেছেন কিনা জানিনা, তবে ২০০৭ এর ফেব্রুয়ারীতে আপনাদের বাসায় এক সপ্তাহ আতিথ্য নেয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল ব্রডকমে ইন্টার্ন করার সুবাদে। আমি অনেকভাব ভেবেছি আপনাকে বা নির্ঝর ভাইকে ফোন করব (ফোন নাম্বার এখনও সেভ করে রেখেছি), কিন্তু অতিরিক্ত মুখচোরা হবার কারনে করা হয়নি।

বিস্তারিত»

বাইচ্যা আছি

মানুষ বড় হয়ে কত কিছু হইতে চায়। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, নবীন গবেষক, আবার কেউ ছাত্রলীগের নেতা। আমি যত বড় হইতে লাগলাম খালি মনে হতে লাগলো আমার কিছুই হওয়ার দরকার নাই। ২৪/৭ মনের মত আলসেমি করে দিন পার করে দিতে পারলেই আমি খুশী। সে লক্ষ্যে বেশ ভালোমতই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। বিএসসি সার্টিফিকেট বালিশের তলায় রেখে রাতের বেলায় ঘুমাতাম আর সকাল সাড়ে বারোটায় ঘুম থেকে উঠে হাই তুলতে তুলতে ভাবতাম –

বিস্তারিত»

কোন আশ্রয় নেই বলেই … ..

ছুটি দেখতে দেখতে একেবারে শেষপ্রান্তে এসে গেল। ব্লগ লেখাই হলো না। এর মাঝে মনে পড়ে গেল গত সপ্তাহের কথা। অন্যরকম দিনগুলোর স্মৃতিময়তায় লেখা এই স্মৃতিকথা…

দ্বিতীয় পর্বের সবচেয়ে বড় এক্সারসাইজ ছিল লৌহকপাট। আর এখন তৃতীয় পর্বের প্রথম বড় এক্সারসাইজ রণগতি। এটার কষ্ট একটু বেশী যে হাঁটতে হয় অনেকটুকু পথ।

“দেখতে দেখতে লৌহকপাট থেকে রণগতি। আজ লেখার এই সময়টা চমকপ্রদ। সেবার পুরো একটা নোটবুক লিখেছিলাম ট্রেঞ্চ এ বসে।

বিস্তারিত»

জাপান প্রবাসে ভূমিকম্প

১১ মার্চ ২০১১, শুক্রবার। লাঞ্চ আওয়ারে হাতে সময় ছিল তাই জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম মসজিদে। ওতসুকা মসজিদটি আমার কর্মস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে, তবে আমাদের বৈশাখী মেলা যেখানে হয় সেই ইকেবুকুরো থেকে কাছে। মসজিদে কয়েকজন প্রবাসী বাঙ্গালী ভাইয়ের সাথে দেখা হলো। নামাজ শেষে বৈশাখী মেলার সহযোগী মোঃ জসীম উদ্দীন আর আমি এলাম ইকেবুকুরোতে। এক সাথে লাঞ্চ শেষ করে জসীম রওনা হয়েছে মেট্রো স্টেশনে আর আমি বাসে ওঠার জন্য যাচ্ছি।

বিস্তারিত»