দেখতে দেখতে কখন যে ছয়টি বছর কেটে গেল ঠিক যেন বুঝে উঠতে পারলাম না।গত পাঁচ জুন যখন শেষ ডিনার করলাম তখন ভাবতেও কষ্ট হচ্ছিল ক্যাডেট লাইফের এটা শুধু শেষ ডিনারই নয় সব ক্যাডেটদের সাথে এটাই শেষ কোন কার্যক্রম।টেবিল লীডার ছিলাম বলে টেবিলমেট দের সাথে সখ্যতাও বেশ জোরালো ভাবেই গড়ে উঠেছিল।যতই ক্যাডেট থেকে বের হবার দিন ঘনিয়ে এল ততই স্মৃতির পাল্লা ভারি হতে লাগল।কিছু টুকরো টুকরো স্মৃতি আজ স্মরন না করে পারছিনা।
বিস্তারিত»ফার্মগেটে কিছুক্ষণ….
এইতো সেদিন ফার্মগেট থেকে ঘুরে আসলাম । মাঝখানে কেটে গেছে দুইটা বছর। ফিরে এসেছিল সেই ঘিঞ্জি ফুটপাত আর পুরানো আমি । আশপাশ থেকে আসছিল গাড়িঘোড়ার সেই পুরানো শব্দত্যাচার । আসছিল দোকানিগুলার চিৎকার , “একশ, একশ। একদাম একশ”, রাস্তায় শুয়ে থাকা হাত পা হীন ভিক্ষুকটার গোঙানি, কপোত-কপোতীদের হাসাহাসি, আরো সব এলোমেলো কোলাহল….
সব কিছুই আগের মতো লাগছিল । কিন্তু সেই এক রকম ছিলাম না আমি ।
বিস্তারিত»কাডেট কলেজ, এখন ……. তখন
ক্যাডেট কলেজ এর সাথে আমার সম্পর্ক যেমন তেমন খুব একটা বেশী মানুষের নেই। বাবা ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক হওয়াতে জন্ম থেকেই ক্যাডেট কলেজ পরিমন্ডলে বড় হয়েছি।
আজকাল প্রায়ই একটা কথা শুনি ক্যাডেটরা নাকি এখন আর আগের মতন নেই, পড়ালেখার মান পড়ে যাচ্ছে, খেলাধুলা এবং অন্যান্য যায়গায় তাদের আগের সেই আধিপত্য নেই।
ক্যাডেট কলেজ এর অসুখ হয়েছে এই কথা সবাই জানে, অসুখ হওয়াতে কি লক্ষন দেখা দিয়েছে এই কথা সবাই বলছে কিন্তু অসুখ কেন হয়েছে এই কথা কি কেউ ভেবে দেখেছে ????
বিস্তারিত»অসি ও মসি……
অসির চেয়ে যে মসি শক্তিশালী এর দৃষ্টান্ত আমরা ক্লাস ৭ এই পেয়েছিলাম। শবে-বরাত এর রাতে মাগরিবের নামাজ শেষ করে সবেমাত্র রুমে ঢুকেছি। হঠাৎ একটা আর্ত-চিৎকার শুনে হুড়মুড় করে বেরিয়ে আসলাম। ঘটনা কী বুঝে ওঠার আগেই দেখি ২০৫ নম্বর রুমের রহমান ও মোকতাদির মিলে একজন কে ধরাধরি করে হাসপাতাল এ নিয়ে যাচ্ছে। ঘটনা কি হল বুঝতে না পেরে আমরা সবাই উৎকণ্ঠিত হয়ে ব্লক এ দাড়িয়ে আছি।
বিস্তারিত»প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির খতিয়ান
কলেজে থাকতে অনেকেই একটা কথা বলত ক্যাডেট কলেজ আমাদের কি দিয়েছে? আমিও এর ব্যতিক্রম ছিলাম না। চিন্তা করতাম এরকম পিটি, ড্রিল, ফলিন, পানিশমেন্ট আর এত এত নিয়ম……আমরা যে প্রায় সব ধরনের স্বাধীনতাই বিসর্জন দিচ্ছি বিনিময়ে কি পাচ্ছি? আমার বাবা মা জানতেন আমি ভাল ছাত্র, হয়তো এই জন্যেই ক্যাডেট কলেজে চান্স পেয়েছিলাম। কিন্তু কলেজে ঢুকার পর হয়তো আমার থেকে আরো ভাল অনেকের ভিড়ে আমি হারিয়ে গেলাম।হয়ত বাবা মা-র শাসন ছিল না তাই পড়াশোনার দিকে মনোযোগ কম ছিল।
বিস্তারিত»ক্রস ড্রেস সমাচার
ক্রস ড্রেস বলে যে কিছু থাকতে পারে ক্যাডেট কলেজে না গেলে কোন দিন জানা হত না। কলেজের প্রথম দিনেই ক্রস ড্রেস বিষয়টা জানতে পারি। আমার গাইড আমাকে উদাহরণ দিলেন হাফ শার্টের সাথে ফুল প্যান্ট পড়া, তারপর স্লিপিং ড্রেস এর সাথে শার্ট পড়া, বা পাঞ্জাবির সাথে প্যান্ট পড়া,, সাদা শার্টের সাথে কালো প্যান্ট, খাকি প্যান্টের সাথে খাকি শার্ট ছাড়া অন্যকিছু ইত্যাদি ইত্যাদি। বলা বাহুল্য আর সব বিষয়ের মত ক্রস ড্রেস পড়াও ক্লাস সেভেনের জন্য নিষিদ্ধ।
বিস্তারিত»স্মরণীয় পরীক্ষা
২০০৪ সাল।
আমি তখন ক্লাস এইটে। প্রথম সাময়িক পরীক্ষা চলছে।
ক দিন পর জুনিয়র আসবে তাই তখন তাদের cupboard করা নিয়ে আমরা খুব বিজি। এছাড়াও, রুম চেঞ্জ হয়েছে, নিজের cupboard ও ঠিক করতে হবে।
তো এইসব কাগজ কাটাকাটি ও লাগানোতে আমি একেবারেই আনাড়ি। ফলশ্রুতিতে আমার তৈরি করা cupboard ও হল যাচ্ছেতাই।
আমার Dorm Leader রেজওয়ান ভাই একদিন inspection করে দেখলেন এ অবস্থা।
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন, ‘৮৯ ইনটেক
২২ বছর আগের এই রাতে, সারা রাত বৃষ্টি ছিল। ঢাকা থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে যাওয়া বিআরটিসি’র লাল রঙের বাসে চড়ে, ভোর ৫ টায় রাজশাহীর সাহেব বাজার। জীবনে প্রথমবারের মতো রাজশাহী আসা। অজানা এক আশংকা, কিংবা উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম সারা রাত। সাহেব বাজারের এক হোটেলে উঠে, ফজরের নামাজ শেষে ক্লান্তির ঘুম।
লোকাল বাসে করে বানেশ্বর হয়ে সারদা যেতে যেতে প্রায় বিকাল ৫টা। প্রথমবারের মতো এতো কাছ থেকে পদ্মা নদী দেখা।
বিস্তারিত»আঁতলামি আপডেট
– স্যার, আগামী এক সপ্তাহ পড়বো না।
– ক্যানো ? কোথাও ঘুরতে যাচ্ছ নাকি ?
– না স্যার, এই সপ্তাহে আমার এস.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে
– ও, আচ্ছা।
মূহুর্তেই মনে পড়ে গেলো সেই ২০০৪ এর কথা, যখন ঠিক একই রকম চিন্তা আর উত্তেজনা নিয়ে আমি অপেক্ষা করছিলাম আমার এস.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্ট এর জন্যে। এখনো মনে পড়ে ক্যাডেট কলেজের ফোন নাম্বারটা ব্যস্ত থাকায় আমার বাবার চিন্তামগ্ন মুখের কথা।
বিস্তারিত»আরেকবার, আর একটি বার…।।
নতুন বাসা টা শহরতলীর বাইরে। ফাঁকা ফাঁকা চার দিক। পেছনে জংলা মত একটা জায়গা।আর জংলামুখী আমার বারান্দা।ক্লাস থেকে ফিরেই অধিকাংশ সময় এই বারান্দায় চলে যাই।বিষণ্ণ বিকেল গুলো এখানেই কাঁটে।বাংলাদেশ সময় এখন মনে হয় রাত ১২ টা। এখানে ৮ টা।। সন্ধ্যা হতে এখনও ঢের দেরি। সামারে এখন সূর্য ডুবছে ১০ টায়। এই সময়টায় কেন জানি আশ্চর্য নিরব হয়ে যায় চার দিক। মাঝে মাঝে দম বন্ধ লাগে।।
বিস্তারিত»এলোমেলো পোস্টঃ ৩০ তম ইনটেক
আসির চেয়ে যে মসি শক্তিশালী এর দৃষ্টান্ত আমরা ক্লাস ৭ এই পেয়েছিলাম। শবে-বরাত এর রাতে মাগরিবের নামাজ শেষ করে সবেমাত্র রুমে ঢুকেছি। হথাত একটা আর্তচিৎকার শুনে হুড়মুড় করে বেরিয়ে আসলাম। ঘটনা কী বুঝে ওঠার আগেই দেখি ২০৫ নম্বর রুমের রহমান ও মোকতাদির মিলে একজন কে ধরাধরি করে হাসপাতাল এ নিয়ে যাচ্ছে। ঘটনা কি হল বুঝতে না পেরে আমরা সবাই উৎকণ্ঠিত হয়ে ব্লক এ দাড়িয়ে আছি।
বিস্তারিত»হাতিবেড় গ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কুমির প্রজনন খামার
এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান :: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ভাওয়াল গড়াঞ্চলের বিস্তীর্ণ শালবন পরিবেষ্টিত হাতিবেড় গ্রাম। লালমাটি আর অসমতল টিলা বনভূমি ঘেরা অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত এ পল্লী। এক সময় এ গ্রামটি জনবসতিহীন বন্য পশু-পাখির অভয়ারণ্য ছিল। মাত্র ২০ বছরের ব্যবধানে ভালুকার বিশাল বনাঞ্চল পরিণত হয়েছে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল জনপদ হিসেবে। আর দিন বদল আর পালাবদলের পালায় এ গ্রামেই গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কুমির প্রজনন খামার।
বিস্তারিত»নাম ছাড়া…
৩০ এ এপ্রিল, ২০০৩, নাদান একটা হিসাবে ক্যাডেট কলেজে ঢুকসিলাম, ক্যাডেট কলেজে ঢুইকা প্রথম দিন সবাই
, আমার কেন জানি কান্দা আইতেসিল না, বরং বেশ আনন্দ লাগতেসিল, যাই হোক দুইদিন বাদেই আমার ভুল ভাংলো, শুরু হইল ক্যাডেট কলেজের বাশ, ড্রিল খুব একটা ভাল পারতাম না, স্টাফ এর প্যাদানি খাইতে খাইতে জীবন প্রায় যায় যায়, সাথে ক্লাস ৮ এর সিনিয়ারদের জালা ত আসেই। মনে হইত কবে বাইর হমু “ক্যাডেট কলেজ”
অসাধারণ এক দ্বিতীয় জন্ম!!
একটু পরেই চলে যেতে হবে। শুধু মনে হচ্ছিল কী দরকার ছিল এভাবে বন্দী এক জীবনে আমাকে পাঠিয়ে দেবার? কিন্তু মুখ দিয়ে টু শব্দটি করার উপায় নেই। এতদিনে যে শাসনে ছিলাম । সবার ছোট হলে যা হয় আর কী। এতদিন বড় আপুর ছায়াতলে ছিলাম। যা কিছু অর্জন আমার তার ৮০%তার অবদান। যা ভেবেছিলাম তাই। আপু জিজ্ঞেস করে বসল-
– এবার তো একা থাকতে হবে। পারবি তো?
বাক্স (পর্ব ১ – মানুষটা)
নিথর, নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে আছে মানুষটা। নাকে দু’টো আতর লাগানো তুলো গোঁজা। তার দিকেই অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে তার ছোটো নাতনী হৃদিতা।
– ভাইয়া, দাদার নাক থেকে ওটা খুলে দাও না, দাদা তো নিঃশ্বাস নিতে পারছে না।
অর্ক তাকে কিভাবে বলবে যে দাদা আর কখনো শ্বাস নেবেন না। সেও তো এ বিদায় মেনে নিতে পারছে না; মনে মনে অনেকবার ভেবেছে দাদা এখনই জেগে উঠবে;
বিস্তারিত»