আমার বন্ধুয়া বিহনে -৫

মৃত্যুর পরের জীবন কিংবা পুনর্জন্ম, কোনোটাতেই আমার বিশ্বাস নেই। থাকলে খারাপ হত না। আমার অনেকদিনের ইচ্ছে আরো একবার জন্মানোর।
নাহ, এই আমি হয়ে নয়। পলাশ হয়ে। আমার বন্ধু সাদিকুর রহমান খান পলাশ!

ছোটবেলায় আমি অনেক কিছু হতে চেয়েছি। ঝালমুড়িওলা, ঘুড়ির দোকানদার, মিঠুন চক্রবর্তী, ফেলুদা আরো কত কী। এখন আর সব মনে নেই। বড় হয়ে আমার মনে হল আসলে এসব কিছু না, আমি পলাশের মত হতে চাই।

বিস্তারিত»

বাংলাদেশ বদলাবেই

আজ থেকে ৩ বছর আগে মাত্র কেবল সেকেন্ড ইয়ারে পা দিয়েছি। আমাদের একটা কোর্স ছিল (নাম ভুলে গেছি) সেখানে ইন্টারন্যাশনাল বিযনেস পড়ানো হতো। বড় অর্থনীতি কিভাবে ছোট অর্থনীতিকে খেয়ে ফেলে তাই শিখছিলাম। বেনিয়া গোষ্ঠী (পড়ুন রাষ্ট্র) যারা আগে এলাকা দখল করে শোষন করত এখন তারা বিশ্বায়নের নামে অর্থনৈতিকভাবে শোষন করে। তারা ঋণ নিতে বাধ্য করে আবার তার কারনে তাদের নির্দেশিত পথে চলতেও হয়।

বিস্তারিত»

আমার দেখা ‘৭১ এর মুক্তি যুদ্ধ!(দুই)

আমরা আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছিলাম এক মহা বিস্ফোরণ এর দিকে। এগিয়ে আসছিলো ২৫ শে মার্চ, পশ্চিম পাকিস্তানী দের সেই মহা পরিকল্পনার রাত!

ওদের নাকি বাঙালীদের আর প্রয়োজন নাই। ওরা শুধু আমাদের ৫৫ হাজার বর্গ মাইল মাটি চায়, তাই ‘ অপারেশন সার্চ লাইট ‘ জ্বালিয়ে মেরে ফেলতে চায় আমাদের সবাইকে। মাটির সাথে গুঁড়িয়ে দিতে চায় ওরা আমাদের সকল ঘড়-বাড়ী, মসজিদ-মন্দির, স্কুল-কলেজ । এরই নাম নাকি ”

বিস্তারিত»

আমার দেখা ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ।(এক)

(চল্লিশ বছরের পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলি লিখতে চেষ্টা করেছি । তথ্যগত ভুল ভ্রান্তি হয়ে যেতেও পারে , তবে সঠিক ঘটনা পরম্পরা কৈশোর এর দৃষ্টিতে যা দেখেছি , সহজ ভাবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করেছি।)

১৯৭১ সাল। সবে তখন ক্লাস ফাইভে উঠেছি।অবাক বিস্ময়ে চারিদিকে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলি দেখি। কোনটা বুঝি , কোনটা বুঝিনা , কেন এমন হয় ??

বিস্তারিত»

আমার জন্যে রেখে গেছেন একটি দাতব্য হাঁসপাতাল ।

১৯৮৮ থাকে এক্সটেনশন  জীবনটা চলছিলো এডহক ভিত্তিতে কোনমতে।দ্বিতীয় হার্ট এট্যাকটা হল তখন ! আমরা ভেবেছিলাম সব শেষ ! কিন্তু আল্লাহ আরও অনেক হায়াত রেখেছিলেন ওনার। সেই থেকে প্রায় প্রতি বছর হজ্বে যাওয়ার বায়না ধরেন। গেলেন ও বেশ কয়েক বার। শুধু একটি খায়েশ,যদি আল্লাহ মক্কা মদিনাতে হায়াত কবুল করেন, তাহলে ‘জান্নাতুল বাকি’ বা ‘জান্নাতুল মওলায়’ শেষ আশ্রয় স্থানটুকু হয়তো নসীব হবে!

আমার বাবা,

বিস্তারিত»

আমাদের ছেলেবেলা । (এপিসোড ৩)

সিনিওরদের কাছে শোনা কিছু গল্প।

১) ১৪তম ব্যাচ। স্টাডি ট্যুরে গেছে। রাস্তায় এক সময় শুরু হল বাস থামানো হোক। টয়লেট করব। আনোয়ার স্যার বলল একটু পর। খানিক পর শুরু হল চিৎকার। গাড়ি থামবে ক্যাডেট মুতবে। এক পর্যায়ে শুরু হল, ক্যাডেট থামবে গাড়ি মুতবে। স্যার অনঢ়। তারপর শুরু হল বিট। সাথে দাড়ি নিয়ে নানান কথা।আনোয়ার স্যারের দাড়ি ছিল। এক পর্যায়ে স্যার বলল “এই তোমরা ড্রাইভারকে গালাগালি করছ কেন?

বিস্তারিত»

আমাদের ছেলেবেলা । (এপিসোড ২)

কিছু ঘটনা জায়গায় উপস্থিত ছিলাম না তাই ডায়লগ চেঞ্জ হতে পারে কিন্তু মূল ঘটনা অপরিবর্তিত।

১) ক্লাস নাইন। গেমস্‌ এর ফলিন। আমি রেজোয়ানের ডান পাশে দাড়ানো ছিলাম।  ইলেভেন এসে দাড়াইছে। আমি সামনের লাইনে চলে গেছি। রেজোয়ান দেখে নাই। সামনে JP আরমান ভাই। রেজোয়ান ইলেভেনের শাকিল ভাইয়ের কাধে হাত দিয়ে বলল “দেখ আরমান ভাইরে কি চিকি লাগতেসে।” শাকিল ভাই ওকে বলল হাউসে গিয়ে দেখা করবা।

বিস্তারিত»

আমাদের ছেলেবেলা।

কলেজের কিছু ঘটনা বলি। এটাও মনে হচ্ছে বাজাজ টেলিফিল্ম এর সিরিয়াল গুলার মত হবে। এত ঘটনা। এর বেশ কিছু ঘটনা জায়গায় উপস্থিত ছিলাম না তাই ডায়লগ চেঞ্জ হতে পারে কিন্তু মূল ঘটনা অপরিবর্তিত।

 

১) ক্লাস সেভেন। প্রথম প্যারেন্টস ডে। আমার আর মুসফিকের প্যারেন্টস আসে নাই। মন খারাপ। আর এক জনের মন খারাপ।সে ক্লাস টুয়েলভের সারোয়ার ভাই। উনার ও কেউ আসে নাই।

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (আট)

‘বাঁদর’ যোগ ‘আমি’ যদি “বাঁদরামি” হয় অর্থাৎ বাঁদরের মতো আমি নিশ্চয়ই এর শব্দার্থ হবে ,তাহলে নতুন কোন শব্দ আবিষ্কার এর অবশ্যই প্রয়োজন , আমদের নাইন / টেন এর ক্যাডেট জীবন কে ব্যাখ্যা করার জন্য যার অর্থ হবে ” বাঁদর আমাদের মতো” “we” -in superlative sense! অর্থাৎ এককথায় ওঁরা আমাদের থেকে অনেক… নিরীহ । আসলে বেপ্যার টা আমি ভাষায় বুঝাতেই অক্ষম ! শুধু লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামশুল ইসলাম এর ভাষায় ”

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (সাত)

না কোন “Venetian” বা “Marcien” নয়। এদের ডাক নাম “Motlobien” অর্থাৎ ‘মতলব’ থেকে আগত। চাঁদপুর ডিসত্রিক্ট এর একটি উপজেলা মতলব ।৪০৯ বর্গ কিলমিটার ব্যাপি এলাকায়, ২২ টি ইউনিয়ন ,২৪৪ টি মহল্লা ৪০৭ টি গ্রাম নিয়ে এই উপজেলা। প্রায় ১০ লক্ষ জনবসতি সম্পন্ন। বাংলাদেশের এত উপজেলা থাকতে ‘মতলব’ নিয়ে আমার এতো আগ্রহ কেন, বলছি।

ফৌজদারহাট এর প্রতিটি  batch এ এদের বেশ কয়েকজন করে স্থান পেতো।এদের সপ্তম শ্রেণীর গড় বয়স সকলেরই বিশ এর উপরে থাকতো ।

বিস্তারিত»

জীবনের টুকরো দেশবিদেশে (আমার সোনার বাংলা)

(আমার ‘অতীত বয়ান কেউ যদি শুনতে চায়’ সিরিজটার নাম বদলে ‘জীবনের টুকরো দেশবিদেশে’ করলাম। বানান চেক করতে পারিনি। দুঃখিত সে জন্য।)


দেশে আসলাম প্রায় তিন বছর পর। প্রবাসে দেশে যাচ্ছি বললেই এরকম কথা শোনা যায়
‘গরমে সিদ্ধ হবে।’
‘মশার যন্ত্রণা।’
‘আইন শৃখংলা পরিবেশ খুব খারাপ। আমার অমুক আত্মীয় দেশে যাওয়ার পর পরই ডাকাতী/ছিনতাই এর কবলে পড়ে।’
‘কোথায় যাওয়া যায় না।

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (ছয়)

আজিজুল হাকিম, এফ সি সি/১৯৭২~৭৮

আমাদের গিয়াস । ফর্সা’ একহারা ময়নার মার সদা হাসি খুশী ‘ময়না’। রবীন্দ্র ভবনের আমাদের সহপাঠী বন্ধু টি। ওর মা তৎকালীন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম এর সব চেয়ে জনপ্রিয় ” আলেখ্য অনুষ্ঠান ” এর প্রিয় চরিত্র “ময়নার মা” পরিচালনা করতেন বলে ওর এই নাম।কোন দিন কারো সাথে ঝগড়া বা ঝুঁট ঝামেলায় জড়িয়েছে বলে শুনিনি। সবার প্রিয়, শান্ত শিষ্ট মানুষ। সেই যে একদিন খবর এর শিরোনাম হবে,

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (পাঁচ)

আজিজুল হাকিম, এফ সি সি/১৯৭২~৭৮ 

ক্লাস সেভেন এর সময় টা মনে হয় সৌর বছর নয়। নেপচুন এর মত ৬০,১৯০ দিনে বছর অথবা প্লুটোর মত ৯০,৬১৩.৩০ দিনে বছর। আমাদের কিছুতেই দিন কাটে না । আর পানিশমেন্ট কোন ব্যাপারই নয়। নাক দিয়ে রক্ত ঝরলে বা লজ্জাবতী কাঁটায় পীঠ লালচে জখম হলে হসপিটাল এ একবার ঘুরে আসি, আধা ঘণ্টা… …-এক ঘণ্টার রেস্ট পাই। আবার যেই লাউ সেই কদু ।কুছ পরোয়া নেই ।আর উর্দু বাৎ ও ওস্তাদ দের কল্যাণে শিখেছি প্রচুর।

বিস্তারিত»

শিক্ষক VS ক্যাডেট এর ৬বছরের ম্যাচের কিছু ধারাবিবরনি। এপিসোড-৪

 

১) এম আই স্যার। ফিজিক্স dpt. শুধু নাম্বার দিয়ে যোগ করে দিতেন। আমাদের রাকেশ ভাই একবার বেশি আন্সার করে ৪০ এ পেয়েছিলেন ৪৩।স্যার সেটা মার্কশিটে তুলেও দিয়েছিলেন।স্যার হয়ত ভেবেছিলেন ভাল পরীক্ষা দিয়েছে তাই বেশী নাম্বার পেয়েছে।

২) গোলাম সারোয়ার স্যার। ম্যাথ dpt. স্যার খুবই ভাল লোক। খাতা দেখার সময় কোনো অঙ্ক সম্মানজনক গ্যাপ রেখে একাধিক বার করলেও স্যার ধরতে পারতেন না এবং নাম্বার দিয়ে দিতেন।

বিস্তারিত»

২৪তম ইনটেক বনাম অন্যান্যরা… ১

সফিক স্যার:(পদার্থ বিজ্ঞান)

১।   আমাদের ফর্ম মাস্টর ক্লাস সেভেন থেকেই।।দিন  যতই যাচ্ছে স্যার এর সাথে আমাদের সম্পর্ক ততই গভীর হচ্ছে । ক্লাস টেন এর ছুটি শেষ করে কলেজ এ আসার সময়ই শুনলাম যে স্যার বিয়ে করেছে আমাদের কলেজ এর জনৈক  সিনিয়র ভাই এর বড়  বোনকে ।অনেকদিন হয়ে গেল।স্যার  তখন বি সি এস পরীক্ষার  জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ।খুব কষ্ট করছে চান্স পাওয়ার জন্য । 

বিস্তারিত»