সৃষ্টিকর্তার কোন অবদানকে তোমরা অস্বীকার করবে? -২।

ব্যাপারটা শুরু অনেকটা fun থেকে, হালকা মেজাজের গল্প থেকে।বাবা-মা হজ্জ থেকে আসার পর সব ভাইবোন গোল হয়ে বসে গল্প শুন ছিলাম।অর্থাৎ “আম্মা গাঁধি” আর তাঁর শ্রদ্ধেও পিতাজান এই হজ্জ সফরে কি কি বোকামি করাতে আব্বার কি অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল, তার ফিরিস্তি শুনছিলাম। আম্মা মৃদু প্রতিবাদের সাথে শুনছিলেন এবং স্বভাবসিদ্ধ মৃদু মৃদু হাসছিলেন।

মা কোন এক ধর্মীয় বইতে নাকি পড়েছিলেন, হজ্জে স্বামীর টাকার চেয়ে নিজের টাকা অথবা ছেলের টাকায় গেলে সব থেকে বেশি ভাল।

বিস্তারিত»

ফিরে আসা (শেষ পর্ব)

২০০০ সালের মে-জুন মাসের দিকে হবে । সময়টা  সকালের সবচাইতে ‘Rush Hour’. New York  MTA’র দুই নম্বর লাইনের শেষ প্রান্তে  Brooklyn College – Flatbush Avenue থেকে উঠেছি বলে বসার সিট পেয়েছি।গন্তব্য ম্যনহাটন।Clark Street আর  Wall Street এর মাঝে সম্ভবত  East River এবং সমুদ্রের মোহনার নিচ দিয়ে টিউব লাইন, তাই বাইরের কিছু দেখার যো নেই। বেশ সময় নেয় নদীর তলদেশটা পাড় হতে।বসে বসে তাই মানুষ দেখছি।

বিস্তারিত»

সৃষ্টিকর্তার কোন অবদানকে তোমরা অস্বীকার করবে?

আজ  ৯ই জিলহজ্জ ।পবিত্র ‘অকুফে আরাফাত’ বা আরাফাতের অবস্থানের দিন।সৌদি আরবের আরাফাতের প্রান্তরে আজ যারা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের মধ্যে যে কোন সময় অবস্থান করবেন, তাদের আল্লাহ চাহেত পবিত্র হজ্জ পালন করা হয়ে যাবে।

আজকে দিনটাকে বেশি করে মনে পড়ছে এই জন্যে যে, আমার বাবার জিব্দশায় বহুবার হজ্জ পালন করেছিলেন এবং দিনটাকে অসামান্য গুরুত্ব দিয়ে সারা সময় টেলিভিশনে সামনে বসে থেকে হলেও ‘আরাফাতে’ সামিল হতেন।ওঁর হিসেব অনুযায়ী (চাঁদের হিসাবে) এবার হজ্জ  ‘শুক্র বার’

বিস্তারিত»

ফিরে আসা-৪।

যারা ধ্যৈর্য ধরে আমার ‘ফিরে আসা’র শেষ দুই খণ্ড পড়েছেন, তাদের মধ্যে যদি মনবিজ্ঞানি থাকেন, নিশ্চয়ই Illusive Mental Disorder বা Imaginative, Hallucinatory Syndrome বা  Paranoid Behavior বা ইংরেজি কোন খট্-বটে নামে আমার পূর্ববর্তি অধ্যায় দুইটির মূল্যায়ন করবেন, যার সোজা বাংলায় কোন মানসিক বিকারগ্রস্তের কাছে পিঠে কিছু হবে।আমি সেই সব জ্ঞানি গুনিদের সাথে তর্কে যাবোনা , কারন পৃথিবীর সব কিছু নিয়ে তর্ক করা সম্ভব, শুধু “মা”

বিস্তারিত»

ফিরে আসা-৩।

নাই, কোথাও নেই। একদম ছোট বেলায়, যখন আঙ্গুল ধরে হাঁটতে শিখেছিলাম, নরম শাড়ির আঁচল, বোরখার জর্জেট কাপড় কূট কূট করে কাটতে শিখলাম, তখন থেকে আজ অব্দি সব সময়ের জন্যে সাথেই তো ছিল। সুখের সময় , দুঃখের সময় , বিপদের সময় , সাফল্যের সময় – কখন ছিলনা সাথে ? সুদূর জার্মানিতে হলুদ বাতির নিচে, যখন ভার্সিটি শেষে কাজ, কাজের শেষে একাকী ড্রাইভ করে বাড়ি ফিরতাম।তখনো আমার একমাত্র সঙ্গিনী মা।

বিস্তারিত»

ফিরে আসা-২

সময়টা ছিল ২০০০ সাল। আমার জিবনের জন্যে একটি ‘Turning Point’. । জাগতিক দুনিয়াদারির স্কেলে আমি তখন প্রায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্তান করছি।মান সম্মান প্রতিপত্তি প্রায় সবই আমার করায়ত্তে।কি না করছি তখন,স্টক এক্সচেঞ্জ সদস্য হিসাবে ‘সাউথ এশিয়া স্টক এক্সচেঞ্জ ফেডারেশন’ (SAFE) করছি, নতুন স্টক এক্সচেঞ্জ বলে Screen Based Trading শিখার জন্যে Training এর দাওয়াত  লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, টরন্টো স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে সাড়া পাচ্ছি।CSE Team Leader হিসাবে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বিস্তারিত»

সেই হারিয়ে যাওয়া মুহূর্ত।

ফেলে আসা দিনগুলিকে ফ্রেম এ বন্দী করার প্রয়াস।। যদিও তাকে ফেলে এসেছি  খুব বেশি দিন হয় নি।

বিস্তারিত»

একজন নাসির ভাই

আবারো লিখতে বসা।গভীর বোধ আবেগ আর অনুভূতি যখন একই ধারায় এসে মিলিত হয় তখন আমার ভেতরে প্রচন্ড লেখালেখির চাপ জাগে।কোন ভাবেই নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারিনা।ইদানিং খুব বেশি স্মৃতি কাতরতায় ভুগছি।জীবনের গভীর শূন্যতায় প্রিয় মুখখুলো যখন ঝাপসা হয়ে আসে তখন ফেরারী অশ্রুর শেষ বিন্দুটিও বেদনা জাগিয়ে যায়।

সপ্তম শ্রেনীর কোন এক দুঃসহ রাতের কথা।প্রচন্ড ক্ষিদে আর তৃষ্ণায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছি।একশো তিন ডিগ্রী জ্বরে বারো বছরের একটি ছেলে নাকাল হয়ে পরে আছে।নিজেকে হঠাত্‍ করে খুব অসহায় মনে হল।ছোট বেলার কথা মনে পরে গেল।জ্বর হলে মা সাড়ারাত মাথার কাছে বসে থাকতেন।ভাত খেতে পারতামনা বলে আউশ চালের ঝাউ রেঁধে দিতেন।ক্যাডেট কলেজের নিয়মতান্ত্রিক জীবনে গভীর ভাবে অনুভব করলাম মায়ের শুন্যতা।কাঁপা কাঁপা শরীর নিয়ে বিছানা থেকে উঠলাম।রাতে ডিনারের জন্য ক্যাডেট কলেজের গতানুগতিক ম্যানু।হঠাত্‍ করে অনুভব করলাম চোখের পাতা অকারনে ভিজে যাচ্ছে।খাবার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বিছানায় শুতে যাচ্ছি এমন সময় কে যেন ডাকলো।এই ক্যাডেট খাবেননা?

বিস্তারিত»

ফিরে আসা।-১

” তৌবা ” শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘ ফিরে আসা ‘ । যে কেউ, যে কোন অনিসলামিক কাজ থেকে অনুশুচনায় তাড়িত হয়ে ‘ দীন ‘ এর পথে ফিরে আসাই এই তৌবার মুক্ষ প্রতিপাদ্য ।এখানে একটা বিষয় পরিষ্কারঃ কৃত কর্মের জন্য আনুশুচনা বশতঃ অর্থাৎ বিবেকের দংশনে ফিরে আসতে হবে।কারো জোর বা প্রলোভনে সাময়িক ফিরে আসা নয় ! সৃষ্টিকর্তা পূর্ববর্তী সমস্ত কৃতকর্ম ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে বিচার করবেন যদি ঐ সকল অনৈতিক গর্হিত কাজ আর পরবর্তী জীবনে না করার অঙ্গীকার করা হয়।

বিস্তারিত»

মাই এ্যাডজুটেন্টস

এ্যাডজুটেন্ট শব্দটি প্রথম শুনি বড় ভাই এবং আব্বা কথা বলার সময় ৮৭ কিংবা ৮৮ সালের দিকে। সেই এ্যাডজুটেন্টের নাম ছিল মেজর কীর্তন রঞ্জন চাকমা। তিনি রংপুর ক্যাডেট কলেজের এ্যাডজুটেন্ট ছিলেন। আমার ভাই তাকে খুব পছন্দ করতেন। তিনিও আমার ভাইকে খুব স্নেহ করতেন। আমার আব্বাও কীর্তন রঞ্জন চাকমাকে মানুষ হিসাবে পছন্দ করতেন, সেটি অকোপটে বলতেন। বলতেন, চাকমারা মানুষ ভাল। আমার এ্যাডজুটেন্ট শব্দটি শুনতেই কেমন একটু শিহরণ জাগতো।

বিস্তারিত»

একজন কলেজ আউটের গল্প

অনেক দিন হাসিনা।একটা সময় ছিল যখন হাসির অর্থ ছিল অনেক।ইদানিং জোকস শুনলেও বিরক্ত লাগে।ক্যাডেট থাকা অবস্থায় বেশ হাসি খুশী ছিলাম।কারনে অকারনে হাসতাম।একবার স্যার নিউটনের গতি সূত্র পড়াচ্ছেন।আমি পেছন থেকে হাসতেছি।স্যার বললেন ‘হাসছো ক্যানো?
আমি জবাব দিলাম ‘স্যার ভাবতেছি নিউটন যদি নারিকেল গাছের নিচে বসে থাকতেন আর মাথায় যদি নারিকেল পড়ত তাহলে কি হত?স্যারের উত্তর দেয়ার আগেই আমার জনৈক ক্লাসমেট উত্তর দিল ‘দোস্ত তাহলে লস অফ ইমোশন তৈরি হত.

বিস্তারিত»

আসুন একজন মা কে বাঁচাই:রকিমুন্নেছা ম্যাডাম

সপ্তম শ্রেনীর কথা। প্রচন্ড মন খারাপ নিয়ে ক্লাসে বসে আছি। অনেক দিন বাসা থেকে চিঠি আসেনা। আম্মুর মুখটাও ঝাপসা হয়ে এসেছে। ডেস্কের ওপর বসে ডায়রি লিখছি। হঠাত্‍ কে যেন পেছন থেকে একটা হাত আমার মাথার ওপর রাখল। অদ্ভুত মায়াবী সে হাতের শীতল স্পর্শ ছিল কিছুটা উষ্ণ আদরের মত। সবেমাত্র কলেজে এসেছি। সব স্যার ম্যাডামদের নাম ও জানিনা। পেছনে তাকিয়ে দেখি বানু ম্যাডাম। যদিও পরে নামটা জেনেছিলাম।

বিস্তারিত»

আমাদের দিন গুলি (ক্যাডেট লাইফ)

মনে পড়ে পড়া ভরা সেই পরীক্ষার রাত

অসমাপ্ত সিলেবাস এলোমেলো বই এর পাতায় অবাক দৃষ্টি পাত

কখন সময় খুঁজে ডিউটি মাস্টারকে ফাঁকি

কখনো ছাঁদে কখনো করিডোরে অনর্থক হাঁটাহাটি

কখনো আড্ডা মুখর গানে রাতের আকাশ হত ভারী

কখনো বিলাসী মন ক্যারিয়ার বিভোর স্বপ্ন আঁকতো তার ই

বিস্তারিত»

ফিরে আসুন হুমায়ূন আহমেদ

ছোট বেলায় তখনকার সময়ের একমাত্র সম্বল বিটিভিতে দেখা ধারাবাহিক নাটকগুলোর মধ্যে প্রথম সবচেয়ে পুরনো যে নাটকটি কথা মনে আছে সেটা হলো বহুব্রীহি, এর আগে প্রচারিত আরো দু একটা নাটকের নাম আর দু একটা দৃশ্যের কথা মনে পড়লেও সেটা ঠিক স্মৃতির পর্যায়ে পড়ে না। যেমন সকাল সন্ধ্যা আর এইসব দিন রাত্রি, এর মধ্যে কোন একটার মূল চরিত্রে ছিল পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আর আফরোজা বানু, সেটার কিছু দৃশ্যের কথা মনে আছে।

বিস্তারিত»