ক্যাডেট কলেজের যে যুগের সাথে আমাদের অনেক সিনিয়র ভাইদের পরিচয় নেই সেই দিনগুলোর কিছু শর্ট ভিউ দিতে চাই । আমরা তখন এইচ. এস. সি ইক্সামের ঠিক আগের পুলসিরাত “টেস্ট” দিলাম । শেষ বারের মতো ইক্সামের প্রিপারেশন নিতে যখন সবাই হিমশিম খাচ্ছে তখন আমাদের কজনের মাথায় শয়তানী বীজ কিলবিলইলো । ভাই খবর দিল আইজ রাইতে হইব । এখানে একটু বলে রাখা ভালো এই “ভাই” কিন্তু সিনিয়র ভাই না আমাদের ব্যাচের “আন্ডার ওয়ার্ল্ড” (কলেজে যা বিধানভুক্ত কাজ না) ভাই ।
বিস্তারিত»আঙ্কেল……
২ বছর কঠিন প্রশিক্ষন শেষে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী হতে সদ্য কমিশন লাভ করেছে রিয়ান । ইউনিটে যোগদান করার পূর্বে ১৫ দিনের ছুটি পেয়েছে। এ দুবছরের যত কষ্ট আছে তা দূর করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে ১৫ দিন ছুটির প্রতিটা মূহুর্ত উপভোগের যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার সদ্য কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে বন্ধুদের মাঝে তার এখন আলাদা কদর। বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি করে তার সময়গুলো দারুনভাবে পার হচ্ছিল। সমস্যা দেখা দিল ছুটির শেষ দিন বসুন্ধরা সিটিতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে……
বিস্তারিত»একটা কবিতা……অতঃপর তুমি
মন্ত্রমুগ্ধের মতো আমার সাদা ক্যানভাস এ
তাকিয়ে আছি , সাদা ক্যানভাস
আর কিছু নেই।
আমার কিংবা আমার আকাশ
প্রতিচ্ছবি,ব্যস্ত স্বপ্ন কিংবা
আমার শহুরে নীরব প্রাণহীন
সকাল।
জানো একটুও ছাপ
পড়েনি তোমার।
আমার ক্যানভাস রংহীন
নাহ, অবশ্যই তোমার জন্য নয়।
একবারও কেন ভাবনি ?
আমি তোমায় ভালবাসিনি
করুণা করেছিলাম, আজ
তাই তোমাকে ভাবতে ঘৃণা হয়
ভাগ্যিস ভালবাসিনি।
জীবনের টুকরো – দেশবিদেশে (পূবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ১)
১
নিউ ইয়র্কে যখন সূর্যাস্ত বাংলাদেশে তখন সূর্যোদয়। তারপরও পাশ্চাত্য আর প্রাচ্য বলতে আমরা মূলত সংস্কৃতির পার্থক্য বুঝি – দ্রাঘিমার নয়। আমি পূবের মানুষ। থাকি এখন পশ্চিমে। তবে ছোট হয়ে আসা এই পৃথিবীতে প্রবাসী শব্দটার মধ্যে এখন আর কোন জৌলুস নেই। বরং প্রবাসী মানেই রেমিটেন্স নয়তো মেধা-পাচার। এই একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে এমন এলাকা এখন বিরল যেখানে অন্তত: একজনও প্রবাসে থাকে না। তবে বাঙালিদের বিশ্ব-ভ্রমণ আজকালকার বিষয় নয়।
অবশেষে বাড়ি ফেরা
কয়েকমাস ধরে আমি এমপ্লয়েড বেকার।মাঝে মাঝে অফিসের কাজের চাপে বাসায় ফিরি রাত দশটায় আর মাঝে মাঝে কাজের অভাবে অফিসে বসে বসে জেগে দিবা স্বপ্ন দেখি …সরকারি অফিস হলে নিশ্চয় মাছি মারতাম, নেহায়েত সিসিটিভি নামক আপদ টা আছে দেখে টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাইতে পারিনা,বড়ই দুঃখের ব্যাপার।
যাই হোক এরকম অকামের দিনগুলাতে যে পরিমান চিন্তা আমি করি,তা যদি শুধু ভাল চিন্তা করতাম তো কবেই দার্শনিক হয়ে যেতাম ।আজ হঠাত হাবিজাবি চিন্তার মাঝে একটা স্মৃতি মনে পড়ে গেল।বাকি আর সবগুলা ক্যাডেটের মতই ক্যাডেট শব্দটা শুনলেই আমি আপ্লুত হয়ে যাই।আবার সব কাজ বাদ দিয়ে মনে মনে চিন্তা করি আর হা হুতাশ,ইশ আবার যদি ক্লাস সেভেন হতাম।
বিস্তারিত»প্রলাপঃ৬০৯
তোল অবগুন্ঠন,কেটে দাও পলাতকা নাম
এই ভোরে আমিও জানলাম
গত পৌষের কুয়াশা ও প্রেম
বিকেল ও মফস্বল
লালন ও ইউটিউব
এবং কলম
আগুনে পুড়েছে,আগুনে পুড়ছে,আগুনে পুড়বে!
চোখে লেগে আছে তোমারই মুখ
তোমার তিল
তোমার বুক ও তাতে বরফ
তোমার যোনীচিহ্ন ও মঞ্চের কুশীলব
সেই একটা দুপুর আমাদের কাছে কেমন অন্যরকম হয়ে গে’ছিল না?
বিস্তারিত»এক শহরের রূপকথা
আমি যখন ছোটো ছিলাম
এক শহরে গিয়েছিলাম,
দেখি সেথায় দিন দুপুরে,
মানুষ রূপে খাসি চরে ।
ছুটছে সবাই ত্রস্ত পায়ে
এদিক ওদিক ডাইনে বায়ে
বুদ্ধি সেথায় মেলছে পাখা,
ভাবনাগুলো মিলিয়ে রাখা
হঠাৎ পেলাম বাচ্চাটাকে,
ক্রিংক্রিঙ্গিয়ে কেবল ডাকে,
তারে শুধাই, “সঙ্গে নিবি?”
অনেক অনেক লজেন্স পাবি ।
লাভ লজেন্সের লোভেই কিনা?
যায় না বাবু আমায় বিনা ।
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি
বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি। ::salute::
আজ ১৬ ডিসেম্বর । মহান বিজয় দিবস । ::salute::
৩০ লক্ষ (রূপক অর্থে) শহীদ এর আত্মত্যাগ এর বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা ।(আজিজুল ভাই এর অনুমতি ছাড়াই উনার কিছু কথা কোট করছি :“ত্রিশ লক্ষ” শব্দ টা আমরা গাণিতিক ধ্রুব হিসাবে না ধরে,রূপক হিসাবে নিতে পারি। এখানে একটা মতবাদ প্রচারিত আছে যে,জাতির জনক বঙ্গ বন্ধু বিদেশী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে “তিন লক্ষের স্থলে ভুলে তিন মিলিয়ন”
বিস্তারিত»ত্রিশ কোটি হাত বনাম ক্যান্সার
কিরে ব্যাটা মন খারাপ?ধুর বোকা ক্লাস সেভেনে একটু আধটু এরকম হয়।এজন্যে মন খারাপ করতে হয়না।পেছন তাকিয়ে দেখি হোসেন ভাই।
তার সেই চির চেনা হাতটা মাথার ওপর।আমি আরো জোড়ে ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেললাম।একটু আগেই রুম লীডারের রুমে ছিলাম।টানা দশমিনিট জানালার গ্রিলের সাথে পা ঝুলিয়ে।ক্যাডেট কলেজের ভাষায় যার নাম লং আপ।হোসেন ভাই তখন রুমে ছিলেন।আমার অবস্থা দেখে ভেতরে ভেতরে হয়তো একটু আধটু কষ্টও পেয়েছিলেন।কিন্তু ক্লাসমেট এর মুখের ওপর কথা বলা নিয়মে নেই।তাই তিনি এখানে নির্বাক দর্শক।
শিক্ষক VS ক্যাডেট এর ৬বছরের ম্যাচের কিছু ধারাবিবরনি। সিজন ২-এপিসোড-১
সবাই কয় ভদ্রলোকের এক কথা। তাই মেলা দিন হইল এই সিরিজের আর এক পর্ব লিখতে গিয়েও মনের ভিতর খচখচ করছিল। লাস্ট পর্বে কইছিলাম এইডা আর লিখুম না। কিন্তু একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাইবা দেখলাম হুদাই খচখচ করতেছে। ওই কথা তো আমার জন্য প্রজয্যই না । :goragori: :goragori: :goragori: তাই লিখতে বইসা গেলাম।
১) সৈয়দ নুরুল ইসলাম স্যার। বাংলা ডিপার্টমেন্ট। স্যার নতুন আসছেন কলেজে।
বিস্তারিত»এমনি করে সবাই যাবে…
গানটি ছিল এরকম
এমনি করে সবাই যাবে, যেতে হবে,
দেহের মাপের মাটির ঘরে শুতে হবে,
কেউ রবে না তখন সাথে যারাই ছিলো দিনে-রাতে;
চোখের আলোর ঝাড়বাতিটা নিভিয়ে দেবে, নিভিয়ে দেবে। ……
ফিডব্যাকের ১৪০০ বঙ্গাব্দ এ্যালবামের গান।
বিস্তারিত»পরীক্ষার আগের রাত।
আজ অনেকদিন পরে লিখতে বসেছি। বার বার কেন জানি S.S.C পরীক্ষার আগের দিনের কথা মনে হচ্ছে। ১৯৭৬ সাল।ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ফজলুল হক ভবনের নিচের তলা। বারান্দার সামনেই সবুজ লনের বিস্তার। বন্ধুরা সব পাগলের মত রিভাইজ করছে। আমি বইয়ের কাছেও যাইনি। প্রিয় গীটারটা নিয়ে বারান্দায় টুং টাং করছি।
‘৭৫ সনে মা বাবার সাথে ইন্ডিয়া যাই বেরাতে ।জীবনের প্রথম বিদেশ সফর। যা দেখি,
বিস্তারিত»লোডশেডিং এবং …
বহুদিন পরে ব্লগে আসা হলো তাই কলেজের একটা অম্লমধুর স্মৃতি সবার জন্য তুলে দিলাম একটু অন্যভাবে –
“রংপুর ক্যাডেট কলেজের জেনারেটরের বর্তমান অবস্থা কেমন তাহা জানি না, তবে আমাদের সময় কারেন্ট চলিয়া গেলে জেনারেটর চালু হইয়া কারেন্ট আসিতে পাঁচ মিনিটের মত সময় তো লাগিতোই। এই সময়টা ছিলো সিনিয়র জুনিয়র সবার জন্য অনির্ধারিত উপভোগের উপলক্ষ । যাহা হউক, আমরা তখন ক্লাস ইলেভেনে পড়ি। কলেজে নতুন এক টিচার আসিলেন শাহীন স্যার,
বিস্তারিত»প্রথম প্রেম
1985 shale Humayun ahmeder shakkatkar nicche shangbadik shakoor majid
বালকটি যে কারণে মুগ্ধ হয়েছিলো
শাকুর মজিদ
ছেলেটি তখন একেবারেই কিশোর। চৌদ্দ-পনেরো বছর বয়স। ক্লাস নাইনে পড়ে। ক্লাসের বই ছাড়াও গল্প উপন্যাসের বইয়ের প্রতি তার বেশ ঝোঁক। বিশেষ করে রহস্য উপন্যাস। কাজী আনোয়ার হোসেন, রোমেনা আফাজ প্রায় শেষ। সে যেখানে পড়াশুনা করে, এটা একটা আধাসামরিক আবাসিক বিদ্যানিকেতন। যদিও সে পড়ে স্কুলের ক্লাসে,
বিস্তারিত»কালো দিন এবং কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা
(লেখাটা শুরু করেছিলাম কামরুলের কালো দিনের মন্তব্য করতে গিয়া। এতো বড় হইয়া গেলো যে লেখা হিসাবেই দিয়া দিলাম।)
সিলেটের আরও অনেক কাহিনী পাওয়া যায়। পামোশ যেখানেই গেছেন অনেক কাহিনীর জন্ম দিয়েছেন। ব্যাক্তিগত জীবনে প্রবল ধর্মকর্মকরা এই মানুষটির ভাগ্য কেন এমন; কে জানে? ঝিনাইদহের এক বড় ভাই অইদিন পামোশের কথা বললেন। পামোশ কুমিল্লা থেকে আমাদের কলেজে বদলি হয়ে আসলেন অইখানে ঝামেলা করার জন্য।
বিস্তারিত»