ব্যস্ততা দিচ্ছে না অবসর

১. ব্যস্ততা দিচ্ছে না অবসর। হঠাৎ করে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। অফিস থেকেও নতুন কিছু দায়িত্ব পাওয়ায় কাজের চাপও বেড়ে গেছে। ব্লগ পড়া হয়, মন্তব্য করা হয় না, লেখা তো নয়ই। টুটুল ম্যাসেঞ্জারে এসে নক করে, কেন ব্লগে আসি না। অফিস ফেসবুক বন্ধ করে দিছে। প্রক্সি দিয়ে ঢুকলেও আগের মতো সক্রিয় না। কেউ কেউ এসএমএস করে ফেসবুকে আমন্ত্রণ জানালে তবেই ঢোকা হয়। কেমন নিরস হয়ে যাচ্ছি।

বিস্তারিত»

যে ভুল আর শোধরাতে পারিনি

১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমার নিরাপরাধ দুই চাচা নিহত হলেন। বাবা তার প্রিন্টিং প্রেস ব্যবসা হারালেন এবং যুদ্ধে তার দুই ভাইকে হারিয়ে মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়লেন। বিশেষ করে যখন জানলেন যে তার এক ভাইকে মিলিটারীরা অন্যদের সাথে নদীর ধারে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মেরেছে এবং অন্য ভাইকে স্থানীয় বিহারীরা তাকে ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে দরজায় শিকল তুলে দিয়ে বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে।

বিস্তারিত»

দিনলিপি: প্রতিক্রীয়াশীল রাজনীতির বিষবাষ্প

বাংলাদেশ সহ পশ্চাৎপদ দেশ সমুহে একটি সাধারন বৈশিষ্ঠ্য লক্ষ্য করা যায়। গনতান্ত্রিক মানসিকতার তীব্র অভাব সেই সাধারন বৈশিষ্ঠ্য শোষিত এবং ক্ষুধায় কাতর জনতা নিজেকে রাষ্ট্রের কাঠামোতে নিজেকে গুরুত্বপূর্ন ভাবতে পারে না। তাই বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার অভাব থেকেই উৎসারিত হয় একরকম ছদ্ম গনতান্ত্রিক রাজনীতির যার কংকাল হয় স্বৈরতান্ত্রিক আর চামড়া ফ্যাসিবাদের।

বাংলাদেশে এই সংকট প্রকট আকারে দাড়িয়েছে। আমার প্রেমিকার প্রিয়দল বিএনপি কারন খালেদার শাড়ী খুব সুন্দর।

বিস্তারিত»

আমার খুব শীত লাগছে

বাংলাদেশে এখন শৈত্য প্রবাহ বইছে বলে আমার এক বন্ধু আমাকে জানিয়েছে। আমেরিকাতেও বর্তমানে চলছে শৈত্য প্রবাহ। এই মুহুর্তে ঘরের বাইরের তাপমাত্রা ফ্রিজিং পয়েন্টের নীচে। আমাদের বাড়ীর নিকটের পর্বতচূড়াগুলি সাদা তুষারাবৃত হয়ে আছে। এমনিতেই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬০০০ ফিট উচ্চতায় থাকি আমরা। শীতকালে ঠাণ্ডা পড়াটাই স্বাভাবিক। সেন্ট্রাল হিটিংয়ের বদৌলতে ঘরের মধ্যে শুধু একটা জামা পড়ে আছি এবং সাটেলাইট টিভিতে বাংলাদেশের চ্যানেলে উত্তর বাংলার মানুষের কষ্ট দেখছি। এমন সময় মনে পড়লো মেরীর কথা।

বিস্তারিত»

একটি আদর্শ মন্দ দিন

দিনের শুরু দুইভাবে হতে পারে। সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে অথবা রাত বারোটার পর থেকে। যেহেতু খারাপ দিনের সূচনার পিছনে আগের রাতের বিষয়টা জড়িত, তাই এখানে নতুন দিন বলতে রাত বারোটার পর বুঝাবো।

এশার নামাযের পর পরই কাছের কোন এক মসজিদ বা মাজার থেকে ওয়াজ মাহফিল শুরু হলো। শুরু হলো তো হলো, শেষ হওয়ার নাম নেই। অবশেষে রাত বারোটার দিকে ওয়াজ শেষ হলো। এবার ঘুমানো যাবে ভেবে বিছানায় গেলাম।

বিস্তারিত»

ফিরে পাওয়া শৈশব পাহাড় আর সিসিবির ভালোবাসা

এই দিনগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম অনেকদিন ধরেই। ২০০৮ সালে হতে হতেও হলো না। ফলে বিদেশ থেকে আসা বেশ কয়েকজন বন্ধু ফেরত গেল। কিন্তু দেশে যারা আছি বা থাকি, বেঁচে থাকলে ঠেকায় কে? ফৌজদারহাটের পূণর্মিলনী, তাও আবার সুবর্ণজয়ন্তীতে। ৫১ বছর বয়সী একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আমরাও বেরিয়েছি ২৯ বছর হয়ে গেল। কি একটা অদ্ভূত টান! বারবার ফিরে গেলেও আবার যাওয়ার আকাঙ্খা এতোটুকু কমে না। এ কেমন ভালোবাসা?

বিস্তারিত»

আম জনতা,তুমি কি শুনতে পাও?

আজব প্রেম কি গজব কাহিনী ছবিটা দেখলাম,দেখার পরে বুকের মধ্যে একটা চিনচিন বাথা অনুভব করলাম।
জীবনে ২০টি বসন্ত পার করার পর যখন পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মিলাতে বাস্ত তখন মনে হইলো যে আমি পাইনাই,ইহাকে পাইনাই,এ যে দুর্লভ,ইহার রহস্যের কি অন্ত আছে?
অনেকেই বলে যে আমি ঠিকমত চাইনাই,অনেকে আবার শাহরুখ খান হওয়ার অপচেষ্টা করে,ওম শান্তি ওম এর ডাএলগ দেয়|কিন্তু আমি তো জানি আমার শত চেষ্টাও তাকে পাওয়ার জন্য অপর্যাপ্ত !

বিস্তারিত»

অহনার কাছে চিঠি

অহনা
কেমন আছিস জানি খুব ভালো।কেন জানিস আমার কাছ থেকে যারা দূরে চলে যাই তারা ভাল থাকে।আচ্ছা আমাকে একটা কথা বলবি,আমাকে কি তুই ভয় পাস? ভাবিস আমি তোর সুখের জীবনে সঙ্কট সৃষ্টি করব।সত্যি কথা আমার সে রকম কোন ইচ্ছা নেই,আর থাকলেও তোর ক্ষতি করার সাধ্য আমার নেই।জানিস মাঝে মাঝে মনে হয় তোকে ভুলে গেছি।আবার বুঝি এটা যে কত বড় ভুল ধারণা।আসলে কি জানিস আমার হৃদয়ের সব ভালবাসা উজাড় করে আমি তোকে ভালবেসে ছিলাম।জানিস তুই যেদিন ফোন করে বললি আমাকে আর ফোন দিস না,আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।জানিস তখন আমি কি করতাম সারা দিন বললতাম “আল্লাহ আমার অহনাকে ফিরিয়ে দাও।”আব্বুতো ভাবল আমি হয়ত পাগল হয়ে গেছি।আসলেই আমি পাগল।

বিস্তারিত»

আজাইরা পোস্ট – কি করছি, কি পড়ছি

[ডিস্ক্লেইমারঃ পোস্টের আজাইরা নামকরনের মূল উদ্দেশ্য পাঠক টানা। অতীত ইতিহাস অনুসারে আজাইরা জিনিস লোকে খায় বেশি। জনগন ক্ষেপলে মাফ চাই।]

আমেরিকায় এখন “হলিডে সিজন” চলছে। মানে ছুটির মৌসুম। নভেম্বরের শেষে থ্যাংক্সগিভিং, ডিসেম্বরে ক্রিস্মাস, শেষে নিউ ইয়ার। ক্রিস্মাস উপলক্ষে গত সপ্তাহে বলতে গেলে অফিসে কেউই ছিল না। প্রায় সবাই ছুটিতে। আমি ছুটি না নিলেও চামে দিয়া বামে অফিসেই যাই নাই সারা সপ্তাহ। ছুটি না নিয়াই ছুটিতে।

বিস্তারিত»

আবার এসেছি ফিরে

ঠিক ছয় মাস পর সিসিবিতে লিখছি । হয়তো এতদিনে ভুলেই গেছি কিভাবে লিখতে হয় । অন্য সবার মতো আমারো নতুন একটি পৃথিবী তৈরী হয়েছে । একটা সময় ছিল যখন অনেক বেশি ভাবতাম কিন্তু এখন সবসময় শুধু আদেশ পালন করে যাচ্ছি । নিজের খেয়াল খুশিকে বিসর্জন দিয়ে ১৫ জুলাই ২০০৯ যখন বিএমএ গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকলাম তখনও জানতাম না কি হতে যাচ্ছে । বিকাল সাড়ে চারটা থেকে ঝুম বৃষ্টি আর কাঁদার মাঝে যে পাঙ্গা শুরু হয়েছিল সেটা শেষ হয়েছিল ভোর হওয়ার খানিকটা আগে ।

বিস্তারিত»

শরৎবাবু, এ চিঠি পাবে কিনা জানি না … … [উত্তর মিলিয়ে নিন: Bold করে দেয়া আছে]

প্রিন্সিপার ইন্সপেকশনে স্টোর রুমের কদর খুব বেড়ে যেত … … কারণ … (… … থাক, নাইবা বললাম … …) তো একবার রুমের সকল “নিষিদ্ধ দ্রব্যাদি” একটা ভাঙা বালতিতে ভরে স্টোর রুমে রেখে আসলাম । যথারীতি ইন্সপেকশন শেষ … … আর ইন্সপেকশন যেখানে শেষ, আমার আজকের গল্প সেখানেই শুরু … … …

ইন্সপেকশন শেষ হবার পর ঐ বালতিটি রুমে নিয়ে আসলাম, কিন্তু বালতির ভিতরে পেলাম আরও দুটো জিনিস …

বিস্তারিত»

পিকনিক পিকনিক

১. রবিনের আইটেম

সকাল সাড়ে আটটায় পান্থপথ থেকে বাসে উঠলাম। সঙ্গে সঙ্গে রবিনের ফোন। ও অপেক্ষা করছে মহাখালী ফ্লাই ওভারের নিচে। সেখান থেকেই বাসে উঠবে। ভাবলাম বাস কতদূর এলো জানতে ফোন করেছে। কিন্তু রিসিভ করার পর শুনি অন্য কথা……দোস্ত একটা আইটেম পাইয়া গেলাম মহাখালী, পিকনিকে নিয়া যামু ওইটারে।
সর্বনাশের কথা- আমি মনে মনে ভাবলাম। শালার ভাই কি পিকনিকে দুই নম্বর কিছু নিয়া যাইতে চাইতেছে নাকি!

বিস্তারিত»

যখন মন মানেনা!!!

মনটা ভাল নেই………

কোনকিছুতেই মন বসছে না…

একটি ছেলের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে………

ছেলেটি জন্ম নিয়েছিল…নির্দিষ্ট সময়ের কয়েকদিন আগে-ই…
হয়তো বা সে কারণেই … কিংবা জন্মের সময়ে বাবাকে পাশে না পাওয়ার জন্য……কিংবা অন্য কোন কারণে………জন্মানোর সময় থেকে অনেকদিন পর্যন্ত তার ভ্রুঁ সবসময়ে-ই কোঁচকানো ছিল। সবাই বলতো…বড় হলে খুবই রাগী/বদরাগী হবে সে!!!

ধীরে ধীরে সে জানতে পারলো…তার জন্মদিনটা আসলে তার বাবা এবং মায়ের জন্যে দুইটি কারণে ভীষণ আনন্দের……

বিস্তারিত»

৭ই ডিসেম্বর ২০০৯ – একটি ব্যক্তিগত রোমান্স

৭ই ডিসেম্বর ২০০৯ – একটি ব্যক্তিগত রোমান্স

প্রারম্ভিকাঃ মহানায়ক উত্তম কুমারের সর্বশেষ ছায়াছবি ‘ওগো বধু সুন্দরী’-র কথা হয়ত এখনো অনেকেই মনে রেখেছেন। ছবিটি ছিল কমেডি ধাঁচের। খুব সম্ভবতঃ ‘মাই ফেয়ার লেডি’ মুভিটির অনুকরনে। সেখানে মহানায়কের স্ত্রী-চরিত্রের অভিনেত্রী (খুব সম্ভবতঃ) সাবিত্রী-র প্রতি খোঁচা মেরে উত্তমের একটি উক্তি আজ খুব বেশী মনে পড়ছে। ছবিটা অনেক বছর আগে দেখেছি। আবছা স্মৃতি হাতড়ে যা পেলাম তাতে মনে হয় উক্তিটা অনেকটা এরকম,

বিস্তারিত»

দিনযাপন : কেটে যাচ্ছে, রক্ত ঝড়ছে না

এক. রোববার রাতে মামুনের বাসায় বন্ধুদের আড্ডা বসেছিল। রাত পৌণে বারটায় বাসা থেকে ফোন, “কোথায় তুমি?” বললাম, এখনও আড্ডায়। বললো, “শোনো, দেরি করো না। হাউজিংয়ের লোকজন এসে বলে গেছে, সাবধানে থাকবেন। বাসার পাহারাদারকে রাতে জাগিয়ে রাখবেন। হাতে লাঠি আর বাঁশি দেবেন। প্রায় প্রতিদিনই এখানে ডাকাতি হচ্ছে। এসব শুনে বাসায় সবাই বিশেষ করে আম্মা খুব টেনশন করছেন।” ঠিক আছে- বলে আমি বাসার লোকজনকে আশ্বস্ত করলাম। সাড়ে বারোটায় বাসায় পৌঁছেও গেলাম।

বিস্তারিত»