[ঈদ চলে আসল উৎসবের আমেজ নিয়ে। ছোট বেলায় যখন ঈদ উৎসব নিয়ে রচনা লিখতাম ঈদের আনন্দে মোহবিষ্ট হয়ে গিয়ে যা করি আর যা করতে চাই সব কিছুকে চালিয়ে খাতার মাঝে এক জগত তৈরি করে ফেলতাম। নিজের রচনা নিজেই পড়তে পড়তে অদ্ভুত ভার্চুয়াল সুখে মেতে উঠতাম। সময়ের আবর্তনে এখন যখন একটু দেখি চারপাশে বাস্তবতার আঘাতে সেই আনন্দ হারিয়ে যেতে চায়। কুরবানীর ঈদকে অনেকে বলে বড় ঈদ।
বিস্তারিত»দিনলিপি : উৎসবের মাঝে আমিত্বের আত্নত্যাগ স্বরণে
উৎসব উৎসব ভাবে চারদিক ছেয়ে গেছে আর বাই প্রোডাক্ট হিসেবে আছে গোবরের গন্ধ। গরু ছাগল উট ইত্যাদি ইত্যাদি। সকালে ছোটভাই এর সাথে একটা গবেষণা করলাম। কুরবানী করা যায় এইসব প্রাণীর ক্রাইটেরিয়া কি? মুরগী বা গাধাকে কেন বাদ দেয়া হবে ইত্যাদি।
উৎসবের প্রয়োজন মানব জীবনে কতটুকু সেটা আমি জানি না। সেটা ভ্যালেন্টাইনস ডেতে হুড তোলা রিকশায় লিপস্টিক দিয়ে রাঙ্গানো ঠোট চোষা বা ভরপেটে প্রাণীজ আমিষ খাওয়ার উপলক্ষ তৈরী করে দেয়া নাকি কোন সমাজতাত্বিক কারন আছে পৃথিবীজুড়ে উৎসবের দিনক্ষণ করার জন্যে।
বিস্তারিত»বিক্ষিপ্ত ভাবনা – ২
০. আজ হয়তো হাসপাতালে আমার শেষ রাত। গত সাতদিন ধরে ৪ নম্বর রুমের বিছানাটার সাথে আমার যে বোঝাপড়ার সম্পর্ক তৈরী হয়েছে সে সম্পর্কে আজ মনে হয় ফাঁটল ধরলো। আজ বিছানায় শুয়ে বা গড়াগড়ি করে মোটেও শান্তি পাচ্ছি না। এই অতি কৃত্রিম বিলাসী জড় বস্তুটি বোধ করি বুঝতে পেরেছে যে কাল থেকে তাকে অত্যাচার করার আর কেউ থাকছে না। মাত্র সাতদিন হাসপাতালে থেকেই আমার যে অবস্থা হয়েছে,
বিস্তারিত»দিনলিপি -৫: নাইটেঙ্গেলের কুলখানিতে পঠিত কবিতা(উৎসর্গ : উত্তর দক্ষিণ বিশ্ববিদ্যালয়)
শংকর বাসস্ট্যান্ডে রিকশা করে যাচ্ছিলাম।
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি গাঢ় নীল। আকাশের সুগন্ধী যোনীতে ফুটে আছে একথোকা মেঘ, ভেনাস দ্যা মিলোর মসৃণ ত্বকে যে শতাব্দীর ঘন সুবাস আয়েশে জমে আছে তার ভাস্কর্য্য। আমি সুন্দরের শরীর স্পর্শে পাগল হয়ে যাই, বাতাসের স্তনবোটায় জমা স্বেদবিন্দুর স্বাদ নিতে উদ্বেলিত হয়ে যাই। কবিতারা ঝাক বেধে যেন জন্মায় এই শরীরে।
উত্তর দক্ষিণ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম সেদিন। অসংখ্য শুন্যচোখ আর জব ওরিয়েন্টিজমের স্টান্টবাজির গিলোটিনে ঘাড় পেতে দেয়া ঠোটপালিশ মাখা প্লাস্টিকের ঠোট দেখলাম।
বিস্তারিত»২১ নভেম্বর ২০০২: ‘লাকি স্যাভেন’ বিবাহ বার্ষিকী!
‘এর পরের বার আমাদের জন্য হবে লাকি স্যাভেন।’ পরবর্তী বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মনের আনন্দে হায়দার তার স্ত্রীকে এ কথাটি বলেছিল। খুব দ্রুত তাদের ৬ টি বছর কেটে যায়। ২০০৩ সালে এক গেট-টুগ্যাদারে প্রথম বারের মতো আমরা অধিকাংশই তাদের দেখতে পাই। তখনো তাদের দাম্পত্য জীবনের এক বছরও হয় নি। আমাদের মাঝে যেহেতু প্রথম তারই বিয়ে হয়, তাই প্রথম দিকে তাদের খুব স্ট্রাগল করতে হয়েছিলো।
সুখী দম্পতি রুমি ও রণা
২০০৫ তাদের জীবনে অন্যতম স্মরণীয় ম্যারেজ ডে।
বিস্তারিত»৩৪ বছরের পাপমোচন হলো আজ
ক্ষমার অযোগ্য একটি পাপের আজ বিচার হলো। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ৫ আসামির আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলামের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বেঞ্চ আজ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আসামিদের আপিলের এই চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। এই রায় ঘোষণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১২ আসামির ফাঁসির আদেশ বহাল থাকলো।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামি হলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক রহমান,
বিস্তারিত»স্মৃতির ঝাঁপি : ইতিহাসের কালো অধ্যায়-২
প্রথম পর্ব ।। দ্বিতীয় পর্ব ।। তৃতীয় পর্ব ।। চতৃর্থ পর্ব ।। পঞ্চম পর্ব।। ষষ্ঠ পর্ব ।। সপ্তম পর্ব
কিছু সেনা কর্মকর্তা ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল। বিশেষ করে খুনি চক্র এবং বঙ্গবন্ধুর বিরোধীরা এমন একটা প্রচার দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে এসেছে। মেজর শরিফুল হক ডালিমের স্ত্রীর সঙ্গে সে সময়ের রেডক্রসের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফার অসদাচরণকে এ ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে ।
বিস্তারিত»৮ নভেম্বর ২০০১: ঠিক ৮ বছর আগে যেভাবে শুরু হয়েছিলো . . .
৮ নভেম্বর ২০০১ জীবনে ভীষণ আনন্দময় একটা দিন প্রেরণা’র জীবনে। রুমি নামের একটা ছেলে সেল ফোনের নম্বরটা দিয়ে বললো, ‘কোন অপরিচিত মেয়েকে আমি নম্বরটা দেই না। তবে আপনার কাছ থেকে একটা কল আশা করবো।’
কোন কথাটা বেশি প্রযোজ্য- ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ নাকি ‘হিডেন’?
এরপর প্রতিদিনের কথা বলা, মাঝে মাঝে দেখা করা থেকে আজ দীর্ঘ ৮ বছর পর তারা এত কাছের মানুষ যে,
বিস্তারিত»দিনলিপি – ৪: বমনার্ত সময়ে প্রেম আকড়ে মহাসমুদ্র পথে টিকে থাকা
বাসে করে যাচ্ছিলাম। অচল জনপদ সাঁই সাঁই করে জানালা ছুয়ে পেছনে পরে যায়, আর অস্তগামী অগ্নিকুন্ডটা তার যৌবন অতিক্রান্ত ঠোটপালিশ দেখিয়ে আদায় করতে চায় যেন সামান্য কিছু আকর্ষণ। ডিভানের নরম প্রেক্ষাপট নয়, বলধা গার্ডেনের কাঁটাবসনো ঝোপের পেছনে সামান্য স্থায়িত্বের কিছু অনুভুতিশূন্য শিশ্ন হলেই চলে যাবে তার। এ পৃথিবী হতে উঠেই গেছে ভালোবাসার স্পর্শ, শিঁড়দাড়ায় চুমু কিংবা স্তনের বোঁটায় ফোটা ফুলে অর্ঘ্য ঢালা, কেবল ডটেড কন্ডমে পর্দা করা নপুংসক শিশ্নই যথেষ্ঠ ঐ অস্তগামী সূর্যটার।
বিস্তারিত»আজ ৭ নভেম্বর: তাদের জন্য . . .
২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০০৮: ক্যাপ্টেন তানভীর, কর্নেল আফতাব, এবং মেজর আজিজ
২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০০৮: মেজর আজিজ, ক্যাপ্টেন তানভীর, এবং কর্নেল আফতাব
২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০০৮: কর্নেল আফতাব, মেজর আজিজ, এবং ক্যাপ্টেন তানভীর
এদেরই কেউ কেউ . . . ? নাকি সবাই . . . ?
ক্যাপ্টেন তানভীরের বড় ছেলে ইফাজের সাথে সিপাহী আবু সালেখ।
বিক্ষিপ্ত ভাবনা
০.
অনেকদিন ধরে লিখবো লিখবো করে লেখা হচ্ছে না। কাজের পরিমান ও চাপ দুটোই মনে হয় দিন দিন বেড়েই চলেছে। কোন কিছুই যেন ঠিক প্লান করে করতে পারছি না। যেখানেই প্লান করছি সেখানেই ঘাপলা হচ্ছে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে আমার উপর শনি ভর করেছে। কিন্তু এই শনি কাটানোর কোন পাথর খুঁজে পাচ্ছি না।
১.
আগামীকাল ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে জেসিসি’র বিরাট গেট টুগেদার হবে এবং ঠিক পরের দিনই আমার ইয়ের মানে আপনাদের হবু ভাবির জন্মদিন।
ভালো আছি, ভালো থেকো
আমার রুম থেকে বেরিয়ে করিডোরে দাঁড়িয়ে চোখ দুটো সোজা করে তাকালে সারি বাঁধা ইউক্যালিপ্টাসগুলো চোখে পড়ে সবার আগে। ওরা এমনিতে খুব চুপচাপ। শুধু হঠাৎ হঠাৎ যখন বাতাস এসে চুরি করে গায়ে এসে আছড়ে পড়ে তখন আনন্দে ওরা মাথা নাড়ে ঝিরঝিরে পাতাগুলো নাড়িয়ে । আমার এমনিতেই সচরাচর কোন কাজ কাম থাকেনা। যখন কিছুই করার থাকেনা তখন চুপচাপ করিডোরে ইউক্যালিপটাসগুলোকে সামনে রেখে দাঁড়িয়ে থাকতাম। থাকতাম বলাই ভালো।
বিস্তারিত»ফিকশন না, ফ্যাক্ট !
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘৃণাস্তম্ভ বলে একটা স্তম্ভ আছে। ৭১ এর রাজাকারদের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানোর উদ্দেশ্যে এখানকার শিক্ষার্থীরা এই স্তম্ভ নির্মাণ করেছে। ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার সামনে অবস্থিত এই স্তম্ভের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আপনাকে শুধু একটু কষ্ট করে এই স্তম্ভটির কাছে গিয়ে থুথু নিক্ষেপ করতে হবে। ব্যস হয়ে গেল; যুদ্ধাপরাধীদের আপনি জানিয়ে দিলেন আপনার মনের অনুভূতিটি। যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে পারেন না কিংবা কোন ফোরামে প্রকাশ করতে পারেন না নিজের মতামত তাদের জন্য এটি একটি এই অনন্য সুযোগ ।
বিস্তারিত»বিচ্ছিন্ন আবেশ
অনুভূতিহীনতা অথবা তীব্র অনুভূতিপ্রবণতা কিংবা বিচ্ছিন্ন অনুভূতির অসংলগ্ন জালে আটকে গেছি আমি। সাধারণ ভাবনা চিন্তার উর্ধ্বে মনে হচ্ছে নিজেকে। আমার কাছে সময়ের হিসাব নেই ভেবে আমি আৎকে উঠি। আমি কোথায় ছিলাম কেমন করে এখানে আসলাম সে হিসাব গুলো থাকছে না। সেটার দরকার আছে কি এখন- পরিষ্কার হয়না। আমার কানের কাছে ক্রমাগত বোঁ বোঁ শব্দ বেজে যাচ্ছে। চোখ দিয়ে তাকিয়ে চারপাশ দেখার চেষ্টা করছি। একটা বদ্ধ রুমের মাঝে আছি আমি।
বিস্তারিত»দিনলিপি-৩ : ডানার জন্যে প্রার্থনা আর বেহেশতী মিথ্যা সুখের স্বপ্ন
উর্ধ্বাকাশ হতে রাত্রির সাগরে পরা পৃথিবীকে দেখায় নক্ষত্রের অলংকারে লজ্জাবতী আকাশের মত। উড়তে থাকি আর একে একে পেড়িয়ে যাই যত ছোট শরীরে বন্দী ক্ষুধা আর প্রবনতার রসায়ন,পৃথিবী জুড়ে বেহেশতী মুখোশ নেমে আসে।
আমরা এবং আমি’রা গুটানো বৃত্ত থেকে পরিধি হিসেবে যতটা আশ্বস্ত, কিন্তু ‘কেন’ রা ততটাই হামলে পড়ে বেয়াদপ সংশয়ের পথে। সমুদ্র বালুতে যত চন্দ্রাহত ক্লীবের আনাগোনা অথবা ‘এই আমি ভালো আছি’ তে কতটুকু উৎসারন হয় কবিতা আর মিথ্যা?
বিস্তারিত»