অশনী সংকেত

সামীউর, স্টার্ট ফ্রন্টরোল। আরো একবার দিনটা শুরু হলো ফ্রন্ট্ররোল দিয়ে। সকালের পিটিতে যাওয়ার ফল ইন। যথারীতি ঘুম থেকে উঠতে দেরী এবং হাউজ ফল ইনে লেট। ক্লাস নাইন পর্যন্ত প্রায় প্রতিটা দিনই আমার শুরু হয়েছে রুমের দরজার কাছ থেকে ফ্রন্টরোল দিয়ে। এভাবে গড়াতে গড়াতেই নোটিশ বোর্ডের সামনে পৌঁছে যেতাম, পা থাকলেও হেঁটে আসার সুযোগ খুব একটা হয়নি। তাই সবাই যখন শ্বেতশুভ্র পোষাকে রাজহংসের মত গলা উঁচিয়ে পিটিতে যাচ্ছে,

বিস্তারিত»

কুড়ি বছর পর

এক.
দিনটার কথা এখনো স্পষ্ট মনে পড়ে। সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে পাবনা সার্কিট হাউসে পৌছলাম। লাঞ্চ সেরে, পোশাক পাল্টে সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট এবং কালো অক্সফোর্ড সু পরে রেডি হলাম কলেজে যাবার জন্য। একুশে মে, ১৯৯২ সাল। সাথে আব্বা এবং বড় ভাই। দুপুর দুইটার দিকে কলেজে পৌছলাম। পথে ক্যালিকো কটন মিলস পড়লো, আব্বা মোটামুটি সেটার নাতিদীর্ঘ ইতিহাস বললেন। পাবনা পৌছাবার পর থেকে পাবনা জেলার ইতিহাসও বলে যাচ্ছিলেন বড় ভাইকে।

বিস্তারিত»

আ জার্নি বাই বাস

ঢাকা শহরে কর্মব্যস্ত মানুষের অর্ধেক সময় কাটে বোধহয় রাস্তায়। আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে নিজস্ব গাড়ি অথবা পাবলিক বাসে। জ্যামকালো এই শহরে গাড়ি কিংবা বাসগুলো ছুটে চলার চেয়ে জ্যামের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতেই বেশি অভ্যস্ত। তার সাথে সাথে অভ্যস্ত এই শহরের মানুষগুলোও। এরা ঠাঁঠাঁ রোদে মিরপুর ইউনাইটেড কিংবা বিহংগে’র ভাঙাচোরা তেল চিটচিটে সীটে বসে দরদর করে ঘামে আর দেশটা দিয়ে কেন কিছুই হবেনা তার হিসেব নিকেশ করে সশব্দে,

বিস্তারিত»

আসুন ইংরেজী শিখি: ZU মেথড

ছোট্ট একটা গল্প দিয়ে শুরু করি। কয়েক বছর আগের ঘটনা। জনৈক স্যার ক্লাস নিচ্ছেন। হঠাত্‍ করে পিয়ন এসে খবর দিল,স্যার আপনার ছেলে হয়েছে। স্যার তখন চরম উত্তেজনা আর আবেগের বশে বলেই ফেললেন, আলহামদুলিল্লাহ। credit goes to all the cadetz… :khekz: :khekz:

ক্লাসে তুমুল হাসির ঝড় বয়ে যাওয়ার পর একজন ক্যাডেট বলল, স্যার খাওয়াবেননা? স্যার তখন আরেকদফা তাঁর বিখ্যাত ইংরেজী ভাষায় বলল, ok ok,

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেটীয় দিনলিপি-১

বহুদিন ধরে সিসিবি তে ব্লগ পড়ছি। কখনও লিখব ভাবিনি। এটাই আমার প্রথম লেখা।
———————–
কলেজে এক্সট্রা ড্রিল খাবার ব্যাপারে আমার একটা ঐতিহ্য ছিল। আমি ছিলাম আমার ব্যাচের ১ম ইডি খাওয়া পাবলিক। এমন`কি ৭ম শ্রেণীতে থাকাকালীন আমার আগে কেউ কখনো ইডি খায়নি পরেও মনে হয় কেউ খায়নি। আমার অবস্থা এমন ছিল যে এডজুট্যান্ট এর সামনে পড়লে আমার ইডি খাওয়া নিশ্চিত। হয়ত সকালে একটা ইস্যু হত তো বিকেলে একটা।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট লাইফ ও একটি মায়ের চিঠি

আম্মুর সাথে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল চিঠি। দুই টাকার হলুদ একটি খাম ভেতরে দুই জনমের আবেগ। আম্মুর লেখা প্রতিটি চিঠি অসংখ্য বার পড়তাম।
মাঝেমাঝে চোখ ঝাপসা হয়ে এলে কোন মতে বালিশে চাপা দিতাম অবাধ্য অশ্রুরাশিকে। প্রতি সপ্তাহে একটি চিঠি আসতো। মায়ের কাগজ বন্দী আবেগ আর উপদেশ গুলো ক্যাডেট কলেজের সেই প্রতিকুল পরিবেশে টিকে থাকার প্রেরনা যুগিয়েছে। আধুনিক সভ্যতার মুঠোফোনের বেতার তরঙ্গ তখনো ক্যাডেট কলেজে জায়গা করে নিতে পারেনি আর্মি হেড কোয়াটারের স্বেচ্ছাচারিতায়।

বিস্তারিত»

জন্মদিনের তোড়া তোড়া ফুল

গলির সামনের চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে সিরাজ হঠাৎ চিন্তিত মুখে বললো, আচ্ছা আমরা কি বেহেশতে যামু , না দোযখে ?
মনে হয় দোযখে। বেহেশতে যাওয়ার মত কিছু তো এ জীবনে আমরা কেউ করি নাই, তাই না? -বললাম আমি।
এবার সিরাজের চোখ-মুখ খুব সিরিয়াস হয়ে গেল। জিজ্ঞেস করে, আচ্ছা দোযখে কি চিরকাল আজাবের মধ্যে থাকতে হবে আমাদের সবাইকে? মাঝে মাঝে যদি একটু রেস্ট চাই,

বিস্তারিত»

আমাদের “সত্য” স্যার

“তারপর কী হল শোন, সেই ক্যাডেটকে খুঁজে পাওয়া গেল টয়লেটের মধ্যে । হাতে হুমায়ূন আহমেদ এর বই। ভাঙা দরজার সামনে যখন প্রিন্সিপাল দাঁড়িয়ে আছে তখনো তার চেতন নেই। এঁকেই বলে বইয়ের পোকা। ভাঁবা যায় টানা তিন দিন একটা ক্যাডেট বই পড়ে টয়লেটে কাঁটিয়ে দিয়েছে।” সত্য স্যারের গল্প শুনে কেউ অবাক হলনা। কারন মোটামুটি সবাই জানে স্যারের কথার অধিকাংশই মিথ্যে। ক্যাডেট কলেজের ভাষায় যার নাম গুল।

বিস্তারিত»

“সত্য” সমগ্র

আজকাল ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসারের ফলে কলেজের স্মৃতিচারন করা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। কোন কাহিনী লিখতে গেলে তা স্যার অথবা এডজুট্যান্টের চোখে পরার সমূহ সম্ভাবনা। 😕 কিছুদিন পূর্বে বন্ধু দিবসের এই পোস্টের ম্যাডাম তার পোস্ট খানা পড়ে বড়ই লজ্জ্বাগ্রস্থ হয়ে পরেছে বলে খবরে প্রকাশ। :grr: তাই “নাম বলব না” খালি অর্থনীতির এক শিক্ষকের কাহিনী বলে ক্ষান্ত দিব।

ক্লাশ নাইনে থাকতে স্যারের এফসিসি থেকে বিসিসিতে আগমন।

বিস্তারিত»

দিন যায় কথা থাকে…

প্রসঙ্গক্রমে কিছু কাল্পনিক ঘটনার অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে।কারও কারও বাস্তব জীবনের সাথে মিলে গেলেও যেতে পারে।তবে সে ক্ষেত্রে লেখক দায়ী থাকবে না 😉

সবই আছে,সবাই আছে।কাঁধের উপর পাঁচ দাগ আছে।আছে পিছনে হাত বা পকেটে হাত দিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হেটে যাবার রাজকীয় ক্ষমতা।এত সব ক্ষমতা আর পাঁচ দাগের ভারে ডান কাঁধটা কবে যেন একটু বাঁকা হয়ে গেছে খেয়াল করার সুযোগই হয়নি।ক্লাস ইলেভেন কলেজের ক্যাডার।মন যা চায় মোটামুটি সবই হাতের নাগালে পাওয়া যায়।খাকী পোশাক গায়ে জড়াবার প্রথম দিন থেকে এই দিনগুলোর জন্য অপেক্ষা।এখন সবই হাতের নাগালে।এতসব কিছুর মাঝেও বুকের মধ্যে কোথায় যেন একটা শূন্যতা কাজ করে।কিছু যেন একটা মিসিং।শুধু আমার একার না মোটামুটি সবারই এক অবস্থা।

বিস্তারিত»

মনে পড়ে ওপারের জীবন…

আজ অনেক দিন…দিন বললে ভুল হবে,অনেক মাস পর সিসিবি তে লিখছি। লেখাটা নিতান্তই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে,নিজের ব্যাচ, নিজের কলেজের কিছু নিজের মানুষকে উৎসর্গ করছি!
লেখা হয়না কতদিন!!জীবনের ব্যাস্ততার মাঝে ভুলেই গেছি ফেলে আসা আরেক জীবন আমার! কিন্তু বাস্তবে…ভোলা হয়নি, ভলা যায়নি, যাবেও না সেই দিন গুলো!
কলেজে বসে শেষদিনগুলোতে লেখা কিছু বিক্ষিপ্ত আবেগের আবোল তাবোল আর ডায়েরির বাকি পাতা গুলোতে নিজের মানুষদের উত্তপ্ত মন্তব্যের ঢল- এইতো সম্বল আমার!

বিস্তারিত»

শুভ ব্যাচ জন্মদিন-ক্যাডেট ১৯৯৫-২০০১

তবে বন্ধু একটু দাঁড়াও,
দেখা হয়েছিলো সেই কবে,
দূরু দুরু বুকে এক এক টা পদক্ষেপ,
দিনটার কথা মনে কি পড়ে?
যদি ভুলে যাও, তবে মনে রেখো,
আজ তিরিশে এপ্রিল,
পুনর্জন্মের সেই দিন,
আজ তিরিশে এপ্রিল,
ক্যাডেট নামটা গায়ে জড়ানোর দিন.

শুভ ব্যাচ জন্মদিন-ক্যাডেট ১৯৯৫-২০০১

বিস্তারিত»

টুকরো স্মৃতি ৫

ক্যাডেট কলেজের কাহিনী গুলো মনে হলেই মনের অজান্তে হেসে উঠি। মাঝে মাঝে এমন বিব্রত কর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয় যা সামলে ওঠা কষ্টের।সেদিনের ঘটনা। বসুন্ধরায় গেলাম একটা বিশেষ কাজে। হঠাত্‍ করেই কলেজের কথা মনে করে হেসে উঠলাম। সামনে তাকিয়ে দেখি এক আধা বঙ্গ ললনা আমার দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। আমি অনেক ক্ষন পর ব্যাপারটা ধরতে পারলাম। মেয়েটা হয়তোবা ভেবেছে আমি তার ড্রেস আপ নিয়ে হেসেছি।

বিস্তারিত»

আসুন শিখি: ব্যবহৃত মোজা দ্বারা বল তৈরির পদ্ধতি (নব্য ও ভবিষ্যৎ ক্যাডেটদের অবশ্যপাঠ্য ব্লগ)

সেই ইন দি ইয়ার অফ নাইন্টিন সিক্সটিনাইন মানে ২০০২ সালের ৭ মে বরিশাল ক্যাডেট কলেজের প্রাঙ্গণে যোগদান করিয়াছিল এক নাদান আলাভোলা বাচ্চা। কলেজে ছয় বছর অবস্থানকালে সে শিখিয়াছে অনেক। তবে ৬ বৎসর কলেজে অবস্থানকালে উক্ত বালক দুর্গন্ধময় ব্যবহৃত মোজার সদ্ব্যবহার সম্পর্কিত যে বিশেষ বিদ্যা অর্জন করিয়াছে তাহার কোন তুলনা নাই। :grr:

কলেজে প্রথম ৭ দিন অবস্থানকালে একদা বালক ডাস্টবিনের আড়ালে এক আজিব কাপড়ের তৈরি গোলাকার বস্তু আবিষ্কার হেতু বড়ই চিন্তাগ্রস্ত হইয়া পরিল।

বিস্তারিত»

৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ১৮তম পর্ব

কেমন আছেন আমার সুপ্রিয় ক্যাডেট ভাই ও বোনেরা ? আজ অনেকদিন পর ব্লগটা খুললাম। ভেবেছিলাম পাসওয়ার্ড ভুলে গেছি। কিন্তু ভাগ্য ভাল, মনে ছিল। খুলেই আমার খুব রাগ হলো নিজের উপর। নিজেকে নিয়মিত করতে পারি না কোন কাজেই। তাই ভাবলাম ফর দ্যা সেক অব মাইসেলফ এবং ক্যাডেটকলেজব্লগ আজ একটা পোস্ট দেয়া উচিৎ।

আজকে যে বিষয়ে স্মৃতিচারণ করব তা ছিলো ২০০৬ সালে, যখন আমরা টুএলভের ক্যাডেট।

বিস্তারিত»