ছোটবেলা থেকেই আসলে জীবনের নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য ছিল না, আজো নেই । যতদূর চোখ যায় ততদূরই ছিল সীমানা । যেদিকে স্রোত সেদিকেই নৌকা ভাসাতে চেয়েছি সবসময় । অনেকেই পারে জীবনের লক্ষ্য স্থির করে সামনে এগিয়ে যেতে কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাস আমি আজো অর্জন করতে পারি নি । কলেজ থেকে বের হওয়ার পর খানিকটা আশঙ্কায় ছিলাম নিজের ভবিষ্যত নিয়ে কারণ আমি তেমন আহামরি কোন ছাত্র ছিলাম না যে মেডিকেল,
বিস্তারিত»পশ্চিম পর্ব (ভূমিকা পর্ব )
বজ্র পর্বতের পায়ে ছোট্ট একটা শহর। শহরে একটা মল, কিছু সাধারন দোকান আর গোটাকয়েক আবাসিক এলাকা। স্বল্প আয়তন, অল্প মানুষ আর গোছানো পরিসরে ছবির মত সাজানো শহরটার নাম সিয়েরা ভিস্তা। মেক্সিকোর সীমান্ত ঘেঁষা হুচুকা মাউন্টেনের পায়ের কাছে এই শান্ত শহরটাতে মাস সাতেক বাস করতে হয়েছিল আমাকে।
সিয়েরা ভিস্তা, নামটাই তো কেমন অন্যরকম। কিশোর বেলায় পড়া ওয়েস্টার্ন গুলোতে এই নামটা ছিলো কিনা মনে নেই,
বিস্তারিত»খেজুরে আলাপ – ১
বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে সকালে ঘুম ভাঙলো। বেশ হিমহিম রোমান্টিক আবহাওয়া। ব্যাচেলর মানুষ, বিছানায় একাই ঘুমাই। কাঁথাটাকে আরেকটু জোরে আঁকড়ে ধরে পাশ ফিরলাম। মাথার মধ্যে জসীমউদ্দীনের কবিতা উঁকি দিয়ে গেল:
“আজিকে বাহিরে শুধু কলকল ঝরঝর চারিধারে
বেণুবনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।“
এই আবহাওয়ায় অফিসে যাওয়ার মোটেই ইচ্ছা জাগে না। যাব কি যাব না করতে করতে না যাওয়ার সিদ্ধান্তটা চূড়ান্ত করে ফেল্লাম।
বিস্তারিত»সবার জন্য… বন্ধু প্যাকেজ
১.
বিজ্ঞাপনটা বোধ হয় সবারই দেখা। সোলসের বিভিন্ন সদস্যের কাছে খরব এসেছে নকীব অসুস্থ। যে যার মতো তাড়াহুড়ো করে বেড়িয়ে পড়ে তাকে দেখতে। পৌঁছে দেখে নকীব সাহেব সুস্থ, তবে অনেকদিন পুরোনো বন্ধুদের না দেখায় খানিকটা মনোকষ্টে আছেন।
ঠিক যেমনটা থ্রি ইডিয়েটস ছবিতে বন্ধু আসার খবরে প্যান্ট ছাড়াই একজনকে দৌঁড়ে যেতে দেখি বাড়ির বাহির।
এমনও হয় নাকি!!
২.
সুমন গাইলেন- বন্ধু কি খবর বল,
সিসিবি নটআউট ৩ (৩য় বর্ষপূর্তি – স্মৃতিচারণ)
সিসিবির জন্মদিন ৮ ডিসেম্বর,২০০৭। এই দিনটি আমার কাছে অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। না শুধু যে ২০০৭ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে তা না। অনেক অনেক আগে থেকেই ডিসেম্বর মাস আসলেই ৮ তারিখের কথা আমার মনে হয়। আমার মা এর জন্মদিন ৮ ডিসেম্বর। আগে খুব ঘটা করে আম্মুর জন্মদিনের জন্য প্ল্যান করতাম। চিঠি লিখে এমনভাবে পোষ্ট করতাম যেন ৮ তারিখে গিয়ে পৌঁছায়। রাতের ৩টায় (জাপানের ৩টায় বাংলাদেশের ১২টা বাজে (আক্ষরিক অর্থে) ) এলার্ম দিয়ে উঠে আম্মুকে ফোন করতাম।
বিস্তারিত»“এই তো সেদিন”
২০ মে ১৯৯৩। এখন থেকে প্রায় ১৭ বছর আগের একটা সাধারণ দিন, পড়ন্ত বিকেলে অজানা সময় আর নতুনের শিহরন নিয়ে পা রেখেছিলাম বরিশাল ক্যাডেট কলেজের শক্ত জমিনে।তারপর,তারপর একে একে কেটে গেছে আরও ১৭ বছর।ছয় বছরের ক্যাডেট জীবন, দু’বছর বি এম এ আর তারপর এই আর্মি, আজ ত্রিশের ঘরে পৌঁছে সেই দিন টির দিকে ফিরে তাকালে কেবলই মনে হয় “এই তো সেদিন”।এক জীবনের অর্ধেক টা সময়ের ও আগের কোন একটা দিন কেন যে আজও “এই তো সেদিন” রয়ে গেল জানিনা।
বিস্তারিত»স্বপ্ন-১
অনেক দিন ধরেই ইচ্ছা ছিল কিছু লেখার, এখন তো আর খাতা কলম নিয়ে বসার সময় হয়না। তার চেয়েও বড় কথা এখন কার যুগে আবার খাতা কলম নিয়ে বসার যুগ না, আধুনিক যুগ। এখন সবাই কম্পিউটার এর সামনে ব্লগে লিখে; শুনেছি বড় বড় লেখকরাও নাকি এখন আর আগের মত সুন্দর খাতা, সুগন্ধি কলম নিয়ে লিখতে বসে না। তারা এখন তাদের ল্যাপটপ- এর সামনে বসে টাইপ করে,
বিস্তারিত»প্রেম নয়
চাকুরী জীবনের শুরুর দিকে বেশ কয়েকটা দিন আমার কেটেছে শিলছড়ি নামের একটা প্রত্যন্ত ক্যাম্পে। শিলছড়ির আকাশ ছোয়া পাহাড়,বহুরুপী পাহাড়ী ছড়া ,একদল সহজ সরল মানুষ, একটা ছোট্ট বাজার তাতে দিনমান নাপ্পির গন্ধ, দেবযানী, কৈশল্য আর রঙহীন গোধূলিতে করতালের শব্দে মাতাল চিয়ানজলের সুর—এইটুকু নিয়েই আমার পাহাড় বিলাস।সেইদিনগুলি বড্ড অন্য রকম ছিলো। মনের ভেতর তখন ফেলে আসা সমতলে লাজুক কিশোরীর আধো আধো প্রেম, খাতার ভেতর লম্বা চিঠির দীর্ঘ শব্দমালা,
বিস্তারিত»আমার বাবার চোখে ১৯৭১
অস্ত্র থেকে অক্ষর(পূর্ণাংগ) মাসরুফ ভাইয়ের অসাধারণ একটি পোষ্ট। তো আমি তার পোষ্টটিতে মন্তব্য করেছিলাম। বিনিময়ে তিনি আমাকে বললেন সামনে কোন মুক্তিযোদ্ধাকে পেলেই তার অভিজ্ঞতার করার কথা। তো তার কথাতেই উদ্বুদ্ধ হয়ে আমার এই পোষ্ট। আসলে আমাকে এই লেখাটা লিখতে বেশি বেগ পেতে হয়নি, কারণ যাকে নিয়ে এই পোষ্টটি লেখা তিনি স্বয়ং আমার বাবা।
২৮/১০/২০১০ তারিখে মাসরুফ ভাইয়ের পোষ্টটি আমি পড়েছিলাম আর ২৯/১০/২০১০ তারিখে ছিল আমার জন্মদিন।
বিস্তারিত»প্রবাসে দ্বিতীয় ঈদ, ঈদ মোবারক … একটি ফাউল পোস্ট
প্রথমেই বলে নেই , এটি আমার জীবনের প্রথম কোনো লেখা ।জীবনে প্রথম বারের মতো কোনো লেখা লিখছি (পরীক্ষায় রচনা ,ভাব সম্প্রসারণ এইসব বাদে .. কারণ এই গুলা সব সময় না পরে লিখতাম ) তাই সবার কাছে এই পোস্টটিকে একটি ফালতু পোস্ট হিসেবে দেখে আমার ভুল ক্রুটি ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য আহবান জানাই ।
যখন লিখছি তখন ভোর চার টা চৌত্রিশ মিনিট ,১৭/১১/২০১০, কোভেন্ট্রি,ইংল্যান্ড ।
আমি তো এখন এক্স-ক্যাডেট
কলেজ থেকে বিদায় নিয়েছি তা ও ১ বছরের বেশি হয়ে গেল। যতটা শূন্যতার কথা ভেবেছিলাম কলেজ থেকে আসার সময়,আসলে ততটা বোধ করিনি বাস্তবে;সে শুধু বেশির ভাগ পোলাপানের ঢাকা কেন্দ্রিকতা আর ফেসবুকের কারনে। এইচ এস সি র পর আসলে সবার ই মোটামুটি দৌড়ের উপর থাকতে হয়। এই ৪০০ মিটারের গতিতে ৩০০০ মিটার দেয়ার সময় পুরনো স্মৃতি গুলো যে কষ্ট,হতাশা বা দীর্ঘঃশ্বাস জাগায় নি তা নয়। বিভিন্ন কাগজপত্র (সারটিফিকেট) আনতে ২ বার কলেজ এ যাওয়া লাগলে ও দুই বার ই ক্যাডেট দের ভ্যাকেশন ছিল।
বিস্তারিত»সপ্তম শ্রেণীর সাতকাহনঃ পর্ব-৪>> “ক্যাডেট কলেজে বেহেশতঃ হাসপাতাল”
যখন থেকে সিসিবি পরিবারের সদস্য হয়েছি, তখন থেকেই একটা আকর্ষণ বা টান কাজ করে, ধীরে ধীরে তা আরো বেড়েছে। কিন্ত নানা ব্যস্ততায় নিয়মিত হতে পারিনি গত বেশ কিছু সময় ধরে। গতকাল ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের ক্লাস শেষ করলাম। আর দুইটা সেমিস্টারও দেখতে দেখতে কেটে যাবে। যদিও আমাদের ব্যাচমেট ক্যাডেটরা নিজ নিজ ভার্সিটি থেকে বের হওয়া শুরু করে দিয়েছে। আমরা পিছিয়ে আছি। তারপরও কাল যখন ০৫ ব্যাচের বিদায়ী কনসার্টে আইয়ূব বাচ্চু এসে মাতিয়ে গেলেন,
বিস্তারিত»৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ১৭তম পর্ব
আমরা সবাই কম-বেশি প্রেম বা ভালবাসাবাসি করেছি। আমি হলফ করে বলতে পারি ৮০ ভাগ মানুষের প্রথম ভালবাসা হয়ে থাকে প্রথম দেখা ( লাভ এট ফার্স্ট সাইট) এবং ভাল লাগা থেকে।
আমার বেলায়ও এর ব্যাতিক্রম হয়নি। আর ২০০৩ সালে আমার পাশের বাড়িতে আসা নতুন মেয়েটিকে দেখে আমার হঠাৎ মনটা ছটফট করে উঠল। বুঝতে পারলাম আমি ফিদা হয়ে গেছি। আমার মনে প্রেমের জোয়ার বইছে। চেষ্টা-তদবিরের কল্যাণে আমাদের প্রেমও হয়ে গেল।
প্রিভিউ পোস্টঃমুক্তিযোদ্ধা কামরুল হাসান স্যারের সাথে এ সপ্তাহে আরেকটি সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছি,যাঁরা প্রশ্ন রাখতে চান দয়া করে লিখুন
এবছর ফেব্রুয়ারিতে “অস্ত্র থেকে অক্ষরঃএকজোড়া লড়াকু হাতের গল্প“ পোস্টটিতে ক্যাডেট কলেজ পরিবারের গর্ব মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়ার একটি সাক্ষাতকার নেওয়ার কথা বলেছিলাম।নানাবিধ কারণে প্রায় আট মাস বিলম্বের পর অবশেষে আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় তাঁর বাসায় সাক্ষাতকারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি আমি আর আমার ডাক্তার বান্ধবী জ্যেতি(পোস্টটির নামকরণ ওর হাতেই)।মাত্র ১৫ মিনিট আগে স্যারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে সময় এবং স্থান ঠিক করলাম।স্যারকে ক্যাডেট কলেজ এবং সিসিবির কথা বলামাত্রই চিনতে পারলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলেন।
বিস্তারিত»৬ বছর বা ২০০৩ দিন – ১৬তম পর্ব
তিন টান পাস, যারা ক্যাডেট কলেজে স্মোকার ছিল তারা এই সূত্র সম্পর্কে ওয়াকিফহাল। কারণ সীমিততার কারণে আমরা স্মোকাররা একটা সিগারেট ৩-৪ জন ভাগ করে খেতাম(“পান করতাম”)। সিগারেট নিয়ে সবারই অনেক স্মৃতি আছে। আমার মনে যে স্মৃ্তি সবচেয়ে বেশি দাগ কেটে রেখেছে এই পর্বের বিষয়বস্তু সে স্মৃতি।
২০০৩ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী, আমাদের কলেজ পিকনিকের স্পট ঠিক করা হয়েছিল ভিন্নজগত। প্রত্যেক ক্লাসের জন্য আলাদা বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বিস্তারিত»