ফ্ল্যাশব্যাক ০৯

১/আমার বোন বিসিএসের বই কিনবে এবং বারবার সে বলছে ওরাকলের বই ভাল।আমি চিন্তা করলাম কি বলে এইটা।ওরাকল ত database প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যে বই আমার আছে।আমি বিরক্তি প্রকাশ করে বললাম ভাল করে বইয়ের নাম জেনে নে।পরে দেখি দুনিয়া অনেক আগায় গেছে আমিই মুর্খ।বইয়ের নামই ওরাকল।শুধু তাই নয় সে কয়েকদিন পর কোচিং এ ভর্তি হলো সেইটার নামও ওরাকল।এখানেই শেষ নয়।কয়েকদিন পর আরেক বিসিএস গাইড দেখলাম তার কাছে যার নাম mp3 এবং এই বই নাকি বাজারে লেটেস্ট।যে হারে ডিজিটাল সব নাম দেখছি।কবে আবার দেখবো wimax,optical fiber,3g,vsat…

২/আমার এক বন্ধুর নিক নেম পাখি।এই নামের পিছনে অনেক রহস্য আছে সেটি না হয় থাক।পাখির সাথে অনেকদিন পর চ্যাট হচ্ছে।কিছু অংশ দেয়া হলো—
-কি আর্জেন্টিনার সাপোর্টার কি খবর তোর?

বিস্তারিত»

বিভিন্ন ট্র্যাডিশন কলেজে কলেজে…

সব কলেজেরই কম-বেশী বিভিন্ন ট্র্যাডিশন আছে। কোন কোনটা হয়তো অনেক কলেজেই আছে, তবে ভিন্ন ভিন্ন রূপে। অনেকগুলো আবার বি এম এ -তেও আছে। অনেক ট্র্যাডিশন আবার সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। এর অনেকগুলোই নরমাল এটিকেটেরই অন্তর্ভুক্ত। এই পোস্টে এসব ট্র্যাডিশনগুলোর একটা সংকলন করতে চাচ্ছি।

আমি এখানে আমাদের কলেজের(ঝিনাইদহ) ট্র্যাডিশনগুলো তুলে দিলাম। সেগুলোর সাথে অন্য কলেজে একই টাইপের কি ট্র্যাডিশন ছিল তা অন্যরা মন্তব্যের ঘরে দিয়ে দিবেন বলে আশা করছি।

বিস্তারিত»

বর্ষায় বর্ষার রূপ খুঁজে পাই……

বেশ চনমনে রোদ দেখে
হেঁটে বেরিয়ে পড়লাম বন্ধুবাড়ির পথে
ছাতা ছাড়াই। ঘরের দরজা খুলে দেখি
ঘন্টাখানেক আগের বৃষ্টির পানি জমে আছে
বেশ খানিকটা উঠোন জুড়ে। লক্ষ্য ঠিক করে
সিঁড়ি থেকে লাফিয়েও সামান্য বিচ্যুতি…….
ফলাফল কাদাপানিতে প্যান্টের পায়ে ইঞ্চি কয়েক
সয়লাব; “যাত্রা শুভ নয়”– ~x( -বিরক্ত হয়ে ভাবি
এই না হলে বর্ষা!!

কিছুদূর যেতে না যেতেই হঠাৎ কালো মেঘ।

বিস্তারিত»

কাই বৃত্তান্ত ২

আমার এক দোস্ত (নাম বললে চিনে ফেলবেন….) কাই-রে ডেকে আগের লেখাটা দেখাইছে। কাই খুবই ক্ষিপ্ত এতে। সে আমারে রিসেন্টলি ‘জান কবজ’ করার হুমকি দিছে। আমি নাকি অনেক চাপা মারছি…(তাও নাকি কথ্য বাংলায়………শুদ্ধ বাংলায় নাকি চাপা টের পাওয়া যায় না)…আর যদি ভবিষ্যতে লিখি এইরকম কিছু তাইলে নাকি আমার কুলখানিতে সবাইরে দাওয়াত দেওয়া লাগবে! তা আপনাদের দাওয়াত রইল। কিন্তু কি আর করা! হাতে কোনো কাজ নাই। কিছু তো লিখতে হবে।

বিস্তারিত»

ওয়ার্ল্ডকাপ সকার নিয়ে বিশেষ অজ্ঞের বিশেষ ভাবনা

৮ জুলাই ইতালিয়া ১৯৯০, স্টেডিও অলিম্পিকো,রোম। ফুটবল পরাশক্তি আর্জেন্টিনা এবং জার্মানীর মধ্যে বিশ্বকাপ ফুটবলের ১৪তম আসরের ফাইনাল ম্যাচ । ৯ বছরের বালক আর তার বাবার চোখ টিভি পর্দায়। তখন ফুটবলার মানেই দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা,আর ম্যারাডোনা মানেই উন্মাদনা। তাঁরাও আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। খেলার ৬৫ মিনিটে জার্মানির ক্লিন্সম্যানকে ফাউল করে আর্জেন্টাইন পেদ্রো মঞ্জন লাল কার্ড দেখেন। কোন বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম লাল কার্ড।৮৪ মিনিটে আর্জেন্টাইন রবার্তো সেন্সিনি রুডি ভোলারকে ফাউলের বদৌলতে রেফারীর দারুন উপহার পেল জার্মানি।

বিস্তারিত»

পঁচিশে ফেব্রুয়ারী—-আমি কি ভুলিতে পারি?

কি ভাবছেন? আমি ভুল করে একুশে না লিখে পঁচিশে ফেব্রুয়ারী লিখেছি? উত্তরটা অতি শীঘ্রই জেনে যাবেন। আজ আমি সিসিবি তে প্রথম লিখছি….. তাও আবার বাংলায় ! আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে আমাদের এখানে একটি লোকাল অনুষ্ঠান পরিচালনা করার দায়িত্বটি আমার উপর ন্যস্ত হলো। কোরাসের জন্য বাছাইকৃত গানগুলো স্বহস্তে লিখার পর ফটোকপি করার দায়িত্বটিও আমারই উপর অর্পিত হলো। যখন “মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম, মোরা ঝর্ণার মত চঞ্চল”

বিস্তারিত»

ক্ষুধার রাজ্যে ঝলসানো রুটি

মিঃ ফক্স (Ffolks) সহ আমরা ছয় জন ছিলাম আমাদের গ্রুপে। মিঃ ফক্স ছিলেন এক জন ব্রিটিশ ওভারসিজ ভলান্টিয়ার যিনি ক্যাডেট কলেজে এসেছিলেন আমাদেরকে ইংরাজী শিখাতে। গ্রুপের অন্যরা হচ্ছে মুশফিক (ডঃ মুশফিকুর রহমান – এখন অস্ট্রেলিয়ায়), শফি (ডঃ শফিউল্লাহ – বর্তমান ভিসি, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়), আনিস (বারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ – বিগত ফরেন মিনিস্টার ও জাতীয় পার্টি নেতা), মান্নান (মঞ্জুর মান্নান – বর্তমান ওফা সিজিবি চেয়ারম্যান ও কমিশনার,

বিস্তারিত»

ফাউ প্যাঁচাল ০৪-“কাই” বৃত্তান্ত

বহুদিন হইয়া যাইতেছে সিসিবিতে নতুন রম্য দিতেছিনা। যাহাই হউক সম্প্রতি আমার সকল গভীর প্যাঁচাইন্যা রচনাসমূহ(কাব্য ও ছোটগল্প) পড়িয়া যাহারা নাভিশ্বাস ফেলিতেছেন, তেনাদের জন্য সুসংবাদ……নির্মল বাতাসে মুক্তির শ্বাস নিন। তবে আজিকে রম্য লিখিব চলিত ভাষায়। তাহা হইলে শুরু করিয়া দেই……

আমার বন্ধু ‘কাই’; ক্লাস সেভেন থেকে ওরে আমরা আদর করে ‘কাউয়া’ও ডাকি। সে মোটেও কোনো সাধারণ পোলা না। সবাই যদি ডাইনে যায় তাইলে কেউ কেউ বাঁয়ে যাইতে পারে,

বিস্তারিত»

স্মৃতি তুমি বেদনা

ক্লাস এইট থেকে নাইনে উঠবো…তখন ভূগোল বলে মহা বিরক্তিকর একটা সাবজেক্ট ছিলো এবং সবচেয়ে মেজাজী এবং মুডি এবং ভয়ংকর ম্যাডাম-রাও ছিলেন ভূগোলের টিচার। যাই হোক , তখন নিয়ম ছিল টার্ম এন্ড এর ছুটিতে যাবার আগে ফর্মলিডাররা সব টিচারদের কাছে যেয়ে যেয়ে ছুটির বাড়ির কাজ যোগাড় করবে এবং ছুটির মধ্যে সেইগুলা শেষ করে আনতে হবে। এমনেই ছুটি মাত্র কয়েকদিনের তারপরে আবার কবে বাসায় রেজাল্ট যায় তার চিন্তা,

বিস্তারিত»

নস্টালজিক বিশ্বকাপ ২০০৬ আর অপ্টিমিস্টিক বিশ্বকাপ ২০১০!

২। অপ্টিমিস্টিক বিশ্বকাপ ২০১০:

……বিশ্বকাপ-জ্বরে ভুগছে গোটা বিশ্ব। এই জ্বর থার্মোমিটারে মাপা যায় না, অনুভব করতে হয়। বাঙ্গালীরাও পিছিয়ে নেই। ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে আমরা স্বপ্লের জাল বুনি, কিন্তু ফুটবল বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলা আর লোডশেডিং-জর্জরিত বাংলাদেশ ডিজিটালাইজড হওয়া একই কথা। তারপরও ফুটবলই এদেশে জনপ্রিয়। বাপ-চাচারা সবাই ’৮৬-তে ম্যারাডোনার খেলা দেখে আর্জেন্টিনার ভক্ত, ভাই-বেরাদাররা অবশ্য রোমারিও-বাজ্জিও-বালাকদের খেলা দেখে দ্বিধাবিভক্ত। আমি প্রথম থেকেই ব্রাজিল-ভক্ত, কেননা যখন থেকে ফুটবল বুঝি,

বিস্তারিত»

ICCLCM এবং আমাদের “মুন্না ভাই”

ক্লাস সেভেনের ট্যালেন্ট শো তে যখন সুমী আপা খুব ক্ল্যাসিকাল ঢঙ্গে “শ্যামা তন্বী আমি মেঘ বরনা” গান টি শিখালেন, তাও আবার হারমনিয়াম বাজানো সহ, তখনো বুঝিনি গান জিনিসটি কে এত ভালবেসে ফেলব সারা জীবনের জন্য। কিন্তু ভালবাসলেও এর যথার্থ মর্যাদা আমি দিতে পারিনি। বাবার ভীষন শখ ছিল গানটা কে সব সময় চর্চায় রাখব, গলায় স্বরস্বতী না থাকলেও সুর মনে হয় ছিল, তা না হলে ICCLCM গুলোতে যতবার গিয়েছি,

বিস্তারিত»

অভিনন্দনবার্তা আর শাহী ডায়লগস ফ্রম দ্য গেরাম মোক্তারপুর-২

ঃ অভিনন্দনবার্তাঃ
…..খোমাখাতা বন্ধ করে দিয়ে সরকার আমাদের ভার্চুয়াল সামাজিকতা দমিয়ে রাখতে পারেনি। বাধা যখন দেয়া হয়,সেটা অতিক্রম করার দ্বারও উন্মোচিত হয়। যেভাবেই হোক,নিষিদ্ধ হবার পর খোমাখাতাতে ঢুকতে কেন জানি ‘ক্যাডেট কলেজের নিয়ম ভাঙ্গা’ ধরনের অনুভূতি হচ্ছে। সরকারের নামে সিসিবি-তে মাংস ভক্ষণ করলেও খোমাখাতাতে করার সাহস আমার নাই। করলে কালকের দুপুরের খাবার জেলে খেতে হতে পারে! কি যে দিনকাল পড়ল! গণতান্ত্রিক স্বৈরাচারের মধ্যে আছি!……

বিস্তারিত»

সপ্তম শ্রেণীর সাতকাহনঃপর্ব-৩>>পাঙ্গা,রগড়া,প্যাঁদানি।।।।।(১ম ভাগ)

……..গত ২৫শে মে,২০১০ আমাদের আর.সি.সি-র ৩৭-তম ইনটেক ওরফে মিলেনিয়াম ব্যাচের দশ বছর পূর্তি হয়ে গেল। সে উপলক্ষে আমরা ১৯জন বন্ধু মিলে ধানমন্ডি কে.এফ.সি-তে মিলিত হয়েছিলাম। ঢাকায় আমরা ৩৩জন থাকি,সবার সময়-সুযোগ মিলে না,তাই ব্যস্ত দিনেও এতজন একসাথে হতে পেরে খুব ভালো লেগেছিল। এক্স-ক্যাডেট মিলিত হলে যা হয় আর কি,একদম কে.এফ.সি.-তে শব্দদূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছিল। সেই ১০ বছর আগের স্মৃতিকাতরতা,একেকজনের কাহিনী এসব রোমন্থন করতে গিয়ে বেখেয়ালী হয়ে গিয়েছিলাম সবাই!

বিস্তারিত»

আয় আরেকটি বার আয়রে সখা, প্রাণের মাঝে (০২)

আয় আরেকটি বার আয়রে সখা, প্রাণের মাঝে (০১)
১।
২০০০ সাল। আমরা ক্লাস ১১ এ পড়ি। বই খাতা কিনে নিয়ে যাইনি কলেজে তাই পড়ালেখা না করার অজুহাত আপনা থেকেই তৈরি। স্যারদের চক্ষুশূল আমরা তখন। একেতো রেজাল্ট খারাপ হয়েছে এসএসসিতে তার উওর ১১ এ উঠলে যা হয় ব্যাচের ডিসিপ্লিন ও ভাল না। তখনই একটা খুব হাইফাই খবর পেয়ে মন নেচে উঠল। এসএসসিতে স্ট্যান্ড করা সবাইকে হেডকোয়ার্টার থেকে সংবর্ধনা দিবে তাও গার্লস ক্যাডেট কলেজে,

বিস্তারিত»

কালপুরুষ

ক্লাস এইটে থাকার সময় হঠাৎ করে আমাদের ব্যাচের আকাশে ধূমকেতুর মত কতিপয় মহান কবির আবির্ভাব হল। তারা একেক জন একেক ডাইমেনশনের কবিতা লিখে বাংলার কাব্যকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। এদের মধ্যে রাসেল ছিল চারন কবি। যেকোনো বিষয় নিয়ে যেকোনো সময়ে খাতা কলমের ধার না ধেরে চোখের নিমিষে কাব্য রচনা করতে পারত আমাদের এই চারন কবি। জামান এবং হাসান ছিল সত্যেন্দ্রনাথ ঘরানার কবি, ছন্দ না মিলিয়ে তারা কোনো লাইন লেখাকে কবিতার অবমাননা মনে করত।

বিস্তারিত»