কট বিহাইন্ড(দ্বিতীয় কিস্তি)

ক্লাশ নাইনে সেকেন্ড টার্মের শেষের দিকের ঘটনা। বাড়িতে যাওয়ার মাত্র তিনদিন বাকি। যথারীতি মোস্তাক স্যারের (গণিত ডিপার্টমেন্ট) ক্লাস ডজ্। চিন্তা-ভাবনা ছিল সিক রিপোর্ট করে বাকি কয়েকটা পিরিয়ড হসপিটালেই কাটায়ে দেব। ভাইস প্রিন্সিপালের রুমের সামনে গিয়ে সিক রিপোর্টের চীট এনে টয়লেটে ঢুকছি। ক্লাশে স্যার ছিল তাই টয়লেটে দাড়ায়েই চীটটা পূরণ করে ফেললাম। তারপর দেখি বেসিনের পাশে জানালার উপর একটা কিশোর কণ্ঠ ম্যাগাজিন পড়ে আছে। আমি ম্যাগাজিনটা পড়া শুরু করলাম(একদম দরজা বরাবর দাড়িয়ে)।

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (চার) আজিজুল হাকিম, এফ সি সি/১৯৭২~৭৮

প্রথম মাস সম্ভবত একটা ক্যাডেট এর জীবনে সব চেয়ে খারাপ মাস।সবে কৈশোর এর সূচনা লগ্নে পরিবার হীন একটা বৈরী পরিবেশ এ হঠাৎ খাপ খাওয়ানো খুবি দুরূহ একটা কাজ।তার উপর আছে সিনিয়র দের অমানবিক আচরণ, পানিশমেন্টের নরক যন্ত্রণা। জীবনটা অতিষ্ঠ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। ট্যাকনিক্যাল টার্মে সময়টা  বেসিক ট্রেনিং, সিজনিং ও ট্রিমিং পিরিয়ড.আমার জন্য শেষটা অর্থাৎ ট্রিমিং টা প্রযোজ্য ছিল। আমি একটু মোটা-কাটা নাদুস নুদুস গোছের মানুষ ছিলাম।

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (তিন)

আজিজুল হাকিম, এফ সি সি/১৯৭২~৭৮

ফজলুল হক ভবন।কক্ষ নম্বর ১৩, ১৯৭২। একটা মজার কম্বিনেশন । পাঁচ জন ক্লাশ সেভেন আর তিন জন ভিনজাত (Allien)সিনিয়র দের নিয়ে আমাদের ডরমিটার‍ী । তবে সমস্ত হাউজ এর best seniorগুলি (ক্লাস ৮ এর) মনে হয় আমাদের রুমে, এটা হাউজ এর অন্যান্ন ক্লাস মেটরা ও এক বাক্যে স্বীকার করতো ।…তিন জনই মাটির মানুষ ।তার মধ্যে দু জন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি।হাফিজ ভাই আমাদের রুম প্রিফেক্ত,

বিস্তারিত»

কট বিহাইন্ড

সিসিবি তে আমি অনেকদিন থেকেই ঢুকি। কিন্তু কোনদিন কিছু লেখা হয়নি। এটাই আমার প্রথম পোস্ট। আশা করি সবাই ভুল-ভ্রান্তি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

ক্লাস নাইন। জুনিয়র গ্রুপ এর সিনিয়র। একাডেমী ব্লকের ও সিনিয়র। এসময়ে একাডেমী ব্লকে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে টয়লেটে গিয়ে সবাই মিলে গল্প করতে অনেক মজা লাগতো । এমনও দিন গেছে যেদিন ফর্ম ক্লাস এর পর ৬/৭ জন টয়লেটে ঢুকতাম, সাত টা পিরিয়ড টয়লেটেই কাটিয়ে দিতাম(মাঝখানে শুধু মিল্ক ব্রেক এর জন্য বাইরে যেতাম)।

বিস্তারিত»

শিক্ষক VS ক্যাডেট এর ৬বছরের ম্যাচের কিছু ধারাবিবরনি। এপিসোড-৩

১) মকবুল হোসেন স্যার। ভূগোল dpt.স্যারের মুদ্রা দোষ ছিল আরকি আরকি বলা।আসলে ব্যাপারটা হয়েছে আরকি,আর বলো না আরকি। স্যার ”এক দিন এসে বলল এই তোমরা শোন আরকি,আমি আরকি আরকি বলা ছেড়ে দিয়েছি আর কি।” তখন পোলাপাইন আর কি বলবে?

২) ইন্টার হাউস ফুটবল কম্পিটিশন। মকবুল স্যার কমেন্ট্রি দিচ্ছে।ফুটবল স্যারের প্রিয় খেলা।তার হাউসের সাদ্দাম ভাই খুবই ভাল খেলছে।স্যার উত্তেজিত হয়ে মাইকে বলে ফেলল “এগিয়ে যাও সাদ্দাম,এবার এক কিক এ দুই গোল হয়েই যাবে আরকি।”

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (দুই)

আমার ‘মেজাজ’ আমার জীবন কে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত করেছে আবার অন্য হাতে দিয়েছে ও অনেক। এখন ভাবি, মেজাজ বিগড়ে না গেলে লাজুক আজিজুল হাকিম হয়তো কখনোই ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হত না আর জীবন টাও সাদা-মাটা ভাবে অন্য ধারায় বয়ে যেত। ভর্তির চিঠির সাথে বিশাল একটা ফর্দও এসেছিল। …সাথে কি কি জিনিষ নিতে হবে। প্রথম বছর সম্ভবত (অথবা বেশ কয়েক মাস) কলেজ থেকে আমরা কিছুই পাইনি।

বিস্তারিত»

শিক্ষক VS ক্যাডেট এর ৬বছরের ম্যাচের কিছু ধারাবিবরনি। এপিসোড-২

আগের টায় এক ছোট ভাই আমাদের ছেরাজুজ্জামান স্যারের ঘটনা জানতে চাইছে।তাই উনারটা দিয়াই শুরু করি

১) ক্লাস সেভেনের সেকেন্ড টার্ম।ইসলামিয়াতের নতুন টিচার আসলেন। এসে বললেন “আমার নাম ছেরাজ্জুজামান।এটা সিরাজ বা সেরাজ না।” বলে বোর্ডে লিখে দিলেন ছেরাজ্জুজামান। “ফর্ম লিডার এভাবে লিখবে।” ক্যাডেট কলেজে নতুন হলেও তত দিনে আমরা এটুকু শিখে গেছি স্যার দের নাম যা স্যারেরা বলবেন তারপর ও কিছু না বলা নাম থাকবে।যেটা আকিকা ছাড়াই ক্যাডেটরা দিয়ে দিবে।

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (এক)

১৯৭২ এর মাঝা-মাঝি । ক্যাডেট কলেজে অবশেষে ঢুকার চিঠি এল। আমার ছোট বেলার শঙ্কা ভয়ে রুপ নিল। আমি যখন বেশ ছোট তখন থেকেই বেশি দুষ্টামি করলে বাবা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করিয়ে দেবেন, এই ভয় দেখাতেন। একটু বড় হয়ে যখন বুঝতে শিখেছি তখন মনে মনে বলতাম, পাগল ! ভর্তি হওয়া – না হওয়া… তো আমার হাতে । ভর্তি পরীক্ষায় কিছু না লিখলেই হল ! ভেবে রেখেছিলাম যেভাবেই হোক “ফেল”

বিস্তারিত»

রোড টু জার্মানী

যে সকল ভাই ও বোনেরা আঁতলামি আপডেট ২ পড়ে আমার জন্যে দোয়া করেছেন অথবা পড়েছেন কিন্তু দোয়া করেন নাই অথবা পড়েনও নাই দোয়াও করেন নাই তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

আমার বহুদিনের স্বপ্ন, “চাকরি ছেড়ে আবার ছাত্র হবার ধান্ধাবাজী” করতে করতে আমি অবশেষে সফল হতে চলেছি প্রায়।

ক্যাডেট কলেজ থেকেই স্বপ্ন ছিলো, দেশের বাইরে পড়তে যাব। মনে আছে, তানভীর (আমাদের পাগল বৈজ্ঞানিক ) যে কিনা ক্যাডেট কলেজে থাকতেই অক্সফোর্ড,

বিস্তারিত»

লেঃ কর্নেল এল এ খান।আমাদের আদুরে নাম “লেন্দু খান”

লেঃ কর্নেল এল এ খান।আমাদের আদর করে দেয়া নাম “লেন্দু খান”, পাকিস্তান ফেরত ডাক্তার সাহেব আমাদের FCC -র হসপিটাল এ জয়েন করলেন।সম্ভবত আমরা তখন ক্লাস এইট এ । এর আগে সিভিল ডাক্তার ইয়ুসুফ সাহেব ছিলেন , খুব ভাল মানুষ , দিল টা নরম । একটু কান্না কাটি করলেই Sick Report দিতেন। কিন্তু এই লোক বরই তেঁরা ধরনের, কিছু তেই Sick Report দেয় না। আর সব রোগের ঔষধ হিসাবে একি রকম একটা মলম আছে,

বিস্তারিত»

টুকরো স্মৃতি-৩

ক্যাডেট কলেজের কর্মব্যস্ত দিনের মাঝে প্রতিদিনই ঘটত মজার ঘটনা।মাঝে মাঝে হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়িও দিতাম।তেমনি কিছু ঘটনা আজ সবার সাথে শেয়ার করছি।
ঘটনা১# প্রিন্সিপাল ইনসপেকশন শুরু হতে বিশ মিনিট বাকী।জনৈক JP সাহেব ভীষন ব্যস্ত।মাত্র দু দিন আগে JP ship দিয়েছে।তাই কোন অবস্থাতেই ধরা খেলে চলবেনা।তড়িঘড়ি করে ছুটলেন জুনিয়র করিডোরে।উদ্দেশ্য জুনিয়রদের রুম ঠিক আছে কিনা দেখা।এক রুমে ঢুকে দেখলেন দেয়ালে মাকড়শার জাল ঝুলতেছে।দেখেই JPসাহেবের মাথা গেল গরম হয়ে।উত্তেজিত হয়ে রুম লীডারকে ডেকে বললেন…’room leader,,c..o..m..e here,,still there is mosquito net on the wall.

বিস্তারিত»

একজন খাদিজা বিবির গল্প

শাহজাদপুর এলাকায় থাকছি প্রায় দেড় বছর ধরে । বছর খানেক হবে আমাদের এলাকার মসজিদটা ভেঙে আবার চারতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে নতুন করে করা হচ্ছে।মোটামুটি প্রতি সপ্তাহেই জুম্মার নামাজের সময় ইমাম সাহেব মসজিদের কাজে সহযোগিতার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান করছেন। অনেকেই এগিয়ে আসছেন। খুতবা শেষে ইমাম সাহেব কারা কারা কত সাহায্য করলেন তার একটা ছোট হিসাব দিতেন। নামাজ শেষে তাদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হতো।

বেশ কিছুদিন আগে ইমাম সাহেব জানালেন দোতলার ইলেক্ট্রিক ওয়ারিং এর কাজ বাবদ প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা লাগবে।

বিস্তারিত»

টুকরো স্মৃতি২

প্রথম লেখাটায় সবার রেসপন্স পেয়ে অনেক ভালো লাগল।এর মাঝে সাকিব ভাই অনুরোধ জানালেন মুজিব স্যারকে নিয়ে কিছু স্মৃতিচারন করতে।ঠোঁটের ওপরে ঈঁশা খার মত বিশাল মোচের সত্বাধিকারী এই স্যার ইতিহাসের শিক্ষক।ক্লাসে এলে সর্ব প্রথম যে কথাটি বলতেন তা হলো ‘আমার বুকে বড় ব্যাথা।ঠিক কি কারনে স্যারের বুকে ব্যাথা আমরা তার রহস্য উদঘাটন করতে পারিনি।আমরা তখন সবেমাত্র ক্লাস সেভেন।বড় ভাইদের দেখতাম স্যারকে দেখলেই কোরাস ধরত।. . .বুকের জমানো ব্যাথা.

বিস্তারিত»

পাগলা জহির স্যারের গল্প

ক্লাস সেভেনেই আমরা যে কজন পাগলা স্যারকে পেয়েছিলাম, জহির স্যার তাদের একজন। তার ইতিহাসের ক্লাস মানেই “এরাবিয়্যান নাইটসের” কাহিনী শুরু হয়ে যাওয়া। মোঘল সম্রাট জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর তার প্রিয় লোক হওয়ায় আমাদের কাছে তার নিকনেম ছিল “বাবর”।
যে কয়েকটা ঘটনা এখনও মনে পড়ে তা শেয়ার করা লোভ সামলাতে পারছি না।

ঘটনা-১:
আমরা তখন ক্লাস সেভেনে। নতুন নতুন কলেজে এসেছি। সিঙ্গেল লাইনে হাটা তখনও বাধ্যতামূলক।

বিস্তারিত»

টুকরো স্মৃতি-১

দেখতে দেখতে কখন যে ছয়টি বছর কেটে গেল ঠিক যেন বুঝে উঠতে পারলাম না।গত পাঁচ জুন যখন শেষ ডিনার করলাম তখন ভাবতেও কষ্ট হচ্ছিল ক্যাডেট লাইফের এটা শুধু শেষ ডিনারই নয় সব ক্যাডেটদের সাথে এটাই শেষ কোন কার্যক্রম।টেবিল লীডার ছিলাম বলে টেবিলমেট দের সাথে সখ্যতাও বেশ জোরালো ভাবেই গড়ে উঠেছিল।যতই ক্যাডেট থেকে বের হবার দিন ঘনিয়ে এল ততই স্মৃতির পাল্লা ভারি হতে লাগল।কিছু টুকরো টুকরো স্মৃতি আজ স্মরন না করে পারছিনা।

বিস্তারিত»