মাত্রতো একটা যুগের একটু বেশী….

বন্ধূ চয়নকে ফোন দিয়েছিলাম বহুদিন পর- চিনতেই পারেনি।
নাম বললাম- ভালো নামটা, যে নামে স্কুলে প্রতিদিন উপস্থিতি ডাকত রেবেকা আপা
সেই নামটাই বললাম, ডাক নাম অবশ্য ইচ্ছে করেই বলিনি
নাহ! বন্ধু আমাকে চিনতেই পারেনি।
সময়ও অবশ্য কম গড়ায়নি, এক যুগেরও একটু বেশী।
আমার আবেগ এখনো কাঁচা কিন্তু বন্ধুরা কেউ মনে রাখেনি।

যাই হোক, চয়নের কথা বলছিলাম।
ফাল্গুনের নতুন বাতাসে আজিজের দুই তলায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে চয়নকে একবার ফোন দিলাম-
স্নাতক শেষ,

বিস্তারিত»

স্মৃতির পাতায় বিটিভি : প্রসঙ্গ বিদেশি সিরিয়াল

সময়টা আশির দশকের শেষ দিকে অথবা নব্বই দশকের শুরুতে। সেই সময়টা মনের পাতায় এলেই শান্ত সৌম্যভাব কাজ করে। তখন শহরের ধূলোবালি হয়তো কম ছিলো এখনকার চেয়ে। নাগরিক যান্ত্রিকতায় ছেয়ে যাওয়া এই শহরের বুকে হয়তো একটু বেশি প্রাণের স্পন্দন ছিলো। সেই সময়ের শিশুদের শৈশবে হয়তো শান্ত নীরবতার স্থান এখনকার চেয়ে একটু বেশি। দুপুর শেষ করে বিকেলের ছুটোছুটি কিংবা নিরর্থক ক্রীড়ার আয়োজনও ছিলো তখন বেশি। আর বিকেল শেষে সন্ধ্যার আগে অথবা দুপুর শেষে বিকালের আগে টেলিভিশনের পর্দায় কার্টুনের আনাগোনাও তখনকার সময়ের এই আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গিয়েছিলো।

বিস্তারিত»

প্রলাপ

কত সকালেই ঘুম ভাঙ্গে, শুধু সেই সকাল গুলোতে আর ঘুম ভাঙ্গে না। ঘুম ভাঙ্গার আগেই এখন ফুরিয়ে যায় সিলেট ক্যাডেট কলেজের সকালগুলো।

ছাই রংয়ের আলোতে ঘুম ভাঙ্গে না, আর ভাংলেও তোদের সবাইকে ব্যস্ত দেখা যায় না।

আড্ডায় তোদের সবার কথা ঘুরে ঘুরে আসে, কিন্তু চোখের সামনে তোরা সবাই থাকিস না। এক হাটা দিলেই যাকে খুশী তাকে আর দেখা যায় না।

গোসলের সিরিয়ালের অপেক্ষা নাই এখন,

বিস্তারিত»

সাব্বাস বাংলাদেশ তোমাদের এই অশ্রু গর্বের

জ্ঞান বুদ্ধি হবার পর থেকে আব্বু -আম্মু আত্মীয়স্বজনেরা বলতো আমি নাকি কান্না কাটি খুব কম করি । জীবনের বিভিন্ন সময়ে আমিও নিজেও অনেক উপলব্ধি করেছি যে আমি অনেক কম কান্না কাটি করি । নানা-নানী,দাদা মারা যাবার পরেও আমার চোখে জল আসে নি ।শুধু মন খারাপ হয়েছিল ।আশেপাশের সবার কান্না কাটি দেখে কাঁদার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সফল হয় নি। হয়ত সবাই জীবনে কে কে কয়বার কেঁদেছে জ্ঞান বুদ্ধি হবার পর থেকে হয়ত সঠিক ভাবে বলতে পারবে না ।

বিস্তারিত»

মনে পড়ে সেই দিনের কথা

আরেকবার সারাদিন এই রকম মন খারাপ হয়ে ছিল। ‘৯৩/’৯৪ সালের ICC Trophy এর সেমি ফাইনালে বাংলাদেশ যখন কেনিয়ার কাছে হারল। জিততে পারলেই বাংলাদেশ ’৯৬ সালের বিশবকাপ খেলতে পারত । ম্যাচ যদিও আজকের মত এত ক্লোজ ছিল না, কেনিয়ার ২৯৫ তড়া করে বাংলাদেশ করতে পেরেছিল ২৮২ রান। কেনিয়ার প্রথম ১০০ করতে যেখানে ৩০ ওভারের মত লেগেছিল, সেইখানে মরিস ওদম্বের মিডল অর্ডারে ব্যক্তিগত ১১৯ রানের মার কাটারী ইনিংসের সুবাদে কেনিয়া রানের পাহাড় গড়ে ফেলল।ও যখন ব্যাট করতে নামে তখন কেনিয়া রীতিমত ধুকছিল,

বিস্তারিত»

আমার বুবু………বুবু আমার

 

লেখাটা যে কোথা থেকে শুরু করবো কোনভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। দুচোখের সামনে এত স্মৃতির আনাগোনা; এত কথা ঝুপি খুলে বসেছে যেন মনে হয় সব একসাথে লিখে ফেলি। কিন্তু কলমটা যেন লিখতে ভুলে গেছে……………………। নিজের আজান্তেই দেখি চোখ বেয়ে পড়ে লোনা জল।

আমার বুবু। বয়সে আমার থেকে ৭ বছরের বড়। বুদ্ধি হবার পরথেকে দেখেছি শুধুই আমার উপর ওর খবরদারি। বুবুর সেই সময়ের খুনসুটি গুলো আমার গায়ে সর্বদা জ্বালা ধরিয়ে দিত।

বিস্তারিত»

গুরু তোমাদের সালাম

পুরোনো সেই দিনের কথা কেন জানি সবাইকেই পীঁড়া দেয়। খুবই মনে পড়ে কলেজের মূহুর্তগুলো। আজ অফিসে বসে আছি। একজন আসলেন তার ছেলের কাগজপত্র সত্যায়িত করতে। তার ছেলে বরিশাল ক্যাডেট কলেজে চান্স পেয়েছে। শুনে কেন জানি না খুব ভালো লাগল। ক্যাডেট কলেজে না গেলে জীবনে অনেক কিছু অদেখা আর অজানা থাকতো। আর তাই আজও প্রতি মূহুর্তে অনুভব করি আমার ক্যাডেট কলেজ। গ্রীষ্মে কলেজের পাশ দিয়ে বয়ে চলা পদ্মা নদীর উড়ন্ত বালূকণার কথা।

বিস্তারিত»

আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী

আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী । পিলখানা হত্যাযজ্ঞে শহীদ হয়েছিলেন আমাদের ৫৭ জন সেনা অফিসার। তাদের মধ্যে আমাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সিনিওর ভাইয়ারাও ছিলেন। তাদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করছিল ক্যাডেট কলেজ ব্লগ। আজ ৩ বছর পেরোতেই কি আমরা ঝিমিয়ে গেলাম? আমাদের অনুভূতি গুলো ভোতা হয়ে যাচ্ছে বোধ হয়। আমরা কি আজ তেমনি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করতে পারি না আজ? মতামত চাই। অতিথিদের কেও আমন্ত্রন জানাচ্ছি মতামত দেবার জন্য।

বিস্তারিত»

ভালবাসার মানুষ

এখন কত দিবস হয়েছে।ভালবাসা দিবস, মা দিবস, বাবা দিবস। এসব আমাদের দিনগুলিতে ছিলনা। খুবই সাদা মাটা ছিল আমাদের দিনগুলি। প্রকৃতি হয়তো কিছু ‘সোনার মানুষ’ সৃষ্ট করে আমাদের সেই অভাব ঘুচিয়েছিল ।

ভদ্রলোকের সাথে প্রথম পরিচয় হয় ‘ চৈত্র সংক্রান্তির ‘ দিনে।আমার স্পষ্ট মনে আছে ।মনে থাকার কারনও আছে,বলছি।

১৯৮৮~৮৯ সালের দিকের কথা। অফিসে মন খারাপ করে বসে আছি। এই আধুনিক কালে চৈত্র মাস নিয়ে ব্যবসা জগতের এই ব্যাপারগুলি আর সহ্য হয়?

বিস্তারিত»

আশরাফকে খুব মনে পড়ছে

আশরাফকে খুব মনে পড়ছে আজ। কেন জানি না।

সবকিছু তো স্বাভাবিক আছে। হাঁটছি, খাচ্ছি, ঘুরছি। মাঝখানে শুধু ও নেই।আশরাফ কে ছাড়া ওর মা, বাবা, প্রিয়তমা স্ত্রী কেমন আছে কে জানে। আমাদের পাবনা ক্যাডেট কলেজের ১৬তম ব্যাচের বোধকরি সবচেয়ে চৌকস ছেলেটি, বিমান চালাতো। আমরা অনেকে যেখানে সাইকেলই চালাতে পারিনা, সেখানে ও বিমান নিয়ে দিব্বি ঘুরে বেড়াত। মিগ-২৯ চালানোর প্রশিক্ষন পাওয়া অল্প কয়জন অফিসারদের মধ্যে একজন ছিল।

বিস্তারিত»

একটি অপ্রকাশিত স্মৃতিচারণ

৭ মে, ২০০২. আমার এই ক্ষুদ্র জীবনের সবচেয়ে স্মরনীয় দিন। এদিন আমরা ২৫তম ব্যাচের পঞ্চাশজন কিশোর মনের মধ্যে ভয়, উৎকন্ঠা, কৌতুহল আর গর্ব মিশ্রিত আশ্চর্য এক অনুভূতি নিয়ে প্রবেশ করেছিলাম পাবনা ক্যাডেট কলেজ অঙ্গনে। ঠিক সেদিন থেকেই শুরু হয়েছিল আমার ক্লাশ সেভেনের দুঃসহ দিনগুলো। ক্যাডেট কলেজে ক্লাস সেভেনের সময়টা যে কত কষ্টের সেটি আমি সেদিন থেকেই খুব ভালভাবে বুঝেছিলাম। ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা পাওয়ার আগেই আমার cadet life- এর দ্বিতীয় দিনেই আমার গাইড আজহার ভাইয়া আমাকে পাঙ্গাইছিল।

বিস্তারিত»

আমাদের ছেলেবেলা (এপিসোড ৭)

১)  ১৭তম ব্যাচের স্টাডিট্যুর। বাসের ভিতর হঠাৎ ভাইয়াদের চ্যাচামেচি শুরু হল। গাড়ি থামাও, টয়লেট করব। স্যারেরা কেউ পাত্তা দিল না । এবার শুরু হল বাস থামাও মুতব। এডজ্যুটান্ট স্যার উঠে দাড়ালেন। চিৎকার বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু জনৈক ভাইয়ার সিরিয়াস জোরে চাপছে। পিছনের সিটের জানালা খুলে, অন করে দিছে ট্যাপ। বাকিরা লাফাইয়া সরে গেল। কিন্তু হঠাৎ ভাইয়ারা খেয়াল করল বাসের ঠিক পিছনেই যে ট্রাকটা ছিল। ট্রাক ড্রাইভার তার ওয়াইপার চালু করে দিছে।

বিস্তারিত»

জীবনের টুকরো – দেশবিদেশে (পূবের মানুষ যখন পশ্চিমে –২)


ঢাকা শহরে আমরা বস্তি দেখেই বড় হয়েছি। কিন্তু এবার দেশে গিয়ে প্রথম পানির ভাসমান বস্তি দেখলাম। এ শহরে এখন জমির আকাশচুম্বী মূল্য। রবীন্দ্রনাথের মতো কেউ থাকলে আজ দু বিঘের বদলে এক ইঞ্চি জমি দখলের কবিতা শুনতে পেতাম। প্রতিটি ইঞ্চি মেপে মেপে শহর দালান-কোঠার জংগলে ভরে যাচ্ছে। আর ওদিকে বস্তি উঠে গেছে পানির উপরে। এক-একেকটা বেড়ার ঘর, কোনরকমভাবে বাঁশের পিলারের উপর দাঁড়িয়ে আছে। দেশে থাকলে এসব দৃশ্য গা-সওয়া হয়ে গেলেও প্রবাসী চোখে প্রথম প্রথম এই বৈষম্যটা বড্ড বেশি চোখে ঠেকে।

বিস্তারিত»

ঘুম -ময়মনসিংহ পর্ব

ক্লাস নাইনে থাকতে একদিন সকাল বেলায় ঘুম থেইকা উঠার মিনিট পাঁচেকের মাঝে সেইরকম একখান থাবড়া খাইসিলাম।আমার জানের জান রুমমেট লুনা মারসিল।কারণ কিন্তু কিছুই না, তারে ঘুম থেকে উঠার জন্য অনেক্ষন ঘ্যানঘ্যান করতেসিলাম। B-)   আমার ক্লাসমেট দের একজন আবার ক্লাস সেভেন এ ৭ দিনের টার্ম এ গাইড আপা ঘুম থেকে ডাকছিল দেখে হেব্বি ঝাড়ি মেরে হাত দিয়ে ধাক্কা দিসিল,কিন্তু ব্যাড লাকের কপাল খারাপ দেখে ওই আপা ছিল অতিশয় টিংটিঙে …..ফলাফল আপা বাড়ি খাইসিল লকারের দরজায়,পরের কাহিনী আর নাটকএর পাত্র পাত্রী ……থাক,

বিস্তারিত»

টুকরো স্মৃতি ৪

ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হবার পর প্রায়ই স্বপ্ন দেখি আবার সেই দিন গুলোতে ফিরে গেছি। অদ্ভুত সুন্দর সেই স্মৃতি গুলো মাথার ভেতর ঘুরপাক খায়। ক্যাডেট কলেজ থেকে যেদিন বের হয়েছিলাম সেদিন হয়তো ভাবিনি জীবনটা এত স্মৃতিময় হয়ে উঠবে। আজ আরো কয়েকটা টুকরো স্মৃতিচারন করছি।

আমরা তখন ক্লাস সেভেনে। নামায পড়াটা তখন ছিল বাধ্যতামূলক। এরমাঝে কিছু মোল্লাটাইপ ক্যাডেট ছিল যারা খুব ধার্মিক পার্ট নিত।

বিস্তারিত»